এই পৃথিবীর একটা প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে হ্যারি পটারের মোহময় স্মৃতি সাথে নিয়ে। গাদা গাদা মুভি, সিরিজ, ও বইয়ের ভিড়ে হ্যারি পটারের জ্বলজ্বলে দীপশিখা এখনও স্বতেজে বিদ্যমান। হ্যারি পটার ভক্তরা (পটারহেড) কল্পনার সীমারেখা ভেদ করে অসংখ্যবার ঘুরে বেড়িয়েছে হগওয়ার্টসের আঙিনায়, ছড়ি ঘুরিয়ে উচ্চারণ করেছে প্রিয় মন্ত্রসমূহ, কিংবা অতি আগ্রহের সাথে ব্যবহার করেছে বিভিন্ন রকমের পোশন। মাগল হওয়ার দরুন কপাল চাপড়ানো বা দু-পায়ের ফাঁকে ঝাড়ু উড়িয়ে শৈশবে আকাশে উড়তে চেয়েছে, এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। বই বা সিনেমায় কাহিনির ফাঁকে ফাঁকে এমন কিছু প্রশ্ন থেকে যায় যেগুলোর উত্তর সেখানে দেওয়া হয়নি। তাই, বিভিন্ন যুক্তি ও ফ্যান থিওরির সমন্বয়ে জনমনে জেগে ওঠা সেসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আজকের এই আয়োজন।
১) হ্যারি পটারের আগে শতবর্ষ পূর্বে প্রথম বর্ষ থেকে কুইডিচ দলে ডাক পেয়েছিল কোন শিক্ষার্থী?
হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফারস স্টোন বই এবং সিনেমা উভয় জায়গাতেই বর্ণিত, প্রথম বর্ষে থাকাকালীনই কুইডিচ দলে ডাক পেয়েছিল হ্যারি। কিন্তু হগওয়ার্টসের রীতি অনুযায়ী, প্রথম বর্ষের কোনো শিক্ষার্থীকে কুইডিচ দলে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো নিয়ম নেই। ওদিকে ঝাড়ু চাপিয়ে শূন্যে উড়তে দক্ষ ড্রেকো ম্যালফয়ের ভাগ্যে সে সুযোগ হয়নি, শুধুমাত্র সে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বলে। হ্যারি প্রচলিত নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছিল বলে রন উইজলি তাকে অতি উৎসাহে জানায়, আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর পূর্বে এমনভাবে প্রথম বর্ষ থেকে কুইডিচ দলে স্থান পেয়েছিল এক শিক্ষার্থী। কিন্তু কে সেই শিক্ষার্থী, যে মাত্র ১১ বছর বয়সেই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জানান দিয়েছিল?
হ্যারি পটার হগওয়ার্টসে ভর্তি হয়েছিল ১৯৯১ সালে। ১৯৯১ সাল থেকে ১০০ বছর পেছনে গেলে আসে ১৮৯১ সাল। উইজার্ডিং ওয়ার্ল্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং ফ্যান্ডমে জাদু জগতের পুরো টাইমলাইন উল্লেখ থাকায়, কোন বছরে কী ঘটনা ঘটেছিল তা সহজেই জানা যায়। সেই সূত্র ধরে সামনে এগোলে দেখা যায়, ১৮৯২ সালে এমন এক জাদুকর হগওয়ার্টসের আঙিনায় পা রেখেছিলেন, যিনি তার খ্যাতি দ্বারা জাদু জগতে হয়েছেন চির অম্লান। জাদুকর পরিবারে জন্ম নেওয়ায়, ছোটবেলা থেকেই অন্যান্য জাদু শিক্ষার পাশাপাশি উড়ার কৌশল রপ্ত করেছিলেন তিনি। সেই শিক্ষার্থী আর কেউ নন, তিনি হলেন জাদু জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও তুখোড় জাদুকর মহামতি অ্যালবাস ডাম্বলডোর।
১৮৯২ সালে তিনি যখন হগওয়ার্টসে ভর্তি হন, তখন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য কুইডিচ খেলায় এত কড়াকড়ি নিয়ম ছিল না। যে সবচে’ ভালো উড়তে পারত, খেলার জন্য ছিল যুতসই, তাকেই দলে নেওয়া হতো, তা সে যে বর্ষেরই হোক। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়। কারণ, প্রথম বর্ষের সিংহভাগ শিক্ষার্থীই ভালো করে উড়তে জানত না আর তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সম্ভাবনাও ছিল অনেক বেশি। কিন্তু হ্যারিকে প্রথমবারেই ব্রুমস্টিক দিয়ে উড়তে দেখে অভিভূত হয়েছিলেন প্রফেসর ম্যাকগোনাগল। গ্রিফিন্ডর দলে একজন ভালো সিকারের দরকার ছিল তখন। যেহেতু হ্যারির বাবা জেমস পটার এবং প্রফেসর ম্যাকগোনাগল উভয়েই দক্ষ কুইডিচ খেলোয়াড় ছিলেন, তিনি হ্যারির কদর বুঝতে পেরেছিলেন। হাউজ প্রধান হিসেবে তিনি বিধিনিষেধ শিথিলের ব্যাপারে আলাপ রাখেন হগওয়ার্টসের প্রধানশিক্ষক অ্যালবাস ডাম্বলডোরের সাথে। তাকে শতবর্ষের নস্টালজিয়ায় মায়ায় ফেলে হ্যারিকে সুযোগ করে দেন কুইডিচ দলে।
২) ভলডেমর্ট কেন গ্রিফিন্ডরের তলোয়ারকে হরক্রাক্স বানায়নি?
ভলডেমর্ট তার আত্মাকে অনেক টুকরো করে বিভিন্ন হরক্রাক্সে পরিণত করতে হগওয়ার্টসে চার প্রতিষ্ঠাতার বিখ্যাত সব জিনিস ব্যবহার করতে চেয়েছিল। যেমন- সালাজার স্লিদারিনের লকেট, রোয়েনা র্যাভেনক্লর মুকুট, হেলগা হাফলপাফের পেয়ালা, এবং গড্রিক গ্রিফিন্ডরের তলোয়ার। তবে বাকি তিনজনের জিনিসকে সে হরক্রাক্সে পরিণত করতে পারলেও গ্রিফিন্ডরের ক্ষেত্রে সফল হতে পারেনি।
প্রশ্ন আসে, সে এই তলোয়ারের খোঁজ পায়নি, নাকি এই তলোয়ারকে হরক্রাক্স বানানো সম্ভব নয়? নাকি গ্রিফিন্ডরের এমন কোনো জিনিস নেই যেটাকে ভলডেমর্ট হরক্রাক্সে রূপান্তর করতে পারত?
উত্তর হলো, এ নিয়ে দুটি সম্ভাবনার কথা বলা যায়। প্রথমটা হলো, বাকিদের জিনিসগুলোর মতো সে তলোয়ার খুঁজে পায়নি। এটা ডাম্বলডোরের কক্ষেও লুকানো ছিল না। অ্যালবাস নিজেই বলেছিলেন, গ্রিফিন্ডরের তলোয়ার সবসময়ই সুরক্ষিত। এই কারণেই তলোয়ারকে হরক্রাক্স বানানোর চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়েছিল ভলডেমর্ট। গ্রিফিন্ডরের তলোয়ারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল, এটা শুধু একজন যোগ্য এবং প্রকৃত গ্রিফিন্ডরের (হাউজ গ্রিফিন্ডরের ছাত্র) কাছেই প্রকট হতো। তাই, ভলডেমর্টের ধারণা, তলোয়ারকে হরক্রাক্স বানানো হলে এটা যেকোনো গ্রিফিন্ডরের হাতে চলে যেত। এছাড়াও সে যেহেতু একজন স্লিদারিন ছিল, তাই গ্রিফিন্ডরের তলোয়ার তার কাছে প্রকট হবার কোনো প্রশ্নই আসে না।
দ্বিতীয় সম্ভাবনা হলো, সে এই তলোয়ারের ব্যাপারে জানতই না। খোদ হ্যারি পটারও এই তলোয়ারের কথা জানতে পেরেছে সর্টিং হ্যাটের কাছে সাহায্য চাওয়ার পর। সেটা দিয়ে ব্যাসিলিস্ক বধের পর সে অ্যালবাস ডাম্বলডোর থেকে এই তলোয়ারের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিয়েছিল। তাই, হয় ভলডেমর্ট এই তলোয়ারের কথা জানতোই না, বা জানলেও সে এটা কখনো চুরি করতে পারেনি।
৩) ফ্রেড ও জর্জ ম্যারোডার্স ম্যাপ ব্যবহার করেছিল কীভাবে?
উইজলি যমজ ফ্রেড উইজলি এবং জর্জ উইজলির কাছে ছিল বিচিত্র সকল জাদুকরী জিনিসের সম্ভার। এর মধ্যে ম্যারোডার্স ম্যাপের কথা না বললেই নয়। জাদুর এই মানচিত্রের ব্যাপারে জানা গেছে, তারা এটা চুরি করেছিল হগওয়ার্টসের কেয়ারটেকার অ্যারগাস ফিলচের রুম থেকে। প্রথম দেখাতেই তারা বুঝতে পেরেছিল, এটা কোনো সাধারণ ম্যাপ নয়। এর ভেতরে কোনো না কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। এই ম্যাপ বানিয়েছিল হগওয়ার্টসের চার খ্যাতনামা শিক্ষার্থী; জেমস পটার, রেমাস লুপিন, সিরিয়াস ব্ল্যাক, এবং পিটার পেটিগ্রু। তারা পরিচিত ছিল ম্যারোডার্স নামে।
সপ্তম বর্ষে তারা যখন হগওয়ার্টসে পড়ালেখার পাঠ চুকানোর একদম শেষপ্রান্তে, তখন তাদের কাছ থেকে এই ম্যাপ জব্দ করেছিল ফিলচ। এই ম্যাপে যেহেতু হগওয়ার্টসের সকল গোপন ও পরিচিত রাস্তার উল্লেখ ছিল, এবং সকলের অবস্থান এই ম্যাপের মাধ্যমে জানা যেত, তাই ম্যারোডার্সরা ইচ্ছা করেই হয়তো এই ম্যাপ ফিলচের হাতে তুলে দিয়েছিল। কারণ, তাদের ইচ্ছা ছিল, তাদের মতো অনুসন্ধিৎসু ও রহস্যপ্রেমী কোনো শিক্ষার্থী এসে এই ম্যাপের গোপনীয়তা ভেঙে একে সঠিকভাবে ব্যবহার করুক।
ফিলচের থেকে ম্যাপ চুরি করার পর ফ্রেড ও জর্জের প্রধান কাজ সেটাকে যেকোনোভাবে সক্রিয় করে এর গোপনীয়তা ফাঁস করা। এই কাজে ম্যাপ নিজেই তাদেরকে সাহায্য করেছিল। কারণ, ফ্রেড ও জর্জ আচার-স্বভাবে অনেক দিক থেকেই ছিল জেমস-সিরিয়াসের মতো। তারা সকল প্রকার জাদু এতে প্রয়োগ করেছিল, যাতে ম্যাপ নিজে থেকেই বলে দেয় এটা কীভাবে খুলতে হবে। আর এর সবকিছু আবার গায়েবের পদ্ধতি এই প্রক্রিয়াতেই জেনে নিয়েছিল তারা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, হ্যারি ম্যাপ নিয়ে সেভেরাসের কাছে ধরা পড়ার পর, সেভেরাস ম্যাপে জাদু প্রয়োগ করলে সেখানে উদ্ভট সব লেখা ভেসে উঠেছিল কেন? উত্তরটা হচ্ছে, সেভেরাস ছিল ম্যারোডার্সদের ব্যাচেরই শিক্ষার্থী। এবং সেভেরাসের সাথে ছিল তাদের দা-কুমড়া সম্পর্ক। সেভেরাসকে তারা চারজন সবসময় হেনস্তা করে এসেছিল। ম্যাপ তৈরির সময় তারা এভাবেই এতে মন্ত্র প্রয়োগ করেছিল, যাতে সেভেরাসের হাতে কোনোভাবে পড়লে, ম্যাপ তাকে এসব লেখা দেখায়। এছাড়া বাকিদের কাছে এই ম্যাপ ছিল মামুলি এক কাগজের টুকরা।
৪) মাগল-বর্নরা মাগল দুনিয়ার মুদ্রা উইজার্ডিং ওয়ার্ল্ডের মুদ্রায় রূপান্তর করত কীভাবে?
মাগল-বর্ন বলতে এমন জাদুকরদের বোঝায়, যাদের পিতামাতা জাদু-ক্ষমতাহীন সাধারণ মানুষ, অথচ তারা নিজেরা জন্মেছে জাদু ক্ষমতা নিয়ে। আমাদের অতি পরিচিত হারমায়োনি গ্রেঞ্জার বা লিলি পটারও ছিল মাগল-বর্ন। তো প্রশ্ন হলো, মাগল-বর্নেরা হগওয়ার্টসে ভর্তির সময় মাগল দুনিয়ায় প্রচলিত অর্থকে কীভাবে উইজার্ডিং ওয়ার্ল্ডের মুদ্রায় রূপান্তর করত?
মাগল দুনিয়ার পয়সা বিনিময় করা হতো গ্রিনগটস উইজার্ডিং ব্যাঙ্কে। ব্রিটেনের জাদুকর সমাজের সকল ব্যাঙ্কভিত্তিক লেনদেন হতো এই ব্যাঙ্কেই। হ্যারি পটার ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় বইয়ে উল্লেখ আছে, হারমায়োনির মা-বাবা তাদের কাছে থাকা মাগল দুনিয়ার পাউন্ডকে উইজার্ডিং ওয়ার্ল্ডের মুদ্রায় বিনিময় করেছিল। উইজার্ড ওয়ার্ল্ডে তিন ধরনের মুদ্রা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। এগুলো হলো সোনালী রঙের ‘গ্যালিয়ন’, রূপালী রঙের ‘সিকল’, এবং তামাটে বর্ণের ‘নাট’।
সংখ্যার হিসেবে,
- ১ গ্যালিয়ন = ১৭ সিকল।
- ১ সিকল = ২৯ নাট।
- ১ গ্যালিয়ন = ৪৯৩ নাটস।
- ১ গ্যালিয়ন = ৪.৯৩ পাউন্ড।
- ১ সিকল = ০.২৯ পাউন্ড।
- ১ নাট = ০.০১ পাউন্ড।
বাংলাদেশি টাকায় বর্তমানে ১ পাউন্ড সমান ১৩২ টাকা। তাই, উইজার্ডিং ওয়ার্ল্ডের ১ নাটের মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ১.৩২ টাকা, ১ সিকলের বিনিময়ে ৩৮.৩৯ টাকা এবং ১ গ্যালিয়নের বদলে পাওয়া যাবে ৬৫২.৫৫ টাকা।
৫) সময়মতো ট্রেন ধরতে না পারায় হ্যারি-রন মাগল দুনিয়া থেকে জাদু জগতে প্রবেশ করেছিল কীভাবে?
দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালীন হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস মিস করেছিল হ্যারি পটার ও রন উইজলি। পরে তারা রনের বাবার উড়ন্ত গাড়ির সাহায্য হগওয়ার্টসে পৌঁছেছিল। প্রশ্ন হলো, মাগল দুনিয়া থেকে জাদু জগতে প্রবেশের জন্য তারা পোর্টাল পরিবর্তন করেছিল কীভাবে? উত্তরটা হলো, তারা কোনো পোর্টালই পরিবর্তন করেনি। কিংসক্রস স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম পৌনে দশ এমন এক প্লাটফর্ম, যেটা বহু শতাব্দী পূর্বেই মন্ত্র দিয়ে আচ্ছাদিত করা হয়েছিল, যাতে তা মাগলদের চোখে না পড়ে।
এই প্লাটফর্ম থেকেই হগওয়ার্টস এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয় বছরে মাত্র একবার, পহেলা সেপ্টেম্বরে। এই হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস কিন্তু মাগল দুনিয়ার সাধারণ মাঠ-ঘাট, সেতু, ফিল্ড, পাহাড় পাড়ি দিয়েই ঝিকঝিক করে এগিয়ে চলে। এটার গন্তব্যস্থল কিন্তু হগওয়ার্টস নয়, ট্রেনটা গিয়ে থামে হগসমিডে। হগসমিডে পৌঁছানোর পর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হ্যাগ্রিডের সাথে নৌকা দিয়ে গ্রেট লেক পাড়ি দিয়ে, আর বাকিরা গাড়ি করে হগওয়ার্টসে পৌঁছায়। আবার হগওয়ার্টসের অবস্থান কোনো ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ডে নয়, এটি অবস্থিত সাধারণ দুনিয়ার স্কটল্যান্ডের এক দ্বীপে, যার বেশিরভাগ অংশই গহীন অরণ্যে ঢাকা।
অসংখ্য গোপন চার্ম ও স্পেল দিয়ে হগওয়ার্টস নিরাপত্তার চাদরে আচ্ছাদিত, যাতে মাগলরা এর অস্তিত্ব টের না পায়। তো এখানে মাগল দুনিয়া থেকে উইজার্ডিং ওয়ার্ল্ডে যাওয়ার জন্য তাদেরকে কোনো পোর্টাল পরিবর্তন করা লাগেনি। হ্যারি আর রন গাড়ি উড়িয়েই হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস খুঁজে নিয়ে হগওয়ার্টসে পৌঁছাতে পেরেছিল।
[চলবে…]