যুগ যুগ ধরে সাহিত্যবোদ্ধারা ঐতিহাসিক উপন্যাসের তকমা সে সকল সাহিত্যকেই দিয়েছেন, যেখানে রক্ষিত হয়েছে ইতিহাসের মূল নির্যাস, কিন্তু এরই সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে কল্পনার আল্পনামাখা রঙ-বেরঙের সুগন্ধি। ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে খেতাব পেতে গেলে শুধুমাত্র সাহিত্যবোদ্ধাদের সনির্বন্ধ সমালোচনা পেলেই হয় না, সাথে প্রয়োজন ইতিহাসবিদদের পরীক্ষিত প্রত্যয়নপত্র। বিভিন্ন কাল্পনিক চরিত্রের সরব অংশগ্রহণ যেমন মূল ঘটনাপ্রবাহকে পাঠক মনে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে, একইভাবে ঐতিহাসিক চরিত্রের কার্যকলাপ হতে হয় সম্পূর্ণ ইতিহাস প্রমাণিত। সহজ ভাষায়, কল্পনার রঙ যতই চড়ানো হোক না কেন, ইতিহাসকে বিকৃতি করা যাবে না কোনোভাবেই।
আর এ জায়গাতেই আনোয়ার পাশা অনন্য। কেননা, ‘রাইফেল, রোটি, আওরাত’ তিনি রচনা করেছেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ধ্বংসযজ্ঞের মাঝে বসে। ২৫ মার্চ কালরাত্রির ধকল সরজমিনে সয়ে, সে ধকলে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছেন। পরে সেই সময়ের ঘটনাপ্রবাহকেই দিয়েছেন সাহিত্যরূপ। এবং তাতে তার শিল্পসত্ত্বা একটুখানিও কেন্দ্রচ্যুত হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে রচিত প্রথম উপন্যাস ‘রাইফেল রোটি আওরাত’, যা রচনা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ চলার সময়েই! মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রচিত উপন্যাসের সংখ্যা গণনা করতে গেলে কেবল এই একটি উপন্যাসই পাওয়া যায়। এর কারণও অবশ্য খুব বেশি জটিল নয়। কী কারণ?
কবি সুকান্ত বলেছিলেন, “ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি”। অর্থাৎ, খিদের ভয় যেখানে বর্তমান, সেখানে পদ্যের শাসন চলে না। পুরো পৃথিবীটাই তখন দেখতে লাগে গদ্যের মতো ‘কদর্য’। সেই জায়গায়, জীবনই যেখানে ব্যর্থ, এমন একটা সময়ে বসে, যখন চারপাশে লাশের স্তূপ, আকাশে শকুনের রাজত্ব, তখন সবাই নিজ জীবন বাঁচানো নিয়েই ব্যতিব্যস্ত। এবং তা কোনোক্রমেই দোষের নয়। ঠিক এই জায়গাতেই লেখক আনোয়ার পাশা অনন্য। কারণ, তাঁর কাছে জীবনের চেয়েও শিল্প সৃষ্টিই পেয়েছে প্রাধান্য।
লেখক আনোয়ার পাশা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা প্রথম উপন্যাসের রচয়িতাই দেখে যেতে পারেননি বাংলার বিজয়। ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ এ তাঁকে চোখে কালো কাপড় বেঁধে ধরে নিয়ে যায় আল বদর বাহিনী। অসংখ্য বুদ্ধিজীবীর সাথে তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের নিকট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু শিল্পীকে হত্যা করা গেলেও তার শিল্পকে হত্যা করা যায় না। শিল্পী বেঁচে থাকেন তাঁর শিল্পে। যুদ্ধপরবর্তী বাংলাদেশ সরকার শিল্পীকে তাই ভুলে যায়নি। ‘রাইফেল, রোটি, আওরাত’ উপন্যাসের জন্যই স্বাধীনতার পর পরই তাঁকে ভূষিত করা হয়েছিল স্বাধীনতা পুরষ্কার (মরণোত্তর)।
উপন্যাসের মূল চরিত্রের নাম সুদীপ্ত শাহীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক। বউ আমিনাসহ তিন সন্তান নিয়ে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স কোয়ার্টারের ২৩ নং বিল্ডিংয়ে। ২৫ মার্চ হানাদার বাহিনীর আক্রমণে ২৩ নাম্বার বিল্ডিংয়ের সকলেই মারা গেলেও বেঁচে যান তিনি এবং তার পরিবার। চারপাশে লাশের ফেরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত অধ্যাপকেরা নিহত হয়েছেন সপরিবারে। রাতের আঁধারে ইয়াহিয়া খানের লেলিয়ে দেয়া পশুরা মেরে ফেলেছে তারই সহকর্মীদের। গণহত্যা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের। রেহাই পায়নি শহরের সাধারণ জনগণ। শিক্ষক হিসেবে নিজের সন্তানতুল্য ছাত্রদের রক্ষা করতে না পারার আক্ষেপ, সহকর্মীদের মাঝে ব্যতিক্রমী হয়ে নিজে জীবিত থাকার যে অপরাধবোধ— এসবই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল সুদীপ্তকে। মরে গিয়ে তাঁরা বেঁচে গিয়েছেন। লেখক যেন সুদীপ্ত শাহিনের মাঝেই সে সময়ের হতাশা এবং আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
উপন্যাসের মূল সময়কাল খুব অল্প। ২৫ মার্চ, ১৯৭১ থেকে এপ্রিলের একেবারে প্রথমদিক পর্যন্ত। এই ক্ষণকালে চিত্রিত হয়েছে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতার প্রতিরূপ ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্ট গণহত্যার চাক্ষুষ বিবরণ। বর্ণিত হয়েছে সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর পর্যন্ত চলে আসা শোষণ এবং সেই শোষণের প্রতিবাদে বাঙালীর উপরে নেমে আসা পাকিস্তানী অপশাসন। বর্ণিত হয়েছে উনসত্তরে অধ্যাপক শামসুজ্জোহার আত্মোৎসর্গ, অতঃপর বাংলার উত্তালবস্থা। বর্ণিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হৃদয় জাগানিয়া ৭ই মার্চের ভাষণ। ইয়াহিয়ার বিশ্বাসঘাতকতা, আলোচনার নামে কালক্ষেপণ। অতঃপর কালরাত্রি। হাজার হাজার মানুষের লাশ। পরিশেষে বাঙ্গালীর প্রতিশোধ নেয়ার মানসিকতা, অর্থাৎ যুদ্ধ শুরু করবার প্রস্তুতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার সুবাদে অসংখ্য অধ্যাপকের মৃত্যু লেখক নিজে প্রত্যক্ষ করেছেন । অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুর, অধ্যাপক ড. ফজলুর রহমান, তাঁদের বেশিরভাগই নিহত হয়েছেন সপরিবারে। সেসব বর্ণনাও দেয়া আছে উপন্যাসে। সেসব বর্ণনা শুনলে যেকোনো সুস্থ মনের ব্যক্তির গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে। কেঁদে উঠবে যেকোনো মন।
শুধু কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক? কোলের বাচ্চা, বৃদ্ধ, নারী,শিশু কেউই রেহাই পায়নি হানাদারদের কবল থেকে। রক্ষা পায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলও। কামানের গোলা, কিংবা মর্টারের গুলি দিয়ে লণ্ডভণ্ড করে দেয়া হয়েছে প্রতিটি হল। রাইফেলে ঝাঁঝরা করে দেয়া হয়েছে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্রদের বুক। ছাত্রীদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করবার জন্য। যারাই বাধা দিয়েছে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত মধুদাকেও মেরে ফেলেছে তারা।
সুদীপ্তের বন্ধু ফিরোজ। ছাত্রাবস্থায় পড়াশোনা এবং কাব্যচর্চা করে সময় পার করলেও পরে যোগ দিয়েছেন রাজনীতিতে। বুঝেছেন বাঙালীর মুক্তির জন্য শুধু পড়াশোনা করে লাভ নেই। করতে হবে প্রতিবাদ। সরব রাজনীতিতে অংশ নিয়ে যেতে হবে ক্ষমতায়। তবেই না দীর্ঘ তেইশ বছরের যে বৈষম্য, বাঙালীর যে দৈন্য তা ঘুচবে। কিন্তু ইয়াহিয়া আর তা হতে দিলো কই? সাধারণ নির্বাচন দেবে না তো দেবেই না। আর যখন দিলো, তখন বাংলার জনগণ ভোট দিয়ে দিলো আওয়ামী লীগকে। বাঙালীকে কি ক্ষমতা দেয়া যায় নাকি? তারা হলো প্রজার জাতি, শোষিত হবার জন্যই তাদের জন্ম। ক্ষমতায় যেতে দিলে সেটা আর কীভাবে হবে? তাই তো ইয়াহিয়া বন্ধ করে দিলো সাধারণ অধিবেশন। এবং এরপর আলোচনার নাম করে আসলো দেশে। হুট করে মাঝরাতে পালিয়ে চলে গেলো পাকিস্তানে, আর লেলিয়ে দিয়ে গেলো তার পোষা সেনাবাহিনীকে।
এই সেনাবাহিনী বোঝে শুধু তিনটি জিনিস। রাইফেল, রোটি আর আওরাত! সারাদিন রাইফেল নিয়ে মানুষ মারো। মানুষ? সে হতে পারে শিশু, যুবক, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। কেবল যুবতী অর্থাৎ আওরাত পেলেই তাকে ধরে নিয়ে যায়। ক্ষুধা লাগলেই রোটি পেটে চালান করে। আর রাতভর আওরাত নিয়ে ফুর্তি! রাইফেল, রোটি আওরাত উপন্যাসের এই নামকরণ মূলত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর এই স্থূল মানসিকতাকে নির্দেশ করতেই করা হয়েছে।
উপন্যাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাল্পনিক চরিত্র শিল্পী আমান। পঁচিশ মার্চ রাতে যিনি হারিয়েছেন তার সন্তানকে। আর স্ত্রীকে তারা ধরে নিয়ে গেছে তাদের নির্মিত যৌনপল্লীতে। অসমাপ্ত ছবি আঁকতেই চলে গিয়েছিলেন নিজ বাসায়। এরই মধ্যে শুরু হলো মাতাল হাওয়া। পাকিস্তানের হানাদারদের তাণ্ডবলীলা। পরদিন এসে দেখেন তার দু’সন্তানের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে মেঝেতে। এই দুঃখ সইতে না পেরে উন্মাদ হয়ে যান তিনি। সুদীপ্তের সাথে তার দেখা হয় নীলক্ষেত মোড়ে। মিলিটারি দেখে চিৎকার করে বলছিলেন, হাম গোলি করেগা। গোলি খায়েগা।
অর্থাৎ, আমার ছেলে-মেয়েকে গুলি করেছ, আমিও তোমাদের গুলি করব, আমার ছেলে মেয়েরা গুলি খেয়েছে, আমিও গুলি খাব। আমাকেও তোমরা গুলি করো। মিলিটারি আর বসেই থাকবে বা কেন? ছুড়লো গুলি। তাতে সুদীপ্তের প্রাণও যেত। কিন্তু ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেন শিল্পী আমন নিজেই। কেন? হয়তো তার নিজ পুত্র-কন্যাকে বাঁচাতে না পারার আক্ষেপের কিছুটা হলেও মিটিয়ে নিলেন মনে মনে। বিনিময়ে গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়লেন রক্তাক্ত দেহ নিয়ে।
শিল্পী আমনের মতো চরিত্রের দেখা আমরা পাই মুনীর চৌধুরী রচিত কবর নাটকের মুর্দা ফকিরের মাঝে। এছাড়া আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত ‘চিলে কোঠার সেপাই’-এর আনোয়ার, হুমায়ুন আহমেদের ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ এর গৌরাঙ্গ এরা সবাই যেন শিল্পী আমনের প্রতিভূ। ভিন্ন কাহিনীপটে তাদের পরিণতি এক। খুব আপন কাউকে হারিয়ে শোকে বদ্ধ উন্মাদ হয়ে গেছেন তারা। কিন্তু সেই উন্মাদনার মাঝেও যেন প্রতিবাদের ভাষা স্পষ্ট, অনেকখানি প্রগাঢ় এবং প্রকট। সুস্থাবস্থায় তাদের মধ্যে যে ভীত অস্পষ্ট আড়ষ্টতা বাস করতো, শোকের মাতমে তা একেবারে ভেঙেচুরে গিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সত্ত্বা।
রাইফেল, রোটি, আওরাত-এ আরো এক শ্রেণীর কুম্ভকর্ণের দিকে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে। আপামর বাঙলার চিরাচরিত ‘মীরজাফর’ শ্রেণী। যারা বর্ণে বাঙালী, কিন্তু বর্ণচোরা। গিরগিটির মতো রঙ পাল্টানো যাদের স্বভাব। ভুট্টো সাহেব ক্ষমতায় আছেন? তাহলে পাকিস্তান জিন্দাবাদ! বাংলা ভাষা হলো মালাউনদের ভাষা, প্রচণ্ড হিন্দুয়ানী। আবার ভুট্টো সাহেব রসাতলে গেলো, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হলো বিজয়। তখনই আর রবীন্দ্রনাথটা না পড়লে আর হচ্ছে না।
এমনই চরিত্র ড. খালেক। ফিরোজ রাজনীতি করে, তাই সে বোঝে এরাই বাংলার সবচেয়ে বড় শত্রু। এরাই বাংলাদেশকে অধঃপাতে নিয়ে যাচ্ছে। একইরকম আরেকজন চরিত্র হচ্ছে ফিরোজের দুঃসম্পর্কের চাচা গাজী সাহেব। ভুট্টোর আমলে করেছেন জামায়াতে ইসলাম। পরে তার পতন হলে ঘেষতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের দিকে। ২৫ মার্চের পরে আবার পুরোনো গোঁফেই তাঁ দেয়া। ভাগ্যক্রমে ফিরোজ তার নিজ পরিবার, সুদীপ্ত শাহিনের পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিতে যায় গাজী সাহেবের বাসায়। সেখানেই ছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাক আর্মির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা কিছু পুলিশ। তিনি তাদের ভুলিয়ে ভালিয়ে রেখে দিয়েছিলেন এতদিন। ফিরোজদের সামনেই ক’জন পাক আর্মি ডেকে এনে আলবাত ধরিয়ে দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন!
পরে জানা গেল, তার কাছে নির্দেশ এসেছে ফিরোজকেও হাত করার। সে আওয়ামী লীগের বড় নেতা। সে যদি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের এহেন কৃতকর্মের সাফাই গেয়ে কিছু বলে, তাহলে দেশবাসী কিছুটা আশ্বস্ত হবে। এবং বহির্বিশ্বের নাক গলানো একটু কমবে। ফিরোজের আদর্শ তো আর এত সস্তা নয় যে চাইলেই কিনে নেয়া যায়। তীব্র ঘৃণা আর প্রতিশোধ নেয়ার তীব্র আগুন বুকে নিয়ে ফিরোজ সকলকে নিয়ে ফিরে চললেন। সে আগুনের উত্তাপ কিছুটা লেগেছে সুদীপ্তের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বুকেও!
সাহিত্যের বিচারে ‘রাইফেল, রোটি, আওরাত’ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক অনন্য মাপকাঠি স্থাপন করেছে, যাকে ছুঁতে পেরেছে খুব কম সাহিত্য। ভবিষ্যতের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে আনোয়ার পাশার সাহসের জুড়ি মেলা ভার। মার্চ-এপ্রিল মাসের পাকিস্তানী মিলিটারির তীব্র প্রতাপের মুখে থেকেও তিনি স্বপ্ন দেখেছেন, বাংলার দামাল ছেলেরা যুদ্ধ করবে। যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবে। সাহিত্য? সে পরে অনেক করা যাবে। এখন করতে হবে যুদ্ধ। যারা যুদ্ধের ভাষা ছাড়া আর কিছুই বোঝে না, তাদের সাথে জিততে হলে যুদ্ধই করতে হবে। বাঙালী আজ মরতে শিখেছে। তাদের এখন কেউই দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
আরো দেখুন- রাইফেল, রোটি, আওরাত