সিনেমার পর্দায় কবিতা লেখা, সিনেমার এক গল্পের মধ্যে হাজারো গল্পের সৃষ্টি করা, সিনেমাকে ঠিক সিনেমার কাঠামো থেকে বের করে এনে দর্শকের সামনে হাজির করেছিলেন বিশ্বনন্দিত নির্মাতা কিম কি-দুক। বাস্তবের অনেক অজানা নৃশংশতা কিংবা আবেগ, প্রেম তিনি রূপালি পর্দায় হাজির করেছেন। যা দেখে দর্শক কখনো শিউরে উঠেছেন আবার কখনো হয়েছেন অশ্রুশিক্ত। কখনো বিতর্কিত, কখনো পুরষ্কৃত আবার কখনোবা নিজের দেশের সিনেমাপ্রেমীদের কাছেই অপমানিত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ান এই চলচ্চিত্র নির্মাতা।
আদতে জাতীয়তা কোরিয়ান হলেও, কিম কি-দুক নিজেকে দক্ষিণ কোরিয়ান নির্মাতা হিসেবে কখনো পরিচয় দিতে চাইতেন না। তিনি সিনেমা বানাতেন পুরো বিশ্বের জন্য। তিনি সিনেমাজগতের একটি ক্ষুদ্রে অংশ, যার কোনো জাতীয়তা নেই, নেই কোনো নিজস্ব সিনেমা বানানোর কাঠামো।
কিম কি-দুকের জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তর গেয়োংসাং প্রদেশে ১৯৬০ সালের ২০ ডিসেম্বর। ছোট্ট পার্বত্য শহর বোক্সেঘায়াতে বেড়ে ওঠা। মাত্র ৯ বছর বয়সেই সেখান থেকে চলে আসেন সেওলে। হাইস্কুলের গণ্ডি পার না হতেই দারিদ্রতার ছোবল এসে পরে কিম কি-দুকের জীবনে। অন্নের যোগান দিতে ১৫ বছর বয়সেই কারখানায় কাজ শুরু করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রনীতির অংশ হিসেবে সামরিক বাহিনীতে যোগদান ছিল বাধ্যতামূলক। ২০ বছর বয়সেই সামরিক বাহিনীতে থেকে নৃশংশতা বর্বরতাকে খুব কাছে থেকে দেখেছিলেন তিনি। এজন্যই হয়তো তার প্রত্যেকটি সিনেমাতে এসবের আভা দেখতে পাওয়া যায়।
কিম কি দুকের সিনেমায় ভায়োলেন্স ছিল, কিন্তু ছিলনা একশন। ভালবাসা ছিল কিন্তু তার জন্য অনেক সময়েই প্রয়োজন হয়নি অন্তরঙ্গ মূহুর্তের। কখনো চাহুনি, কখনো সংলাপ, সুর, শৈলী ইত্যাদি দিয়েই পুরো একটি জীবনের গল্প তুলে ধরতেন তিনি। সামরিক বাহিনীতে থাকাকালীন, কোরিয়ার সীমান্তবর্তী একটি গির্জার সুরক্ষায় কর্মরত ছিলেন তিনি। গির্জায় অন্ধ সন্ন্যাসীদের তত্ত্বাবধানের পাশাপাশি, ধর্মে অবিশ্বাসী কিমের জীবনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। শুরু করেন ধর্মপ্রচার নিয়ে লেখাপড়া কিন্তু তাও দেখেনি সমাপ্তির মুখ। ১৯৯০ সালে ৩০ বছর বয়সে তিনি পড়তে যান প্যারিসে। ফাইন আর্টস নিয়ে স্নাতক শেষ করে প্রবেশ করেন সিনেমার জগতে।
কিমকে অনেক সাক্ষাৎকারে, প্রশ্ন করা হয়েছিল তার নির্মাতা হয়ে উঠার গল্প নিয়ে। তিনি অনেকটা হাস্যচ্ছলেই বলেছিলেন, একদিন সকালে উঠে তার মনে হয়েছিল, তিনি পরিচালক হবেন। ব্যস, এটুকুই। ৩০ বছর বয়সের আগে পর্যন্ত কোনো সিনেমাই দেখেননি তিনি। তার প্রথম দেখা সিনেমা ছিল সাইল্যান্স অফ দ্যা ল্যাম্ব। এন্থনি হপকিন্সের এই সিনেমা আর আরেকটি ফ্রেঞ্চ সিনেমা দ্যা লাভার্স অন দ্যা ব্রিজ তার মাথায় সিনেমার পোকা ঢোকায়।
তিনি আরো বলেন, তিনি কখনো সিনেমা নিয়ে গভীর কোনো পড়াশুনা করেননি। সিনেমা বানানো শিখেছেন জীবন থেকে। আজকালকার নির্মাতারা যেমন নিজেদের একটি সিনেম্যাটিক কাঠামোতে আবদ্ধ করে রাখে, তার কারণ হতে পারে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, যা কিমের ছিল না। তিনি তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন একজন চিত্রনাট্যকার হিসেবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমাজগতে তেমন একটা সুবিধা হচ্ছিল না। অনেক বছর সংগ্রাম করেই নিজের অবস্থার উন্নতি করতে পেরেছিলেন। ১৯৯৫ সালে কোরিয়ান ফিল্ম কাউন্সিলের ‘সিনারিও কন্টেস্ট’-এ প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্রোকোডাইল দিয়ে চিত্রনাট্যকার হওয়ার পাশাপাশি নির্মাতার স্থানে ঘাঁটি গাড়েন কিম। আর শুরু হয় নতুন যাত্রা। পালটে যায় জীবনের পটভূমি।
১৯৯৭ সালে ওয়াইল্ড এনিম্যাল আর ১৯৯৮ সালে বার্ডকেইজ ইন এর পরে ২০০০ সালে তার সবচেয়ে বিতর্কিত সিনেমা দ্যা আইল (সেইউম) মুক্তি পায়। জানা যায়, সিনেমা হলে এই সিনেমা দেখার মাঝপথেই অনেক সমালোচক উঠে চলে যেতে বাধ্য হন। কেউ কেউ আবার নাকি সিনেমা দেখে বমি করে দিয়েছিলেন, এতটাই অসহনীয় আর দৃষ্টিকটু কিছু চিত্রায়ন ছিল এই সিনেমায়। দ্যা আইল এর নায়িকার শুধুমাত্র একটি সংলাপ ছিল। ঠিক সংলাপও বলা চলে না। শুধু একটিমাত্র শব্দই তার মুখ থেকে শোনা যায়। সেটি হচ্ছে একবারের জন্য একটি হৃদয়বিদারক চিৎকার।
অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কেন এমন সব দৃশ্যের সম্মুখিন হতে হবে যা দর্শক দেখতে অস্বস্তি বোধ করে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে, কিম কি-দুক নির্মিত সিনেমাগুলো হয়তো একটু নিয়মিত সিনেমার দর্শকের মনস্তাত্বিক গণ্ডি থেকে বের হয়ে দেখতে হবে। পর্দায় যা দেখতে চাই না, তা কি বাস্তবে আসলেই ঘটে না? কিমের সিনেমার মূল উদ্দ্যেশ্য ছিল এটাই। বাস্তবের রূঢ় সত্য দেখাতে গিয়ে কখনো পুরুষের কখনো নারীর কটু কথার স্বীকার হয়েছেন।
দ্যা আইল এর বাদপ্রতিবাদের পরে ২০০১ সালে আসে ব্যাড গাই সিনেমা। সিনেমা এক গ্যাংস্টারকে নিয়ে যার হঠাৎ এক মেয়েকে পছন্দ হয়ে যায়। আর তাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন অদ্ভুত পন্থা অবলম্বন করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণও করে। তথাকথিত চলমান সিনেমাগুলোতে নায়ক গ্যাংস্টার হলেওবা নায়িকার প্রতি তার ব্যবহার থাকে ভদ্র সভ্য ও ভালবাসায় ভরা। কিন্তু কিমের সিনেমার গ্যাংস্টারের ক্ষেত্রে তা উলটো। এই সিনেমা নিয়ে কিম বলেছিলেন,
“আমি আসলে প্রশ্ন করতে চাইছিলাম এই সিনেমার মাধ্যমে। আমাদের সবার জন্ম একইভাবে। জন্ম হয় সম অধিকার আর সমান গুণাবলি নিয়ে। তবে কেন বয়সের সাথে আমাদের মধ্যকার বিভেদও বাড়তে থাকে?”
দ্যা আইল এবং ব্যাড গাই সিনেমা দুটি নিয়ে ব্রিটিশ বোর্ড অফ ফিল্ম ক্লাসিফিকেশন আপত্তি জানায়। এক সাংবাদিক সম্মেলনে কিম জানিয়েছিলেন দ্যা আইল সিনেমায় নৃশংসভাবে হত্যা করা মাছগুলোকে সিনেমার সেটে খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। তার এই সিনেমার বিরুদ্ধে এনিম্যাল ক্রুয়েলটির অভিযোগ আনা হয়। এক মার্কিন সাংবাদিকের সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
“আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিদিনই খাদ্যের জন্য হত্যা করা হচ্ছে বহু প্রাণীকে। শুধু আমার দেশেই নয়, মার্কিনেও চল রয়েছে গো-মাংস, মুরগী কিংবা পর্কের। তবে শুধুমাত্র সিনেমার এই দৃশ্যের প্রতি কেন এত বিরোধ? এটাই স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়ম। বাস্তব আর সিনেমা, এই দুটির মধ্যে কোনো পার্থক্যই আমি লক্ষ্য করি না। সুতরাং এ ধরনের দৃশ্য ভবিষ্যতেও থাকবে আমার সিনেমায়।”
২০০৩ সালে কিম কি-দুক পর্দায় নিয়ে আসেন এক বোদ্ধ ভিক্ষুর গল্প। সিনেমার নাম স্প্রিং সামার ফল উইন্টার এন্ড… স্প্রিং। মানুষের জীবনে যেমন আসে শৈশব, কৈশোর, যৌবন এবং বার্ধক্য ঠিক তেমনি প্রকৃতিতেও আসে বসন্ত, গ্রীষ্ম শরৎ এবং শীত। প্রকৃতির ঋতু পরিবর্তনের সাথে মানুষের শারিরীক এবং মানসিক পরিবর্তনকে এক সুতোয় গেঁথেছেন তিনি।
এই সিনেমার বদৌলতে বহু পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। কুড়িয়েছেন বিশ্বজুড়ে বাহবা। প্রথমবারের মতো বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে যায় কিম কি-দুকের নাম। পরের বছর ২০০৪ সালে আসে সামারিটান গার্ল এবং ৩-আয়রন । এই দুই সিনেমার জন্য এসেছিল জোড়া পুরস্কার। বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের সিলভার বিয়ার এবং ভেনিসে সিলভার লায়ন পেয়েছিলেন তিনি।
২০০৮ সালে ফ্যান্টাসি-ড্রামা জনরার সিনেমা ড্রিম এর শ্যুটিং হচ্ছে। নির্মাতার আদেশ, সিনেমায় বাস্তবের ছোঁয়া থাকতে হবে, সেটা যেভাবেই হোক। নায়িকা লি না ইয়ং এর শ্যুটিংয়ের একপর্যায়ে ভুলবশত গলায় ফাঁস পরে যায়। মুমূর্ষ অবস্থায় নায়িকাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় ভেঙে পড়েন নির্মাতা কিম কি-দুক। নিজের কক্ষে বসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আত্মগ্লানিতে ডুবে যেতে থাকেন তিনি। তবে কি জীবনের চেয়েও সিনেমাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলছিলেন? সিদ্ধান্ত নিলেন, স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যাবেন। নিজের অর্ধেক করে রাখা চিত্রনাট্যের কাজ সহকারী নির্মাতার হাতে দিয়ে চলে গেলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। সাথে তাবু আর ক্যামেরাসহ যৎসামান্য দ্রব্য নিয়ে দিন পার করতে লাগলেন। নিজে উদ্ভাবন করলেন কফি বানানোর মেশিন। শীতে বরফ সংগ্রহ করে তা সসপ্যানে রাখতেন। বরফ গলে পানিতে পরিণত হলে তাতে ভাত আর স্যুপ রান্না করা হতো।
অনেকটা নিজের বানানো সিনেমার গল্পের মতোই দিন কাটাচ্ছিলেন কিম। সাথে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন নিজের ভেতরকার দুঃখ, ক্ষোভ, আত্মহত্যার প্রবল ইচ্ছাসহ আরো বিভিন্ন দিনলিপি। তিন বছরের নির্বাসন শেষে, সিনেমা জগত আবার ফিরে পায় কিম কি-দুককে। এবার তিনি নিয়ে আসেন আরিরাং । ২০১১ সালে তার নিজের নির্বাসনকালে ধারণ করা স্থিরচিত্র ও চলচ্চিত্রের সমন্বয়ে তৈরি সিনেমা আরিরাং। আরিরাং একটি দুঃখের সুরের মতো। এখানে তাকে কখনো ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায়, কখনো দেখা যায় ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে কথা বলছেন আবার কখনো কফি বানানোর সময় উপকরণগুলোর মিশে যাওয়ার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।
এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি কান উৎসবে সেরা পরিচালকের সম্মাননা পেয়েছিলেন। তাছাড়াও ৬৯তম ভেনিস ফিল্ম উৎসবে গোল্ডেন লায়ন পুরস্কার তার হাতে উঠেছিল ২০১২ সালে পিয়েতা সিনেমার জন্য। সর্বমোট তার জীবদ্দশায় ৩৩টি সিনেমা উপহার দিয়ে গেছেন কিম কি-দুক। প্রত্যেকটি সিনেমাতেই তার সতন্ত্রতার ছায়া ছিল। চলমান স্রোতে গা ভাসিয়ে না দিয়ে ধরে রেখেছেন নিজস্ব ঘরানাকে।
সিনেমার সাথে সাথে বাস্তবিক জীবনেও কিমকে নিয়ে বিতর্কের সীমা ছিল না। অসাধারণ নির্মাতা হলেও তার সিনেমার জন্য কুশীলবের খোঁজ করা ছিল বিশাল কাজ। কেননা তার সিনেমার গল্প এবং অভিনয় তো আলাদা ছিলই, সে সাথে তাদের সাথে ব্যবহারেও ছিল না কোনো মিষ্টতা। ২০১৩ সালে মোবিয়াস সিনেমার সেটে একটি দৃশ্য বোঝাতে গিয়ে নায়িকাকে চড় মেরে বসেন কিম। যদিও এটিকে তিনি অভিনয়শিক্ষার অংশ হিসেবেই পরবর্তীতে বলেছেন। সহকর্মীদের সাথে এমন দুর্বব্যহারের মাত্রা বাড়তেই থাকে।
২০১৭ সালে এক অভিনেত্রী কিমের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। এর পরের বছরেই আসে ধর্ষণের অভিযোগ। আদালতে দোষী সাব্যস্ত না হলেও ইন্ডাস্ট্রির মানুষের চোখে কিমের চরিত্রে একটি দাগ পড়ে যায়। এই স্ক্যান্ডালের পরে তিনি ডিসল্ভ সিনেমা নির্মাণা করেন যার শ্যুটিং হয় কাজাখস্তানে। অভিযোগের পাহাড় জমতে থাকা এই নির্মাতার শরীরে বাসা বাঁধে করোনা ভাইরাস। লাটভিয়া হাসপাতালে, ২০২০ সালের ১১ই ডিসেম্বর, মাত্র ৫৯ বছর বয়সেই সিনেমা জগতের এই নক্ষত্রের পতন ঘটে।
মৃত্যুর আগের কয়েক বছরে তেমন নিয়মিত সিনেমা নির্মাণ করেননি তিনি। হয়তো অভিযোগের গ্লানিতেই নিজেকে হারিয়ে ফেলছিলেন। সময় পেয়েছিলেন মাত্র আড়াই দশক। আর এইটুকু সময়েই নিজের নামের আলাদা একটি জনরা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিম কি-দুকের সিনেমা মানেই অন্যরকম কিছু।
সেলুলয়েড ফ্রেমে আপোসহীনভাবে কাজ করে গেছেন শত বাঁধা অতিক্রম করে। সিনেমার সাথে কোনোরকম অবহেলা ছিল না কখনোই। বিতর্কিত সিনেমা ও বিতর্কিত জীবন দিয়ে কিম কি-দুক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে ছিলেন অনন্য। দক্ষিণ কোরিয়াকে বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে পরিচয় করিয়েছিলেন কিম। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনার জীবনের স্বপ্ন কী? উত্তরে তিনি বলেছিলেন,
“আমি এমন একটি সিনেমা বানাতে চাই, যা কেউ কখনো তৈরি করেনি। এমন কিছু যা অতীতেও নির্মাণ হয়নি আর ভবিষ্যতেও কেউ নির্মান করতে পারবে না।”
তার এই স্বপ্ন নিজের চোখে কতটুকু পূরণ হয়েছিল জানা নেই, তবে সিনেপ্রেমীদের চোখে কিম কি-দুকের প্রত্যেকটি সিনেমাই মাস্টারপিস। তার অভাব, এই শুন্যস্থান পুরণের জন্য কোনো পরিচালক বা নির্মাতা হয়ত কখনো পাবে না সিনেজগৎ।