গেম অফ থ্রোনসের মত জনপ্রিয় হতে পারে আসন্ন যে সিরিজগুলো

গত মে মাসে শেষ হয়ে গেল এইচবিওর বিখ্যাত ফ্যান্টাসি সাগা গেম অফ থ্রোনস। প্রায় এক দশক ধরে মিডিয়া থেকে শুরু করে টি-শার্ট, কফি মগ, ফেইসবুক, হলিউডের লেট নাইট শো গুলোতে আলোচনার শীর্ষে থেকে এই শতকের সবচেয়ে বড় কালচারাল ফেনোমেননে পরিণত হয় সিরিজটি। 

কে বসবে আয়রন থ্রোনে? এই প্রশ্ন নিয়ে ফেসবুক, রেডিটের গ্রুপগুলো খুঁজলেই ভক্তদের অনেক তত্ত্ব, আলোচনা, বিতর্ক পাওয়া যায়। সিরিজটির সমাপ্তি এই  সকল আলোচনা, সমালোচনা ও বিতর্কেরও অবসান ঘটিয়েছে। ভক্তদের সবার ভেতরে হঠাৎ করেই তাই এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছর আর নতুন কোনো সিজনের জন্যে কেউ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করবেনা, কাহিনী নতুন কোন দিকে মোড় নিবে কিংবা জন স্নো বা টিরিয়ন ল্যানিস্টারের মত প্রিয় চরিত্রগুলো নতুন সিজনে মারা যাবে এরকম কোনো আশঙ্কায় বিপর্যস্ত হবেনা আর কোনো ভক্তের হৃদয়। তাহলে এই শূন্যতা পূরণের উপায়?

‘কে বসবে আয়রন থ্রোনে?’ এই নিয়ে ভক্তদের আলোচনা, বিতর্কের অবসান হল; Image Source: popsci.com

গেম অফ থ্রোনসের সাফল্য দেখে বড় সব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই ফ্যান্টাসি ঘরানার দিকে মনোযোগ দিয়েছে। বেশ বড় আকারের বাজেট নিয়ে বিখ্যাত অনেক ফ্যান্টাসি সিরিজ টিভির পর্দায় আসার জন্যে প্রস্তুত হচ্ছে। এই সিরিজগুলো আমাদের ‘গেম অফ থ্রোনস’ ক্ষুধা কতটুকু নিবৃত্ত করতে পারবে তা সময়ই বলে দিবে। তবে প্রস্তুতি দেখে বুঝা যাচ্ছে ফ্যান্টাসি ঘরানা সামনের যুগের প্রধান টিভি সিরিজ ক্যাটাগরি হতে চলেছে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক আসন্ন এই সিরিজগুলোর আদ্যোপান্ত।

হিজ ডার্ক ম্যাটেরিয়ালস

বিখ্যাত লেখক স্যার ফিলিপ পুলম্যানের ফ্যান্টাসি ট্রিলজি উপন্যাস ‘হিজ ডার্ক ম্যাটেরিয়ালস’ অবলম্বনে নির্মিত হবে এই সিরিজটি। বিবিসি এবং এইচবিওর যৌথ প্রযোজনার এই সিরিজে জেমস ম্যাকঅ্যাভয়, রুথ উইলসন, লিন-ম্যানুয়েল মিরান্ডার মত গুণী অভিনেতাদের সাথে প্রধান চরিত্রে যুক্ত হয়েছে ১৪ বছর বয়সী অভিনেত্রী ডাফনে কীন যে ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া লোগান ছবিতে মিউট্যান্ট লরার চরিত্রে অভিনয় করে ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রমাণ করেছে।

মিউট্যান্ট লরার চরিত্রে অভিনয় করা ডাফনে কীন হিজ ডার্ক ম্যাটেরিয়ালসের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবে; Image Source: vanityfair.com

এখানে এমন এক পৃথিবীর কথা বলা হয়, যেখানে সব মানুষের একটা করে পোষা জন্তু থাকে যেটা তার নিজ সত্ত্বার একধরনের বহিঃপ্রকাশ। গল্পে লায়রা নামের এক এতিম কিশোরীর জীবন বর্ণনা করা হয়, যে তার আংকেলের সাথে সম্পৃক্ত এক বিপজ্জনক গোপন কথা জেনে যায়। তার নিখোঁজ বন্ধুকে খুঁজতে গিয়ে ধীরে ধীরে সে এক জটিল রহস্যের মধ্যে আটকে পড়ে।

‘হ্যারি পটার এন্ড দ্য কার্সড চাইল্ডের’ লেখক জ্যাক থর্ন এই সিরিজটির চিত্রনাট্য লেখার কাজ করছেন এবং অস্কারজয়ী পরিচালক টম হুপার সিরিজের অনেকগুলো পর্ব পরিচালনা করবেন। তবে টিভি সিরিজের গল্পটি মূল বই থেকে কিছু ভিন্ন হবে।

সিরিজটি ২০১৯ সালেই মুক্তি পাবে। ইতিমধ্যে টিজার ট্রেলারও প্রকাশ হয়েছে।

দ্য ডার্ক টাওয়ার

২০১৭ সালের দ্য ডার্ক টাওয়ার ছবিটি ব্যর্থ হওয়ার পর কেউ ভাবেনি যে এটা নিয়ে আবার ফিল্ম বা টিভি সিরিজ নির্মাণ করা হবে। কিন্তু শেষমেশ আমাজনের অনেকগুলো প্রজেক্টের লিস্টে এটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ঠিকঠাকভাবে নির্মাণ করতে পারলে এই সিরিজটি বেশ জনপ্রিয়তা পাবে আশা করাই যায়। স্টিফেন কিংয়ের বেস্টসেলিং এবং পাঠকপ্রিয় ফ্যান্টাসি উপন্যাস দ্য ডার্ক টাওয়ারের উপর নির্ভর করে সিরিজটি তৈরি করা হবে।

দ্য ডার্ক টাওয়ার সিনেমার একটি পোস্টার; Image Source: imdb.com

এই গল্পে বর্ণিত পৃথিবীর সাথে পুরনো পশ্চিম আমেরিকার বেশ মিল পাওয়া যায়, যেখানে প্রাচীন পৃথিবীর অনেক জাদু এবং অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা হারিয়ে গেছে। মূল চরিত্র রোলা ডিশেইন গানসলিংগার নামের এক নাইট ধরনের বাহিনীর শেষ সদস্য হিসেবে জীবিত থাকেন। তিনি একটা টাওয়ার খোঁজার জন্যে বিপজ্জনক যাত্রা শুরু করেন। এই টাওয়ার নিয়ে গুজব রয়েছে যে এটা অনেকগুলো মহাবিশ্বের যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে।

সিরিজটি কবে মুক্তি পাবে তা নিয়ে আমাজন এখনো কিছু জানায়নি তবে ধারণা করা হচ্ছে ২০২০ সালে দর্শকরা তা টিভি পর্দায় দেখতে পাবে।

দ্য কিংকিলার ক্রনিকল

প্যাট্রিক রথফাসের লেখা এই ফ্যান্টাসি ট্রিলজিতে ভোথে নামের এক জাদুকর এবং সুরকার ‘দ্য ক্রনিকলার’ নামের একজন ঐতিহাসিকের কাছে নিজের জীবনের এক প্রতিশোধের গল্প বলে। ট্রিলজিটির শেষ বই ‘দ্য ডোরস অফ স্টোন’ যদিও এখনো প্রকাশিত হয়নি কিন্তু প্রথম দুইটি বই মিলে বিক্রি হয়েছে ১০ মিলিয়নেরও বেশি কপি। এ থেকেই গল্পটির জনপ্রিয়তা আন্দাজ করা যায়।

একজন জাদুকর এবং সুরকারের প্রতিশোধের গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে দ্য কিংকিলার ক্রনিকল; Image Source: gamespot.com

লায়নসগেট আর শোটাইমের যৌথ উদ্যোগে এই সিরিজটি পর্দায় আসতে চলেছে। উপন্যাসটি নিয়ে শুধু টিভি সিরিজ নয়, চলচ্চিত্রও মুক্তি পাবে। স্যাম রেইমিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পরিচালনার জন্যে। অন্যদিকে লিন-ম্যানুয়েল মিরান্ডা নির্বাহী প্রযোজক এবং কম্পোজার হিসেবে কাজ করবেন।

দ্য ক্রনিকলস অফ নার্নিয়া

সি এস লুইসের বিখ্যাত শিশু ফ্যান্টাসি সিরিজ ‘দ্য ক্রনিকলস অফ নার্নিয়া’ নিয়ে এর আগে তিনটি বেশ ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। তবে এবার সিরিজটির সম্পূর্ণ সাতটা বই-ই টিভি পর্দায় মুক্তি দিতে চলেছে নেটফ্লিক্স। ইতিমধ্যেই অস্কারজয়ী এনিমেটেড ছবি কোকো’র (২০১৭) একজন লেখক ম্যাথিউ আল্ড্রিচ এই প্রজেক্টে যোগদান করেছেন।

দ্য ক্রনিকলস অফ নার্নিয়ার ফিল্মগুলো বেশ ব্যবসাসফল হয়েছিল; Image Source: chidgemall.com

এই গল্পটি একটি কাল্পনিক জাদুর রাজ্য নার্নিয়াকে নিয়ে আবর্তিত হয় যেখানে কথা বলা জন্তু, পৌরাণিক জানোয়ার রয়েছে। অনেকগুলো বাচ্চা ছেলে মেয়ের এডভেঞ্চার এই গল্পে বর্ণনা করা হয় যারা নার্নিয়ার ভাগ্য পাল্টাতে সাহায্য করে। যদিও উপন্যাসটি প্রধানত বাচ্চাদের জন্যে লেখা, তাও আশা করা যাচ্ছে এটি বেশ জনপ্রিয়তা পাবে।

দ্য হুইল অফ টাইম

যদি আপনি গেম অফ থ্রোনসের চরিত্রগুলোর অন্তর্নিহিত জটিলতাগুলো বাদ দিয়ে গতানুগতিক ভালো এবং মন্দের সংঘাতকে পছন্দ করে থাকেন তাহলে এই সিরিজটি আপনার ভালো লাগবে। রবার্ট জর্ডানের লেখা ১৪ পর্বের এই এপিক ফ্যান্টাসি উপন্যাসটি টিভি পর্দায় মুক্তি দেওয়ার জন্যে আমাজন কাজ করছে। শো-রানার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন রাফে জুডকিনস।

টিভি শোটি প্রধানত ময়রেইন নামের এক মহিলার গল্প দেখাবে যেখানে সে আরো পাঁচজন মানুষের সাথে এক বিপজ্জনক ভ্রমণে বের হয়। তার সন্দেহ, সঙ্গীদের কোনো একজন অসম্ভব শক্তিশালী ব্যক্তি যার কথা এক প্রফেসিতে বলা হয়েছে। সেই ব্যক্তি দ্বারা পৃথিবী ও মানবজাতি কোনো শত্রু থেকে রক্ষা পাবে। কিংবা সেই ব্যক্তিই এই শত্রু যার হাতে মানবজাতির অবসান ঘটবে। একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে, উপন্যাসের এই পৃথিবীতে শুধু মহিলারাই ম্যাজিক ব্যবহার করতে জানে।

ময়রেইন নামের এক অভিযাত্রীকে নিয়ে আবর্তিত হবে দ্য হুইল অফ টাইম টিভি সিরিজ; Image Source: vox.com

‘দ্য হুইল অফ টাইম’ পৃথিবীর সবচেয়ে বিক্রিত ফ্যান্টাসি উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি। তবে ফ্যান্টাসি দুনিয়ার বাইরে উপন্যাসটি অত পরিচিতি পায়নি। এখন দেখার অপেক্ষা আমাজন স্টুডিও এই সিরিজটিকে ব্যবসাসফল করতে পারে কিনা।

দ্য উইচার

পোলিশ লেখক আন্দজ্রেই সাপকৌসকির লেখা এই ফ্যান্টাসি উপন্যাস অবলম্বনে ইতিমধ্যে ভিডিও গেম তৈরি হয়েছে। তুমুল জনপ্রিয় এই গেমটি একইসাথে সমালোচক এবং গেমারদের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তাই নেটফ্লিক্সের নজর গিয়েছে বইগুলোর দিকে। গেমটির জনপ্রিয়তা সিরিজটিকে সফল করার পেছনে বেশ ভালো অবদানই রাখবে। তার উপর প্রধান চরিত্র হিসেবে যোগ দিয়েছেন সুপারম্যান খ্যাত হেনরি কেভিল।

উইচার সিরিজের গেমের জনপ্রিয়তা টিভি সিরিজকে সফল করার জন্যে বেশ ভালো অবদান রাখবে; Image Source: thewitcher.com

প্রধান চরিত্র গেরাল্ট অফ রিভিয়ার বিপজ্জনক এক ভ্রমণকে নিয়ে এই সিরিজটি আবর্তিত হয়। নেটফ্লিক্সের ভাষায়:

Geralt of Rivia, a solitary monster hunter who struggles to find his place in a world where people often prove more wicked than beasts. When destiny hurtles him toward a powerful sorceress, and a young princess with a dangerous secret, the three must learn to navigate the increasingly volatile Continent together.

২০১৯ সালের শেষ অর্ধে এই সিরিজটির প্রথম সিজন টিভি পর্দায় আসবে। ইতিমধ্যে প্রথম সিজনের টিজার ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে।

দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস

ফ্যান্টাসি উপন্যাস নিয়ে আলোচনা হবে সেখানে ‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস’ থাকবেনা এরকম হওয়াটা বেশ অস্বাভাবিক। এই সিরিজটি লিখেই আধুনিক ফ্যান্টাসি সাহিত্যের সূচনা করেছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ ভাষাবিদ এবং লেখক জে আর আর টলকিন। গেম অফ থ্রোনসকে টক্কর দেওয়ার সবচেয়ে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে এই সিরিজটিরই। তাই ২৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে পাঁচ বছরের জন্যে এর টিভি সত্ত্ব কিনে নেওয়ার সময় আমাজন দ্বিতীয়বার চিন্তা করেনি। ধারণা করা হচ্ছে আমাজন পাঁচ সিজনের একটি টিভি সিরিজ নির্মাণ করবে যেখানে গল্প শুরু হবে লর্ড অফ দ্য রিংস মুভি ফ্র্যাঞ্চাইজির আগের সময় থেকে। গুজব রয়েছে আমাজন প্রায় এক বিলিয়ন ডলার বাজেট করেছে এই পাঁচটি সিজনের জন্যে যদিও অফিশিয়ালি এখনো তেমন কিছু বলা হয়নি। শো রানার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন স্টার ট্রেক ফোরের চিত্রনাট্যকার জন ডি পাইন এবং প্যাট্রিক ম্যাককে।

‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস’ উপন্যাস লিখে আধুনিক ফ্যান্টাসি সাহিত্যের জন্ম দিয়েছিলেন জে আর আর টলকিন; Image Source: Britannica.com

দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস মূল সিরিজের গল্পটি একজন কিশোর ফ্রোডো ব্যাগিনসের গল্প বলে যে একটি অভিশপ্ত রিং বা আংটি ধ্বংস করার জন্যে এক বিপজ্জনক যাত্রায় বের হয়। যে রিং ধ্বংসের মাধ্যমে একইসাথে ভিলেইন সাওরনের মৃত্যুও নিশ্চিত করা যাবে। 

পিটার জ্যাকসনের পরিচালিত ফিল্ম সিরিজটি তুমুলভাবে সফল হয়েছিল। সিরিজের তৃতীয় সিনেমা দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং (২০০৩) এগারোটি ক্যাটাগরিতে অস্কার পেয়ে রেকর্ড করেছিল।

গেম অফ থ্রোনস প্রিকুয়েল

গেম অফ থ্রোনসের তুমুল জনপ্রিয়তা এইচবিওর জন্য আশীর্বাদই ছিল। কিন্তু এই সিরিজের সমাপ্তির পর টিভি মিডিয়ায় তাদের কর্তৃত্ব আর আগের মত থাকবেনা। তাই এইচবিও এই জনপ্রিয়তা ব্যবহার করে তাদের কর্তৃত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার জন্যে তৈরি করতে চলেছে গেম অফ থ্রোনসের প্রিকুয়েল সিরিজ। লেখক জর্জ আর আর মার্টিন তার ব্লগে জানিয়েছিলেন, এইচবিও পাঁচটি প্রিকুয়েল সিরিজ তৈরি করার চিন্তাভাবনা করছে যার মধ্যে তিনটির কাজ বেশ অগ্রগামী এবং একটির পাইলট পর্বের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। জর্জ আর আর মার্টিন যদিও সিরিজটিকে ‘দ্য লং নাইট’ নামে উল্লেখ করেছেন কিন্তু এইচবিও প্রোডাকশনটি চালাচ্ছে ‘ব্লাড মুন’ নামে। টিভির জন্যে এর চিত্রনাট্য লেখার কাজ করছেন মার্টিন নিজে এবং এক্স-ম্যান: ডেইজ অফ ফিউচার পাস্ট (২০১১), এক্স-ম্যান: ফার্স্ট ক্লাস (২০১১) ও কিংসম্যান: দ্য সিক্রেট সার্ভিস (২০১৪) সিনেমার চিত্রনাট্যকার জেইন গোল্ডম্যান। পাইলট পর্বটি পরিচালনা করবেন এস.জে ক্লার্কসন। ইতিমধ্যে নাওমি ওয়াটসের সাথে মূল চরিত্রের জন্যে চুক্তি করা হয়েছে।

ভ্যালেরিয়ান সভ্যতার উত্থান এবং ড্রাগনদের আগমন রহস্যের সমাধান মিলতে পারে গেম অফ থ্রোনস প্রিকুয়েলে; Image Source: artstation.com

সিরিজটি গেম অফ থ্রোনসের প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগের সময়কার ‘এইজ অফ হিরোজের’ গল্প নিয়ে পর্দায় হাজির হবে। হোয়াইট ওয়াকারদের সাথে চিলড্রেন অফ দ্য ফরেস্ট এবং ফার্স্ট ম্যানদের যুদ্ধ, কিভাবে ওয়াল তৈরি হয়েছিল, স্টার্ক পরিবারের উত্থান এসব নিয়েই তৈরি হবে সিরিজটি। ধারণা করা হচ্ছে ওল্ড ভ্যালেরিয়ান সভ্যতার উত্থান এবং কিভাবে তারা ড্রাগনদের পোষ মানিয়েছিল তার উত্তরও থাকতে পারে সিরিজটিতে। এইচবিও তাদের অফিশিয়াল প্রেস রিলিজে লিখেছে:

Taking place thousands of years before the events of Game of Thrones, the series chronicles the world’s descent from the golden Age of Heroes into its darkest hour. And only one thing is for sure: from the horrifying secrets of Westeros’s history to the true origin of the White Walkers, the mysteries of the East, to the Starks of legend…it’s not the story we think we know.

এই বছরেই পাইলট পর্ব নির্মাণের কাজ শুরু হবে এবং আশা করা যায় ২০২০ সালের শুরুর দিকে পর্বটি মুক্তি পাবে। গেম অফ থ্রোনস ভক্তদের তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে আরো এক বছর।

This Bangla article is about some upcoming fantasy tv series and movies that have possibilities to take place of Game of Thrones. 

References:

1. Film School Rejects

2. Vanity Fair

3. TV Guide

Featured Image: WallpaperCave

Related Articles

Exit mobile version