“মাধ্যম হিসেবে টিভি সিরিজ এতটা স্বাধীনতা দেয়, বলে বোঝানো যাবে না। পরিচালক হিসেবে ঘড়ি ধরে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ইন্টারভেল সহ পুরো গল্প বলার ঝক্কি নেই, তিন-চারটে ধুমধাড়াক্কা গান, রগরগে একটা আইটেম গান রাখার তাগাদা নেই। বছরের পর বছর ধরে একটি চরিত্রকে নিজ হাতে গড়ে তোলার মধ্যে অন্য রকম একটা আনন্দ আছে, রূপালি পর্দার বাঁধাধরা জগতের বাইরে এ যেন এক মজার দুনিয়া,” বলছিলেন ‘স্যাক্রেড গেমস’ টেলিভিশন সিরিজের দুই পরিচালকের একজন বিক্রমাদিত্য মোত্বানি।
প্রথম ভারতীয় মৌলিক নেটফ্লিক্স সিরিজ হিসেবে ইতোমধ্যে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ‘স্যাক্রেড গেমস’। মুম্বাইয়ের অপরাধ জগত দাপিয়ে বেড়ানো মবস্টার গণেশ গাইতোন্ডে এবং তার ধূর্ত পাওয়ার গেমের শিকার শিখ পুলিশ কর্মকর্তা সারতাজ সিংয়ের মধ্যকার চার দশক পুরনো এক অমীমাংসিত গল্প দিয়ে প্রথম সিজন সফলতার সাথে পার করেছেন অনুরাগ কশ্যপ এবং বিক্রমাদিত্য মোত্বানি। মবস্টার গণেশ গাইতোন্ডের চরিত্রে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং আবেগের জটিলতায় ভুগতে থাকা পুলিশ অফিসার সারতাজ সিংয়ের চরিত্রে সাইফ আলী খানের অনবদ্য অভিনয় দর্শক মহলে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ ‘র’-এর এজেন্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাধিকা আপ্তে।
“সেন্সরশিপের ঝুট-ঝামেলা ছিল না বলে যা খুশি তা-ই দেখাব, এমন মনোভাব আমাদের কখনোই ছিল না। সেলফ সেন্সরশিপ বা নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি সারাক্ষণ আমাদের মধ্যে কাজ করেছে। কাহিনীর প্রয়োজনে কিছু যৌন উত্তেজক দৃশ্য রাখতে বাধ্য হয়েছি, কিন্তু তা যেন কখনো পর্নোগ্রাফিতে পরিণত না হয় সে ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক ছিলাম আমরা। সহিংসতার দৃশ্যগুলোও যথাসম্ভব নমনীয় করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি,” বলছিলেন কশ্যপ। এবার তাহলে টেলিভিশন সিরিজটির প্রধান তিন অভিনেতার মুখ থেকে শুনে নেয়া যাক ‘স্যাক্রেড গেমস’ এর অভিজ্ঞতা।
আবেগীয় জটিলতায় ভুগতে থাকা পুলিশ অফিসার সারতাজ সিংয়ের চরিত্রে সাইফ আলী খান
গালফ নিউজ: ‘স্যাক্রেড গেমস’কে অনেকেই গ্যাংস্টার ড্রামার নোংরামি বলে আখ্যায়িত করেছে…
সাইফ আলী খান: কিন্তু আমি তো ওদের বারবার করে বলেছিলাম বাথরুম পরিষ্কার করতে। অন্তত এক মিলিয়ন দর্শক এই সিরিজটি দেখবে, নোংরা কিছু তাদের কেন দেখাব আমরা? বিক্রম (বিক্রমাদিত্য মোত্বানি) বলেছিল মার খেয়ে বাথরুমের মেঝেতে হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটতে হবে, একটি দৃশ্যে আমার মাথা কমোডের ভেতরে ঢুকিয়ে ফ্ল্যাশ করে দেবে। আমার উত্তর ছিল, “পুরো জায়গাটি যদি জীবাণুমুক্ত করতে না পারো, আমি কিন্তু সত্যি সত্যি মারা যাব”। এই বাথরুমের দৃশ্যগুলো ছাড়া আর তো কোথাও নোংরামি ছিল না।
গালফ নিউজ: আপাতদৃষ্টিতে সারতাজ সিংকে দেখে খুব আবেগী এবং ভঙ্গুর এক নায়ক বলে মনে হয়েছে। এই চরিত্রের কোন দিকটি আপনাকে আকৃষ্ট করেছে?
সাইফ আলী খান: সারতাজের চরিত্রে বেশ আকর্ষণীয় একটি মোড় আছে। শুরুর দিকে চরিত্রটি এত ধিমে গতিতে এগোতে থাকে, আমি নিজেই একসময় বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। আগে কখনো এমন ভচকে যাওয়া চরিত্রে কাজ করিনি। তবে এই চরিত্রের ইন্টারেস্টিং দিকও কিন্তু এটি। মানসিকভাবে শান্ত থাকার জন্য সারতাজ সিংকে ঘুমের ওষুধ খেতে হয়। বিবাহিত জীবনে চরমভাবে ব্যর্থ সারতাজ ক্যারিয়ারেও যাচ্ছেতাই অবস্থায় আছে। বেচারা সারতাজের জীবনে শুধু হতাশা আর হতাশা। ঠিক সেই অবস্থান থেকে সিরিজের প্রতিটি দৃশ্যে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত নায়কে পরিণত হওয়া, নিঃসন্দেহে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সারতাজের ব্যাপারে দুটি শব্দ আমার মাথায় ঢুকে গিয়েছিল: বিক্ষুব্ধ এবং সৎ। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই চরিত্রটিতে কাজ করার উৎসাহ পেয়েছিলাম।
গালফ নিউজ: নিজেকে সারতাজ সিং হিসেবে প্রস্তুত করতে বিক্রম চন্দ্রের বইটি পড়েছিলেন?
সাইফ আলী খান: বই পড়তে আমি ভীষণ ভালোবাসি, কাজেই হাজার পৃষ্ঠার একটি বই পড়ার ভয়ে পিছিয়ে যাব- এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। কিন্তু আমাকে বলা হয়েছিল সিরিজের প্রয়োজনে কাহিনীতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। দারুণ এই বইটির কিছু অংশ আমি পড়েছি, কিন্তু অভিনেতা হিসেবে চরিত্রটি ধারণ করতে খুব একটা সাহায্য করছিল না বইটা। কাজেই মাঝপথে পড়া বন্ধ করে দিয়েছি, তবে যতটুকু পড়েছি তাতেই বেশ ভালো লেগেছে।
গালফ নিউজ: ‘স্যাক্রেড গেমস’ বর্তমান ভারতের পোট্রেটকে সন্তর্পণে তুলে ধরেছে যেখানে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ, গডফাদার, গ্যাংস্টারদের কালোবাজারির রাজত্ব আর পুলিশ অফিসারদের নেতিবাচক দিক উপস্থাপিত হয়েছে। ধর্ম এখানে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভাজনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এমন একটি সিরিজে কাজ করতে গিয়ে কোনো শঙ্কাবোধ করেননি?
সাইফ আলী খান: অভিনয়ের এই প্ল্যাটফর্মটিতে সেন্সরশিপের কোনো ব্যাপার নেই, যেটি সত্যিকার অর্থেই ভালো একটি দিক। তার মানে এই না যে আমরা স্বাধীনতাটুকু নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করব। এ কারণেই কিন্তু অহেতুক সহিংসতা বা অমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। বইয়ের গল্প অনুযায়ী দর্শকপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে সিরিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ভারতের বর্তমান প্রেক্ষাপট এখানে অনেকাংশেই উঠে এসেছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। আর এই সিরিজের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে রাজনীতিবিদদের কী সম্পর্ক, পুলিশ, মাফিয়া আর সিনেমার তারকাদের যোগাযোগ… এ ব্যাপারে দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের অল্প হলেও ধারণা আছে।
সিরিজটিতে মূলত এক গ্যাংস্টারকে চিত্রায়িত করা হয়েছে যার মধ্যে রোমান্টিক কিছু দিকও আছে, আবার রয়েছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কা। ছোটবেলায় অ্যালেইন ডেলনের মুভি খুব পছন্দ করতাম। ‘দ্য সিসিলিয়ান ক্লান’ সিনেমায় তিনি অসম্ভব সুন্দর এক গ্যাংস্টারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, পুলিশের চেয়েও তার চরিত্রটি বেশি আকর্ষণীয় ছিল। কাজেই এ ধরনের সিরিজে কাজ করতে প্যাশন থাকা জরুরি, ভয় নয়।
নৈতিকতার দিক থেকে দেউলিয়া এক গ্যাংস্টার গণেশ গাইতোন্ডের চরিত্রে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি
গালফ নিউজ: সিরিজটিতে গণেশ গাইতোন্ডেকে অকুণ্ঠচিত্তে জঘন্য এক ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কেমন লাগল এই চরিত্রে কাজ করতে?
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি: এ যাবত আমার করা অন্যতম জটিল চরিত্র গণেশ গাইতোন্ডে। তার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, ব্যবসার প্রয়োজনে সে যা করছে, ঠিক করছে। বইটি আমি পড়েছি, আমার চরিত্রের অসংখ্য খুঁটিনাটি দিক সেখানে রয়েছে। বই পড়ে বেশ উপকৃত হয়েছি। কিন্তু আমি উপলব্ধি করছিলাম চরিত্রটির বেশ কিছু জটিল দিক আছে। পরিচালকরা আমার স্বতঃস্ফূর্ত দিকটি তুলে আনার জন্য আমার সহজাত দিকগুলো নিয়েই আগে কাজ করা শুরু করলেন।
সহজ কিছু দৃশ্যে কাজ করে আস্তে আস্তে চরিত্রের অন্ধকার আর জটিল দিকগুলোতে হাত দেয়া হয়েছে। গণেশকে নিয়ে সবচেয়ে বড় ঝামেলা হলো, তার মনের ভেতরেই একটা ক্যামেরা বসানো রয়েছে। ঐ ক্যামেরা দিয়েই সে সারা দুনিয়া নিজের মতো করে দেখে। কতটা মুশকিলে রয়েছে কিংবা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের কত বড় ক্ষতি করে ফেলছে, এগুলো সে উপলব্ধি করতেও পারে না। ক্ষমতা আর সম্পদের ক্ষুধা গণেশকে তাড়া করে ফেরে সারাক্ষণ।
গালফ নিউজ: চরিত্রের প্রয়োজনে আপনাকে সহিংস যৌনক্রিয়ার দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে। ঐ গ্রাফিক দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করতে অস্বস্তিবোধ করেননি?
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি: এরকম দৃশ্যে কাজ করা খুবই কঠিন। টানা এক সপ্তাহ ধরে ঐ দৃশ্যগুলো বারবার প্র্যাকটিস করা হয়েছে। চতুর্থদিনে আমি অপারগ হয়ে হাত জোড় করে এসব বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানাই। শারীরিক দিক বিবেচনা করলেও আমি খুব একটা সুস্থ ছিলাম না সে সময়। তবে অভিনেতা হিসেবে নিজের সাথে নিজে প্রতারণা কখনো করিনি, আর করতেও পারবো না। তাই ধৈর্য ধরে দৃশ্যগুলো শেষ করেছি।
গালফ নিউজ: আপনি কি মনে করেন ডিজিটাল ফরমেটের টেলিভিশন সিরিজ বলিউডের ভবিষ্যৎ হতে যাচ্ছে?
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি: ভবিষ্যতের কথা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে জটিল চরিত্রগুলো টিভি সিরিজেই সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। সেন্সরশিপের গ্যাঁড়াকলে পড়ে অনেক সময় চরিত্রের নেতিবাচক দিকগুলোর বর্ণনা তুলে ধরার সুযোগ থাকে না। সেজন্য দর্শকও চরিত্রটির সাথে ঠিকভাবে মিশে যেতে পারে না। চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলোর চেয়ে টিভি সিরিজের চরিত্রগুলো বলিষ্ঠ।
ইন্টেলিজেন্স অফিসার অঞ্জলি মাথুরের চরিত্রে রাধিকা আপ্তে
গালফ নিউজ: আপনার চরিত্রটি সম্পর্কে বলুন।
রাধিকা আপ্তে: র এজেন্ট অঞ্জলি মাথুরের চরিত্রে কাজ করেছি। র এজেন্টদের সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা ছিল না, কারণ এ সম্পর্কিত তথ্য সহজে পাওয়া যায় না। অঞ্জলি চরিত্রটিকে তাই একেবারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নির্ঝঞ্ঝাট করে উপস্থাপন করা হয়েছে। নিজের কাজের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল, সাহসী, বুদ্ধিমান। বাবার মতো রণক্ষেত্রে গিয়ে কাজ করতে চায় সে, কিন্তু সিনিয়ররা তাকে জোর করে ডেস্কে বসিয়ে রাখতে চায়। কাজেই কর্মক্ষেত্রেও একধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাকে। গণেশ গাইতোন্ডের মামলাটি তার ক্যারিয়ারের গতিপথ পাল্টে দিতে পারতো, এখানে এসেই সারতাজের সাথে তার পরিচয় হয়। সব মিলিয়ে ‘স্যাক্রেড গেমস’ এমন একটি গল্প যেখানে সাহসিকতার সাথে অভিনয়ের সুযোগ রয়েছে।
গালফ নিউজ: একটি দৃশ্য এমন ছিল, যেখানে আপনি আপনার এক পুরুষ সহকর্মীকে সেক্সিস্ট বলে আখ্যায়িত করেছেন, আপনাকে ডেস্কে কাজ করতে বাধ্য করছিল বলে। আপনার কি মনে হয় বর্তমান সময়ে নারীরা কর্মক্ষেত্রে যে বাধার সম্মুখীন হয় ‘স্যাক্রেড গেমস’ সিরিজে তা ঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে?
রাধিকা আপ্তে: এটা এমনই একটি ইস্যু যার সাথে নারীরা দীর্ঘদিন ধরে লড়ছে। আমি যখন অভিনয় করছি, তখন এটি আমার চরিত্রের একটি অংশ। কিন্তু বাস্তবতার সাথে তার সাদৃশ্যকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না। অঞ্জলি যা করে তা হয়তো আহামরি কিছু না, তবে তার প্রতিটি পদক্ষেপেই বড় একটি বার্তা মিশে থাকে। এই ভারসাম্য রক্ষা করাটা বেশ কঠিন ছিল।
গালফ নিউজ: সাধারণত বলিউডে র এজেন্টদের খুব গ্ল্যামারাস হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, কিন্তু ‘স্যাক্রেড গেমস’ তার ব্যতিক্রম। বিষয়টি কি ইচ্ছাকৃত ছিল?
রাধিকা আপ্তে: সবাই ভাবছিল ‘স্যাক্রেড গেমসের’ প্রধান নারী চরিত্রকে নিশ্চয়ই বন্দুক হাতে হাই হিলে দেখা যাবে। কিন্তু আমরা এখানে বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিয়েছি। আলাদা করে কারো নজরকাড়া র এজেন্টের কাজ না। জামাকাপড় কিংবা গহনায় এমন চাকচিক্য সে কখনোই দেখাবে না যাতে সহজে কারো চোখে পড়ে যেতে হয়।
গালফ নিউজ: নেটফ্লিক্সে হিন্দি সিনেমার মতো সেন্সরশিপের বাঁধাধরা কোনো নিয়ম নেই। এটা কি স্বস্তির খবর?
রাধিকা আপ্তে: অভিনেতা হিসেবে নিঃসন্দেহে এটি বড় একটি স্বাধীনতার জায়গা। সেন্সরবোর্ড অনুমতি দেবে না এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করে কাহিনী বা চরিত্র সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা যায়। ব্যক্তিগতভাবে আমি সেন্সরশিপ বিরোধী, বিশেষ করে হিন্দি সিনেমায় তাদের যে ভূমিকা তার সাথে আমি একমত নই। শরীরী ভাষা আর মুখের ভাষার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে চলচ্চিত্র শিল্প চলতে পারে না বলেই আমি বিশ্বাস করি।
ফিচার ইমেজ- amazonaws.com