পড়ন্ত বিকেলের আকাশকে লাল-কমলায় রাঙিয়ে সূয্যিমামার পশ্চিম আকাশে অস্ত যাওয়া পৃথিবীর অন্যতম সেরা নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত দৃশ্য। সূর্য দিগন্তে হেলে পড়ার পর একসময় হলুদ থেকে কমলা, কমলা থেকে টুকটুকে লাল হয়ে গিয়ে নানা রঙের বর্ণচ্ছটা ছড়িয়ে দিগন্তে হারিয়ে যায়। সূর্যাস্তের সময় আকাশে বিচিত্র রঙের প্রদর্শনী চলে। কমলা-গোলাপি-বেগুনি রঙের সেই ছোঁয়ায় রাঙে মেঘেরা, রাঙে আকাশ, রাঙে চারপাশ। এই রঙের আভা ছুঁয়ে যায় মানবহৃদয়কেও। অস্তমান সূর্যের অতুলনীয় সৌন্দর্যকে উপেক্ষা করার সাধ্য কোনো মানবমনের নেই। তাই তো মানুষ বিস্ময়বিমুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকে অস্তমিত সূর্যের দিকে। সূর্যাস্ত দেখে প্রাণ জুড়াতে ছুটে সাগর সৈকতে, পাহাড়-পর্বতে, হ্রদ বা নদীর তীরে। সূর্যাস্তের সৌন্দর্যে গভীর ভালোলাগার আবেশে আবিষ্ট হয় মন,অদ্ভুত প্রশান্তি ভর করে মনে।
বলা হয়ে থাকে, কোনো একটি স্থানের দুটি সূর্যাস্ত কখনো একরকম হয় না। পার্থক্য থাকে রঙে, পার্থক্য থাকে সূর্যকে ঘিরে থাকা মেঘে, পার্থক্য থাকে পরিবেশে। সব সূর্যাস্তই সুন্দর, তবে কিছু কিছু স্থান আছে, যেখানকার সূর্যাস্তের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। অর্বণনীয় সৌন্দর্যের এই সূর্যাস্তগুলো দেখতে হলে আপনাকে যেতে হতে পারে আইসল্যান্ডের লাভাঢাকা প্রান্তর থেকে ভূমধ্যসাগরের সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত। সূর্যাস্তের সৌন্দর্য অন্যরকমভাবে ধরা দেয়া এমনই কিছু স্থানের সাথেই আজ পরিচিত হওয়া যাক।
স্টোনহেঞ্জ, ইংল্যান্ড
হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ স্টোনহেঞ্জের পাথরের চূড়ায় সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখে আসছে। দৈত্যাকার পাথরে গড়া স্টোনহেঞ্জ পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন স্থাপত্যগুলোর একটি। সূর্যের গতিবিধির সূক্ষ্ম মাপজোকের মাধ্যমে স্টোনহেঞ্জের সুউচ্চ প্রস্তরফলকসমূহ স্থাপন করা হয়। এমনভাবে পাথরগুলো বসানো হয়, যেন সকালের সূর্য সবচেয়ে উঁচু পাথরের ঠিক মাথায় উদিত হয় এবং সূর্যের প্রথম আলো স্তম্ভগুলো বৃত্তাকার বেষ্টনির কেন্দ্রে পড়ে। সেই হিসেবে, সূর্য অস্ত যায় স্টোনহেঞ্জের পাদদেশে।
শ্বাসরুদ্ধকর সুন্দর সে দৃশ্য! উঁচু পাথরের ফাঁক গলে আকাশের কমলারঙা পথে সূর্য যেন হারিয়ে যায় অন্য কোনো দেশে। পৃথিবীর নানা দেশের পর্যটকেরা এখানে ছুটে আসেন অপরুপ সুন্দর এই দৃশ্য দেখতে।
গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক প্রাকৃতিক আশ্চর্যসমূহের একটির নাম গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। সেখানে সূর্যাস্ত হয় ভয়ঙ্কর সুন্দর। গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের প্রান্তে দাঁড়িয়ে সূর্যের অস্ত যাওয়ার দৃশ্য দেখলে নিঃসন্দেহে আপনি অভিভূত হবেন।
সূর্যাস্তের সময় উজ্জ্বল রঙ, বিশাল বিশাল ছায়া আর আলোর নৃত্যে প্রাকৃতিক এই স্মৃতিস্তম্ভ যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। কয়েক মিনিট পরপরই আকাশে রঙের পালাবদল ঘটে। কমলা থেকে গোলাপী, গোলাপী থেকে বেগুনি- অস্তমিত সূর্যের আলোর এই বিচ্ছুরণ ছড়িয়ে যায় গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের পর্বতচূড়া, উপত্যকা আর পাহাড়ের চিড়গুলোতে। সূর্য মালভূমির আড়ালে হারিয়ে গেলে আলোর এ খেলার সমাপ্তি ঘটে। গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য সবচেয়ে মোহনীয় রুপে ধরা পড়ে।
এঙ্কর ওয়াট, কম্বোডিয়া
কম্বোডিয়ার বিস্ময় এবং পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ধর্মীয় স্থাপনা এঙ্কর ওয়াটের সূর্যাস্তের খ্যাতি পৃথিবীজোড়া। এঙ্কর ওয়াটে সূর্যাস্ত দেখার অনেক স্থান রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- এঙ্কর ওয়াট মন্দির, ফনম বেখাং, প্রি রাপ প্রভৃতি। প্রাচীন এই স্থাপনার প্রাণ এঙ্কর ওয়াট মন্দিরে আপনি ঘুরে ঘুরে নানা দিক থেকে সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন। মন্দিরের চূড়াকে কমলা রঙে প্লাবিত করে দৃষ্টিনন্দনভাবে এখানে মন্দিরকে বিদায় জানায় সূর্য।
এঙ্কর ওয়াটে সূর্যাস্ত দর্শনের সবচেয়ে বিখ্যাত স্থান হচ্ছে ফনম বেখাং। সূর্যাস্তের ম্লান আলোয় এখানে এঙ্কর ওয়াট সাজে ভিন্ন রুপে। ফনম বেখাংয়ে সূর্যাস্ত দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করেন সৌন্দর্যপিপাসু, সূর্যাস্তপ্রেমী মানুষজন। তবে প্রি রাপে গাছের পত্রপল্লবে আচ্ছাদিত মন্দিরের আড়ালে সূর্যের বিলীন হয়ে যাওয়ার দৃশ্যও কম সুন্দর নয় ।
মাউন্ট ব্রোমো ,ইন্দোনেশিয়া
মাউন্ট ব্রোমো ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে অবস্থিত একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। জাভার উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত এই অগ্নিপর্বতে মোহনীয় সূর্যাস্ত দর্শন হতে পারে আপনার স্মৃতির পাতায় অনন্য এক অধ্যায়। আগ্নেয়গিরিরি জ্বালামুখ থেকে অবিরত উদগিরিত ধোঁয়ার মেঘ আর আকাশের মেঘের মাঝখানে সৃষ্টি হওয়া অদ্ভুত সুন্দর এক পথে কমলা রঙের দ্যুতি ছড়িয়ে সূর্য পাড়ি জমায় দূর অজানায়। সেই কমলা রঙের আলোকচ্ছটা লেগে সৈকতের বালিও কমলা যেন কমলা আভা পায়। অন্য সব সূর্যাস্তের চেয়ে মাউন্ট ব্রোমোর সূর্যাস্ত একেবারেই আলাদা। অপূর্ব সুন্দর সে দৃশ্য দেখলে বিস্ময়ে অভিভূত আপনি ভাবতেই পারেন, হায়! সূর্যাস্তও এতটা সুন্দর হয়!
সান্তোরিনি, গ্রীস
এজিয়ান সাগরের দ্বীপ সান্তোরিনির কথা শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে সাদা রং করা বাড়িঘর, নীল রঙা গম্বুজ বিশিষ্ট চার্চ আর নীল সাগরের পাশে ধূসর সৈকত। পৃথিবী বিখ্যাত দ্বীপ সান্তোরিনি সূর্যাস্ত দর্শনের জন্যও বিখ্যাত। সান্তোরিনির দক্ষিণের শহর ওইসার পাহাড় চূড়ার রেস্টুরেন্টে বসে দেখা যায় স্বপ্নীল সূর্যাস্ত। সূর্যাস্তের সময় লালিমা আঁকা সান্তোরিনির আকাশ দেখলে মনে হয় যেন, শিল্পীর সব লাল রং ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঐ এক আকাশেই। আর দিগন্ত থেকে একটু দূরে লাল আলোর চেয়ে তরঙ্গদৈর্ঘ্যে এগিয়ে থাকা কমলা রঙের আভায় পুরো সান্তোরিনিই কমলা হয়ে ওঠে।
মালদ্বীপ
হাজারখানেক প্রবাল দ্বীপ নিয়ে ভারত মহাসাগরের দ্বীপদেশ মালদ্বীপ প্রকৃতির এক বিস্ময়। ধবধবে সাদা সৈকত, ঘন নীল জলরাশির লেগুন, প্রবাল প্রাচীর আর সবুজের সমারোহ মিলিয়ে আশ্চর্য সুন্দর এক জায়গা এটি। এমন সুন্দর জায়গায় সূর্যাস্তও হয় বিস্ময়কর সুন্দর। মালদ্বীপের বিলাসবহুল কোনো ভিলা, সমুদ্র সৈকত বা সাগরের উপরে তৈরী কটেজ থেকে দেখা যায় নয়নাভিরাম সূর্যাস্ত।
আকাশে গাঢ় কমলা, গোলাপী, বেগুনি আলোর খেলা চলে তখন। মহাসমুদ্রের জলরাশিতে প্রতিফলন ঘটে সেই আলোর। সৃষ্টি হয় এক অদ্ভুত সৌন্দর্য।
তানাহ লট টেম্পল, বালি, ইন্দোনেশিয়া
ভারত মহাসাগরের বুকে বড় এক টুকরো পাথর রয়েছে, যা কিনা প্রবাল দিয়ে গড়া। স্থলের সাথে ছোট্ট একটা সেতু দ্বারা সংযুক্ত জায়গাটি। জোয়ার এলে মনে হয় জলস্রোতে পাথরটি সমুদ্রে ভাসছে, তীব্র স্রোতের তোড়ে এক্ষুণি ভেসে চলে যাবে সাগরের আরেক প্রান্তে কিংবা অতল তলে। জায়গাটি ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের অদূরে অবস্থিত তানাহ লট। তানাহ লটে আছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অতি পবিত্র এক মন্দির, যার নাম তানাহ লট মন্দির। এই মন্দিরের চূড়ার ওপারে সূর্যের অস্ত যাওয়ার দৃশ্য দর্শনে মনে রোমাঞ্চ জাগে। সূর্যাস্তের সে সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশের নয়, তা দেখার, তা অনুভবের।
ফাইফার বিচ, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূল প্রসারিত হয়ে সান্তা লুসিয়া পর্তবমালা থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত অংশটি পরিণত হয়েছে একটা রুক্ষ, পাথুরে জায়গায়। এই অংশে অবস্থিত বেশ কিছু সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সর্বাধিক বিখ্যাত হচ্ছে ফাইফার বিচ। পাহাড়ি বন্ধুর আঁকাবাঁকা পথ ধরে আপনি যদি সাহস করে ফাইফার বিচে যেতে পারেন, তাহলে দেখতে পাবেন প্রকৃতি কীভাবে তার অপার সৌন্দর্যকে লুকিয়ে রেখেছে সেই রুক্ষতার আড়ালে। ফাইফার বিচের দুনিয়াজোড়া খ্যাতি এর গোলাপী বালির সৈকতের কারণে। তবে এই বিচের প্রধান আকর্ষণ এর চাবির ফুটোর মতো ফুটোওয়ালা একটি পাথরখণ্ড। নিচে প্রশান্ত মহাসাগরের নোনা জলরাশি আর উপরে পাথরের গায়ে আঁকা প্রাকৃতিক ধনুকের সমন্বয়ে তৈরি সেই ফাঁক দিয়ে সৈকতে এসে পড়ে দিনশেষের সূর্যরশ্মি। এটি যেন প্রাকৃতিক স্টোনহেঞ্জ!
গ্রেট পিরামিড, মিশর
বর্তমান মিশরের গিজা উপত্যকায় অবস্থিত বৃহদাকার তিনটি পিরামিড পৃথিবীতে মানুষের তৈরি অন্যতম বৃহৎ কাঠামো। পিরামিড কমপ্লেক্সটি গ্রেট পিরামিড বা ফারাও খুফুর পিরামডি নামে পরিচিত। মরুভূমির দিগন্তবিস্তৃত ধূসর বালুকাময় প্রান্তরকে রৌদ্রদগ্ধ করে দিনের শেষে ক্লান্ত সূর্য যেন এলিয়ে পড়ে পিরামিডের সুউচ্চ চূড়ায়। রহস্যময় পিরামিড তখন হয়ে ওঠে আরও রহস্যময়। প্রাচীন এই সপ্তাশ্চর্য দিনের শেষ সূর্যালোকে ভাস্বর হয়ে যেন জানান দেয় চার হাজার বছর ধরে তার গৌরবময় অস্তিত্বের কথা।
বোরা বোরা, তাহিতি
সাদা বালির সৈকতে ঘেরা ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত বোরা বোরায় বিলাসবহুল রিসোর্ট, ডাইভিং, সামুদ্রিক জীবনকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ, সমুদ্র সৈকত, চমৎকার খাবারদাবার- এসব কিছুর সাথে আছে হৃদয়কাড়া সূর্যাস্তও। সূর্যাস্তে বোরা বোরার আকাশ-সমুদ্র দুটোই সজ্জিত হয় বিচিত্র আলোয়।
তাজমহল,ভারত
চন্দ্রবিধৌত রজনীতে তাজমহল যে অনিন্দ্যসুন্দর রুপ ধারণ করে, সেজন্যই তার জগতজোড়া খ্যাতি। কিন্তু শ্বেতমর্মর পাথরে নির্মিত এই অসাধারণ স্মৃতিস্মম্ভ সূর্যাস্তের ক্ষীয়মান আলোতেও তার সৌন্দর্য দিয়ে তৈরি করতে পারে অনবদ্য গাঁথা। সূর্যাস্তের লাল-কমলা রঙের ছটায় রঙিন হয় তাজমহল, তার প্রতিবিম্ব পড়ে সামনের প্রলম্বিত লেকে। অপূর্ব সুন্দর সে দৃশ্য কখনো ভোলার নয়।
গ্রান্ডার্ফজর্ডার, আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডের এই ছোট্ট শহরের একপাশে রয়েছে বরফঢাকা পর্বতমালা, অন্যদিকে রয়েছে লাভার প্রান্তর। ভীষণ ঠাণ্ডা আবহাওয়ার এই দ্বীপে বরফাবৃত পর্বতের চূড়া আর পাদদেশে বরফের স্ফটিকে অস্তগামী সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে চোখধাঁধানো সৌন্দর্যের অবতারণা করে।
সান্তামনিকা পিয়ার, লস এঞ্জেলেস, যুক্তরাষ্ট্র
ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত শহর লস এঞ্জেলেসে অবস্থিত সান্তামনিকা পিয়ার সূর্যাস্ত দেখার এক আদর্শ স্থান। সূর্যাস্তের সময় আড়ম্বরপূর্ণ প্রবেশপথ পেরিয়ে সমুদ্র সৈকতে আসলে নীল রঙের আকাশে চোখে পড়ে কমলা-লাল মেঘের আনাগোনা, যা প্রতিফলিত হয় প্রশান্ত মহাসাগরের শান্ত জলরাশিতে।
আর পাশের প্যাসিফিক পার্কে আলো ঝলমলে ফেরিস হুইল বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করে পিয়ারে।
কুয়াকাটা, বাংলাদেশ
বাংলাদেশের সূর্যাস্ত দর্শনের শ্রেষ্ঠ স্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। পটুয়াখালী জেলা থেকে ৭০ কি.মি. দূরে অবস্থিত দেশের এই সাগর সৈকতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটিই দেখা যায়। সূর্যাস্তের সময় পশ্চিম আকাশে হেলে পড়া সূর্য টুপ করে হারিয়ে যায় যেন সমুদ্রে। অস্তমান সূর্যের আলোয় দূর সাগরে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখলে বাংলার মাটি ও মানুষের সাথে গভীর বন্ধন অনুভূত হয়। সৈকতে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকা নারিকেল বিথীও সূর্যাস্তে ব্যতিক্রমী সুন্দর হয়ে চোখে লাগে ।
দেশে-বিদেশে আরও অসংখ্য স্থান আছে যেখানে সূর্যাস্ত অসম্ভব সুন্দর হয়। ফ্রেঞ্চ আল্পসের লেক এনেসি, যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফ্লোরিডা কিইজ, ইতালির ভুমধ্যসাগরীয় দ্বীপ পুগলিয়া, রিও ডি জেনিরোর ইপানেমা বিচ, সাহারা মরুভূমি, আমস্টার্ডামের খাল সহ এই তালিকায় আছে আরো অনেক স্থান। সূর্যাস্ত এমন একটি দৃশ্য, যার স্থায়ীত্ব খুব কম হলেও মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যায়। সূর্যাস্তের সৌন্দর্য বিস্ময় জাগায়, মুগ্ধ করে, ভাবায়। তাই শুধু ক্যামেরার লেন্সে বন্দী সূর্যাস্তের ছবি না দেখে, সূর্যাস্ত দেখুন নিজের চোখে।