প্রিয় কেট,
প্রিয় বন্ধুর মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বিরক্ত হয়ে উঠেছি আমি। তাহলে কি বন্ধু হিসেবে আমি ভালো নই?
সে সেই ছোটবেলা থেকেই ডিপ্রেশনে ভুগছে। আমি ব্যাপারটা খুব ভালোভাবেই বুঝি। যখন তার মন খারাপ থাকে, আমি তাকে জিজ্ঞেস করি সে কেমন আছে, তার কথাও মন দিয়ে শুনি। প্রায়ই আমি তাকে ছোটখাট উপহারও কিনে দিই।
কিন্তু এখন আমি সত্যিই অধৈর্য হয়ে উঠেছি। মনে হচ্ছে, সব সমস্যাকেই সে নিজের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ধরুন, আমার কোনো এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই প্রসঙ্গটিকেও একপর্যায়ে সে কেবল তার নিজের সম্পর্কিতই করে তুলবে। তার কাছে সর্বক্ষণ মনে হয়, কেউ কোনো একটা বাজে কাজ কেবল তাকে বিরক্ত করার জন্যই করছে।
অথচ সে কিন্তু স্বামী হিসেবে খুব ভালো একজন মানুষকে পেয়েছে। বছরে কয়েকবার তারা বিদেশে ছুটি কাটাতে যায়, বেশ অনেকদিন করে থেকে আসে। কিন্তু সে কখনোই তার এসব আনন্দময় অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে চায় না। সে কেবল তার খারাপ লাগাগুলো নিয়েই কথা বলে চলে। আমি জানি না আর কতদিন আমি বিষয়টা নিতে পারব। আমি বিরক্তির চূড়ান্ত সীমানায় পৌঁছে গিয়েছি। মাঝেমধ্যে তার সাথে আর কথাই বলতে ইচ্ছা করে না।
তার সমস্যাগুলোর অংশীদার হওয়া ছাড়াও আমার আরো অসংখ্য সমস্যা রয়েছে, যেগুলো নিয়ে আমি নিজেই ব্যক্তিজীবনে জর্জরিত। এখন এই সমস্যাটাকে আমি কীভাবে, সংবেদনশীলতার সাথে মোকাবেলা করতে পারব?
লরা, ৩১
ঠিক এভাবেই যুক্তরাজ্যভিত্তিক মেট্রো পত্রিকার মানসিক স্বাস্থ্য কলামে চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন এক নারী। তার চিঠির বিষয়বস্তু থেকেই পরিষ্কার যে, বন্ধু হিসেবে তিনি একদমই খারাপ নন। প্রিয় বন্ধুর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তিনি আসলেই অনেক সচেতন। কিন্তু নিজের জীবনেও যখন বিভিন্ন সমস্যা দানা বাঁধছে, তখন প্রিয় বন্ধুর ডিপ্রেশন তার কাছে বিরক্তিকর বলে মনে হতে শুরু করেছে। কারণ তার কাছে মনে হচ্ছে, তার প্রিয় বন্ধুটির ডিপ্রেশনের পেছনে আদতে কোনো কারণ নেই। বরং জীবনের কাছ থেকে সম্ভাব্য সকল সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য লাভ করার পরও বন্ধুটি বিষণ্ণ হয়ে থাকছে, যা ক্ষেত্রবিশেষে বিলাসিতার পরিচায়ক।
এই যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করলাম, এটি কিন্তু মোটেই হেলাফেলার কোনো বিষয় নয়। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। কারণ, ডিপ্রেশন এমন একটি মানসিক রোগ, যার নেপথ্যে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ অনেক সময়ই দৃশ্যমান না-ও হতে পারে। কিন্তু তার মানেই এই না যে, ডিপ্রেশনে ভোগা ব্যক্তিটির আসলে কোনো সমস্যা নেই। তার সমস্যার উৎস হয়তো আরো অনেক গভীরে, যার তল পাওয়া কঠিন। তবে এ কথাও ভুলে গেলে চলবে না যে, ডিপ্রেশনে ভোগা ব্যক্তিটির বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদেরও নিজস্ব একটি জীবন আছে। তাই তাদের পক্ষে সবসময় তার ডিপ্রেশনের সাথে সমঝোতা করে চলা সম্ভব হয় না।
ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সবসময় মেপে মেপে কথা বলা, সে যাতে কোনোভাবে আঘাত না পায় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা, তার মন খারাপ হলে তাকে চাঙ্গা করা, তার হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা, মনোযোগ দিয়ে তার সব কথা শোনা ও সে অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা- এগুলো কিন্তু খুবই কঠিন একটি কাজ, যা তার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিয়ত করে যেতে হয়। অর্থাৎ, ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তিটি কেবল নিজেই ভোগে না, তার ডিপ্রেশন প্রভাবিত করে তার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদেরকেও।
আমরা যদি ধরেও নিই যে, তার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকেই অনেক সমঝদার, তার ডিপ্রেশনকে তারা কখনোই খাটো করে দেখে না, যথাসাধ্য চেষ্টা করে যায় তাকে উৎফুল্ল করার জন্য, তাকে ভালো রাখার জন্য, তারপরও একটি প্রশ্ন রয়েই যায়: একজন মানুষের পক্ষে কাঁহাতক আর সহ্য করা সম্ভব?
মনে করুন, আপনি একজন ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রিয় বন্ধু। আপনি আপনার বন্ধুকে সবসময় মানসিক সমর্থন যুগিয়ে আসছেন। হঠাৎ হঠাৎ তার মনমেজাজ অনেক খারাপ হয়ে গেলেও, এবং সে আপনার সাথে মারাত্মক বাজে ব্যবহার করার পরও, আপনি তার হাত ছেড়ে দিচ্ছেন না। আপনি আপনার ধৈর্যশক্তির সর্বোচ্চটুকু নিংড়ে দিয়ে এক বছর, দুই বছর, পাঁচ বছর, দশ বছর, এমনকি বিশ বছরও হয়তো তার পাশে রয়ে গেলেন। কিন্তু এই এত সময়ের ব্যবধানেও তার ডিপ্রেশন বিন্দুমাত্র কমল না, বরং কালের প্রবাহে আরো বেড়েই চলল। এমতাবস্থায় কোনো একদিন যদি আপনার ধৈর্যচ্যুতি ঘটে, আপনি আপনার বন্ধুটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বসেন, তাহলেই কি আপনাকে একজন অসংবেদনশীল, হৃদয়হীন ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে? বলা যাবে যে, আপনি আসলে আপনার বন্ধুর ভালো চান না, তার মানসিক স্বাস্থ্যকে বুঝতে চান না?
যাবে না। কারণ আপনিও একজন মানুষ। আপনারও একটি মন আছে। দীর্ঘদিন একজন ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তির মন যুগিয়ে চলতে গিয়ে আপনার নিজের মনকে প্রচুর চাপ সহ্য করতে হয়েছে। সুতরাং, আকস্মিক একদিন সেই মন যদি বিপ্লব করে বসে, সে দায় আপনার কাঁধে চাপিয়ে দেয়া চলে না। বরং চিন্তার বিষয় এটিই যে, ডিপ্রেশনে আক্রান্ত মানুষটির সাথে দীর্ঘদিনের সঙ্গ ও সহাবস্থান হয়তো আপনাকেও মানসিকভাবে দারুণ বিপর্যস্ত করে তুলেছে, আপনারও হয়তো মানসিক স্বাস্থ্যহানি ঘটেছে। কিংবা কে জানে, এখন হয়তো আপনি নিজেও ডিপ্রেশনে ভুগতে শুরু করেছেন। আর তাই, আপনার জন্যও এখন মনোচিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।
কিন্তু, যতটা সহজেই কথাটি বলে ফেলা গেল, কার্যত বিষয়টি কিন্তু ততটা সহজ নয়। আপনি দীর্ঘকাল পরে প্রতিক্রিয়াটি না দেখিয়ে, খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেও যদি প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেন, তাতেও কিন্তু আশ্চর্যের কিছু নেই। একজন ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তির সান্নিধ্য যদি আপনাকে ক্রমাগত প্রভাবিত করতে থাকে, এবং আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকেও দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে দিতে থাকে, তবে শুরুতেই আপনি খুব বড় কোনো প্রতিক্রিয়া হয়তো দেখাবেন না, কিন্তু ছোটখাট বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আপনার দৈনন্দিন কার্যাবলি ও আচরণে প্রকাশ পেতে থাকবে।
যেভাবে বুঝবেন আপনি প্রভাবিত হতে শুরু করেছেন
- যদি ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তিটির সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময় আপনার মনে অস্বস্তি কাজ করতে থাকে, যদি আপনি অনীহা বোধ করতে থাকেন। কারণ আপনি নিশ্চিত নন যে, সেই ব্যক্তিটির মন-মেজাজ আজ কেমন থাকবে। অর্থাৎ তার অনিশ্চিত মানসিক অবস্থা আপনার জন্য একটি মর্মপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
- যদি ওই ব্যক্তিটির সাথে কিছুক্ষণ কাটানোর পরই আপনার ধৈর্যচ্যুতি ঘটে, আপনার মনে হয় যে আপনি যথেষ্ট চেষ্টা করে ফেলেছেন, তারপরও ব্যক্তিটি স্বাভাবিক হতে পারছে না।
- যদি আপনার মোবাইল ফোনে ওই ব্যক্তির কল আসলে আপনি অস্বস্তিবোধ করতে থাকেন, এবং প্রথমবারেই তার কলটি ধরতে ব্যর্থ হন। কারণ আপনি হুট করেই তার সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নন।
- যদি ওই ব্যক্তির সাথে কাটানো সময় আপনি উপভোগ করতে না পারেন, বরং আপনার মনে বিভিন্ন নেতিবাচক চিন্তা ঘোরাফেরা করতে থাকে। যেমন: তার মানসিক দূরবস্থার জন্য আপনি নিজেকেই দায়ী করতে থাকেন, কিংবা কেন আপনি তার মন ভালো করে দিতে পারছেন না তা নিয়ে অনুতপ্ত থাকেন।
- যদি সারাদিন খুব ভালো সময় কাটিয়ে, ঐ ব্যক্তির কাছে আসামাত্রই আপনার মনে একধরনের অপরাধবোধ তৈরি হয় যে, সে তো সারাটা দিন খুব বাজেভাবে কাটিয়েছে। তাছাড়া আপনার ভালোলাগার অভিজ্ঞতাগুলো বলার আগেও আপনি বারবার ভাবতে থাকেন, এগুলো শুনে তার যদি আরো বেশি খারাপ লাগে।
- যদি আপনার মনে সারাক্ষণ একটি আশঙ্কা খেলা করতে থাকে যে, হয়তো ঐ ব্যক্তিটি আত্মহত্যা করে বসবে, কিংবা তার অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে, আর তখন সবাই আপনাকেই দোষী সাব্যস্ত করবে।
- যদি ঐ ব্যক্তির থেকে দূরে থাকার জন্য, কিংবা তার নেতিবাচক আচরণ থেকে মুক্তির জন্য আপনি মাদকদ্রব্যের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন, কিংবা নিজেকে অন্যদিকে ব্যস্ত রাখার জন্য আপনার দৈনন্দিন রুটিনের বাইরে গিয়ে বিভিন্ন কাজ করতে শুরু করেন, ঘরের চেয়ে বাইরে সময় কাটাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন (যদি ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তিটি আপনার পরিবারের সদস্য হয়)।
- যদি আপনার মাঝেমাঝে মনে হয়, ঐ ব্যক্তিটির সাথে না কাটিয়ে, আপনি যদি মানসিকভাবে সুস্থ-স্বাভাবিক কারো সাথে সময় কাটাতে পারতেন।
- যদি আপনার নিজেকে পশ্চাদপদ, বিচ্ছিন্ন বলে মনে হতে থাকে, এবং মনে মনে এজন্য আপনি ঐ ব্যক্তিকেই দায়ী করেন।
করণীয়
যদি ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তির সান্নিধ্যে এসে আপনি উপরোক্ত এক বা একাধিক অনুভূতি লাভ করে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার উপর নেতিবাচক প্রভাব কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে, প্রথমেই আপনার উচিত হবে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তিটির সাথে খোলাখুলি কথা বলা। তাকে এ কথাটি ভালো করে বুঝিয়ে বলা যে, সে আপনার কাছে ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এবং সে ভালো না থাকলে আপনার পক্ষেও ভালো থাকা সম্ভব না। কিন্তু মনে রাখবেন, এমনভাবে কথাগুলো বলতে হবে যেন তার মনে আঘাত না লাগে। কারণ, সেক্ষেত্রে তার অবস্থার কোনো উন্নতি তো হবেই না, বরং সে আরো বেশি ডিপ্রেসড হয়ে যাবে। আর এতেও যদি কাজ না হয়, তাহলে আপনার উচিত হবে তাকে নিয়ে কোনো মনোচিকিৎসকের কাছে যাওয়া। আপনারা দুজনেই একসাথে কাউন্সেলিং নিতে পারেন, কিংবা পৃথক পৃথকভাবে দুজনেরই ডায়াগনোসিস করাতে পারেন।
এদিকে, যদি এমনটা হয় যে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তিটি আপনি নিজেই, এবং এই ডিপ্রেশন আপনার কাছের মানুষদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে, তাহলে আজকের এই লেখাটি পড়ার পর নতুন করে ভেবে দেখুন: আসলেই কি আপনাকে কেউ বোঝে না, নাকি আপনিই আপনার জন্য করা অন্যদের ত্যাগগুলোকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারছেন না? এমনটা ঘটছে না তো যে আপনার ডিপ্রেশনের কারণে আপনার কাছের মানুষগুলোর স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ব্যাহত হচ্ছে?
যদি ভেবেচিন্তে আপনার কাছে মনে হয় যে চাইলে আপনার পক্ষে আরো একটু সংবেদনশীল হওয়া সম্ভব, সবসময় কেবল নিজের কথাই চিন্তা না করে আপনার কাছের মানুষদের কথাটা চিন্তা করেও খানিকটা আপোষ করা যেতে পারে, তাহলে তা করুন। কিন্তু আপনার যদি এমনটা মনে হয় যে, আপনার কারণে আপনার কাছের মানুষরা প্রভাবিত হচ্ছে বটে, কিন্তু নিজের উপর আপনার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, তাহলে আপনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে আপনার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে মনোচিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন। কেননা, আপনার প্রিয় মানুষটিও যদি ভালো না থাকে, তাহলে তো আপনার নিজের পক্ষেও সুস্থ হওয়ার রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে, তাই না?
শেষ কথা
আজকাল আমাদের অনেকের মাঝেই একটি খুব বাজে প্রবণতা দেখা দিয়েছে যে, কেউ ডিপ্রেশনে ভুগলে, আমরা সেটিকে আমলে না নিয়ে, মজা করে বলি, সে হয়তো “অ্যাটেনশন সিক” করছে। কিংবা এমন অনেকেও আছে যাদের কাছে নিজেকে ডিপ্রেসড হিসেবে জাহির করা হাল আমলের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দুই চর্চার কোনোটিই কিন্তু কাম্য নয়। ডিপ্রেশনকে সাধারণ কোনো মন খারাপ ভাবলে ভুল হবে। এটি এমন একটি মানসিক রোগ, যা একজন মানুষকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়, এমনকি একপর্যায়ে তার প্রাণ কেড়ে নিতেও সক্ষম। তাই ডিপ্রেশনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কেউ ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হলে কাছের মানুষদেরকে তার পাশে দাঁড়াতে হবে, তাকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে হবে। অন্যদিকে, ডিপ্রেশনে আক্রান্ত মানুষটিকেও কেবল আত্মচিন্তা বাদ দিয়ে, নিজের কাছের মানুষদের কথা ভাবতে হবে। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে, “আমার কারণে আমার প্রিয়জনদের জীবনও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে না তো?”
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/