প্রায় সব সংস্কৃতিতেই মাতৃত্বকে বিবেচনা করা হয় একজন নারীর জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার হিসেবে। ভাবা হয়, মাতৃত্বই নাকি একজন নারীর জীবনে পরিপূর্ণতা বয়ে আনে। তাই তো মাতৃত্বের আগমন বার্তা শোনার পর থেকেই একজন হবু মা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে যায়। আর শেষমেষ যখন সেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়, তখন তার আনন্দের সীমা থাকে না।
তবে অতি স্বাভাবিক এই চিত্রের বিপরীত চিত্রও কিন্তু রয়েছে। সাত রাজার ধন হাতে পেয়েছে বলেই যে একজন নারী সারাক্ষণ সুখের সপ্তম স্বর্গে বাস করবে, তার জীবনে দুঃখ বলে আর কোনো শব্দের অস্তিত্বই থাকবে না, এমন ভাবাটা নিতান্তই ভুল। কখনো কখনো মাতৃত্বের আনন্দ বিষাদেও পরিণত হতে পারে।
শুনতে হয়তো অবাক লাগছে, তবে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি মায়ের ক্ষেত্রেই অন্তত এক-দুইবার এমন পরিস্থিতি হয়েছে। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে একজন নারীকে আট-নয় মাস বা তারও বেশি সময় ধরে যে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট সহ্য করতে হয়, তার একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো থাকবেই। তাই সন্তান প্রসবের দু’-তিনদিন পর থেকেই অনেক মায়ের ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন, কান্না কান্না ভাব, উদ্বেগ, রাতে ভালো ঘুম না হওয়া প্রভৃতি সমস্যা হতে শুরু করে।
সাধারণত দু’ সপ্তাহ পর্যন্ত একজন নতুন মাকে এসব সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তবে সবার ক্ষেত্রেই তো আর সমস্যার ধরন এক হয় না। কোনো কোনো নতুন মায়ের ক্ষেত্রে এসব সমস্যা আরো দীর্ঘমেয়াদী হয়, এবং সমস্যার মাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি হয়। এভাবে একজন নতুন মায়ের বিষণ্ণতা যখন চরম মাত্রায় পৌঁছায়, তখন সেটিকে পোস্টপার্টাম বা পোস্টন্যাটাল ডিপ্রেশন হিসেবে অভিহিত করা হয়।
বিষণ্ণতায় ঘাবড়াবার কিছু নেই
সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে একজন নারীকে প্রচুর শারীরিক ও মানসিক কষ্ট সহ্য করতে হয়। ফলে সন্তান জন্মদানের অব্যবহিত পরে তার মন স্বাভাবিকের চেয়েও কোমল ও স্পর্শকাতর থাকে। আর ঠিক সেই সময়টাতেই তার উপর বিষণ্ণতা ভর করে। এতে অনেক নতুন মা-ই ঘাবড়ে যায়। নিজের উপর অহেতুক সন্দেহ করতে থাকে সে,
“আমার সমস্যাটা কী! সন্তান হয়েছে বলে আমার তেমন আনন্দ হচ্ছে না কেন! আমি কি তবে ভালো মা হতে পারব না!”
যেসব নতুন মা এসব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। মাতৃত্বকালীন বিষণ্ণতা মোটেই কোনো চারিত্রিক ত্রুটি বা দুর্বলতা নয়। ন’মাস ধরে এত কষ্ট, এত শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করার পর, কিছুদিন যদি আপনি মানসিকভাবে দুর্বল বোধ করেন, তাতে দোষের কিছুই নেই। বরং যদি বুঝতে পারেন যে আপনার মধ্যে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের লক্ষণ দেখা দিয়েছে, তাহলে দেরি না করে সেটির চিকিৎসা নিয়ে নিলেই দ্রুততম সময়ে আপনি আবার স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারবেন, সন্তানের সাথে চমৎকার বন্ধনও গড়ে তুলতে পারবেন।
সাধারণ বিষণ্ণতার লক্ষণ
সন্তান জন্ম দেয়ার দু’-তিনদিন পর থেকে সর্বোচ্চ দু’ সপ্তাহ পর্যন্ত যেকোনো নতুন মা-ই বিষণ্ণ বোধ করতে পারে। এটি নিতান্তই সাধারণ বিষণ্ণতা, যাকে ‘বেবি ব্লুজ’ বলা হয়ে থাকে। ব্যক্তিভেদে এসব বিষণ্ণতার স্বরূপ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে স্বাভাবিকভাবে একজন নতুন মা নিম্নোক্ত সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয়ে থাকেন,
- ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন
- উদ্বেগ
- দুঃখবোধ
- খিটখিটে মেজাজ
- সহজেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়া
- কান্নাকাটি করা
- কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে না পারা
- খাবারে স্বাদ না পাওয়া
- ঘুমাতে সমস্যা হওয়া।
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের লক্ষণ
শুরুতে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনকে অনেকেই সাধারণ বিষণ্ণতা বা বেবি ব্লুজ বলে ভুল করতে পারেন। কিন্তু পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের উপসর্গগুলোর তীব্রতা আরো অনেক বেশি, এবং এগুলো আরো বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়। পরবর্তীতে অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, নবজাতক শিশুকে সামলানো কিংবা ঘরের টুকিটাকি যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই তাকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের লক্ষণগুলো সন্তান জন্মদানের প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেখা দেয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে আরো আগে, যেমন গর্ভাবস্থাতেই, আবার অনেকের ক্ষেত্রে অনেক পরে, যেমন সন্তান জন্মদানের বছরখানের পরেও, এসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দেয়-
- মন সবসময়ই বিষণ্ণ থাকা
- মেজাজ অনেক তাড়াতাড়ি পরিবর্তিত হতে থাকা
- বাচ্চার সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলতে সমস্যা হওয়া
- স্বাদহীনতার কারণে একেবারেই খেতে না পারা
- স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বেশি খেয়ে ফেলা
- একেবারেই ঘুমাতে না পারা (ইনসমনিয়া)
- অনেক বেশি বেশি ঘুমানো
- যেকোনো বিষয়ে অনেক বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়া
- কোনো বিষয়ে একদমই আগ্রহ অনুভব না করা
- আগে যেসব কাজ উপভোগ্য ছিল, সেগুলোও ভালো না লাগা
- মেজাজ খিটখিটে থাকা এবং অল্পতেই রেগে যাওয়া
- “আমি ভালো মা নই” জাতীয় অনুভূতি হওয়া
- হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়া
- নিজেকে নিয়ে লজ্জিত, বিব্রত বোধ করা এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা
- কোনো বিষয়ে পরিষ্কারভাবে চিন্তা করতে না পারা
- কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে না পারা
- যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে দোলাচলে ভোগা
- সবসময় অস্থির অনুভব করা
- প্রচণ্ড উদ্বেগ অনুভব করা, প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হওয়া
- নিজের কিংবা সন্তানের ক্ষতি করার চিন্তা করা
- বারবার মৃত্যু কিংবা আত্মহত্যার কথা ভাবা।
পোস্টপার্টাম সাইকোসিস
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন অনেকের ক্ষেত্রে আরো বিরল একটি মুড ডিজঅর্ডার, পোস্টপার্টাম সাইকোসিসেও রূপান্তরিত হতে পারে। খুবই চরম মাত্রার একটি মানসিক সমস্যা এটি। এক্ষেত্রে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়-
- সবসময় বিভ্রান্ত থাকা, কাউকে সহজে চিনতে না পারা
- সন্তানের ব্যাপারে অবসেশনে ভুগতে থাকা
- সম্মোহিত কিংবা ভ্রমের মধ্যে থাকা
- ঘুমের চরম ব্যাঘাত হওয়া
- মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক শক্তি অনুভভ করা এবং উত্তেজিত থাকা
- প্যারানয়া বা মস্তিষ্কবিকৃতির শিকার হওয়া
- বারবার নিজের বা সন্তানের ক্ষতি করতে উদ্যত হওয়া।
পোস্টপার্টাম সাইকোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তি বারবার মৃত্যুচিন্তা করতে থাকে, নিজের আচার-আচরণেও সেগুলো প্রকাশ পায়, এবং যথাসময়ে চিকিৎসা না করা হলে তার জীবন সত্যি সত্যিই হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে?
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা পোস্টপার্টাম সাইকোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে লক্ষণ বা উপসর্গগুলো কমবেশি দেখা যাবে। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই এই সমস্যাগুলো সবসময় বোঝা না-ও যেতে পারে। তাই অনেকেই বিভ্রান্তিতে ভুগতে পারেন যে কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া আবশ্যক। এক্ষেত্রে, একজন নতুন মায়ের সাথে নিম্নোক্ত পাঁচটি ব্যাপার ঘটলে অনতিবিলম্বে তাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে-
- যদি বিষণ্ণতা দু’ সপ্তাহের মাঝে দূর না হয়
- যদি অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে
- যদি সন্তানের যত্ন নেয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে
- যদি প্রতিদিনের কাজকর্ম সম্পন্ন করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে
- যদি নিজের ও সন্তানের ক্ষতির চিন্তা বারবার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভুগতে পারে নতুন বাবারাও
এতক্ষণ তো কেবল নতুন মাদের নিয়েই কথা বললাম। কিন্তু পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের অভিজ্ঞতা হতে পারে নতুন বাবাদেরও। তারাও দুঃখবোধ করতে পারে, হঠাৎ হঠাৎ বিষণ্ণবোধ করতে পারে, উদ্বিগ্ন হতে পারে, অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে যেতে পারে, কিংবা তাদের সাধারণ খাওয়া ও ঘুমের নিয়মে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
যেসব নতুন বাবার বয়স কম, ইতিপূর্বে বিষণ্ণতার ইতিহাস রয়েছে, সম্পর্কে ঝামেলা হয়েছে, অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তাদের পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। বাবাদের পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনকে বলা হয়ে থাকে প্যাটার্নাল পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন। এটি সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এবং সন্তানের স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আপনি যদি একজন নতুন বাবা হন, এবং স্ত্রীর গর্ভাবস্থায় কিংবা সন্তান জন্মের প্রথম বছরের মধ্যে বিষণ্ণতা বা উদ্বিগ্নতার শিকার হন, তাহলে আপনার উচিত হবে, দেরি না করে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। তাছাড়া নতুন মায়েদের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে, নতুন বাবাদের ক্ষেত্রেও সেই একই বিষয়গুলো প্রযোজ্য।
কেন হয় পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন?
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের পেছনে কোনো একক কারণকে দায়ী করা সম্ভব নয়। তবে কিছু শারীরিক ও মানসিক ইস্যু এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।
শারীরিক পরিবর্তন: সন্তানের জন্মের পর শরীরে বিশেষ কিছু হরমোনের (যেমন এস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন) ঘাটতি দেখা দেয়, যা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন ঘটাতে পারে। এছাড়া থাইরয়েড গ্ল্যান্ডে উৎপাদিত আরো কিছু হরমোনের পরিমাণও কমে যেতে পারে, যার ফলে দুর্বল, অলস ও বিষণ্ণ অনুভূত হতে পারে।
মানসিক কারণ: যদি কারো ঘুমের সমস্যা হয় এবং সবসময় উত্তেজিত থাকে, তাহলে অনেক ছোটখাটো সমস্যা মোকাবেলা করতেও তার সমস্যা হতে পারে। অনেক নতুন মা-ই নিজের নবজাতক সন্তানের যত্ন নেয়ার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন থাকে। আবার সন্তান জন্মানোর পর সকল মনোযোগ ওই সন্তানকেই দিতে হয় বলে, অনেকেই আত্মপরিচয়হীনতায় ভুগতে পারে, নিজেকে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে হতে পারে, কিংবা নিজের জীবনের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে যেকোনো কারণেও পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে।
রিস্ক ফ্যাক্টর
অন্য যেকোনো মানসিক সমস্যার মতো, পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনেরও কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর রয়েছে, অর্থাৎ কিছু বিশেষ কারণে এটি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে-
- যদি অতীতে বিষণ্ণতার ইতিহাস থাকে
- যদি বাইপোলার ডিজঅর্ডার থাকে
- পূর্বের কোনো গর্ভাবস্থায়ও যদি পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন হয়ে থাকে
- পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের মধ্যেও যদি বিষণ্ণতা বা অন্য কোনো মানসিক সমস্যা থেকে থাকে
- যদি পূর্ববর্তী বছরে মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটে, যেমন গর্ভকালীন জটিলতা, শারীরিক অসুস্থতা, চাকরি হারানো, সঙ্গীর সাথে মনোমালিন্য
- যদি সন্তান পুরোপুরি সুস্থভাবে না জন্মায়, অর্থাৎ তার মধ্যে কোনো শারীরিক জটিলতা থাকে
- যদি যমজ সন্তান হয়
- যদি বুকের দুধ খাওয়াতে সমস্যা হয়
- যদি অর্থনৈতিক সমস্যা চলতে থাকে
- গর্ভধারণটি যদি অনাকাঙ্ক্ষিত বা অপরিকল্পিত হয়।
প্রতিরোধের উপায়
মানসিক সমস্যাগুলো কখনো বলে-কয়ে আসে না। তারপরও যদি কোনো নতুন মা বা সন্তান-সম্ভবা নারী বিষণ্নতার শিকার হয়, তবে তার উচিত হবে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেয়া। পূর্ববর্তী বিষণ্ণতার ইতিহাস থেকে থাকলে, গর্ভধারণের আগেই এ বিষয়ে চিকিৎসকের সাথে কথা বলে নিলেও ভালো হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসক হয়তো একটি পূর্ণাঙ্গ ডিপ্রেশন স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করবেন, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেবেন, কিংবা প্রয়োজনবোধে কোনো সাপোর্ট গ্রুপ বা কাউন্সেলরের কাছে যেতে বলবেন।
যাদের বিষণ্ণতার ইতিহাস আছে, সন্তান জন্মদানের পরপরই তাদের উচিত হবে, আবারো চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ভালোভাবে নিজের মানসিক চেক-আপ করিয়ে আসা। যদি তখনই কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ ধরা পড়ে, তাহলে আগেভাগেই চিকিৎসা শুরু করে দেয়া যাবে, এবং নতুন মা ও সন্তান কারো উপর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আগেই সমস্যাটিকে দূর করে ফেলা সম্ভব হবে।
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/