কালিক সীমায় রোমান সাম্রাজ্যের ব্যপ্তি দুই হাজার বছর। সেই খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতক থেকে শুরু হওয়া রোমান সভ্যতা সিজারদের সময় পৌছায় পরাক্রমের শীর্ষে তারপর কালক্রমে বহু ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বিলীন হয়ে যায় পঞ্চদশ শতকে। অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওফাতের পরও রোমান সাম্রাজ্য টিকেছিলো প্রায় আটশ বছর। এই সুদীর্ঘ সময়ে কী ঘটেছিল রোমান সাম্রাজ্যে? কারাই বা ছিল বাইজান্টাইন? কিংবা মূর্তি উপাসক রোমানরা কীভাবে দীক্ষিত হলো খ্রিস্ট ধর্মে? সেই সব বিচ্ছিন্ন বিন্দু মেলানোর চেষ্টা করা হয়েছে এই ফিচারটিতে।
রোমান কাদের বলা হত?
রোমানদের উৎপত্তি মূলত ইতালিতে। সাম্রাজ্যের রাজধানী রোমের নামানুসারে তাদের নামকরণ করা হয়েছে রোমান। শহর হিসাবে রোমের বিকাশের সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী। টাইবার নদীর তীরে অবস্থিত রোম শহর চারদিকে সাতটি পাহাড় দিয়ে বেষ্টিত। শুরুতে রোমান সাম্রাজ্যের স্থানিক সীমা শুধু বর্তমান ইতালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে দু’শ বছর পর থেকে সাম্রাজ্যের সীমানা ইতালির বাইরেও প্রসারিত হতে থাকে। সেই সময়ে ইতালির বিভিন্ন অংশে বাস করত অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন গোত্রের মানুষ। তাই রোমান সাম্রাজ্যকে কোনো একটি বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর সাম্রাজ্য না বলাই ভাল।
শুরুতে রোমান সভ্যতা ছিল অনেকগুলো নগর রাষ্ট্রের সমষ্টি বা অনেকটা কনফেডারেশন, যার নাম রোমান রিপাবলিক ছিল। সিনেটর বা প্রতিনিধিদের পরামর্শে চলত রোমের শাসন। সেই যুগকে বলা হয় রোমের রিপাবলিকান অর্থাৎ প্রজাতন্ত্রের যুগ। অবশ্য কালক্রমে রোম প্রজাতন্ত্র রূপ নিল রাজতন্ত্রে। রোমে প্রজাতন্ত্রের স্থায়িত্বকাল ছিল প্রায় পাঁচশ বছর, আর রাজতন্ত্র বিরাজমান ছিল পরবর্তী পনেরশ বছর। সব মিলিয়ে এই দুই সহস্রাব্দে মানব ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান জুড়ে ছিল রোমান সাম্রাজ্য, যার ফলাফল এই আধুনিক যুগে এখনও রয়ে গেছে।
ক্রমবিকাশ ও ব্যাপ্তি
বর্তমান ইতালিতে উৎপত্তি লাভ করে রোমান রিপাবলিকের ব্যপ্তি কালক্রমে ভূমধ্যসাগরের ওপারে উত্তর আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমান সময়ের মরক্কো ও আলেজিয়ার উত্তর উপকূল রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। শত শত যুদ্ধ বিগ্রহ, অভ্যুত্থান, পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধির দিকে ক্রমে এগিয়ে যেতে থাকে রোমান রিপাবলিক। তবে যুগে যুগে ডিক্টেটরদের আবির্ভাব ঘটতে থাকে প্রজাতন্ত্রে। যদিও জুলিয়াস সিজারের জন্ম রোমান রিপাবলিক জামানায়, তিনি রোমের অত্যন্ত পরাক্রমশালী ডিক্টেটর হিসাবে আবির্ভূত হন। তিনি সমৃদ্ধশালী মিশর জয় করেন আর মিশরের রানী ক্লিওপেট্রার সাথে তার প্রণয়ের কাহিনী তো সর্বজনবিদিত। তার সময়ে রোমানরা পরিণত হয়েছিল মেডিটেরিয়ান তথা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের একচ্ছত্র অধিপতিতে।
জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর পর তার পালক পুত্র অগাস্টাস সিজার রোমের সিংহাসনে বসেন। তিনি রিপাবলিকানপন্থীদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করেন রোম প্রজাতন্ত্রের চিরতরে বিলুপ্তি ঘোষণা করেন এবং প্রতিষ্ঠা করেন রোমান সাম্রাজ্যের। তাই বলা হয় রোমান সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট ছিলেন অগাস্টাস সিজার। অগাস্টাস সিজার নিজের নামানুসারেই তার জন্মমাস আগস্টের নামকরণ করেছিলেন। উল্লেখ্য তার পালক পিতার জুলিয়াস সিজার নিজের নামে নামকরণ করেছিলেন নিজের জন্মমাস জুলাইয়ের নাম।
শুধু তা-ই নয়, ফেব্রুয়ারী মাস ২৮ দিনে হওয়ার পেছনের কাহিনীটাও সিজারদের সাথে জড়িয়ে আছে। জুলাই মাস ছিল ৩১ দিনে, কিন্তু আগস্ট ছিল ৩০ দিনের। যেহেতু অগাস্টাস জুলিয়াসের চেয়ে কোনো অংশেই কম নন, তিনি ফেব্রুয়ারী মাস থেকে একদিন কেটে আগস্টের সাথে অতিরিক্ত একদিন যোগ করে সেটা ৩১ দিনের বানালেন! রাজায় রাজায় মানরক্ষার যুদ্ধে ক্রসফায়ারে পড়ে বেচারা ফেব্রুয়ারী এখন ২৮ দিনের মাস!
রোমানদের ধর্ম
রোমানরা প্রাথমিক যুগে অর্থাৎ প্রথম আটশ বছর ছিল প্যাগান অর্থাৎ পৌত্তলিক। রোমানদের প্রধান দেবতার নাম ছিল জুপিটার। এদিকে ফিলিস্তিনে যীশু খ্রিস্টের জন্মের সময় রোমের ক্ষমতায় ছিলেন অগাস্টাস সিজার। ভৌগলিকভাবে মিশরের অদূরে ফিলিস্তিনের অবস্থান। তাই ঐতিহাসিকভাবে মিশর ও ফিলিস্তিন একই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল ইতিহাসের অধিকাংশ সময়।
শুরুতে খ্রিস্টধর্মের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসাবে আবির্ভূত হয় রোম। কেননা যীশু খ্রিস্টের একত্ববাদের শিক্ষা ছিল রোমান বহু ঈশ্বরবাদের সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। এছাড়া তাঁর প্রচারিত সাম্য ও ইনসাফের শিক্ষা ভোগবাদে বিশ্বাসী অত্যাচারী রোমান সাম্রাজ্যের মসনদ কাঁপিয়ে দিয়েছিল। তাই প্রাথমিক যুগের খ্রিস্টানদের উপর অমানুষিক অত্যাচার করতে থাকে রোমানরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হতে থাকে যীশু খ্রিস্টের প্রচারিত ধর্ম।
এক সময়ে সর্বস্তরে এমনকি উচ্চ পর্যায়েও খ্রিস্টধর্ম প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। এরকম পরিস্থিতিতে খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকের শুরুর দিকে রোমান সম্রাট কন্সটানটাইন নিজে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন এবং তিনিই প্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে খ্রিস্টধর্মের প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শনে নির্দেশ জারি করেন। তবে খ্রিস্টধর্মকে রোমের একমাত্র বৈধ রাজধর্মের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল আরও ৭০ বছর পরে সম্রাট থিওডোসিয়াসের সময়। পরবর্তী এক হাজার বছর খ্রিস্টধর্মের রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এই রোমানরাই। রোম হয়ে ওঠে খ্রিস্টধর্মের সমার্থক! আজও ভ্যাটিকান চার্চের অবস্থানও কিন্তু রোমের ভেতরেই এবং অধিকাংশ খ্রিস্টানই রোমান ক্যাথলিক।
ইস্টার্ণ ও ওয়েস্টার্ণ রোমান এম্পায়ার
খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতকে রোমান সাম্রাজ্যের ব্যাপ্তি বিশাল আকার ধারণ করে। তাই ২৮৫ খ্রিস্টাব্দে শাসনকার্যে সুবিধার জন্য রোমান সম্রাট ডায়োক্লেটিয়ান সাম্রাজ্যকে ইস্টার্ণ ও ওয়েস্টার্ণ এম্পায়ারে বিভক্ত করেন। ওয়েস্টার্ণ এম্পায়ারের রাজধানী প্রাচীন রোমেই বহাল রাখা হয়। আর ইস্টার্ণ জোনের রাজধানী ঘোষণা করা হয় বর্তমান তুরস্কের বাইজান্টিয়ামে। তাই নব্য প্রতিষ্ঠিত ইস্টার্ণ এম্পায়ারটি রাজধানীর নামানুসারে বাইজানটাইন এম্পায়ার নামে পরিচিতি লাভ করে।
তবে পুরাতন শহর বাইজন্টিয়ামের অদূরেই আরেকটি অধিক সুরক্ষিত প্রশাসনিক নগর স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সম্রাট কন্সটানটাইন ৩৩০ খ্রিস্টাব্দে কন্সটানটিনোপল শহরের গোড়াপত্তন করেন। এদিকে বিভক্ত হওয়ার দুই শতাব্দীর মধ্যেই মধ্যে ওয়েস্টার্ণ রোমান এম্পায়ার হান, গথ ও ভ্যান্ডালদের মুহুর্মুহু আক্রমণের শিকার হয়ে ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকে। রোমানদের কাছে এরা পরিচিত ছিল দ্যা বার্বারিয়ান নামে। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বর্বর শব্দটি রোমান থেকে আগত ইংরেজি শব্দ বার্বারিয়ানেরই বাংলা সংস্করণ।
বার্বারিয়ানদের লুটতরাজের মুখে বিলীন হতে থাকে রোমের শান শওকত। অবশেষে ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে বিলুপ্ত হয়ে যায় ওয়েস্টার্ণ রোমান এম্পায়ার। তখন থেকেই রোমান সাম্রাজ্য বলতে বোঝাত শুধু বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যকে, যার রাজধানী ছিল কন্সটানটিনোপলে। অর্থাৎ রোমের অধিবাসী না হয়েও রোমান সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হওয়ায় বাইজান্টাইনরা রোমান হিসাবে পরিচিত ছিল। বাইজান্টাইন এম্পায়ার খুব অল্প সময়ের মধ্যে সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছে গেল। রাজ্য বিস্তার নিয়ে তাদের ঘোর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল তখনকার পারস্য সাম্রাজ্য। ইসলাম আগমনের আগে প্রায় দুই শতাব্দী একে অপরের সাথে তুমুল যুদ্ধে লিপ্ত ছিল বাইজান্টাইন রোমান ও পারসিয়ানরা।
ইসলামের উত্থান ও রোমানদের পতন
ইসলামের উত্থানের যুগে মিশর দখল নিয়ে রোমান ও পার্সিয়ানদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা চলছিল। আরবের শুকনো অনুর্বর মরুভূমির প্রতি রোমান বা পারসিয়ান কারোরই কখনও বিশেষ আগ্রহ ছিলনা। তাই ইসলামের প্রাথমিক উত্থান পর্বে মুসলামানদের খুব একটা আমলে নেয়নি পারসিয়ান বা রোমানরা। তবে মক্কা বিজয়ের এক বছর আগে মুসলমানদের সাথে প্রথম যুদ্ধ বাঁধে রোমানদের। সে সময় রোমান সম্রাট ছিলেন হেরাক্লিয়াস। জাজিরাতুল আরবের উত্তরে জর্ডানে অবস্থান ছিল রোমান সাম্রাজ্যের করদার ঘাসানিয় রাজ্যের।
৬২৮ খ্রিস্টাব্দে ঘাসানিয়দের সাথে জর্ডানের মুতার প্রান্তরে যুদ্ধের মাধ্যমে রোমান ও মুসলিমদের মধ্যে বিরোধের সূচনা হয়, যা চলেছিল পরবর্তী আরও আটশ বছর। মুতার যুদ্ধে আক্ষরিক অর্থে কোনো পক্ষের বিজয় না হলেও অত্যন্ত ছোট সেনাবাহিনী নিয়ে ঘাসানিয়দের বিরাট বাহিনী সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করায় মোরাল ভিক্টরি হয়েছিল মুসলমানদেরই। মুতার যুদ্ধে অভূতপূর্ব বীরত্বের জন্য হযরত খালেদ ইবনে ওয়ালিদ (রঃ) কে ‘সাইফুল্লাহ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
পরের বছর যুদ্ধের আশঙ্কায় মুসলমানরা তাবুকে বেশ বড় সৈন্য সমাবেশ করলেও সে বছর আর কোনো যুদ্ধ হয়নি। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর মৃত্যুর পর হযরত আবু বকর (রা.) মুসলিম বিশ্বের খলিফা নির্বাচিত হন। তাঁর আমলে রোমানদের সাথে মুসলিমদের তেমন কোনো উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনা ঘটেনি। তবে হযরত আবু বকর (রা.) এর পর হযরত উমার (রা.) এর সময়ে মুসলিম ও রোমানদের মধ্যে বিরোধ চরমে পৌঁছায়। ফিলিস্তিনে সংঘটিত আজনাদাইনের যুদ্ধের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ চলতে থাকে প্রায় দুই বছরের মতো।
একে একে রোমানরা মুসলমানদের কাছে ফিলিস্তিন, মিশর ও সিরিয়া হারাতে থাকে। রোমানদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিজয় ছিল ইয়ারমুকের যুদ্ধ। সিরিয়ার দক্ষিণে অবস্থিত ইয়ারমুক প্রান্তরে মুসলিম বাহিনী ও রোমান বাহিনীর মধ্যে চারদিন ধরে চলা এই যুদ্ধে রোমানরা চূড়ান্তভাবে পর্যুদস্ত হয় এবং সিরিয়ার কর্তৃত্ব চিরদিনের মতো হারায়। মিশর ও সিরিয়ার মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ হারানোর ধকল রোমানরা আর কোনোদিনও সামলে উঠতে পারেনি। শুধু তা-ই নয়, খোলাফায়ে রাশেদিনের সময়েই রোমানরা খোদ আনাতোলিয়াতেও এলাকা হারাতে থাকে মুসলমানদের কাছে। এছাড়া পরবর্তীতে উমাইয়াদের সময় মুসলিমদের ইউরোপ অভিযানের ফলে কখনই আর আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারেনি রোমানরা।
এখানে একটি ব্যাপার উল্লেখ্য। পবিত্র কুরআনে “রুম” হিসাবে যাদের আখ্যায়িত করা হয়েছে, তারা মূলত বর্তমান তুরস্কের বাসিন্দা বাইজান্টাইন, তাদের রাজধানী ছিল কন্সটানটিনোপোলে। অর্থাৎ ভৌগলিক রোম নয়, “রুম” বা “রুমি” হিসাবে ইসলামী পরিভাষায় যাদের বোঝানো তারা আসলে কনিয়া, আনাতোলিয়া অর্থাৎ বর্তমান তুরস্কে বাস করা বাইজান্টাইন। এ ধারা অব্যাহত থাকে পরবর্তীত শতকগুলোতেও। যেমন দ্বাদশ শতকের প্রখ্যাত কবি ও সুফি সাধক মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি ছিলেন বর্তমান তুরস্কের কনিয়ার অধিবাসী। তাই তিনি মাওলানা-এ-রুম বা রুমি নামেই পরিচিত হন।
রোমান তথা বাইজান্টাইনদের সমাপ্তি
পঞ্চদশ শতকে ক্ষীয়মাণ রোমান তথা বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য শুধু কন্সটান্টিনোপোল নগরের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। ১৪৫৩ সালে তাদের উপর চূড়ান্ত আঘাতটি হানেন ওসমানীয় সুলতান মুহম্মদ বিন ফতেহ। ধর্মপ্রাণ ওসমানীয়রা কন্সটানটিনোপলের নাম বদলে নাম রাখেন ইসলামবুল, যা পরবর্তীতে তুরস্কের সেক্যুলারাইজেশনের সময় গ্রীককরণ করে ইস্তানবুল হিসাবে লিখা হয়। এখন ইস্তানবুল নামেই পরিচিত কন্সটানটিনোপল।
এক কালের পরাক্রমশালী রোমানরা আজ নেই, কিন্তু রয়ে গেছে তাদের কীর্তি, রয়ে গেছে তাদের চিহ্ন। স্থানিক, কালিক এবং ঐতিহাসিকভাবে রোমান সভ্যতার বিস্তৃতি ও প্রভাব এতটাই যে, এর উপর কয়েক লক্ষ বই প্রকাশিত হওয়ার পরও পুরোপুরি বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়েছে বলা যাবে না। এখনও ঐতিহাসিকদের কাছে গবেষণার অত্যন্ত প্রিয় বিষয় রোমানরা. তাই ফিচারটিকে রোমানদের সেই বিশাল সিন্ধু থেকে বিন্দু তুলে আনার ছোট্ট প্রয়াস বললেও ভুল হবে না।