পাখির প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়েই হয়ত মানুষ উড়তে চেয়েছিল ডানা মেলে। ইতিহাস যখন থেকে টিকে আছে, তার আগেও হয়তো কত মানুষ চেষ্টা করে গেছেন উড়তে। জানার উপায় নেই কেউ সফলও হয়েছিলেন কি না কিংবা জানা যাবে না কোনো ব্যর্থতার গল্পও।
আকাশে ওড়ার ইতিহাসে স্মরণীয় যারা
মানুষের আকাশে ওড়ার প্রচেষ্টা নিয়ে জড়িয়ে আছে নানা মানুষের নাম। গ্রিক উপকথায় ইকারাসের আকাশে ওড়ার কাহিনী হয়তো কম-বেশি সবার জানা। এরকম নানা উপকথা ছড়িয়ে আছে মানুষের আকাশে ওড়া নিয়ে। উপকথাগুলো আজ না হয় থাক চলুন ঘুরে আসি বাস্তবেই কিছু প্রচেষ্টার কথা।
পঞ্চম শতাব্দীতে ঘুড়ির উদ্ভাবন ঘটে চীনে। ছয় শতাব্দীতে ইয়ান হাংটাও এর কথা জানা যায়, যাকে বিশালাকারের ঘুড়ির সাথে বেধে উড়তে বাধ্য করা হয়েছিল।
তবে প্রথম সফলভাবে আকাশে ডানা মেলেন আব্বাস ইবনে ফিরনাস ৯ম শতকে। ইবনে ফিরনাসের আকাশে ওড়ার কাহিনী নিয়েই আলোচনা করবো। তার আগে জানা যাক আরো কিছু কাহিনী।
সম্ভবত ইবনে ফিরনাসের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই পরের শতকে ওড়ার চেষ্টা করেছিলেন আল জহুরী। ১০০৭ খ্রিস্টাব্দে আল জহুরী তুর্কিস্থানের উলু মসজিদের ১,০০২ ফুট উঁচু মিনার হতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওড়ার প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
পশ্চিমে একাদশ শতকে ইংল্যান্ডের ইলমার অব মালমেসবুরি প্রায় ১,০০০ ফুট উচু থেকে গ্লাইডিংয়ের মাধ্যমে ওড়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। তিনি আংশিক সফলতা পেলেও দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন।
ফিরনাসের প্রায় ৭০০ বছর পর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি আঁকেন উড্ডয়ন যন্ত্রের নকশা অর্নিথপটার। যদিও জীবদ্দশায় ভিঞ্চি কখনো সে যন্ত্রের পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেননি, তবুও ভিঞ্চিকে উড্ডয়ন যন্ত্রের আধুনিক চিন্তক হিসেবে ধরা হয়। দ্য ভিঞ্চি ইবনে ফিরনাসের উড্ডয়ন যন্ত্র সম্পর্কে জেনেছিলেন কি না তা জানার উপায় নেই। যদি না জেনে থাকেন, তবে বলতে হয় কয়েকশ বছর ব্যবধানে থেকেও দুজন বিজ্ঞানী একই প্রশ্নের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন, আর তা হলো কিভাবে পাখির আকাশে ওড়ার দক্ষতা মানুষের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা যায়।
১৬৩০ খ্রিস্টাব্দে ওসমানীয় শাসনামলে আহমেদ সেলেবি ইস্তাবুলের গালাটা টাওয়ার হতে গ্লাইডিং করে বসফরাস পাড়ি দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। আহমদ সেলেবির সাফল্যে অণুপ্রাণিত হয়ে তার তিন বছর পর ১৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে আহমেদ সেলেবির ভাই লাগারি হাসান সেলেবি গানপাউডার দিয়ে রকেট বানিয়ে তোপকাপি প্রাসাদের নিকটে সফলভাবে আকাশের দিকে প্রায় তিনশ মিটার উপরে উঠে যান। তার রকেটের জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে তিনি এখনকার প্যারাস্যুটের মতো পাখার মাধ্যমে ধীরে ধীরে বসফরাসের পানিতে নেমে আসেন।
১৮০০ সালের দিকে স্যার জর্জ কেলি প্রথম পাখির মতো ঝাপটানো ডানার বদলে স্থির ডানার কথা বলেছিলেন। বাতাসের চেয়ে ভারী বস্তু কী কী অবস্থায় বাতাসে ভাসতে পারে, তার বৈজ্ঞানিক শর্তাবলী তিনিই প্রথম খুঁটিয়ে দেখেন। অ্যারোডাইনামিকস বা বায়ুগতিবিদ্যার জন্ম তার হাত ধরেই।
যদিও রাইট ভ্রাতৃদ্বয়কেই প্রথম যন্ত্রচালিত উড়োজাহাজ উদ্ভাবনের কৃতিত্ব দেওয়া হয়, কিন্তু তার আগেও অনেকেই এই লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছি গিয়েছিলেন। এমনকি ১৯০১ সালে গুস্তাভ হোয়াইটহেড এবং ১৯০২ সালে রিচার্ড পিয়ার্স উড়োজাহাজ উদ্ভাবনে সফল হয়েছিলেন বলেও মেনে নেন অনেকেই। ১৯০৩ সালেই রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের কয়েক মাস আগে যন্ত্রচালিত উড্ডয়ন যন্ত্রের উদ্ভাবনের দাবি করেন জার্মান উদ্ভাবক কার্ল জথো।
এর আরো আগে ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে মন্টগোলফায়ার ভ্রাতৃদ্বয় বেলুনের সাহায্যে সফলভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করেছিলেন। আর ১৮৫২ সালে হেনরি গিফার্ড তার উদ্ভাবিত এয়ারশিপে করে পাক্কা ২৭ কিলোমিটার পাড়ি দেন। বাষ্পশক্তিতে চলতো তার জাহাজের প্রপেলার। তাছাড়া যার কথা না বললেই নয় তিনি অটো লিলিয়েনথাল, আধুনিক উড়োজাহাজ উদ্ভাবনের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা। উনবিংশ শতাব্দীতে এই অটো লিলিয়েনথালের আকাশে ওড়ার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা ও তার গবেষণালব্ধ ফল পরবর্তীতে রাইট ভ্রাতৃদ্বয়কে উদ্বুদ্ধ করেছিল উড়োজাহাজ উদ্ভাবনের জন্য। লিলিয়েনথাল তার উদ্ভাবিত গ্লাইডারে ওড়ার সময় দুর্ঘটনায় মারা যান ১৮৯৬ সালে।
যা-ই হোক, ১৭০০ সাল থেকে ১৯০৩ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ব্যক্তি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন আকাশে উড়তে। তাদের প্রায় অনেকের প্রচেষ্টাই ইতিহাসে সমুজ্জ্বল। এবার চলুন আবার ফিরে যাই ৯ম শতকে ইবনে ফিরনাসের কাছে!
ইবনে ফিরনাস: প্রথম যিনি মেলেছিলেন ডানা
ইতিহাসে প্রথম সফলভাবে আকাশে ডানা মেলেছিলেন যিনি তিনি হচ্ছেন আব্বাস ইবনে ফিরনাস। তিনি ৯ম শতাব্দীতে উমাইয়া খিলাফতের সময় স্পেনের আন্দালুসিয়ার একজন পলিম্যাথ বা বহুশাস্ত্র বিশারদ ছিলেন। তার উড্ডয়ন প্রচেষ্টা সম্পর্কে ঐতিহাসিক ফিলিপ কে. হিট্টি তার হিস্ট্রি অব আরব গ্রন্থে মন্তব্য করেন, “ইবনে ফিরনাসই প্রথম ব্যক্তি যিনি আকাশে ওড়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন বৈজ্ঞানিকভাবে।”
ইবনে ফিরনাসের পরিচয়
আব্বাস ইবনে ফিরনাসের পুরো নাম আব্বাস আবু আলকাসিম ইবনে ফিরনাস ইবনে ইরদাস আল তাকুরিনি। তার জম্ম ৮১০ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন মুসলিম জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র স্পেনে। তিনি ছিলেন একাধারে একজন প্রকৌশলী, উদ্ভাবক, উড্ডয়ন বিশারদ, চিকিৎসক, কবি, সুরকার, পদার্থবিদ, সঙ্গীতজ্ঞ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
তার জম্মস্থান ছিল স্পেনের রোনদায়। রোনদা এখন স্পেনের একটি পর্যটন শহর। তিনি যদিও রোনদায় জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু জ্ঞানের প্রতি তার আসক্তি থেকে তিনি রোনদা থেকে কর্ডোবায় গমন করেন। তবে তার আগে তিনি কিছু সময় ইরাকে ব্যয় করেন। তখন বাগদাদের দারুল হিকমাহ ছিল মুসলিম জ্ঞানপিপাসুদের তীর্থস্থান। তিনি সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান আহরণ করেন ও ফিরে এসে কর্ডোবায় বসবাস শুরু করেন।
ইবনে ফিরনাসের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব
যদিও ইবনে ফিরনাস ভালো মানের কবি ছিলেন, কিন্তু প্রথম আকাশে ওড়ার কৃতিত্বের জন্য তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
পি. কে. হিট্টি তার হিস্ট্রি অব আরব গ্রন্থে লিখেছেন, “আবু আল কাসিম জাহরাবীর পর স্পেনে প্রাচ্য সংগীত জনপ্রিয় করার পেছনে ইবনে ফিরনাসের অনবদ্য ভূমিকা ছিল। তার উদ্ভাবনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পাথর থেকে গ্লাস তৈরি। তিনি একটি সৌরমডেলও তৈরি করেছিলেন, যেখানে নক্ষত্র, মেঘ, এমনকি বজ্রপাতের অবস্থাও দেখানো হয়েছিল।”
তিনি আল মাকাতা নামক জলঘড়ির উদ্ভাবন করেছিলেন। প্ল্যানিস্ফিয়ার নামক যন্ত্র ও পাঠের উপযোগী লেন্সও প্রস্তুত করতে সমর্থ হয়েছিলেন। তার বাসস্থানের একটি কক্ষে তিনি গ্রহ-নক্ষত্রের এমন একটি মডেল তৈরি করেছিলেন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘূর্ণায়মান ছিল।
তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হলো পাথরের স্ফটিককে কাটার প্রক্রিয়া। স্পেনে এটি তখন সম্ভব হতো না বিধায় স্পেন এ বিষয়ে মিশরের উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু ইবনে ফিরনাসের এই উদ্ভাবনের ফলে স্পেন এই নির্ভরশীলতা থেকে রেহাই পায়।
আরমেন ফিরমেন ও ইবনে ফিরনাস
আরমেন ফিরমেন ৮৫২ খ্রিস্টাব্দে কর্ডোবার একটি মসজিদের মিনার হতে নিজের উদ্ভাবিত পোশাক পরে ওড়ার চেষ্টা করেন। যদিও তা সফল হয়নি, কিন্তু তারপরেও তার পোশাক নিচের দিকে তার পতনের গতিকে কমিয়ে দেওয়ায় তিনি খুব বেশি আঘাত পাননি।
কেউ কেউ মনে করেন, ইবনে ফিরনাস ছিলেন সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং এ ঘটনাই ইবনে ফিরনাসকে আকাশে উড়তে অনুপ্রাণিত করে।
আবার অনেকেই এই মতের বিরোধিতা করেন এবং তারা মনে করেন আরমেন ফিরমেন ও ইবনে ফিরনাস একই ব্যক্তি ছিলেন এবং আরমেন ফিরমেন ইবনে ফিরনাসের নামেরই ল্যাটিন সংস্করণ। তারা মনে করেন, ইবনে ফিরনাস এই ঘটনার পর তার উড্ডয়ন যন্ত্র উন্নয়নে মনোযোগ দেন ও দীর্ঘ ২৩ বছর পর তিনি আবারো আকাশে উড়ার প্রচেষ্টা চালান।
ইবনে ফিরনাসের উড্ডয়ন প্রচেষ্টা
বেশ কিছু সূত্রে ইবনে ফিরনাসের উড্ডয়ন প্রচেষ্টা বর্ণিত হলেও তার উড্ডয়ন প্রচেষ্টার বিস্তারিত পাওয়া যায় ঐতিহাসিক আল মাকারির লেখায়। তবে আল মাকারি ইবনে ফিরনাসের সমসাময়িক ছিলেন না। তিনি ফিরনাসের বিষয়ে লেখেন প্রায় ৭৫০ বছর পর। তবে ইবনে ফিরনাসের উড্ডয়ন প্রচেষ্টার সফলতার বিষয়ে প্রায় সব ঐতিহাসিকই একমত।
ইবনে ফিরনাসের উড্ডয়ন প্রসঙ্গে মন্তব্য পাওয়া যায় সমসাময়িক কর্ডোবার আমির প্রথম মুহাম্মদের রাজকবি মুমিন ইবনে সাইদের কবিতায়। ইবনে সাইদ ফিরনাস সম্পর্কে কবিতায় লিখেন, “শকুনের পালক দ্বারা আবৃত হলে তিনি ফিনিক্সের চেয়েও দ্রুত ওড়েন।”
ইবনে ফিরনাস তার উদ্ভাবিত উড্ডয়ন যন্ত্রে পালক ও সিল্কের ব্যবহার করেছিলেন। পঁয়ষট্টি বছর বয়সে তিনি স্পেনের কর্ডোবার নিকটবর্তী রুসাফা এলাকার আরুস পর্বত থেকে তার উদ্ভাবিত উড্ডয়নযন্ত্র সহকারে শূন্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
কর্ডোবা থেকে অনেক মানুষ তার আকাশে ওড়া দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন। ইবনে ফিরনাস তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এখান থেকে ওড়ার পর যদি সব ঠিক থাকে তবে আমি এখানেই আবার ফিরে আসব। তার উড্ডয়নযন্ত্র সফলভাবেই কাজ করে এবং প্রায় দশ মিনিট তিনি তার যন্ত্রের সাহায্যে উড়তে সমর্থ হন। কিন্তু সফলভাবে উড়লেও তিনি একটু ভুল করেছিলেন।
আল মাকারি উল্লেখ করেন, তিনি তার শরীরকে পালক দ্বারা আবৃত করেন এবং তার শরীরে কয়েকটি পাখা যোগ করেন। তারপর শূন্যে ভেসে পড়েন। যারা তার এই উড্ডয়ন প্রত্যক্ষ করেছেন তাদের লেখনীতে পাওয়া যায়, তিনি পাখার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দূরত্ব অতিক্রম করেন এবং যেখান থেকে উড্ডয়ন শুরু করেছিলেন আবার সেখানে ফিরে আসেন। কিন্তু সফলভাবে অবতরণ করতে ব্যর্থ হন। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন।
ইবনে ফিরনাস প্রাণে বেঁচে গেলেও পিঠে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তার বয়স তখন পঁয়ষট্টি বছর। এরপর তিনি তার উড্ডয়নযন্ত্রে ঠিক কী ভুল ছিল তা শনাক্তকরনে মনোনিবেশ করেন। তিনি উপলদ্ধি করেন, পাখি অবতরণের সময় লেজ এবং ডানাগুলোর সমন্বিতভাবে কার্যক্ষমের মাধ্যমে গতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু তিনি তার যন্ত্রে গতি কমানোর জন্য সেরকম কোনো লেজ বা বিকল্প পদ্ধতি রাখেননি।
তারপরেও তিনি প্রায় ১২ বছর বেঁচে ছিলেন। কিন্তু তার পক্ষে আর আকাশে ওড়া সম্ভব হয়নি। কারণ তিনি আর আগের মতো সুস্থতা লাভ করেননি। ৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে ইবনে ফিরনাস ইন্তেকাল করেন।
ইবনে ফিরনাস মানুষের উড্ডয়নের ইতিহাসে কিংবা আকাশে ওড়ার পেছনে মানুষের যে প্রচেষ্টা তার একজন সফল স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে স্বরণীয় হয়ে আছেন। তার প্রচেষ্টাকে বলা যায় আধুনিক উড়োজাহাজ আবিষ্কারের প্রথম ধাপ। মানুষকে ডানা মেলে ওড়ার স্বপ্ন দেখানো ইবনে ফিরনাস তাই ইতিহাসে অমর।
আকাশে ওড়ার এই স্বপ্নদ্রষ্টাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাঁদের একটি জ্বালামুখের নামকরণ করা হয়েছে তার নামে। ২০১৩ সালে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোলস রয়েস ইবনে ফিরনাসের নামে তাদের একটি গাড়ির সংস্করণ বের করে, যার নাম দেয় ইবনে ফিরনাস মোটিফ। স্পেনের কর্ডোবায় ইবনে ফিরনাস সেতু, বাগদাদে ইবনে ফিরনাসের ভাস্কর্য, দুবাইয়ের ইবনে বতুতা মলে ফিরনাসের রেপ্লিকা ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় হয়তো ইবনে ফিরনাসের নামের সাথে পরিচয় ঘটতে পারে আপনার। তিনি বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ ধরে, তার যুগের চাইতে এগিয়ে থাকা একজন মানুষ হিসেবে ।
তথ্যসূত্র
১) The History of the Mohammedan Dynasties in Spain, Aḥmad ibn Muḥammad Maqqarī, Ibn al-Khaṭīb. Volume 2, Translated By Pascual de Gayangos, Johnson Reprint Company.
২) History of The Arabs – Philip K. Hitti