ঘন অরণ্যরাজি, সুবিশাল পর্বতমালা, খরস্রোতা নদ-নদী এবং প্রায় দুই মিলিয়ন বছরের ইতিহাস দ্বারা সমৃদ্ধ ইউরোপের অন্যতম দেশ জার্মানি। জার্মানির নাম শুনলেই মনে পড়ে মহাকবি গ্যেটের কালজয়ী কবিতা, আলবার্ট আইনস্টাইন-ম্যাক্স প্ল্যাংক-কোপার্নিকাস-কেপলার-ফ্রিৎজ হেবারের বৈজ্ঞানিক জয়যাত্রা, কার্ল মার্ক্স-ফ্রেডারিখ নিৎসে-ইমানুয়েল কান্টের দর্শন, বিটোফেন-বাখের সুরের মূর্ছনা, কাফকার কল্পরাজ্যের গোলকধাঁধা থেকে শুরু করে অ্যাডলফ হিটলারের নেতৃত্বে ইহুদী নিধনে মত্ত গেস্টাপো বাহিনীর ভয়াবহতা সহ হাজারো ঘটনা; কিংবা আজকের যুগে নয়্যার, মুলার, ওজিলের নান্দনিক ফুটবল প্রদর্শনী। কিন্তু সভ্যতার শুরু থেকে জার্মানি এমন ছিল না। পৃথিবীর অন্যান্য জাতির ন্যায় জার্মানদেরও রয়েছে রক্তক্ষয়ী ইতিহাস। এক কালের বিশ্বজয়ী রোমানদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড সম্মুখ যুদ্ধে জার্মান দেশপ্রেমীদের রক্তের বিসর্জনে জন্ম হয়েছে জার্মানির।
সংগ্রামী জার্মানদের সুদীর্ঘ ইতিহাসে টিউটোবার্গ যুদ্ধের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। ইতিহাসবিদদের মতে, টিউটোবার্গ যুদ্ধের মাধ্যমে জার্মান জাতির স্বাধীনতা ত্বরান্বিত হয়েছে। সেই যুদ্ধে আরমিনিয়াস নামক সমরনায়কের নেতৃত্বে রোমান জেনারেল পাবলিয়াস কুইন্টিলিয়াস ভারাসের বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ে সংখ্যালঘু জার্মনারা। গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জীর প্রথম দশকে অনুষ্ঠিত এই যুদ্ধের রোমাঞ্চকর ইতিহাস নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের লেখা।
টিউটোবার্গ অরণ্য
জার্মান ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ টিউটোবার্গ যুদ্ধের নামকরণের পেছনে জড়িয়ে আছে টিউটোবার্গ নামক এক অরণ্যের কথা। এই অরণ্যের অবস্থান এবং যুদ্ধের স্থান সম্পর্কে ইতিহাসবিদেরা দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন। উনবিংশ শতাব্দীর ইতিহাসবিদ থিওডর মমসেনের বিভিন্ন প্রবন্ধে তিনি টিউটোবার্গ অরণ্যের সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেন। কিন্তু ২০১৬ সালে একদল পুরাতত্ত্ববিদের অভিযানের মাধ্যমে এই অরণ্যের অবস্থান সম্পর্কে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য লাভ করা সম্ভব হয়েছে।
মমসেনের তথ্য অনুসরণ করে বর্তমান জার্মানির নিম্ন স্যাক্সোনি অঞ্চলের ওসনাব্রুক জেলায় এই অভিযান চালানো হয়। মেজর টনি ক্লান নামক এক শৌখিন অভিযাত্রী তার পুরাতত্ত্ববিদ বন্ধু উলফগ্যাং শ্লুটারের সাথে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে এক অরণ্যে মাটি খুঁড়ে বিভিন্ন যুদ্ধ-সামগ্রী, সৈনিকদের ব্যবহৃত অস্ত্র, লৌহবর্ম এবং আটটি স্বর্ণমুদ্রা আবিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে ওসনাব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ সেগুলো পরীক্ষা করেন। এরপরে বেরিয়ে আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ইতিহাসবিদগণ নিশ্চিত হন, ওসনাব্রুক জেলার কালক্রিস অঞ্চলের এই অরণ্যতেই জার্মানরা সুসজ্জিত রোমানদের গৌরবকে ধূলিসাৎ করেছিল।
যুদ্ধের পটভূমি
দিগ্বিজয়ী রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের আমলে রোমের সাম্রাজ্য রাইন নদীর উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে। খ্রিস্টপূর্ব ৫৫ সালে তিনি রাইন নদীর উপর সেতু নির্মাণ করেন। এর মাধ্যমে রোমানরা রাইন নদীর তীরবর্তী জার্মান সীমান্তে আক্রমণ করতে সক্ষম হয়। পরবর্তী ৬০ বছর ধরে রোমানরা জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চল দখল করতে থাকে। রাইন এবং ওয়েসার নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে রোমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জার্মান গোত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু যুদ্ধবাজ রোমানদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে সেই প্রতিরোধ। রাইন, ওয়েসার নদীবিধৌত অঞ্চল ছাড়িয়ে এলব নদীর তীর পর্যন্ত রোমান সাম্রাজ্য বিস্তৃত হয়।
জুলিয়াস সিজার পরবর্তী টিবেরিয়াসের শাসনামলে রোমানরা পোর্টা ওয়েস্টফালিকা অঞ্চলে একটি দুর্গ নির্মাণ করে। রোমান সম্রাট অগাস্টাস সিজার সিনেটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পাবলিয়াস কুইন্টিলিয়াস ভারাসকে জার্মান অঞ্চলের দায়িত্ব প্রদান করেন। ভারাস ব্যক্তিগতভাবে অগাস্টাসের সাথে পরিচিত ছিলেন। অনেক ইতিহাসবিদের মতে, তারা দুজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। জার্মান অঞ্চলে তখন বেশ কিছু স্থানে রোমানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ অব্যাহত ছিল। কিন্তু তিন লিজিয়ন পরিমাণ সৈনিক সম্বলিত ভারাস বাহিনীর সাথে জার্মানদের জয়লাভের সম্ভাবনা একদম ছিল না বললেই চলে। ভারাস তার শাসনামলের শুরুতে বেশ কিছু অঞ্চল রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে আনতে সক্ষম হন। ফলে সিনেটের সবাই তার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন।
সাফল্যের প্রাচুর্যে উড়তে থাকা ভারাসের পতনের শুরু হয় ৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। তখন রোমানদের গ্রীষ্মকালীন মহড়া চলছিল। গুরুত্বপূর্ণ সিনেট সদস্যদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত সেই মহড়া বাদ দিয়ে ভারাস তার বাহিনী নিয়ে মেইঞ্জ শহরের পানে রওয়ানা হন। কিন্তু কেন? হঠাৎ করে মহড়া পরিত্যাগ করে ভারাসের সেনা অভিযানের কারণ কী ছিল?
ইতিহাসের পাতায় চোখ বুলালে জানা যায়, আরমিনিয়াস নামক এক সেনা কর্মকর্তা ভারাসের হয়ে জার্মান বিদ্রোহীদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করতেন। আরমিনিয়াস সেপ্টেম্বরের শুরুতে ভারাসকে জানান, রাইন নদীর পূর্বাঞ্চলের মেইঞ্জের অরণ্যে জার্মান বিদ্রোহীরা আস্তানা গড়ে তুলেছে। খুব শীঘ্রই তারা ভারাসকে আক্রমণ করতে যাচ্ছে। এই সংবাদ লাভের পর ভারাস অস্থির হয়ে যান। তিনি দ্রুত মেইঞ্জ অঞ্চলে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে বিদ্রোহ দমন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ভারাস তার বিশাল বাহিনী থেকে প্রায় দশ হাজার সৈন্য নিয়ে রওয়ানা হন। বাকি সৈনিকদের মহড়ায় অংশগ্রহণের আদেশ প্রদান করা হয়।
দুধ-কলা দিয়ে জার্মান পোষা
পরের ঘটনা জানার জন্য আমাদের পরিচিত হতে হবে গুপ্তচর আরমিনিয়াসের সাথে। টিউটোবার্গ যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের পূর্বে চলুন একবার জেনে নেওয়া যাক তার সম্পর্কে। সম্ভ্রান্ত জার্মান পরিবারে জন্ম নেওয়া আরমিনিয়াস সিনেটর ভারাসের অধীনে একজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শৈশবে রোমান বাহিনী কর্তৃক অপহৃত হওয়া আরমিনিয়াস বেড়ে উঠতে থাকেন সেনাবাহিনীর ব্যারাকে। ছোটবেলা থেকেই তিনি বেশ মেধাবী এবং চঞ্চল ছিলেন। তাই খুব দ্রুত রোমান সেনাবাহিনীতে নিজের নাম লেখাতে সক্ষম হন তিনি।
আরমিনিয়াস তার ঘোড়ার উপর চড়ে দাপটের সাথে যুদ্ধ করতে পারতেন। তার বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে রোমানরা তাকে নাগরিকত্ব প্রদান করে। বর্তমান যুগে মানুষ যেমন জন্মগতভাবে নিজ দেশের নাগরিক হতে পারে, তখনকার সমাজের চিত্র এরকম ছিল না। তৎকালীন সমাজে নাগরিকত্ব লাভ করা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ অর্জন হিসেবে পরিগণিত হতো। একমাত্র নাগরিকরা ভোট প্রদান করার অধিকার লাভ করতেন। সিনেটর ভারাস আরমিনিয়াসকে অত্যন্ত পছন্দ করতেন। তিনি আরমিনিয়াসকে রোমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন।
ভারাস জার্মানির দায়িত্ব পালনকালে তিনি জার্মান অঞ্চলের সাথে রোমানদের যোগসূত্র স্থাপনের কাজ করতেন। কিন্তু বাইরে রোমানদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলেও আরমিনিয়াসের মনে বাজতো জার্মান সুর। নিজের মাতৃভূমির প্রতি অসীম প্রেম থেকে তিনি রোমানদের মনেপ্রাণে ঘৃণা করতেন। রোমানদের হাতে নিজের শৈশবের মৃত্যুকে কখনোই ভুলতে পারেননি তিনি। তাই গুপ্তচরবৃত্তির নামে তিনি রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। যুদ্ধক্ষেত্রে পারদর্শী আরমিনিয়াস জানতেন, সম্মুখ যুদ্ধে আনাড়ি জার্মানরা কখনই রোমানদের হারাতে পারবে না। তিনি রোমান বাহিনীর প্রতিটি পদক্ষেপ সতর্কতার সাথে অবলোকন করতে থাকেন। মেধাবী আরমিনিয়াস মনে মনে ফন্দি করতে থাকেন, কীভাবে রোমানদের উচিৎ শিক্ষা দেওয়া যায়। তিনি জার্মান সর্দারদের একীভূত করতে থাকেন। কিন্তু সব সর্দার তার ডাকে এগিয়ে আসেননি। তবে আরমিনিয়াস হার মানতে রাজি নন। তিনি গুটিকয়েক সর্দার এবং দেশপ্রেমী জার্মানদের নিয়ে সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, মহড়া চলাকালীন তিনি ভারাসের কানে জার্মান বিদ্রোহীদের মিথ্যা বার্তা প্রেরণ করেন। বোকা ভারাস তার গুপ্তচরের কথা বিশ্বাস করে মেইঞ্জের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। মনে মনে যুদ্ধের ছক কষতে থাকেন ভারাস। সেখানে নদীর ধারে নাকি বিদ্রোহীদের আস্তানা। বিদ্রোহের আগুন এক ঝটকায় নিভিয়ে দিতে হবে তার।
টিউটোবার্গের মরণ ফাঁদ
বুদ্ধিমান আরমিনিয়াস রোমানদের অ্যামবুশ করার মাধ্যমে কুপোকাত করতে চেয়েছিলেন। প্রথমত, জার্মানদের সৈন্যবল রোমানদের প্রায় অর্ধেক ছিল। দ্বিতীয়ত, জার্মানরা সমর কায়দায় পারদর্শী ছিল না। প্রথমদিকে তিনি ভারাসের সেনাবহরের সাথে ঘোড়ায় চড়ে নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত গমন করেন। এরপর সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পলায়ন করে জার্মানদের পক্ষে যোগ দেন। ভারাস এসবের কিছুই টের পাননি। কারণ, আরমিনিয়াসের তথ্যমতে জার্মান বিদ্রোহীদের অবস্থান টিউটোবার্গ থেকে বেশ কয়েক মাইল দূরে ছিল। তাই রোমান বাহিনী তখন যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল না। জার্মানরা এই পরিস্থিতির সম্পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করে রোমানদের অতর্কিতে আক্রমণ করে বসল।
ভারাস হামলার আকস্মিকতায় খেই হারিয়ে ফেললেন। জার্মানরা চতুর্দিক থেকে রোমানদের আক্রমণ করতে থাকে। ভারাস যেদিকে চোখ মেলেন, শুধু রোমান সেনাদের আর্তচিৎকার শুনতে পান। প্রায় অর্ধেক রোমান সেনা কোনোমতে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। কিন্তু বিধি বাম! জার্মানদের নেতৃত্বে ছিলেন স্বয়ং আরমিনিয়াস। তাই তিনি আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। বড় বড় গাছের গুঁড়ির মাধ্যমে পলায়নরত সেনাদের পথ বন্ধ করে দেন তিনি। সেখানে দ্বিতীয় দফা আক্রমণে বহু রোমান সেনা প্রাণ হারান। বিকল্প পথে পলায়নরত অশ্বারোহী সেনাদের জার্মানরা পিছু ধাওয়া করে। পলায়নরত অবস্থায় রোমানরা তাদের নেতা ভারাসের সন্ধান করতে থাকে। কিন্তু কোথায় জেনারেল পাবলিয়াস কুইন্টিলিয়াস ভারাস? কোথায় তাদের সিনেটর?
ইতিহাসবিদদের মতে, জার্মানদের আক্রমণের চাপে পড়ে নিজের তরবারির ঘায়েই নিহত হন ভারাস। অনেকের মতে, এটি ছিল আত্মহত্যা! কোনো দিকনির্দেশনা না পেয়ে রোমান বাহিনী আরমিনিয়াসের নিকট আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু আত্মসমর্পণের পরেও রোমানদের শেষরক্ষা হয়নি। অধিকাংশ সৈনিককে দেবতার প্রতি উৎসর্গ করে বলিদান করা হয়। জীবিত সৈনিকদের দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সাধারণ কৃষিজীবী জার্মানরা প্রশিক্ষিত রোমানদের গৌরব ধূলায় মিশিয়ে দিল। ৬০ বছর ধরে চেপে রাখা আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ ঘটল টিউটোবার্গের মরণ ফাঁদে।
যুদ্ধের সুদূরপ্রসারী ফলাফল
জার্মানদের বিজয়ের খবর দ্রুত রোমান শিবিরে পৌঁছে যায়। দাম্ভিক রোমানরা এই পরাজয় মেনে নিতে পারেনি। তারা এই পরাজয়কে ‘Clades Variana’ কিংবা ‘ভারাসের বিপর্যয়’ নামে চিহ্নিত করে। তৎকালীন রোমে ভারাসের বিপর্যয়কে রোমান সাম্রাজ্যের বুকে অপমানজনক ঘটনা হিসেবে গণ্য করা হতো। বিভিন্ন পাণ্ডুলিপি থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিশ্লেষণ অনুযায়ী, টিউটোবার্গের যুদ্ধ পুরো ইউরোপের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিয়েছিলো। এই যুদ্ধের কারণে রোমানরা রাইন উপকূল থেকে পিছু হটে যায়। ফলে এই অঞ্চলে রোমান সাম্রাজ্যের বিস্তার বন্ধ হয়ে যায়। জার্মানরা তাদের সংগ্রামের প্রতিদান হিসেবে অর্জন করলো অমূল্য স্বাধীনতা। পরবর্তীতে জার্মানি কখনোই রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
উনবিংশ শতাব্দীতে টিউটোবার্গ যুদ্ধকে জার্মান জাতীয়তাবাদের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হতো। জার্মানদের ইতিহাসে এই যুদ্ধের ভূমিকা অপরিসীম। তবে রোমানদের জন্যও এই অপমানজনক ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ, এই যুদ্ধের লজ্জা রোমানদের প্রতি সতর্কবাণী ছুঁড়ে দেয়। অত্যাচারী রোমানদের প্রতিপত্তি রোধে এই সংগ্রাম পুরো ইউরোপবাসীর নিকট এক নতুন প্রেরণা হিসেবে ধরা দেয়।
ফিচার ইমেজ: Illustration of Teutobarg Battle