ইতিহাসের অপলাপ শব্দদ্বয়ের সাথে হয়তো অনেকেরই পরিচয় নেই। অনেকেই একে ইতিহাস বিকৃতির সাথে গুলিয়ে ফেলেন। কিন্তু ইতিহাসের অপলাপ আর বিকৃতি এক নয়; অপলাপ হচ্ছে ইতিহাস লুকানো বা অস্বীকার করা। বেশিরভাগ সময়েই যাদের লজ্জাজনক ইতিহাস রয়েছে তারাই ইতিহাস লুকাতে চায়। আমরা হলোকাস্ট ডিনায়ার বা আর্মেনিয়ান জেনোসাইড ডিনায়ারদের কথা শুনে থাকি। এরাই ইতিহাসের অপলাপকারী। এত দূরেই বা যেতে হবে কেন, অনেক পাকিস্তানি ইতিহাসবিদ ও বুদ্ধিজীবী একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত জঘন্য গণহত্যা এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও অস্বীকার করে থাকেন। খোদ বাংলাদেশের মাটিতেই এখনও অনেক অপলাপকারী রয়েছে।
এমনিভাবে আয়ারল্যান্ডে নিজেদের আক্রমণ ও শোষণের ইতিহাস নিয়ে ইংল্যান্ড বড়ই উদাসীন, অস্বীকারও করে না, আবার নিজেদের স্কুল-কলেজে এই ইতিহাস শেখাচ্ছেও না। এটাও এক ধরনের অপলাপই বটে। এখনকার ব্রিটিশ যুবকদের মধ্যে আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসের জ্ঞান খুবই সীমিত, অনেকক্ষেত্রে ঘৃণামিশ্রিত; এবং এর পেছনে রয়েছে ব্রিটিশদের ইতিহাস অপলাপ। তবে তার আগে আমরা একটু ব্রিটিশদের আয়ারল্যান্ডে ইতিহাস কেমন তা দেখে নেই, তাহলে বুঝতে পারব তাদের এই মনোভাবের কারণ সম্পর্কে।
ব্রিটিশদের আয়ারল্যান্ড আক্রমণের ইতিহাস
আইরিশদের স্বাধীনতা কখন আর কীভাবে কেড়ে নেয়া হয়েছিল তাদের কাছ থেকে?
‘’কখন’’-এর উত্তর জানা বেশ সহজ। ১১৭১ সালে যখন উত্তর ও পূর্ব আয়ারল্যান্ডে অ্যাংলো-নরম্যান ব্যারনদের একটি কলোনি প্রতিষ্ঠা হলো। রাজা দ্বিতীয় হেনরির কাছে আয়ারল্যান্ডের রাজারা সমর্পণ করলেন, মেনে নিলেন তাদের প্রভু ও একমাত্র সম্রাট হিসেবে।
তবে তাতে আইরিশরা নিজেদের স্বাধীনতা একেবারে পুরোপুরি হারায়নি, অনেকটা ব্রিটিশ রাজাদের অনুপস্থিতির কারণেই। প্রায় দুই শতক ধরে ব্রিটিশ রাজাগণ আয়ারল্যান্ডকে শুধুমাত্র আরেকটি জমিদারী হিসেবেই দেখছিল, এবং অনেকেই সারাজীবনে একবারও আয়ারল্যান্ডে যেতও না। আয়ারল্যান্ড ব্যবহার হচ্ছিলো শুধুমাত্র সম্পদ ও সৈন্যের যোগান দিতে। যদিও ব্রিটিশরা কূটনৈতিকভাবে কম চেষ্টা করেনি আইরিশদের আত্মপরিচয় মুছে দিতে, তাদের আরও ব্রিটিশ বানাতে। তবে আইরিশরা নিজেদের স্বকীয়তা ধরে রাখার ব্যাপারে প্রায় ইতিহাসের শুরু থেকেই অত্যন্ত জেদি। তারা রাজাদের এই অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে নিজেদের সংস্কৃতি ধরে রাখছিল।
কিন্তু এভাবে চলতে থাকার পরে একসময় ব্রিটিশরা একসময় বুঝতে পারে, এভাবে আর চলবে না, আয়ারল্যান্ড তাদের হাতে থাকলেও আদতে তাদের নয় এই সম্পদশালী রাজ্যটি, এখানকার মানুষ তাদের অনুগত না। আইরিশদের সত্যিকার অর্থে পরাজিত করতে হলে তাদেরকে নিচু জাত হিসেবে প্রমাণ করতে হবে (ব্রিটিশদের জাত্যাভিমানের মূল্য শুধু ভারতীয় আর চীনাদেরই দিতে হয়নি)। তারা এজন্য একটি অভিনব পন্থা অবলম্বন করলো; আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের চারপাশে এক বিশাল দেয়াল তৈরি করলো, এই দেয়ালের ভেতরের অংশকে তারা নাম দিল ‘দ্য পেইল’ অথবা বিবর্ণ।
তবে আইরিশদের এভাবে দমন করার পদ্ধতি খুব বেশি খাটলো না, বরং ব্রিটিশদের সহযোগী নরম্যানদের অনেকেই আইরিশদের সাথে পরিবার গঠন করে আরও আইরিশ হতে লাগলো। পনের ও ষোল শতকের দিকে কিল্ডেয়ারের আর্ল ফিটজেরাল্ডরা আয়ারল্যান্ড মুক্ত করার ফন্দি করতে লাগলো, তখনকার ব্রিটিশদের রাজা বিখ্যাত ও কুখ্যাত অষ্টম হেনরির হাত থেকে। তবে তারা হেনরির মতো শক্তিশালী রাজার সাথে যুদ্ধ করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপদের মুখে ফেলার মতো বোকা ছিল না, তাদের আইরিশ বুদ্ধিতে কুলালো হেনরিকে বরং যাচ্ছেতাই দিয়ে খুশি করে, আয়ারল্যান্ড নিয়ে নীতিমালাগুলো আরও শিথিল করে নেয়া, আর তাকে বোঝানো যে হেনরির নাম নিয়েই তারা আয়ারল্যান্ডের রাজত্ব করবে।
তবে টিউডররাও ফিটজেরাল্ডদের নিয়ে সন্দিহান হয়ে উঠছিলেন ক্রমাগত। হেনরির একটা ভয় ছিল যে, বহিরাগতরা আক্রমণ করলে তারা ঘাঁটি বানাবে আয়ারল্যান্ডকে। এছাড়াও ফিটজেরাল্ডদের কয়েকটি আচরণ তাদের কাছে অমার্জনীয় অপরাধ ছিল, যেমন- বার্গান্ডির সৈন্যদের ডাবলিনে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে আসা, তাদের নেতা ভন্ড রাজা ল্যাম্বার্ট সিমেলকে ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে মেনে নিয়ে। এটা ঘটেছিল ১৪৮৭ সালে। এছাড়াও ১৫৩৫ সালে সিল্কেন থমাস ফিটজেরাল্ড সম্রাটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসলেন। এতেই হেনরি পুরো ফিটজেরাল্ড পরিবার শেষ করে দেন, এবং আয়ারল্যান্ড নিজের শাসনের আওতায় নিয়ে নেন।
এই ইতিহাস নিয়ে কিছু মজার কাহিনীও প্রচলিত আছে। হেনরি তখন চার্চের সাথে সংঘাতে ছিলেন। তার ক্রমাগত বিয়ে আর স্ত্রী হত্যায় চার্চ বাগড়া দিচ্ছিল বলে মনমেজাজ মোটেই ভাল ছিল না হেনরির। তাই তিনি নিজের আলাদা চার্চই খুলে বসলেন, এবং ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের সকল চার্চ গুঁড়িয়ে দিলেন। এই শুনে সিল্কেনের বাবা ও হেনরির দূরসম্পর্কের আত্মীয় গ্যারেট ফিটজেরাল্ড কৌতুক করে বসলেন, “কোনো সমস্যা নেই, যতক্ষণ না ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো হেনরি’ রাস্তার সব টং-ও ভেঙে ফেলছে।” এরপরেই নাকি হেনরি আয়ারল্যান্ড দখল করতে যান। তবে এটা শুধুই গল্প।
কিন্তু এর পরেও আয়ারল্যান্ডের পুরো দখল নেয়া এত সহজ হয়নি, স্বাধীন লর্ড এবং কিছু ওল্ড ইংলিশ লর্ডদের সাথেও প্রায়ই এলাকার দখল নিয়ে যুদ্ধ চলত টিউডর সেনাদের, প্রায় একশ বছর, এবং অনেকগুলো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর প্রথম এলিজাবেথ এবং প্রথম জেমস ১৬০৩ সালে পুরো আয়ারল্যান্ডকে একটি কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় আনতে সক্ষম হন। তবে তখনও ব্রিটিশরা ক্যাথলিক আইরিশদের প্রটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টানে রুপান্তরিত করতে পারছিল না।
এরপরের শতক ছিল আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসের জন্য সবচেয়ে রক্তাক্ত শতক। ১৬৪১-৫৩ এবং ১৬৮৯-৯১ এই দুই সময়ে বেশ বড় দুটি যুদ্ধে অনেক মানুষ মারা যায় ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ১৬৪১ এর যুদ্ধ হয় ক্যাথলিক আইরিশ ও প্রটেস্ট্যান্ট ইংরেজদের মধ্যে, আইরিশরাই বিরোধিতা করে তাদের। ক্যাথলিকরা কিছু সময়ের জন্য আয়ারল্যান্ডের ক্ষমতাও হাতে পায় (১৬৪২-১৬৪৯) পর্যন্ত। তবে অলিভার ক্রমওয়েল ইংলিশ কমনওয়েলথের হয়ে আয়ারল্যান্ড পুনর্দখলের সময় আয়ারল্যান্ডের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা হত্যা করেন, ও দাস হিসেবে নিয়ে যান। এরপরে আবার ১৬৮৮ সালে দ্বিতীয় জেমসের গ্লোরিয়াস বিপ্লবের সময় আইরিশরা জেমসের পক্ষ নেয়, এবং জেমসের পরাজয়ের পর আবারও আইরিশদের প্রচন্ড নির্যাতন করা হয়।
এর পরের দুই শতাব্দী আইরিশ উচ্চবংশীয়দের প্রটেস্ট্যান্টে রুপান্তরিত হওয়ার এবং ক্ষমতা দখলের শতাব্দী। ১৬৯১ সালে অউঘ্রিমের যুদ্ধের পর আয়ারল্যান্ডে পুনরায় কঠিন আইন প্রয়োগ করা হয়, সবরকম বিদ্রোহ কঠোর হস্তে দমন করা হয়। ১৮০০ সালের মধ্যে আয়ারল্যান্ডে যেকোনো প্রকার স্বায়ত্ত্বশাসনের সবরকম সুযোগ শেষ করে দেয়া হয়।
এরপর ব্রিটেন ও স্কটল্যান্ডের সাথে যুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্য গঠনের পর থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যে অনেক বিদ্রোহ, যুদ্ধ এবং অন্যান্য ভূ-রাজনৈতিক ইত্যাদির কারণে সম্পর্ক কখনোই পুরোপুরি ভাল হয়নি। ইংল্যান্ড প্রায় সবসময়ই আয়ারল্যান্ডের প্রতি অনেকটা শোষকের ভূমিকাই পালন করে এসেছে। তবে এর সামনে রাজমুকুটের প্রতি সম্মান ও একতার নামে একটি রাজনৈতিক পর্দা ভেদ করে সহজে শোষণের চেহারাটি দেখা যায় না। তাই ইংলিশদের পক্ষে আইরিশদের প্রতি অবিচারের ইতিহাস অপলাপ করাও হয়েছে সহজ।
অজ্ঞতার দায় কি শুধুই অপলাপের?
তবে বর্তমান প্রজন্মের অজ্ঞতার দায় শুধুই ব্রিটিশদের ইতিহাসের অপলাপের উপর দেয়া যায় কি না তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। যুক্তরাজ্য ১৯২১-২২ সালের দিকে ভেঙে গিয়েছিল প্রথমবারের মতো, তখন উইনস্টন চার্চিলসহ আরও অনেক ব্রিটিশ আইরিশ ইতিহাস নিয়ে চমৎকার লেখা লিখেছেন। তাহলে বর্তমানের অবস্থা এরকম কেন?
এর পেছনে রয়েছে আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা অর্জন, অন্তত জর্জ বার্নার্ড শ তা-ই মনে করেছেন। স্বাধীনতার পর থেকেই ব্রিটেন ধীরে ধীরে আয়ারল্যান্ডের স্মৃতি মুছে ফেলতে শুরু করে, নিজেদের ইতিহাস থেকে। কিন্তু সেই সময় আয়ারল্যান্ড সরকার আইন ১৯২০ মোতাবেক উত্তর এবং দক্ষিণ আয়ারল্যান্ড নামে যে বিভাজন তৈরি করে গিয়েছিল ইংল্যান্ড, তা মেটাবার কোনো ব্যবস্থাও তারা করে যায়নি। কিন্তু পরে যখন ডাবলিন উত্তর আয়ারল্যান্ডের দখল নেয়ার চেষ্টা চালায়, তখন ব্রিটেন থেকে কোনো বাঁধাও পায়নি, যা আইরিশদের জন্য শাপে বর হয়েছিল।
এভাবে আইরিশদের মনেও ইংরেজদের জন্য একটি শতাব্দীপ্রাচীন ঘৃণা জমে যায়, যার গভীরতা হয়তো ব্রিটিশরা আজও আঁচ করতে পারছে না। ব্রেক্সিটের মতো সিদ্ধান্তগুলোই প্রমাণ করে, যুক্তরাজ্যের অংশ হিসেবে আয়ারল্যান্ডের সুবিধা-অসুবিধা কতটা হালকাভাবে নেয়া হয়। এছাড়াও রয়েছে আইরিশ ইতিহাস পড়ানোতে জটিলতা। ১৯৮৮ সালে মাইকেল হপকিন্সনের গ্রিন এগেইন্সট গ্রিন বের হওয়ার আগপর্যন্ত আইরিশ সিভিল ওয়ার একরকম ট্যাবু সাবজেক্ট ছিল ইংল্যান্ডের অ্যাকাডেমিয়াতে। আর আরও রয়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভয়। ইংল্যান্ডের সরকার মনে করে, সামান্য অজ্ঞতা রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে ভাল। অতএব এই অজ্ঞতা অনেকটাই ইচ্ছাকৃতও।
মুদ্রার উল্টো পিঠ
বিখ্যাত ঔপন্যাসিক স্যামুয়েল বেকেটকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি একজন ইংরেজ কি না, তার উত্তর ছিল নেতিবাচক। আইরিশরা এভাবেই ব্রিটিশদের থেকে নিজেদের আলাদা ভাবে, তাদের পরিচয়ের একটা বড় অংশ এটি। আইরিশ ইতিহাসেও অ্যাংলো-আইরিশ সম্পর্কের এই দিকটি অনেক গুরুত্বপুর্ন তবে বিপজ্জনক। আধুনিক ইংল্যান্ডের ইতিহাস, আধুনিক আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস না পড়ে বোঝা যাবে না। তাই আইরিশদের আত্মগৌরবও ব্রিটিশদের আইরিশ ইতিহাস নিয়ে অজ্ঞতার একটি বড় কারণ।
এছাড়াও আরেকটি সমস্যা রয়েছে ব্রিটিশ ইতিহাসবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। এখানেও ব্রিটিশদের জাত্যাভিমান কাজ করেছে। তারা প্রায় এক সহস্র বছর ধরে পৃথিবীর একটি বড় শক্তি। তাদের ইতিহাস লেখার সময় নিজেদের ভূমির বৈধতা তৈরি করার কোনো প্রয়োজন পড়েনি, তাই তাদের ইতিহাসে অন্যান্য দেশের বৈধতার কথাও খুব কমই এসেছে। আয়ারল্যান্ড ইংলিশ ইতিহাসবিদদের চোখে একটি ছোট দ্বীপ হয়েই থেকেছে। তারা এর পুঙ্খানুপুঙ্খ ইতিহাস লেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। তারা বরং গুরুত্ব দিয়েছেন ব্রিটিশ সংসদীয় রাজনীতির ও সরকারের সাথে আয়ারল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে। হার্বার্ট বাটারফিল্ডের ‘দ্য ইংলিশম্যান অ্যাণ্ড হিজ হিস্টোরি’ বইয়ে লেখা হয়েছে, ১৯২২ সালের আগে আয়ারল্যান্ড কখনোই পুরোপুরি স্বাধীন একটি রাষ্ট্র ছিল না, তাই বিভিন্ন বিদ্রোহ ও যুদ্ধগুলোকেও ব্রিটিশ ইতিহাসে ছোট করেই দেখা হয়েছে।
তবে ব্রেক্সিটের পর এটা ভালভাবেই বোঝা গিয়েছে যে, আইরিশরা নিজেদের ইতিহাস ভোলেনি, আর ব্রিটিশরা কিছুই মনে রাখেনি। অনেক বিশ্লেষকের মতে, ব্রিটিশদের এই অজ্ঞতার জন্য ভবিষ্যতে বড় মাশুল দিতে হতে পারে। এই প্রসঙ্গে আমরা এডমান্ড বার্কের একটি উক্তি স্মরণ করতে পারি,
“যারা ইতিহাস জানে না, তারাই তার পুনরাবৃত্তি ঘটায়।”