১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত পাশ হওয়ার পর ব্রিটিশ ম্যাণ্ডেট প্রশাসন যখন ফিলিস্তিন ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন ইহুদী এবং আরব উভয় বাহিনীই ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া অস্ত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। উভয়েই বুঝতে পারছিল, একটি বড় ধরনের যুদ্ধ আসন্ন এবং সেই যুদ্ধে জয়লাভ করার জন্য যত বেশি সম্ভব অস্ত্র সংগ্রহ করার কোনো বিকল্প নেই।
ইহুদীরা সে সময় আরবদের বিরুদ্ধে একইসাথে বিভিন্ন ধরনের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল অপারেশন স্টার্লিং, যার উপর আমরা আলোচনা করেছি এই সিরিজের পূর্ববর্তী পর্বে। অপারেশন স্টার্লিংয়ের আওতায় ২৩ জন নেতৃস্থানীয় আরব নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা মোটামুটিভাবে ব্যর্থ হলেও ব্যর্থ হয়নি ইহুদীর অন্য অভিযানগুলো। সেরকমই একটি অভিযান ছিল আরবদেরকে ধোঁকা দিয়ে ব্রিটিশদের অস্ত্রশস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার অভিযান।
সুদীর্ঘ ২৮ বছরের ম্যান্ডেট শাসনের অধিকাংশ সময় জুড়ে ব্রিটিশরা ইহুদী জায়নবাদীদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সাহায্য করলেও তাদের নিয়ন্ত্রিত ম্যান্ডেটরি ফিলিস্তিনের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে জায়নবাদীদের গুপ্ত সংগঠনগুলোর হাতে অবৈধ অস্ত্রের প্রবাহ ব্রিটিশ প্রশাসন অনুমোদন করত না। বিভিন্ন সময় তারা অভিযান চালিয়ে ইরগুন, লেহিসহ অন্যান্য ইহুদী সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদেরকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের অস্ত্রভাণ্ডারগুলোও জব্দ করত। কিন্তু ব্রিটিশদের প্রস্থানের সময় যত ঘনিয়ে আসতে থাকে, ফিলিস্তিনের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ এবং অস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞাও ততই শিথিল হয়ে আসতে থাকে।
ব্রিটিশরা ফিলিস্তিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হাইফাতে তাদের অস্ত্রশস্ত্র এবং যন্ত্রপাতিগুলো জড়ো করছিল জাহাজে করে ব্রিটেনে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু ইহুদীদের গুপ্ত সংগঠন হাগানার (Haganah) বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এলিট বাহিনী পালমাখ (Palmach) তাদের অধীনস্থ মেরিন কোম্পানি তথা পালায়ামের (Palyam) সদস্যদেরকে নির্দেশ দেয়, ব্রিটিশরা প্রস্থানের আগেই যত বেশি সম্ভব অস্ত্র লুট করার জন্য। এছাড়াও তাদের লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশরা প্রস্থান করা মাত্রই হাইফা বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের ফেলে যাওয়া সকল অস্ত্রশস্ত্র এবং যন্ত্রপাতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়া এবং আরবরা যেন সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ না নিতে পারে, তা নিশ্চিত করা।
পালমাখ ছিল হাগানার গুপ্ত সেনাবাহিনী। প্রায় ১০০ সদস্যের সমন্বয়ে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪১ সালের ১৫ মে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার সময় এর সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২,০০০ এ। পালমাখে শুধু পুরুষ না, নারী যোদ্ধারাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ফিলিস্তিন জুড়ে, এমনকি ফিলিস্তিনের বাইরেও আরবদের উপর অনেক সন্ত্রাসী হামলার পেছনে দায়ী ছিল এই পালমাখ। ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স গঠনে পালমাখের সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
পালমাখের ভেতর আবার অনেকগুলো বিভাগ ছিল। জার্মান বিভাগ, আরব বিভাগ, নাশকতা বিভাগ ছাড়াও এর ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ দুটি নৌ এবং বিমান বিভাগ। এই নৌবিভাগ তথা মেরিন কোম্পানিই ছিল পালায়াম। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৫ সালের এপ্রিলে। প্রাথমিক দিকে এর মূল দায়িত্ব ছিল ইউরোপ থেকে ইহুদীদেরকে ফিলিস্তিনে নিয়ে আসা জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা প্রদান করা, এবং ব্রিটিশদের প্রকাশিত শ্বেতপত্রে ইহুদী অভিবাসীদের যে সংখ্যা নির্ধারিত ছিল, তা অমান্য করে অতিরিক্ত হাজার হাজার ইহুদীর ফিলিস্তিনে প্রবেশ নিশ্চিত করা।
১৯৪৫ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত পালায়াম ৬৬টি জাহাজে করে আনুমানিক ৭০,০০০ ইহুদীকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনে অনুপ্রবেশ করায়। পরবর্তীতে ১৯৪৭-১৯৪৮ সালের আরব-ইহুদী গৃহযুদ্ধ এবং ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় এই পালায়াম পুরোপুরি ইহুদীদের নৌবাহিনী হিসেবে আবির্ভূত হয়। সমুদ্রপথে আরবদের উপর আক্রমণের যাবতীয় দায়িত্ব তাদের উপর ন্যস্ত হয়। এ সময় তারা জাহাজ বোঝাই করে ইউরোপ থেকে অস্ত্রশস্ত্রও ফিলিস্তিনে আমদানি করে। এই পালায়মের সদস্যরাই পরবর্তীতে ইসরায়েলি নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠা করে।
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশরা যখন ফিলিস্তিন ত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন এই পালায়ামের সদস্যরা নিজেরা ব্রিটিশদের অস্ত্র লুটের পাশাপাশি এটাও নিশ্চিত করছিল, যেন আরবরা কোনো অস্ত্র না পায়। সে সময় পালায়ামের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন আভ্রাহাম দার (Avraham Dar)। তার নেতৃত্বাধীন দলটির উপর দায়িত্ব ছিল হাইফাসহ ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলে আরবদের অস্ত্র সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান করা, তাদের অস্ত্রভাণ্ডার ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদেরকে খুঁজে বের করা এবং কোনো ফিলিস্তিনি আরবের বিরুদ্ধে অস্ত্র সংগ্রহের প্রমাণ পেলে তাকে হত্যা করা।
আভ্রাহাম দারের জন্ম জেরুজালেমে হলেও তিনি ছিলেন ইংরেজি ভাষী। আরব অস্ত্র ব্যবসায়ীদেরকে ফাঁদে ফেলার জন্য তিনি এবং পালায়ামের আরো দুইজন সদস্য ব্রিটিশ সৈন্যদের ছদ্মবেশ ধরে ব্রিটিশদের কাছ থেকে লুট করা অস্ত্র দেখিয়ে সেগুলো আরবদের কাছে বিক্রয় করার প্রস্তাব দেন। বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র বিক্রয়ের প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হওয়ার পর একটি আরব গ্রামের এক প্রান্তে পরিত্যক্ত ময়দার কলের ভেতর বিনিময়স্থান নির্ধারিত হয়।
নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত স্থানে আভ্রাহাম দার এবং তার দুই ইহুদী সঙ্গী ব্রিটিশ পুলিশের ইউনিফর্ম পরে অপেক্ষা করতে লাগল। ফিলিস্তিনিরা যখন টাকা পয়সা নিয়ে অস্ত্র কেনার জন্য আসলো, তখন আচমকা তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল আভ্রাহাম দার এবং তার সহকর্মীরা। তাদের সাথে যোগ দিল আড়ালে লুকিয়ে থাকা পালায়ামের আরো চার ইহুদী সদস্য। গুলি করলে শব্দ শুনে আশেপাশের আরব গ্রামবাসী জড়ো হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় তারা লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করল ফিলিস্তিনিদেরকে। এরপর তাদের টাকা-পয়সা এবং নিজেদের অস্ত্রগুলো নিয়ে ফিরে গেল হেডকোয়ার্টারে।
পালায়াম ছাড়াও পালমাখের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ছিল আরব প্লাটুন বা আরব ইউনিট। আরব ইউনিটটি ছিল ফিলিস্তিনের আরবি ভাষাভাষী ইহুদীদের সমন্বয়ে গঠিত, যারা আরব ভূমি থেকে ইহুদী বসতিগুলোতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। শত শত বছর ধরে আরবদের সাথে বসবাস করা এই ইহুদীদের শুধু ধর্মটাই মুসলমানদের চেয়ে ভিন্ন ছিল, কিন্তু ভাষা, সংস্কৃতি, পোশাক-আশাক সবকিছুই ছিল স্থানীয় আরবদের মতো। তারা পৃথকভাবে নিজেদের ধর্ম পালন করত, কিন্তু এর বাইরে সামাজিকভাবে আরবদের মতোই জীবন যাপন করত। আরবদের কাছে তাদের পরিচিতি ছিল ‘মুস্তারেবিন’ হিসেবে, যার অর্থ আরবদের মতো।
এই মুস্তারেবিন শব্দটি থেকেই এসেছে হিব্রু শব্দ মিস্তারাভিম (Mistaravim), এটিও একই অর্থ প্রকাশ করে। পালমাখের আরব ইউনিটটির প্রতিষ্ঠানিক নাম ভিন্ন হলেও মৌখিকভাবে তারা মিস্তারাভিম নামেই পরিচিত ছিল। এই মিস্তারাভিম বা মুস্তারেবিনদের লক্ষ্য ছিল আরবদের সাথে মিশে তাদের বিভিন্ন গোপন তথ্য সংগ্রহ করা এবং প্রয়োজনে আরবদের ছদ্মবেশ ধরে কারো সন্দেহের উদ্রেক না ঘটিয়েই আরব বসতিগুলো অভ্যন্তরে প্রবেশ করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন অথবা গুপ্তহত্যা চালানো। মুস্তারেবেনদিরকে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা, সংস্কৃতি এবং ইসলাম ধর্মের উপর ব্যাপক প্রশিক্ষণ দেওয়ানো হতো, যেন তাদের ছদ্মবেশ নিখুঁত হয়।
১৯৪৮ সালে এই মুস্তারেবিন সদস্যরা আক্রমণ করে শেখ নিমর আল-খাতিবের উপর। নিমর আল-খাতিব ছিলেন একজন প্রভাবশালী মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা, যিনি অপারেশন স্টার্লিংয়ের মূল ২৩ জন নেতার তালিকায় ছিলেন। আরব হায়ার কমিটি এবং ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ প্যালেস্টাইনের নেতা হওয়ায় স্থানীয় মুসলমানদের উপর তার ব্যাপক প্রভাব ছিল। আর সে কারণেই তাকে হত্যা করার নির্দেশ জারি করে হাগানা। প্রথমদিকে হাগানার অন্যান্য ইউনিট তাকে হত্যার চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে তাকে হত্যার দায়িত্ব এসে পড়ে মুস্তারেবিনদের উপর।
১৯৪৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শেখ নিমর যখন দামেস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফিরে ফিলিস্তিনে ফিরছিলেন, তখন মুস্তারেবিন সদস্যরা তার উপর আক্রমণ করে। তারা আরবদের ছদ্মবেশে আগে থেকেই শেখ নিমরের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পেরেছিল এবং বিনা বাধায় হাইফাতে তার গাড়ির কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছিল। তারা শেখ নিমরের গাড়ি লক্ষ্য করে ৩২ রাউন্ড গুলি করে। শেখ নিমর গুরুতর আহত হন এবং ফিলিস্তিন ছেড়ে চলে যান। যুদ্ধের বাকি সময় তিনি আর ফিলিস্তিনে প্রত্যাবর্তন করেননি।
শেখ নিমরের উপর হামলার কিছুদিন পর আভ্রাহাম দার তার এক এজেন্টের কাছ থেকে জানতে পারেন, কিছু আরব একটি ক্যাফেতে বসে হাইফার একটি ইহুদী বসতির উপর গাড়িবোমা হামলার পরিকল্পনা করছিল। তাদের আলোচনা অনুযায়ী, তারা একটি ব্রিটিশ অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করেছে এবং নাজারেথ রোডের একটি গ্যারেজে সেটিকে বিস্ফোরকসহ প্রস্তুত করছে। নাজারেথ রোডটি যেহেতু আরবদের এলাকায়, তাই আভ্রাহাম দার পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব দেন মুস্তারেবিনদের উপর।
মুস্তারেবিনরা নিজেরাই পাল্টা একটি ট্রাকের ভেতর বিস্ফোরক বোঝাই করে ঐ গ্যারেজের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। তারা এলাকার পাইপ সংস্করণের কাজে নিয়োজিত আরব শ্রমিকদের ছদ্মবেশে কোনো বাধা ছাড়াই ঠিক ঐ গ্যারেজের দেয়ালের সামনে গিয়ে ট্রাকটি পার্ক করে। এরপর পাশে অপেক্ষমান অন্য একটি গাড়িতে উঠে ফিরে আসে। কয়েক মিনিট পরেই বিস্ফোরিত হয় তাদের বোমাটি, সেই সাথে বিস্ফোরিত হয় গ্যারেজের ভেতরে থাকা অ্যাম্বুল্যান্সের ভেতরের বোমাটিও। নিহত হয় বোমা প্রস্তুতকারী পাঁচ ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হাগানাসহ পূর্বের বিভিন্ন বাহিনী বিলুপ্ত হয়ে নতুন সৃষ্ট সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলেও মুস্তারেবিনরা এখনও ইসরায়েলের সামরিক এবং গোয়েন্দাবাহিনীগুলোর অধীনস্থ থেকে ফিলিস্তিনের ভেতরে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। মুস্তারেবিনদের সৃষ্টি, বিবর্তন, সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরে তাদের বিন্যাস, প্রশিক্ষণ এবং সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে আমাদের বিস্তারিত একটি লেখা আছে এই লিঙ্কে।
তথ্যসূত্র: Rise and Kill First: The Secret History of Israel’s Targeted Assassinations
এই সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলো
(১) সন্ত্রাসী সংগঠন লেহি’র গুপ্তহত্যা (২) উগ্র জায়নবাদের উত্থান (৩) ইহুদীদের নৈশ প্রহরী হাশোমারের ইতিহাস (৪) আইডিএফের পূর্বসূরি হাগানার উত্থান (৫) নাৎসিদের উপর ইহুদী ব্রিগেডের প্রতিশোধ (৬) ফিলিস্তিন থেকে জার্মানদের উচ্ছেদ (৭) যে সন্ত্রাসী হামলাগুলোর মাধ্যমে ইসরায়েলের সৃষ্টি (৮) হাসান সালামা হত্যাপ্রচেষ্টা (১০) গোয়েন্দাবাহিনী আমান এবং শিন বেতের সৃষ্টি
ফিচার ইমেজ: dglnotes.com