ঢাকার পুরনোতম অংশ, নাম তাই পুরান ঢাকা। কিন্তু নতুন ঢাকার সাথে বয়সের তুলনায় যদি না-ও যান, তবু একে যথেষ্ট ‘পুরান’-ই বলতে হবে। চারশো বছরের ইতিহাসসমৃদ্ধ এলাকাকে ‘পুরান’ মানা ছাড়া উপায়-ই বা কী!
উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে পুরান ঢাকার স্থাপনাগুলো যেমন হারিয়ে যাচ্ছে, তেমনি হারাতে বসেছে তার সোনালি ইতিহাসের গল্পগুলোও। অথচ এখনো পুরান ঢাকার অলিগলি, রাস্তাঘাট, বাজার, এলাকা- সবকিছুই যেন গলা উঁচিয়ে জানান দেয় তার অতীত-জৌলুশের কথা। পুরান ঢাকার এমনই কিছু ঐতিহ্যবাহী এলাকার অতীত-পরিচিতি নিয়ে থাকছে আজকের পর্ব।
নবাবপুর
পুরান ঢাকার সবচেয়ে পুরনো এলাকার একটি হলো নবাবপুর। মুঘল আমলের শেষ দিকে এখানে আমির-উমরাগণ বসবাস করতেন বলে এলাকাটি উমরাপাড়া বা উমেরপুর নামে পরিচিত ছিল।
ইসলাম খানের আমল থেকেই নবাব বাহাদুর এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতেন বলে এর নামকরণ করা হয়েছে ‘নবাবপুর’। ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে নবাবপুর সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই সুপরিচিত। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক সকল প্রকার সরঞ্জামের আখড়া মনে করা হয় নবাবপুরকে। দিনভর লোকের পদচারণায় এবং যানজটে, এই এলাকা আর নেই আগের মতো।
রোকনপুর
ঢাকার একটি প্রাচীন জনপদের নাম ‘রোকনপুর’। কথিত আছে যে, এখানে সুলতানি আমলে রোকন উদ্দিন চিশতি নামে একজন দরবেশ বাস করতেন। তার নামানুসারেই এলাকাটির নামকরণ করা হয় রোকনপুর। এই এলাকায় তার নামে একটি মাজারও রয়েছে।
এই স্থাপনার দক্ষিণ ও পশ্চিমে ছিল সরকারি রাস্তা, পূর্বে ছিল নকি দপ্তরির বাড়ি, আর উত্তরে ছিল টুকানি চাপরাশির বাড়ি। ঊনিশ শতকে সরকারি কর্মচারি ছাড়াও রোকনপুর এলাকাটিতে বাস করতেন অভিজাত শ্রেণির লোকেরা।
সূত্রাপুর
কাঠের কাজ যারা করেন, তারা সূত্রধর নামে পরিচিত। প্রাচীন ঢাকায়, বাড়ি-ঘর, নৌকা ইত্যাদি দারুশিল্প নির্মাণে সূত্রধররা যে এলাকায় বসতি স্থাপন করেছিল, তাদের নামানুসারেই এলাকাটির নাম হয় সূত্রাপুর। ঢাকার প্রাচীন মহল্লাগুলোর মধ্যে সূত্রাপুর অন্যতম। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিক থেকেও বেশ সমৃদ্ধ এই এলাকা। এখানে মিল ব্যারাকের পাশেই রয়েছে বেগ মুরাদের প্রাচীন দুর্গ।
ইসলামপুর
ঢাকার প্রথম মুঘল সুবেদার ও মুঘল বাহিনীর প্রধান ছিলেন ইসলাম খান চিশতি। তিনিই মূলত মুঘল ঢাকার গোড়াপত্তন করেন। তার পূর্ব নাম ছিল শেখ আলাউদ্দিন চিশতি। সম্রাট জাহাঙ্গীর তাকে ‘ইসলাম খান’ উপাধি দেন।
রাজধানীর মর্যাদালাভ থেকে শুরু করে শহর-ঢাকার সত্যিকারের প্রবর্তনের কৃতিত্ব অনেকটাই ইসলাম খান চিশতির। এতদসত্ত্বেও তার নামে ঢাকার কোনো স্মরণীয় স্থানের নামকরণ হয়নি। শুধু একটি এলাকাই আছে পুরান ঢাকায় তার নামে- ইসলামপুর।
এই ‘ইসলামপুর’ নাম যেন আজও তার শাসনামলকে মনে করিয়ে দেয়। পুরান ঢাকার ঠিক এই মহল্লাতেই তিনি বাস করতেন। বর্তমানে অবশ্য তার বাড়ির কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট নেই। এককালের বনেদী এই এলাকা আগে কাঁসা-পিতল, ঘড়ি, বই-পুস্তক প্রভৃতি পণ্যের ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিল।
আজিমপুর
আজিমপুর শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে লোকালয়। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, ১৮৫০ সালের সার্ভেয়ার জেনারেলের ম্যাপে আজিমপুর এলাকাটিকে একটি বসতিহীন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ধারণা করা হয়, ঢাকা নগরী ব্রিটিশ শাসনের পর পূর্ববাংলা পাকিস্তানের অংশ হয়ে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের রাজধানী হওয়ায় সরকারি কর্মচারীদের থাকার জন্য সরকারের তরফ থেকে যেমন কলোনি নির্মাণ করা হয়েছে, ঠিক একইভাবে প্রায় চারশো বছর আগে মুঘল শাসনামলে শায়েস্তা খাঁ যখন লালবাগ দুর্গ নির্মাণ করেন, তখন রাজকর্মচারীদের বাসস্থানের জন্য বর্তমানের আজিমপুরকে নির্বাচিত করা হয়।
সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র সুবেদার শাহজাদা মোহাম্মদ আজমের শাসনামলে এটি প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল বলে তার নামানুসারেই এলাকাটির নাম রাখা হয় ‘আজিমপুর’। অবশ্য ভিন্ন একটি সূত্রমতে, আওরঙ্গজেবের নাতি শাহজাদা আজিম-উশ-শানের নামানুসারেই এই মহল্লাটি আজিমপুর নামে অভিহিত হয়।
মাহুতটুলি
পুরান ঢাকার মাহুতটুলি এলাকার নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। ঢাকার ইতিহাসে হাতি যে খুবই মূল্যবান একটি অধ্যায় ছিল, তা হয়তো অনেকেই জানেন। রাজা-বাদশাহ শাসিত অঞ্চলে হাতি থাকবে না? তা-ই হয় নাকি!
শৌখিনতাবশত হাতির পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ানো রাজা-বাদশাহদের ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এক রাজা আরেক রাজাকে উপহার হিসেবেও হাতি দিতেন। সে সময়ে ঢাকায় হাতিও ছিল অনেক। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার নামকরণেও তাই জড়িয়ে আছে ইতিহাসের এই অধ্যায়। মাহুতটুলি তেমনই একটি এলাকা।
হাতির পালন-রক্ষণাবেক্ষণ ও চালনের কাজটি যারা করেন, তাদের বলা হয় মাহুত। আর মাহুতটুলি মানে হচ্ছে সেই এলাকা, যেখানে মাহুতরা বসবাস করতেন। নামকরণেই লুকিয়ে আছে এলাকাটির ইতিহাস।
বাদামতলী
বাদামতলীতে কিন্তু বাদাম পাওয়া যায় না! আদৌ কখনো পাওয়া যেত কি না, সেটিও ইতিহাস নিশ্চিতভাবে বলতে পারে না। তবে বাদাম পাওয়া না গেলেও, এটি একটি বিখ্যাত ফলের বাজার। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে, ওয়াইজঘাট পর্যন্ত এলাকা জুড়ে সম্প্রসারিত ফলের পাইকারি বাজার বাদামতলী।
১৯৩৫ সালে জনাব হাসান আলী ঢালি এবং অপর চার-পাঁচজন ব্যবসায়ী মিলে এই স্থানটিতে ফলের পাইকারি ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্থানীয় মৌসুমি ফল এবং পশ্চিম পাকিস্তানের অন্যান্য কিছু ফল এখানে বিক্রি করতেন তারা। স্বাধীনতার পর আরও মানুষ যোগ দেয় ফল ব্যবসায়। পূর্বে দেশীয় ফল বিকিকিনি হলেও এখন এটি সম্পূর্ণ বিদেশী ফল নির্ভর এক আড়ৎ।
টিকাটুলি
অন্তত হালের আলোচিত এক সিনেমার ‘আইটেম’ গানের জন্য টিকাটুলি এলাকার নাম প্রায় সবারই চেনা। কিন্তু এই নামের সাথে যে ঢাকাবাসীর অতীত তামাক-বিলাসের স্মৃতি জড়িত, তা কি জানা আছে কারো?
কাঠ-কয়লার গুঁড়ো দিয়ে গোল করে এক রকম জিনিস বানানো হতো এখানে, যা ‘টিকিয়া’ নামে পরিচিত ছিল। অতীতে তামাক সাজানোর পর আগুন দিতে এই গোল গোল টিকিয়া ব্যবহার করা হতো। এই টিকিয়া প্রস্তুতকারীরা একত্রে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাস শুরু করলে, সেই এলাকার নাম হয় টিকাটুলি।
টিকিয়া বানানোর তরিকা কারিগরেরা খুব গোপন রাখতেন। যারা বানাতে পারতেন, তারা তা নিজেদের মধ্যেই রাখতেন এবং সাধারণ কাউকে ভুলেও জানাতেন না! এইজন্য তাদের মৃত্যুর সাথে সাথে টিকিয়াও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
নিমতলী
বর্তমান চানখাঁরপুল থেকে নাজিমউদ্দিন রোড ধরে হাতের বাঁয়ের সড়কটিই নিমতলী সড়ক। মুঘল আমলের শেষদিকে এই নিমতলী মহল্লাতেই নির্মিত হয় একটি সরকারি প্রাসাদ- নিমতলী প্রাসাদ। ইংরেজ আমলেও নায়েব-এ-নাজিমের অধীনে প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে টিকে ছিল এটি। স্থানীয়রা একে নবাব কাটরাও বলে থাকেন।
এই প্রাসাদের প্রবেশদ্বারটিকে আমরা জানি ‘নিমতলী দেউড়ী’ নামে। এক প্রলয়ংকারী ভূমিকম্পে প্রাসাদটি ভেঙে গেলেও প্রবেশদ্বার ছিল অটুট। দৃষ্টিনন্দন এই তোরণটি তার অতীতের জৌলুশ অনেকটাই হারিয়েছে। তবু এখনো পর্যটকেরা তা দেখতে ভিড় করেন।
মালিটোলা
পুরান ঢাকাকে যে ‘বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির’ শহর বলা হয়, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণটি পাওয়া যায় মালিটোলা এলাকায় গেলে। কারণ এই এলাকাটি একের পর এক গলি দ্বারা আবর্তিত। এখানে বাইশ গলি নামেও বিখ্যাত এক গলিবহর রাস্তা আছে।
মুঘলরা ফুল, বাগান খুব ভালোবাসত। তারা যেখানেই রাজত্ব করত, সেখানেই বাগান নির্মাণ করত। সাথে নিয়োজিত থাকত দক্ষ মালি। মালিটোলা হচ্ছে সেই এলাকা, যেখানে মালিরা পুরো পরিবার নিয়ে বসবাস করত।
ফরাশগঞ্জ
বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর তীরে গড়ে ওঠা ফরাসি বণিকদের স্মৃতিবিজড়িত এলাকাটির নাম ফরাশগঞ্জ। ১৭৫০ সালের দিকে ফরাসিরা বাংলায় আসে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে। প্রথমে তেজগাঁও, পরে ১৭৮০ সালে ঢাকার নায়েব-এ-নাজিম নওয়াজিশ মোহাম্মদ খানের কাছে অনুমতি নিয়ে ফরাসি বণিকরা প্রতিষ্ঠিত করে একটি ছোট্ট ‘গঞ্জ’।
সেই গঞ্জটি, ফ্রেঞ্চগঞ্জ নামে পরিচিতি লাভ করে। এখানেই তারা বাণিজ্যিক কুঠিও স্থাপন করে। কিন্তু পলাশীর যুদ্ধের পর ব্রিটিশদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ফরাসিরা তাদের কুঠি, ব্যবসা বেচে দিয়ে অন্যত্র চলে যায়। ফরাসিরা চলে গেলেও ফ্রেঞ্চগঞ্জ বা ফরাসিগঞ্জ নামটি হালকা বদলে গিয়ে ফরাশগঞ্জ হিসেবে টিকে গেছে কালের ক্রমে। সাথে মশলার আড়ৎ হিসেবেও এলাকাটি পেয়ে গেছে পরিচিতি।
উলটিগঞ্জ
ফরাশগঞ্জে নদী তীরবর্তী একটি এলাকার নাম উলটিগঞ্জ। এই এলাকাটি ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজ পদস্থ অফিসার মি. উলটিন সাহেব এখানে একটি বাজার স্থাপন করেছিলেন বলে পুরো এলাকাটি তারই নামানুসারে রাখা হয় ‘উলটিনগঞ্জ’। কালের পরিক্রমায় উলটিনগঞ্জ নামটিই ‘উলটিগঞ্জ’ রূপ নেয়। তবে এলাকাটি প্রথমে ‘শ্মশানঘাট’ নামে পরিচিত ছিল। পরে সেই শ্মশান পোস্তগোলায় স্থানান্তরিত হয়।
রহমতগঞ্জ
চারশো বছরের পুরনো ঢাকায় পদার্পণ হয়েছিল নানান দেশের নানান লোকের। ইরানিরা যখন এ শহরে ভাগ্যান্বেষণে এল, তখন তারা যে এলাকায় নিজেদের ঘাঁটি গেড়েছিল, সেই এলাকার নাম ছিল ‘বাগে মীর মোমেনা’।
কিন্তু নবাব শায়েস্তা খাঁর আমলে রহমত উল্লাহ ওরফে রহমত খাঁর নামানুসারে সেই ইরানি এলাকাই রহমতগঞ্জ নামে পরিচিত হতে শুরু করে। এই রহমত খাঁ ছিলেন বেতন বণ্টনকারী একজন রাজকর্মচারী। কিছুকাল তিনি বাংলার অস্থায়ী সুবেদারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন এবং একটি গঞ্জ স্থাপন করেন।
ঢাকার কাঁসারহাট এলাকায় ছিল রহমত খাঁনের নবাবি প্রাসাদ। যদিও এখন সেই প্রাসাদের কোনো চিহ্নই খুঁজে পাওয়া যায় না। এই এলাকায় একসময় কুস্তি ও লাঠি খেলার বেশ চল ছিল। বর্তমানে এই এলাকায় একটি বিশাল ফুটবল মাঠ রয়েছে, যার নাম রহমতগঞ্জ ফুটবল মাঠ।
সরাফতগঞ্জ
গঞ্জ শব্দের অর্থ বাজার। অধিকাংশ এলাকাই একেকজন প্রতাপশালী মানুষের স্থাপন করা বাজারের সাথে নিজের নাম যোগ করে নামকরণ করা হয়ে থাকে। ‘সরাফতগঞ্জ’ এর ইতিহাসও একই রাস্তায় চলছে। অর্থাৎ, তৎকালীন এই এলাকায় সরাফতউল্লাহ নামে একজন বিত্তশালী মানুষের বাস ছিল, যিনি ওখানে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তখন থেকেই এলাকাটি ‘সরাফতগঞ্জ’ নামে পরিচিতি লাভ করে। এই এলাকাটি বিখ্যাত ছিল আখের জন্য।
আলমগঞ্জ
পুরান ঢাকার আরও একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা হচ্ছে আলমগঞ্জ, যেটির অবস্থান মিলব্যারাক-এর কাছেই। নামের উৎস নিয়ে নানানজন নানান কথা বলে থাকেন। কারো মতে, মুঘল বাদশাহ আলমগীরের নামানুসারে এর নাম আলমগঞ্জ হয়েছে, কারো মতে, মহল্লাটি প্রাক-মুঘল আমলে গড়ে উঠলেও আলমগঞ্জ নামটি মুঘলদের শাসনামলে স্বীকৃতি পায়। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন, এখানে একসময় হয়তো বড় ধরনের গঞ্জের অবস্থান ছিল।
আবাসিক এলাকার পাশাপাশি বর্তমানে এখানে অনেক ক্ষুদ্র কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সময়ের গর্ভে জায়গাটি তার অতীত জৌলুশ হারালেও আলমগঞ্জ সম্রাট আলমগীর তথা আওরঙ্গজেবের স্মৃতি বহন করে চলেছে।
এই এলাকাগুলো ছাড়াও পুরান ঢাকায় আছে আরও অনেক এলাকা, আরও অনেক ইতিহাস। বলতে গেলে, পুরান ঢাকা স্বয়ং একটি জীবন্ত ইতিহাস। এর যা-ই বিলুপ্ত হয়েছে , যা-ই অবশিষ্ট আছে, সবই কোনো না কোনো আখ্যান তুলে ধরে। এখানকার রাস্তায় হাঁটলে মনে হতে পারে, এক জীবন্ত সত্ত্বা আপনাকে শোনাচ্ছে তার নিজের গল্প।
বাস্তবে অবশ্য সেই পুরান ঢাকা কতটা জীবন্ত- তা নিয়ে তর্ক হতেই পারে। ‘পুরান’ ‘পুরান করতে করতে আমরা নতুনেরা যে এর জৌলুশকে ঠেলে দিয়েছি আস্তাকুঁড়ে! ইতিহাস আর অবকাঠামোর উপযুক্ত সংরক্ষণে আমরা কি আবারও ফিরে পাবো চারশো বছরের ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার সেই সোনালি দিনগুলো?