দ্বিতীয় পিউনিক যুদ্ধে সিপিও আফ্রিকানাস স্পেন থেকে কার্থেজকে বিতাড়িত করেছিলেন। রোম স্পেনের নাম দিয়েছিল হিস্পানিয়া (Hispania)। সিপিও হিস্পানিয়া ত্যাগ করেন ২০৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। এই সময়ই বর্তমান সেভিলের কাছে প্রথম হিস্পানিয়াতে ল্যাটিন কলোনি স্থাপিত হয়। এর নাম ছিল ইটালিকা (Italica)। তখন থেকে ১৯৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত রোমের পক্ষে প্রাদেশিক সরকার শাসনকার্য পরিচালনা করে।
হিস্পানিয়াতে রোমের নিয়ন্ত্রণে ছিল মূলত ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিকের উপকূলবর্তী অঞ্চল। ১৯৭-এ ইব্রো নদীর দুই পাশে হিস্পানিয়ার অন্তর্গত এলাকা রোম দুটি প্রদেশে ভাগ করে- হিস্পানিয়া ক্রাইটেরিয়র (Nearer Spain) এবং হিস্পানিয়া আল্টেরিয়র (Further Spain)। এই দুই অংশে শাসন পরিচালনা করতে রোম থেকে গভর্নর পাঠানো হত।
হিস্পানিয়ার আদি গোত্রগুলো কিন্তু এই অঞ্চলে রোমের অনুপ্রবেশ সহজভাবে মেনে নেয়নি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কেল্টিবেরিয়ান (Celtiberians) ও লুসিটানিয়ান (Lusitanians) জাতি। বর্তমান স্পেনের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে এদের বসবাস ছিল। আধুনিক ঐতিহাসিকরা লুসিটানিয়ানদের বাসস্থান হিসেবে পর্তুগালকে চিহ্নিত করেছেন। এর আগের নামই ছিল লুসিটানিয়া (Lusitania)।
বিবাদের কারণ
স্প্যানিশ গোত্রগুলোকে রোমান শাসকরা অসভ্য বর্বর জাতি হিসেবেই বিবেচনা করত। সেই সময় রোমান শাসকদের মর্যাদার মাপকাঠি ছিল যুদ্ধে সাফল্য। যে যত যুদ্ধ জয় করে মূল্যবান সামগ্রী রোমে পাঠাতে পারত তার অবস্থান সিনেটের কাছে ছিল তত উপরে। পরবর্তীতে তাদের পক্ষে রোমে ফিরে গিয়ে উচ্চ রাজনৈতিক পদে আসীন হওয়া ছিল সহজ। এদিক থেকে হিস্পানিয়ার রোমান শাসকেরা স্প্যানিশ গোত্রের নগরগুলোকে প্রথমে সহজ শিকার মনে করেছিল। এগুলো তাদের কাছে ছিল নিশ্চিত বিজয় ও অর্থ-সম্পদের আধার, যা তাদের ব্যক্তিগত গৌরব ও প্রতিপত্তিকে সুরক্ষিত করবে। কিন্তু স্প্যানিশ জাতিগুলো ছিল যুদ্ধে পটু। রোমের মতো সম্পদ ও সরঞ্জামের অভাব থাকলেও হিস্পানিয়ার রুক্ষ পার্বত্য ও বনজঙ্গলে ছাওয়া এলাকা তাদের গেরিলা যুদ্ধের সুযোগ করে দিয়েছিল। রোমের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বারবারই তারা শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তাই হিস্পানিয়াতে পূর্ণ কর্তৃত্ব স্থাপন করতে রোমের বহু সময় ও সৈন্য ব্যয় করতে হয়।
কেল্টিবেরিয়ানদের বিদ্রোহ
হিস্পানিয়াতে রোমের আবির্ভাবের পরবর্তী পঁচিশ বছরের মধ্যে কেল্টিবেরিয়ানরা তিনবার রোমের বিপক্ষে অস্ত্র তুলে নেয়। প্রথম ১৯৬/১৯৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মার্কাস পোর্সিয়াস কাটো (Marcus Porcius Cato) তাদের কঠোরভাবে দমন করেন। তিনি ইব্রোর পূর্বে রোমের ক্ষমতার সীমানা বৃদ্ধি করেন এবং পিরেনিজ (Pyrenees) থেকে গুয়াডালকুইভির (Guadalquivir) অবধি এলাকার অধিবাসীদের নিরস্ত্র করে এদের সমস্ত দুর্গ ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দেন।
কেল্টিবেরিয়ানরা ক্ষান্ত দেয়নি। ১৯১-১৮৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মাঝে আবার তাদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিলে লুসিয়াস অ্যামিলাস পলাস (Lucius Aemilius Paulus) শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু দশ বছর পর আবার তারা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৎকালীন হিস্পানিয়ার শাসক ছিলেন টাইবেরিয়াস সেম্প্রোনিয়াস গ্র্যাকাস (Tiberius Sempronius Gracchus)। তিনি ১৭৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে কেল্টিবেরিয়ানদের শতাধিক নগর দখল করে তাদের বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করেন। তবে গ্র্যাকাস পূর্ববর্তী রোমান শাসকদের থেকে নমনীয় আচরণ করেন। তিনি ন্যায্যতার সাথে স্প্যানিশ গোত্রগুলোর দাবির মীমাংসা করেন এবং তাদের চাষাবাদের জমির ব্যবস্থা করেন। দূরদর্শিতা ও সুবিচারের জন্য স্প্যানিশ গোত্রগুলোর কাছে গ্র্যাকাস শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে ওঠেন। তার করা সংস্কারের ফলে এরপর প্রায় পঁচিশ বছর হিস্পানিয়াতে তুলনামূলকভাবে শান্তি বিরাজ করে। ১৭১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কার্তেয়াতে (Carteia) আরেকটি ল্যাটিন কলোনি প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে লুসিটানিয়াতে পুরো সময় জুড়েই ছোটখাট সংঘর্ষ চলছিল।
লুসিটানিয়ানদের সাফল্য
১৫৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে হিস্পানিয়াতে রোমান গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মামিয়াস (Mummius)। অত্যন্ত নিষ্ঠুর প্রকৃতির এই মামিয়াসই গ্রিসের করিন্থ নগর মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিলেন। তার নিষ্ঠুরতায় অতিষ্ঠ লুসিটানিয়ানরা বিদ্রোহ করল। তারা মামিয়াসকে যুদ্ধে পরাজিত করলে উৎসাহিত কেল্টিবেরিয়ানরা নতুন করে রোমের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করে। তাদের দমনে মামিয়াসের দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় এবং বিপুল সংখ্যক রোমান নাগরিক বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হয়।
১৫২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নতুন রোমান শাসক মার্সেলাস (Marcellus) বিদ্রোহীদের পরাস্ত করে অনেকটা নমনীয়ভাবে হিস্পানিয়া পরিচালনা করতে থাকেন। কিন্তু তার পরবর্তী লুকুলাস (Lucullus) ও গ্যালবা (Galba) ছিলেন স্বার্থপর ও লোভী। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে হেন কাজ নেই যা তারা করতে পারতেন না। ফলে হিস্পানিয়া আবার উত্তাল হয়ে উঠল।
ভিরিয়াথাসের উত্থান
ভিরিয়াথাসের জন্ম লুসিটানিয়াতে, সম্ভবত ১৮০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, গ্র্যাকাসের শাসনামলে। তরুণ বয়সে বন্ধুবান্ধবদের সাথে ভিরিয়াথাসও রোমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় লড়াইতে অংশ নেন। ১৫১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে লুসিটানিয়ানরা যখন গ্যালবার সেনাদলকে পরাজিত করে, তখন ভিরিয়াথাস একজন উঠতি নেতা হিসেবে পরিচিত।
রোমানদের ছাড়া-ছাড়া সংঘর্ষে পরাজিত করলেও রোমের মতো লম্বা সময় লড়াই চালিয়ে যাবার ক্ষমতা স্প্যানিশ কোনো গোত্রেরই ছিল না। উপরন্তু রোমানরা বারবার হামলা করে লুসিটানিয়ানদের অনেক বসতি পুড়িয়ে দেয় এবং তাদের বহু লোককে হত্যা করে। শেষ পর্যন্ত লুসিটানিয়ানরা গ্যালবার কাছে সন্ধির প্রস্তাব পাঠায়। চতুর গ্যালবা এক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করলেন।
১৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের নির্দিষ্ট দিনে লুসিটানিয়ার এক গ্রামে প্রায় ৩০,০০০ মানুষ সমবেত হলো রোমানদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে। গ্যালবা তাদের সব দাবিদাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার নির্দেশে লুসিটানিয়ানদের নিরস্ত্র করা হয়। এরপর ৩০,০০০ মানুষ তিনভাগে ভাগ হয়, প্রত্যেক ভাগকে অপর ভাগের দৃষ্টিসীমার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্যালবার কম্যান্ডে রোমান সেনারা লুসিটানিয়ানদের চারিদিকে গর্ত করে। এবার রোমান সৈনিকেরা তাদের ভেতর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক পুরুষকে টেনে বের করে হত্যা করে। আতংকিত লুসিটানিয়ানরা বিশৃঙ্খলভাবে পালানোর চেষ্টা করে। খুব অল্প সংখ্যকই সফল হয়, তাদের মধ্যে একজন ভিরিয়াথাস।গণহত্যা শেষে গ্যালবা প্রচুর লুটতরাজ চালিয়ে প্রাপ্ত মালামালের বেশিরভাগ নিজেই দখল করে নেন।
রোমান সিনেট গ্যালবার নীচতায় স্তম্ভিত হয়ে যায়। কাটোর উদ্যোগে গ্যালবাকে সিনেটে বিচারের সম্মুখীন করা হলেও তিনি অর্থ ও ক্ষমতার দাপটে পার পেয়ে যান। কিন্তু লুসিটানিয়াতে জ্বলে ওঠে প্রতিশোধের আগুন, যার নেতাদের অন্যতম ভিরিয়াথাস।
তুর্দেতানিয়া আক্রমণ
১৪৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে লুসেটানিয়ানরা রোমানদের অধীনে থাকা তুর্দেতানিয়া অতর্কিত হামলা চালায়। রোমান সেনাদলও তড়িৎ জবাব দিল। তাদের কম্যান্ডার ভেটিলিয়াস লুসিটানিয়ানদের এক নদীর ধারে আটকে ফেললেন। হতাশ হয়ে তারা সন্ধির প্রস্তাব দিলে ভেটিলিয়াস তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে বললেন। ভিরিথিয়াস তখন লুসিটানিয়ানদের গ্যালবার বিশ্বাসঘাতকতা স্মরণ করিয়ে দিলে তারা ভেটিলিয়াসের শর্ত প্রত্যাখ্যান করল।
ভিরিয়াথাস তার অশ্বারোহী যোদ্ধাদের নিয়ে রোমানদের ব্যস্ত রাখলেন। এই ফাঁকে পদাতিক সেনারা নিরাপদে পিছু হটে গেল। ভিরিয়াথাস যখন নিশ্চিত হলেন সমস্ত লুসিটানিয়ান পদাতিক সরে যেতে পেরেছে তখন তিনিও সরে এলেন। ভেটিলিয়াস ধাওয়া করলেন।
ভিরিথিয়াস পরিকল্পনা মতো রোমানদের টেনে নিয়ে এলেন বার্বেসুলা (Barbesula) নদীর কাছে এক সংকীর্ণ রাস্তায়। এর একদিকে ঝোপঝাড়ে ঢাকা ঢাল আর অন্যদিকে খাড়া পাহাড়। ঢালে পদাতিক সেনারা লুকিয়ে বসে ছিল। রোমান সেনারা তাদের নিচে আসামাত্র তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে, ভিরিথিয়াসও অশ্বারোহীদের নিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন। ভেটিলিয়াসসহ প্রায় ৪০০০ রোমান যোদ্ধা নিহত হয়, তবে শেষ পর্যন্ত রোমানরা ভিরিথিয়াসের বেষ্টনী ভেদ করে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
রোমানদের উপর হামলা
ভিরিথিয়াস জানতেন সরাসরি যুদ্ধে রোমান বাহিনীকে পরাজিত করা তার পক্ষে অত্যন্ত কঠিন। তাই তার কৌশল ছিল হঠাৎ আক্রমণ করে পিছিয়ে আসা যাতে রোমানরা তাকে তাড়া করে। সুবিধাজনক অবস্থানে ভিরিথিয়াসের মূল বাহিনী আগেই লুকিয়ে থাকত। নাগালের মধ্যে আসামাত্র তারা রোমানদের উপর হামলা চালাত। ১৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কার্পেটানির কাছে এই উপায়ে তিনি রোমান বাহিনীর প্রভূত ক্ষতিসাধন করেন। পরে ভেনেরিস পর্বতের (বর্তমান ভেনাস পর্বত) নিকটে তিনি রোমানদের আরেকটি বাহিনীকে পরাস্ত করেন। ভিরিয়াথাসের নেতৃত্বে লুসিটানিয়ানরা বিভিন্ন এলাকায় রোমান গ্যারিসনের উপর অতর্কিত হামলা চালাতে থাকে এবং একপর্যায়ে তিনি সগোব্রিগা (Segobriga) শহর অধিকার করে নেন।
১৪৫-১৪২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
ভিরিথিয়াসের সাফল্যে উদ্বিগ্ন রোমান সিনেট ১৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কন্সাল অ্যমেলিয়ানাসকে (Fabius Maximus Aemilianus) হিস্পানিয়াতে প্রেরণ করে। ১৫,০০০ পদাতিক ও ২,০০০ অশ্বারোহী নিয়ে অ্যমেলিয়ানাসকে হিস্পানিয়াতে অবতরণ করেন। সৈন্যদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে ১৪৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি ভিরথিয়াসের মোকাবেলা করলেন। তার অধীনে সেনারা লুসিটানিয়ানদের পিছু হটিয়ে দিল, তাদের দুটি নগরী ভস্মীভূত করে দেয়া হয়। কিন্তু এই সফলতা পরবর্তী শাসক পম্পিয়াস (Quintus Pompeius) ধরে রাখতে পারেননি। ভিরিথিয়াস তাকে পরাজিত করেন।
১৪২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সার্ভিলিয়ানাস ২০,০০০ যোদ্ধা নিয়ে ইটুকির (Itucci) কাছে ভিরিথিয়াসকে পরাজিত করেন। বার বার তাড়া করে তিনি ভেরিথিয়াসকে হিস্পানিয়ার মধ্যাঞ্চল থেকে লুসিটানিয়ার ভেতরে সরে যেতে বাধ্য করেন।এখানে সার্ভিলিয়ানাস এরিসানা (Erisana) অবরোধ করলে ভিরিথিয়াস আবার ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন এবং রোমান সেনাদের চারিদিক দিয়ে আটকে ফেলেন। ফাঁদে পড়ে সার্ভিলিয়ানাস ভিরিথিয়াসের শান্তির প্রস্তাব মেনে নিতে বাধ্য হন। রোমান সিনেট পরিস্থিতি বিচার করে চুক্তি অনুমোদন করে।
ভিরিথিয়াসের পতন
সামান্য এক লুসিটানিয়ান কম্যান্ডারের কাছে পরাজয় রোমের গর্বের জন্য চরম অপমানকর ছিল। কাজেই তারা নতুন করে যুদ্ধ শুরুর জন্য বারবার লুসিটানিয়ানদের উত্যক্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে ১৪০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তারা সফল হয়।
রোমানরা এবার প্রস্তুত ছিল। কন্সাল কেপিও (Servilius Caepio) ভিরিথিয়াসকে হিস্পানিয়ার কোথাও ঘাঁটি করতে দিলেন না। কেপিওর সাথে যোগ দিলেন হিস্পানিয়ার অপর রোমান কম্যান্ডার লেইনাস (Popilius Laenas)। তাদের অব্যাহত তাড়ায় ও রোমানদের ধ্বংসযজ্ঞে ক্লান্ত ভিরিথিয়াস সন্ধির আবেদন জানালেন।
ভিরিথিয়াস তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অডাক্স (Audax), ডিটালকো (Ditalco) এবং মিনুরুসকে (Minuros) নির্বাচন করলেন রোমানদের সাথে আলোচনা চালানোর জন্য। কেপিও ঘুষ দিয়ে তাদের নিজ দলে টেনে নিলেন। তার মদদে ভিরিথিয়াস তার বন্ধুদের হাতেই খুন হলেন।
ভিরিথিয়াসের মৃত্যুর পর লুসিটানিয়ানদের সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে। যদিও ট্যান্টালাস (Tantalus) নামে এক যোদ্ধা চেষ্টা করেছিলেন তাদের একত্রিত রাখতে, কিন্তু ভিরিথিয়াসের ক্যারিশমা তার ছিল না। ফলে ১৩৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে লুসিটানিয়ানরা অধিকাংশই লেইনাসের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তবে লেইনাস তাদের সাথ নমনীয় ব্যবহার করেন এবং লুসিটানিয়ানদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেন। তবে লুসিটানিয়া পুরোপুরিভাবে রোমের অধীনে আসতে আরো প্রায় দেড়শ বছরের বেশি লেগে যায়। শেষ পর্যন্ত রোমান সম্রাট অগাস্টাসের সময় লুসিটানিয়া রোমান হিস্পানিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়।