বিশ্বব্যাপী পানীয় হিসেবে কফির আলাদা কদর আছে। আর, ভালো মানের কফি হলে তো তার তুলনাই হয় না। উন্নত জাতের কফি বিন থেকে তৈরি কফির রয়েছে আলাদা স্বাদ ও চাহিদা। সেই সাথে রয়েছে উচ্চমূল্য। কিন্তু কফিপ্রেমীরা চড়া দামেই সেসব কফির স্বাদ গ্রহণ করেন। আমাদের দেশে চায়ের কদর বেশি হলেও ইউরোপ, আমেরিকায় মানুষের কাছে কফির চাহিদা অনেক বেশি।
কফির এই চাহিদার কারণে এসব দেশে বহুকাল আগে থেকেই কফি বিন বিক্রির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। তাছাড়া, বিভিন্ন উদ্যোক্তা একক বা যৌথভাবে কফি হাউজ বা কফি রেস্তোরাঁ ব্যবসা চালু করেছে। কেউ কেউ সফলভাবে ব্যবসা এগিয়ে নিতে পেরেছে, কেউ আবার ব্যর্থ হয়েছে।
আজকের লেখায় আপনাদের জানানো হবে কীভাবে একটি কফি হাউজ শূন্য থেকে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সফল কফিশপের রূপ নিয়েছে। কফি বিন বিক্রি থেকে উঠে এসে এটি আজকের সেরা কফি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পৃথিবীব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
স্টারবাক্স, এমন এক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান যা তার কফির জন্য বিখ্যাত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল শহরে অবস্থিত এই কফিশপ কফি, কফি বিন, এবং অন্যান্য খাদ্য ও পানীয় বিক্রি করে। সেই সাথে বিভিন্ন আউটলেটে পাইকারিভাবেও কফি বিক্রি করে এটি। বিশ্বের বৃহত্তম কফি হাউজ চেইনগুলোর মধ্যে এটি শীর্ষস্থানীয়।
বিশ্বব্যাপী ৩০ হাজারের বেশি জায়গায় স্টারবাক্সের কফিশপ আছে। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই এর সংখ্যা ১৫ হাজারের মতো। আর এখানে বিক্রি হওয়া সব ধরনের কফির দুই-তৃতীয়াংশই হচ্ছে স্টারবাক্সের। তাহলে কী কারণে স্টারবাক্স এত সফল আর বাকি সব কফিশপ থেকে আলাদা?
শুরুর কথা
শুরুতেই স্টারবাক্সের ইতিহাস জানানো যাক। এর পথচলা শুরু সত্তরের দশকে তিন ব্যক্তির হাত ধরে। তিন বন্ধু জেরি বোল্ডউইন, গর্ডন বোকার এবং জেভ সিগল মিলে আমেরিকার ওয়াশিংটনের সিয়াটল শহরে কিছু করার পরিকল্পনা করছিলেন। এর আগে ১৯৬২ সালে গর্ডন ইতালির মিলানে বেড়াতে গিয়ে সেখানে যে কফি পান করেন, সেটার স্বাদ তার কাছে অতুলনীয় মনে হয়। সেরকম মানসম্মত কফির খোঁজে তিনি প্রায়ই সিয়াটল থেকে ভ্যাঙ্কুভার শহরে যেতেন কফি বিন আনার জন্য। তিনি তার বাকি দুই বন্ধুকেও এই কফির ব্যাপারে বলেন। তারাও তার কাছ থেকে এই কফি বিন নিতেন। তাদের মাঝে একটা মিল ছিল- তিনজনই কফি অনেক ভালোবাসত। সেখান থেকেই তাদের মাথায় চিন্তা আসে একটি কফিশপ চালু করার।
সেসময় ভালো মানের কফির বেশ চাহিদা ছিল, এবং তা খুব একটা সহজলভ্য ছিল না। সেই সাথে তখন বেশিরভাগ আমেরিকানই সস্তা ও কম-গ্রেডের কফি পান করত। কিন্তু কফিশপ ব্যবসা সম্পর্কে তাদের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই জেভ সিগল পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে বিভিন্ন খবরের কাগজ আর ফোনবুক ঘেঁটে আলফ্রেড পিট নামের এক ব্যক্তির খোঁজ পান। তিনি ছিলেন পিটস কফির মালিক, যিনি আমেরিকায় প্রথম রোস্টেড কফি এনেছিলেন। পিটের গোর্মন্ট কফি কোম্পানিটি ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলেতে অবস্থিত ছিল। তার কাছ থেকে কফির ব্যবসা পদ্ধতি শেখার পর তারা তিনজন মিলে সিয়াটলের পাইক প্লেস মার্কেটে ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ একটা কফিশপ চালু করেন। মূলধন হিসেবে তিন বন্ধুর প্রত্যেকে ১,৩৫০ ডলার বিনিয়োগ করেন, এবং সেই সাথে আরও ৫,০০০ ডলার ঋণ নিয়ে স্টারবাক্সের প্রথম কফিশপ চালু করেন।
তারা শুরুতে সেখানে কফি তৈরির জন্য কফি বিন এবং অন্যান্য উপকরণ বিক্রি করতেন, তবে রেডিমেইড কফি বিক্রি করতেন না। পরের কয়েক বছর তারা সিয়াটল শহরে বেশ কিছু জায়গায় তাদের ব্যবসা প্রসারিত করতে থাকেন। পাশাপাশি, তারা রোস্টেড কফির পাইকারি ব্যবসা শুরু করে দেযন এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে এই কফি সাপ্লাই দিতে থাকেন। এর মূল্য উদ্দেশ্য ছিল ভোক্তাদের কাছে উন্নতমানের কফি বিন সাপ্লাই করা। তারা তখনও ইনস্ট্যান্ট বা রেডিমেড কফি তৈরির কথা চিন্তা করেননি। ১৯৮০ সালের মধ্যে সিয়াটলে স্টারবাক্সের চারটি দোকান হয়ে যায়। কিন্তু ১৯৮০ সালে জেভ সিগেল তার মালিকানা ছেড়ে দেন।
নামকরণ ও লোগো
শুরুতে তারা এর নাম স্টারবো রাখতে চাইলেও পরে স্টারবাক্স নামকরণ করা হয়। বিখ্যাত মবি ডিক উপন্যাসের একটি চরিত্র, ‘স্টারবাক’ এর উপর ভিত্তি করেই এই নাম রাখা হয়। স্টারবাক্সের লোগোটি মূলত একটি লম্বা চুলের মারমেইড, যার দুই পাশে দুটি লেজ আর মাথায় একটি তারকাযুক্ত মুকুট দেখা যায়। বর্তমানে যে লোগো দেখা যায়, তার আগেও অনেকবার এটি পরিবর্তন করা হয়েছে।
হাওয়ার্ড শুল্টজের আগমন
তাদের ব্যবসা আরো এগিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে হাওয়ার্ড শুল্টজকে নিয়োগ দেয়া হয় বিক্রয় ও বিপণন পরিচালক হিসেবে। তিনি যখন দেখলেন- এখানে তৈরিকৃত কফি বিক্রি করা হয় না, তখন বোল্ডউইন ও বোকারকে এই ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করার কথা বলেন। ১৯৮৩ সালে ইতালিতে একটি শোতে গিয়ে এসপ্রেসো কফির জনপ্রিয়তা দেখে সেটা স্টারবাক্সে বিক্রির প্রস্তাব দেন, যাতে ব্যবসার আরো প্রসার ঘটে। কিন্তু বোল্ডউইন ও বোকারের কাছে এই আইডিয়া তেমন একটা মনে ধরেনি। কারণ, তারা তখন কফিবিন বিক্রি করতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন। তবে ১৯৮৪ সালে তারা ক্ষুদ্র পরিসরে মাত্র একটি শপে এসপ্রেসো বিক্রি শুরু করেন। শুল্টজের কাছে এটা ভালো লাগেনি, তাই ১৯৮৬ সালে তিনি এই কোম্পানি ছেড়ে চলে যান। তিনি নিজে একটি কফিশপ খোলার পরিকল্পনা করেছিলেন। কয়েকজন বিনিয়োগকারীর সহায়তায় তিনি জিওরনেল কফি নামে একটি কফিশপ চালু করেন।
ওদিকে ১৯৮৪ সালে বোকারও স্টারবাক্সে নিজের মালিকানা ছেড়ে দিলে বোল্ডউইন একাই সেটার মালিকানায় থাকেন। এর পাশাপাশি তিনি আলফ্রেড পিটের কাছ থেকে পিটস কফি কিনে নেন। ১৯৮৭ সালে তিনি সিদ্ধান্ত নেন- শুধু পিটস কফি চালাবেন, আর স্টারবাকস বিক্রি করে দেবেন। এটি মূলত শুল্টজের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ ছিল। বলতে গেলে, ভাগ্য যেন তাকে সাহায্যই করেছিল। সেই সময় তিনি কিছু বিনিয়োগকারীর সহায়তায় ৩.৮ মিলিয়ন ডলারে স্টারবাক্স কিনে নেন। মজার বিষয় হলো, তার ভালো বন্ধু বিল গেটস, যিনি কফি ব্র্যান্ডের প্রথম বিনিয়োগকারীদের একজন ছিলেন, তাকে এই পরামর্শ দেন।
কেনার পর তিনি স্টারবাক্সকে তার জিওরনেল কফির সাথে একীভূত করেন। ঐসময় স্টারবাক্সের মাত্র ৬টি কফিশপ ছিল। স্টারবাক্স কফির বিক্রি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে শুল্টজ অ্যাগ্রেসিভ এক্সপ্যানশন স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করেন। ফলে মাত্র ২ বছরের মধ্যেই স্টারবাক্সের ৪৬টি কফিশপ হয়ে যায়, যা ১৯৯২ সালে গিয়ে ঠেকে ১৬৫-তে। কফিশপ থেকে আয় ছিল প্রায় ৭৩.৫ মিলিয়ন ডলার। এভাবে খুব দ্রুতই ১৯৯৬ সালে ১,০০০টি কফিশপ হয়ে যায় স্টারবাকসের। এ সময় জাপান ও সিঙ্গাপুরেও তাদের নতুন কফিশপ খোলা হয়। খুব দ্রুতগতিতে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে স্টারবাক্স। ফলে পরবর্তী ৩ বছরের মধ্যে তাদের কফিশপের সংখ্যা ২,০০০ ছাড়িয়ে যায়। এর এক বছরের মধ্যে, অর্থাৎ ২০০০ সালে, প্রায় ৩,৫০০টি কফিশপ হয়ে যায়। এ সময় তাদের কার্যক্রম ১২টি দেশে বিস্তৃত ছিল। আর শুল্টজ সেসময় সিইও থেকে এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান হয়ে যান।
এভাবে প্রতি বছরই নতুন নতুন কফিশপ চালু হতে থাকে। ২০০৭ সালে তাদের প্রায় ১৫,০০০ কফিশপ ছিল, যেগুলো থেকে বিক্রি ছিল প্রায় ৯.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০০০ সালে ছিল মাত্র ২ বিলিয়ন ডলার। ২০০৭ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। ফলে স্টারবাক্সও ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তখন শুল্টজ সরাসরি এটি পরিচালনা করতেন না। পরে তাকে ডেকে আনা হয় এই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য।
তার ফিরে আসার কারণে স্টারবাকসের শেয়ার মূল্য ৯ শতাংশ বেড়ে যায়। তবে এবার তিনি আগের নিয়ম অনুসরণ করলেন না। এবার তার মূল লক্ষ্য ছিল ভোক্তাদের উপর। তারা কেমন কফি বেশি পছন্দ করে, তাদের রুচি ও চাহিদা কেমন- এসব বিষয় নিয়ে তিনি পরিকল্পনা সাজাতে থাকেন। এরই ফলশ্রুতিতে ২০০৮ ও ২০০৯ সালে তিনি কিছু কফিশপ বন্ধ করে দেন, আর ৬,৭০০ জন বারিস্তাকে (যারা কফিশপে কফি তৈরি করে) ছাঁটাই করেন। একদিন বিকেলে আমেরিকার সকল কফিশপ বন্ধ করে সব বারিস্তাকে এনে কীভাবে ভালো এসপ্রেসো বানানো যায় তার ট্রেনিং দেন। এছাড়া, ভোক্তাদের কীভাবে আরো ভালো সেবা দেয়া যায়, তাদের সাথে কীভাবে আচরণ করলে তারা বেশি আকৃষ্ট হবে, এবং বার বার কফি কেনার জন্য আসবেন ইত্যাদি বিষয়ে তিনি আলোচনা ও পরামর্শ দেন। এই সময়ে নতুন কোনো কফিশপ খোলা হয়নি, বরং আগের কফিশপগুলোকে তিনি ঢেলে সাজান। ফলে বিক্রি বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০১২ সালের পর থেকে আগের মতো ব্যবসা এগোতে থাকে। পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে কফিশপের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ২৮,০০০-এ।
সাফল্যের কারণ
হাওয়ার্ড শুল্টজের মতে, ভোক্তারা শুধু এখানে কফিই খাবেন না, তারা এখানে এসে বিভিন্ন অভিজ্ঞতাও লাভ করবেন। তিনি সবসময় বিশ্বাস করতেন, মানুষ শুধুমাত্র কফির জন্য আসে না, ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্ত কাটাতেও আসে। তাই শুল্টজ এবং তার দলের মূল লক্ষ্য ছিল ভোক্তারা যাতে এই ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করা। আরামদায়ক সোফা, ফায়ারপ্লেস, ক্যাফের মধ্যে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার মতো স্থান বা নীরবে কাজ করার জায়গা, বিনামূল্যে ইন্টারনেট এবং আরও অনেক কিছু। এছাড়া, কর্মচারীরা যাতে ভোক্তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব বজায় রাখে সেজন্যও তিনি বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। শুল্টজ ক্রেতাদের জন্য সর্বদা উচ্চমানের রোস্টেড কফি দেয়ার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন, আর তিনি তাতে সফলও হয়েছেন। ফলে মানসম্মত ও গুণগতমানের কফি বিন কেনার জন্য স্টারবাক্সের ভালো কোনো বিকল্প ছিল না।
স্থান নির্বাচন স্টারবাক্সের সাফল্যের আরো একটি কারণ। কফিশপগুলোর অবস্থান এমনভাবে করা হয় যাতে খুব অল্প দূরত্বেই থাকে কয়েকটা দোকান, যাতে মানুষ সহজেই কফি পেয়ে যায়। অনেক কফিশপ আড্ডা দেয়ার মতো, আবার অনেকগুলো থাকে নীরব। এটি একটি ভালো মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি। কারণ, যারা কোলাহল পছন্দ করেন না, তারা নীরব স্থানগুলোতে বসে কফির সাথে সময়টা উপভোগ করতে পারেন। আবার যারা বন্ধুবান্ধব নিয়ে হৈচৈ করতে চায়, তারাও তেমন পরিবেশ পেয়ে যায়।
কর্মচারীরা যাতে ভোক্তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে, সেজন্য তাদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ফলে তারা খুবই বন্ধুসুলভ আর কর্মোদ্যম হয়। কফিশপগুলোতে চাইলে নিজের পছন্দমতো কফি তৈরি করে নেয়া যায়। এছাড়া অনলাইনেও তারা সেবা দিয়ে থাকে। এজন্য তাদের রয়েছে নিজস্ব অ্যাপ, যেখান থেকে ব্যবহারকারীরা স্টারবাক্সের সকল খবরাখবরও পেতে পারে। এছাড়া তাদের রয়েছে স্টারবাক্স ফাউন্ডেশন, যার অধীনে বিভিন্ন খাতে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে এই কোম্পানি।
বর্তমানে স্টারবাক্সের ব্র্যান্ড ভ্যালু প্রায় ১১.৭৯ বিলিয়ন ডলার, আর মার্কেট ভ্যালু প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালে কোম্পানির বিক্রি ছিল প্রায় ২৬.৫ বিলিয়ন ডলার, আর আয় ছিল প্রায় ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার। কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ ২৭.৪৭ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী তাদের কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৩,৫০,০০০। বর্তমানে ৭৮টি দেশে স্টারবাক্সের কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে, যেখানে তাদের ৩৪,০০০ এর মতো কফিশপ আছে। তাদের বেশ কিছু রোস্টারিও (যেখানে কফি বিন রোস্ট করা হয়) রয়েছে। সবচেয়ে বড় রোস্টারিটি আছে আমেরিকার শিকাগোতে। স্টারবাক্সের আউটলেট সংখ্যা তার প্রতিযোগী কোম্পানি ডানকি ডোনাট, টিম হরটন ও কস্টা কফির আউটলেটের চেয়ে বেশি।
স্টারবাকসের এই সাফল্য থেকে আমরা কি কিছু শিখতে পারি? অবশ্যই অনেক কিছু শেখার আছে। সময়ের সাথে সাথে নতুন কিছু নিয়ে আসা বা নতুনকে গ্রহণ করে নেয়ার মানসিকতা, যেমনটা হয়েছিল এর শুরুতে। তাছাড়া, ক্রেতাদের সাথে আন্তরিক আচরণ ও তাদের চাহিদা বা রুচিকে প্রাধান্য দেয়া, এমনভাবে আচরণ করা বা আশেপাশের পরিবেশ এমনভাবে তৈরি করা যা তাদের জন্য মানসিক প্রশান্তি বয়ে আনবে। এছাড়া যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত, দূরদর্শী পরিকল্পনা, ও দক্ষ পরিচালনা যেকোনো ব্যবসায় এনে দিতে পারে সর্বোচ্চ সাফল্য। আর এভাবেই স্টারবাক্স বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে তার অবস্থান ধরে রেখেছে।