Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

দ্য গ্রেট স্মগ: ১২ হাজার প্রাণ কেড়ে নেয়া লন্ডনের সেই কুয়াশা!

১৯৫২ সালের ৫ ডিসেম্বর। লন্ডনের আকাশে নেমে এলো অদ্ভুত এক মেঘের ভেলা। হলদে আর কালচে রঙের কুয়াশার মিশ্রণে তৈরি হওয়া সেই মেঘের ঘনত্ব এতটাই বেশি যে, সারা বছর কুয়াশায় ঢেকে থাকা লন্ডনের অধিবাসীরাও এমনটা আগে কখনো দেখেনি। এই কুয়াশার গন্ধটাও একটু কেমন যেন, ধোঁয়া আর রাসায়নিক পদার্থের মিশ্র গন্ধ লেগে আছে তাতে। ঘরের বাইরে আটকে থাকা লোকজন একটু বাতাসের জন্য হাঁসফাঁস করতে লাগলো। গাঢ় আর অস্বচ্ছ সে কুয়াশা ভেদ করে অক্সিজেন নেয়া ফুসফুসের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে উঠতে লাগল। অবশ্য লন্ডনবাসীরা তখনো বুঝতে পারেনি, তারা মুখোমুখি হতে চলেছে ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর একটির। ধোঁয়া আর কুয়াশার সংমিশ্রণে তৈরি সেই ধোঁয়াশার মেঘ কাটতে কাটতে পেরিয়ে যায় ৫ দিন, অকালে ঝরে যায় ১২ হাজার প্রাণ। দেখে নেয়া যাক ‘দ্য গ্রেট স্মগ অফ লন্ডন’ বা লন্ডনের বিশাল ধোঁয়াশার কাহিনী।

১৯৫২ সালের ধোঁয়াশায় গোটা লন্ডন শহর ঢেকে যায় ঘন কালো মেঘের চাদরে, এক ফুট দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছিল না ঠিকমতো। কয়লার আগুন থেকে সৃষ্ট সালফারাস ধোঁয়া, যানবাহনের কালো ধোঁয়া আর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে নিষ্কাশিত বায়বীয় বর্জ্য মিলে তৈরি করে ভারি ধোঁয়াশা। এই জালে ঢাকা পড়ে সূর্য, জনজীবন হয় বিপন্ন। ‘গ্রেট স্মগ’কে বলা হয় ইউরোপের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দূষণ। গোটা পৃথিবীতে এমন দূষণ খুব কমই ঘটেছে।

লন্ডনের ভয়ঙ্কর ধোঁয়াশা; Source: theguardian.com

যেভাবে শুরু হলো গ্রেট স্মগ

সেদিন সকালটা শুরু হয়েছিল পরিষ্কার ঝকঝকে আকাশের মুখ দেখে। গোটা ব্রিটেন জুড়ে প্রায় সপ্তাহ দুয়েক ধরে ঠাণ্ডা বাতাস বইছিল, সে অনুযায়ী শীতের দাপট তো লন্ডনেও কিছুটা ছিল। ঘরে ঘরে ফায়ারপ্লেসে কয়লা জ্বালিয়ে বা ইলেকট্রিক চুল্লীর সাহায্যে একটু উষ্ণতা খুঁজছিল সাধারণ মানুষ। সকাল শুরু হতেই জীবিকার তাড়নায় ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে শৈত্যপ্রবাহকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে কাজে নামে তারা।

দিন যত গড়াতে থাকে, কুয়াশার ঘোমটা ততই ঢেকে দিতে থাকে লন্ডনের আকাশ। তুষারপাতে যারা নিয়মিত অভ্যস্ত, তাদের কাছে এটা তেমন কোনো ব্যাপার নয়। আস্তে আস্তে সে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে বিগ বেন, সেইন্ট পল’স ক্যাথেড্রাল, লন্ডন ব্রিজসহ শহরের নামকরা সব স্থাপনা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক এই কুয়াশা রূপ নিতে থাকে অস্বাভাবিক এক ভয়াবহতায়। হালকা হলুদাভ এক ছায়া বিরাজ করে সেখানে। হাজারো ফ্যাক্টরির চিমনি আর অটোমোবাইলের কালিঝুলি গিয়ে যেন সোজা আশ্রয় নেয় লন্ডনের আকাশে। সে সময় চালু হওয়া ইলেকট্রিক ট্রাম সার্ভিস ছিল বিষাক্ত সে বাতাসের গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো।

বাস চলতো ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে; Source: theguardian.com

তবে এই আবহাওয়া আর অস্বাভাবিকতাকে উপেক্ষা করে যার যার কাজ করতে ব্রিটিশ নাগরিকরা বেরিয়ে পড়ে কর্মস্থলের পানে। কিন্তু মাত্র একদিনের মধ্যে অবস্থা এতটা খারাপ হয়ে দাঁড়ায় যে তাকে উপেক্ষা করা এক কথায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। আসন্ন সংকটের মাত্রা অনুধাবন করতে বাধ্য হয় লন্ডনের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা।

লন্ডনের কুয়াশা যেভাবে রূপ নেয় ধোঁয়াশায়

কুয়াশার সাথে ধোঁয়া মিলে তৈরি হয় ধোঁয়াশা, লন্ডনের জন্য এটা নতুন কিছু ছিল না। কিন্তু এই ঘন হলুদ ধোঁয়াশা এত দ্রুত ঘন হয়ে বিষাক্ত একটি রূপ নেয় যে, স্থানীয়রা এমন কিছুর কথা কল্পনাও করতে পারেনি। উচ্চচাপের বাতাস এসে ঘিরে ধরে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাংশ। এতে করে একই এলাকায় ভিন্ন দু’ধরনের তাপমাত্রা বিরাজ করে। একদিকে গুমোট বাতাসে ছেয়ে যায় অপেক্ষাকৃত উচ্চ স্থানগুলো, অপরদিকে নিচু এলাকাগুলোর উপর দিয়ে বয়ে যায় কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস।

ভিক্টোরিয়ার কুয়াশা; Source: theguardian.com

প্রতিকূল এই তাপমাত্রা লন্ডনের শিল্পকারখানাগুলো থেকে সালফার মিশ্রিত কয়লার ধোঁয়া উপরে উঠতে বাধা দিচ্ছিল। বায়ুপ্রবাহ প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। বাতাস এসে মেঘ উড়িয়ে নিয়ে যাবে, এমন কোনো সম্ভাবনাও ছিল না। অস্বাস্থ্যকর, ৩০ মাইল দীর্ঘ এই সালফিউরিক এসিড মিশ্রিত মেঘ থেকে পঁচা ডিমের তীব্র ও ঝাঁঝালো কটু গন্ধ বের হচ্ছিল। দিন দিন অবস্থা কেবল খারাপের দিকেই যাচ্ছিল।

স্থায়ী আসন গেড়ে বসা ‘দ্য বিগ স্মগ’

দিনকে দিন ধোঁয়াশা এতটাই গাঢ় হচ্ছিল যে, শহরের অধিবাসীরা নিজেদের পা পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছিল না। পাঁচদিনের মধ্যেই গোটা লন্ডনকে আক্ষরিক অর্থে পঙ্গু করে ফেলে ধোঁয়াশা। পাতাল রেল ছাড়া যোগাযোগের আর সব ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায় লন্ডনবাসীর জন্য। কিচ্ছু দেখার কোনো জো না থাকায় টেমস নদীর বুকে নৌকা আর জাহাজের অবিচল বিচরণ থেমে যায়। রেল যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয় আর বিমানপথে চলাচলের তো কোনো প্রশ্নই আসে না। এমনকি ভর দুপুরেও গাড়ির চালকরা হেডলাইট জ্বালিয়ে, জানালা দিয়ে মাথা বের করে দিয়ে রীতিমতো কসরত করে দেখার চেষ্টা করত এক ইঞ্চি সামনে কী আছে! মাথার উপর জেঁকে বসা কম্বলের চেয়েও পুরু সে ধোঁয়াশার চাদর ভেদ করে কেউ কিছু দেখবে, এককথায় তা অসম্ভব। কাজেই লন্ডনের বুদ্ধিমান নাগরিকরা সাথে সাথেই হাল ছেড়ে দিয়ে গাড়ি গ্যারেজে রেখে দেয়াই সমীচীন বলে সিদ্ধান্ত নেন।

সে সময় লন্ডনের খুব বিখ্যাত একটি জিনিস ছিল দোতলা বাস। লন্ডনের রাস্তায় দারুণ দাপটের সাথে চলমান এই বাসের কন্ডাক্টররা বাধ্য হয়ে ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় শুরুর কিছুদিন। তবে তা বাদ দিয়ে নিজেদের পায়ের উপরেই বেশি আস্থা প্রকাশ করে লন্ডনবাসীরা। প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করে সময় কাটানোর জন্য ঘর থেকে টুকটাক যা বের হতেন তারা, পায়ে হেঁটেই সে পথ পাড়ি দিয়ে ফেলতেন। তবে মেঘের ঐ ভেলা থেকে যেন টুপটাপ করে ঝরে পড়ত কালো গ্রিজের মতো কোনো পদার্থ। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আবার ঘরে ফিরতে ফিরতে তাদের মুখ, নাক সব কিছু কালো ছোপ ছোপ ময়লায় ভরে যেত। লন্ডনবাসীদের তখন খনি শ্রমিক ছাড়া আর কিছুই মনে হতো না।

পিকাডেলির ধোঁয়াশা; Source: theguardian.com

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের জানিয়ে দেয়, বাচ্চাদের ক্লাসে পাঠানোর চেয়ে ঘরে রাখাই সবার জন্য ভালো। একদিকে তাদের শরীর যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হবে না, অন্যদিকে ঘন ধোঁয়াশায় তাদের হারিয়ে যাওয়ার ভয়ও কম থাকবে। লুটতরাজ, ছিনতাই, চুরি ইচ্ছেমতো বাড়তে লাগল। চোখের সামনে দাঁড়িয়ে হাত থেকে ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে গেলেও কিচ্ছু করার নেই, অন্ধ করে দেয়া ধোঁয়াশায় টেরই পাওয়া যাবে না অপরাধী কোনদিকে গেল।

সপ্তাহান্তে অনুষ্ঠিত সকার খেলার আয়োজন বাতিল করে দেয়া হয়, যদিও অক্সফোর্ড আর ক্যামব্রিজ উইম্বলডনে তাদের বার্ষিক আন্তঃদেশীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। দুঃখের বিষয়, গোটা ম্যাচ জুড়ে ট্র্যাক মার্শালকে শুধু বলে যেতে হয়েছে, ‘এদিকে, এদিকে, অক্সফোর্ড এদিকে এসো! ক্যামব্রিজ ওদিকে যাও!’ ঘন ধোঁয়াশায় রানাররা বুঝতেই পারছিল না কে কোনদিকে যাবে।

ধোঁয়াশা যেন এবার চুইয়ে চুইয়ে পড়তে লাগল ঘরের ভেতরেও। ঘরের দেয়ালে দেয়ালে হলদে ছাপ দেখা দিল। সিনেমা থিয়েটারগুলো বন্ধ করে দেয়া হলো, দর্শক তো দূরে থাক, হলুদ সেই দেয়ালকে ছাপিয়ে এক হাত দূরে দাঁড়িয়ে পর্দার দৃশ্য দেখা পরিচালক বা সিনেমা হলের মালিকের পক্ষেই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

ভয়ঙ্কর এই ধোঁয়াশার প্রভাব

১৯৫২ সালের এই ধোঁয়াশাকে আপদ-বালাই বললেও কম বলা হবে। রীতিমতো প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে থাকে এটি, বিশেষত শ্বাসকষ্ট আছে এমন শিশুদের জন্য তা অপরিসীম দুর্ভোগ বয়ে আনে। যারা মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান করতো, তাদের অবস্থা ছিল আরও খারাপ। এমনিতেই তাদের ফুসফুস যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত, তার উপর এই বাড়তি ধোঁয়াশার চাপ সেই ফুসফুস আর নিতে পারছিল না। তবে তখনকার দিনে ছেলেদের মধ্যে ধূমপান করার আলাদা একটা চলই ছিল, ফ্যাশনের একটি অনুসঙ্গ হিসেবেও ধূমপান করতো অনেকে। কাজেই বেশিরভাগ পুরুষকেই যে এমন মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে, আলাদা করে তা বলাই বাহুল্য।

ব্যবসায়ীদের সংগ্রহে থাকা কফিন আর ফুলের দোকানের তোড়া শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত বোঝাই যায়নি অবস্থা ঠিক কতটুকু খারাপ হয়ে পড়েছে। ব্রংকাইটিস আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় সাতগুণ। লন্ডনের ইতিহাসে মৃত্যুহার বেড়ে যায় নয়গুণ। এক ধোঁয়াশা কী ভয়াবহতা দেখাতে পারে, হাঁ করে কেবল যেন তা-ই দেখতে থাকে লন্ডনবাসী, মৃত্যুর মিছিলে একে একে যোগ দেয় অসংখ্য ব্যক্তি। প্রাথমিক তথ্য মতে, স্মগ বা ধোঁয়াশা শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই প্রায় ৪,০০০ ব্যক্তি অকালে প্রাণ হারায়।

চিমনির এই কালো ধোঁয়াই সৃষ্টি করে ধোঁয়াশা; Source: theguardian.com

ধোঁয়াশার এই ধ্বংসাত্মক রূপ আর ফলাফল বেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়। ১৯৫৩ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত মৃত্যুর হার ছিল অস্বাভাবিক রকমের বেশি। বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ‘গ্রেট স্মগ’ কেড়ে নিয়েছিল ৮,০০০ থেকে ১২,০০০ প্রাণ। কেবল মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না সে মৃত্যুর মিছিল। কুয়াশায় পথ হারিয়ে ফেলা পাখিরা অহরহ বিল্ডিংয়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে প্রাণ হারাতে শুরু করে। এগারো ব্যক্তি তাদের গরুর বাছুর নিয়ে আসে আর্লের আদালতের সামনে। সেখানকার ঘাস কেটে হুইস্কিতে ভিজিয়ে গৃহপালিত পশুগুলোর জন্য কৃত্রিম গ্যাস মাস্কের ব্যবস্থা করে তাদের পালকরা।

সালফারের তৈরি এক নরকের মধ্যে বসবাসরত লন্ডনের প্রতিটি প্রাণী কিছুটা মুক্তি পায় ঠিক পাঁচদিন পর, অর্থাৎ ডিসেম্বরের ৯ তারিখে। উত্তর সাগর থেকে ভেসে আসা প্রচণ্ড বাতাসের বেগ লন্ডনের আকাশ থেকে বিষাক্ত মেঘপুঞ্জ কিছুটা হলেও তাড়িয়ে দিয়ে পরিষ্কার আকাশ দেখাতে সক্ষম হয়।

ধোঁয়াশা পরবর্তী জীবন

শুরুর দিকে ব্রিটিশ সরকার বিশাল এই ধোঁয়াশার জন্য ঠিকমতো কাজই করতে পারছিল না। ভারি কুয়াশা লন্ডনের জন্য খুব বিচিত্র কোনো ব্যাপার না হওয়ায় ১৯৫২ সালের সেই ধোঁয়াশাকেও খুব একটা আমলে নেয়নি সরকার, তা দূর করার জন্য তেমন কোনো উদ্যোগও নেয়নি তারা। তবে “চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে “- কথাটি আরেকবার সত্য প্রমাণিত করে কুয়াশার মেঘ কিছুটা কেটে যাওয়ার পর টনক নড়ে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের। ধোঁয়াশার ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ বিষয়ক সরকারি তদন্তের উপর ভিত্তি করে একপ্রকার বাধ্য হয়ে ১৯৫৬ সালে ‘ক্লিন এয়ার অ্যাক্ট’ বা বিশুদ্ধ বাতাস আইন পাস করে সংসদ। এই আইন অনুযায়ী, শহরাঞ্চলে কয়লা পোড়ানো একদম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় কাউন্সিলের পরামর্শ অনুযায়ী, শহরের প্রধান প্রধান এলাকাগুলোকে ধূমপান মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়। এমনকি ঘরে ফায়ারপ্লেস জ্বালানোর কাজেও কয়লার পরিবর্তে বিদ্যুৎ বা অন্য কোনো তাপ উৎপাদী পদ্ধতি ব্যবহারেও বাধ্য করা হয় নগরবাসীকে।

মুক্ত পাখিরা দিকভ্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছিল হরহামেশাই; Source: immediate.co.uk

কয়লার প্রাধান্য থাকা শহরটি থেকে প্রাথমিক তাপের উৎস কয়লা সরিয়ে ফেলে জনগণকে গ্যাস, তেল এবং বিদ্যুৎমুখী করতে সময় লেগে যায় প্রায় ৬৫ বছর। আর এই সুদীর্ঘ সময় জুড়ে বারংবার লন্ডনের আকাশে-বাতাসে ফিরে আসে ধোঁয়াশা, ঠিক যেন হরর মুভির কোনো দৃশ্যের অবতারণা করে কেড়ে নিয়ে যায় নিরীহ কিছু জীবন। ১৯৬২ সালের ধোঁয়াশার ফলে মারা যায় প্রায় ৭৫০ মানুষ। ধাপে ধাপে ধোঁয়াশা আসা-যাওয়া করতে থাকলেও কোনোটিই ১৯৫২ সালের মতো ভয়াবহ রূপ নিতে পারেনি।

ফিচার ইমেজ- theguardian.com

Related Articles