
ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা বিভিন্ন যুদ্ধযান, দুর্গের কথা জানতে পারবো যাদের ধ্বংসাত্মক, আত্মরক্ষামূলক ক্ষমতা ইত্যাদি ছিলো ঈর্ষণীয় পর্যায়ের। কিন্তু সেগুলোর পতন হয়েছিলো এতটাই সামান্য উপায়ে কিংবা সাধারণ কারণে যে, তা জানার পর আসলে বিশ্বাসই হতে চায় না। এমনই কিছু যুদ্ধযান আর দুর্গের পতনের অবিশ্বাস্য ইতিহাস নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের লেখা।
হেলেপোলিস
গঠন

হেলেপোলিস হলো প্রাচীন পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এক সীজ টাওয়ার (Siege Tower)। একে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় আনা-নেওয়া করা যেতো। একটি হেলেপোলিস আসলে কতটা শক্তিশালী হতে পারে তা এর গাঠনিক বর্ণনা না দিলে বোঝা আসলেই কঠিন।
১৩০ ফুট উঁচু এ টাওয়ারটি ছিলো ৬৫ ফুট চওড়া। এতে বড় আকারের ৮টি চাকা ছিলো যার প্রতিটি ছিলো ১৫ ফুট করে উঁচু এবং বিভিন্ন দিকে সহজে যাতে ঘুরতে পারে সেজন্য ছোট ছোট চাকার ব্যবস্থাও ছিলো। শত্রুর দেয়া আগুনে যাতে এটি নষ্ট না হয়, সেজন্য এর চারদিকে লাগানো ছিলো লোহার পাত। ১৬০ টন ওজনের বিশাল এ টাওয়ারটিকে টেনে নিতে দরকার হতো প্রায় ৩,৪০০ জন ক্রু।

হেলেপোলিসের রণসজ্জার বহর শুনলেও আশ্চর্য হবে যে কেউ। এর নিচতলায় থাকতো ২টি ১৮০ পাউন্ড ও ১টি ৬০ পাউন্ডের ক্যাটাপুল্ট। এ পাউন্ডের হিসাবটি এসেছে মূলত ক্যাটাপুল্টটি যে জিনিস ছুঁড়ে মারতো, তার ভরের হিসেব থেকে। দোতলায় ছিলো ৩টি ৬০ পাউন্ডের ক্যাটাপুল্ট। পরবর্তী ৫ তলার প্রতিটিতে দুটি করে ৩০ পাউন্ডের ক্যাটাপুল্ট থাকতো। এছাড়া উপরের দুই তলায় আবার তীর নিক্ষেপের ব্যবস্থাও ছিলো। ফলে এত শক্তিশালী এক হেলিপোলিস নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে নামলে শক্তিশালী শত্রুর বুকেও যে দুরুদুরু কাঁপন শুরু হয়ে যাবার কথা, তা বোধহয় না বললেও চলে।
দুর্ঘটনা
মেসিডনের প্রথম ডেমেট্রিয়াস রোড্স আক্রমণকালে বিশাল এ হেলেপোলিস ব্যবহার করেছিলেন।
হেলেপোলিসের গঠন যদি আপনি ঠিকমতো খেয়াল করে থাকেন, তাহলেই সহজেই বুঝতে পারার কথা যে, বিশালাকার এ টাওয়ারটি টেনে নিতে এর ক্রুদের ঘাম ছুটে যেতো। আর রাস্তা যদি কর্দমাক্ত থাকতো, তাহলে তো কথাই নেই। এমতাবস্থায় ভুলেও এ দানবকে টেনে নেয়া সম্ভব না।
ঠিক এ কৌশলটিই কাজে লাগিয়েছিলো রোডিয়ানরা। তারা বুদ্ধি খাটিয়ে হেলেপোলিস দিয়ে সম্ভাব্য আক্রমণের জায়গা কোনগুলো হতে পারে সে ব্যাপারে একটা অনুমান করলো। তারপর সেই জায়গাগুলো পানি আর নগরের পয়ঃনিষ্কাষণ লাইনের যত আবর্জনা আছে সবকিছু দিয়ে একেবারে কর্দমাক্ত করে ছাড়লো। ফলে যা হবার তাই হলো। হেলেপোলিস এখানে এসে এমন আটকানোই আটকালো যে একে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে দিয়েই এগিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলো আক্রমণকারী বাহিনী!

এরপর সেই হেলেপোলিসের কী হলো? রোডিয়ানরা সেই দানবাকৃতির টাওয়ারের নানা অংশ খুলে বানালো ১০৮ ফুট উচ্চতার বিশালাকৃতির এক ভাষ্কর্য, নাম যার ‘কলোসাস অব রোড্স’!
মেরি রোজ
গঠন

১৫১২ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজ রাজা ৮ম হেনরির নৌবহরে যুক্ত হয় নতুন এক যুদ্ধজাহাজ, নাম তার ‘মেরি রোজ’। তখনকার দিনে সচল থাকা যুদ্ধজাহাজগুলোর মাঝে মেরি রোজ ছিলো এক ভীতির প্রতীক। যুদ্ধকালীন সময়ে বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজকেই যুদ্ধের উদ্দেশ্যে ব্যবহারের রীতি চালু ছিলো তখনকার দিনগুলোতে। কিন্তু মেরি রোজ এদিক থেকে ছিলো একেবারেই আলাদা। পুরোপুরি যুদ্ধ করার জন্যই বানানো হয়েছিলো তাকে। ফলে তার মাঝে যে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকবে তা বোধহয় না বললেও চলে।
মেরি রোজের গঠনগত বৈচিত্র্যগুলোর মাঝে অনন্য ছিলো এতে থাকা গান পোর্টগুলো। এর এক পাশ দিয়ে কামান বসানোর সুব্যবস্থা ছিলো। ফলে খুব সহজেই শত্রু জাহাজগুলোর উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারতো সে। এতে ছিলো ৯১টির মতো হেভি গান এবং বেশ কিছু এন্টি-পারসোনেল গান, যা দিয়ে প্রতিপক্ষের নাবিকদের শেষ করে দেয়া হতো। অর্থাৎ সব মিলিয়ে তখনকার দিনে সাগরের বুকে এক ত্রাসই তৈরি করেছিলো এ মেরি রোজ।
দুর্ঘটনা
ইংল্যান্ডের সর্ববৃহৎ এবং ২য় ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপটির নাম ‘আইল অফ উইট’। ৩৮৪ বর্গ কিলোমিটারের এ দ্বীপটিকে ইংল্যান্ডের মূল ভূমি থেকে পৃথক করে রেখেছে সলেন্ট চ্যানেল। প্রায় ২০ মাইল দীর্ঘ এ চ্যানেলটির প্রস্থ ২.৫-৫ মাইল পর্যন্ত।
এ সলেন্ট চ্যানেলেই ১৫৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৮-১৯ জুলাই ফ্রান্সের রাজা ১ম ফ্রান্সিস এবং ইংলিশ রাজা ৮ম হেনরির মাঝে সংঘটিত হয় এক যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ফরাসী বাহিনী ২০০ এর বেশি যুদ্ধজাহাজে ৩০,০০০ এর বেশি সৈন্য নিয়ে আক্রমণ করেছিলো। অপরদিকে ইংরেজরা যুদ্ধে এসেছিলো ৮০টি জাহাজে ১২,০০০ সৈন্য নিয়ে।
সলেন্ট চ্যানেলের এ যুদ্ধেই করুণ পরিণতি বরণ করা লেগেছিলো মেরি রোজকে। আরো দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো, মেরি রোজের মূল শক্তি ছিলো যে গান পোর্টগুলো, সেগুলোই ডেকে এনেছিলো তার দুর্ভাগ্য।

জাহাজটির গান পোর্টগুলো ছিলো পানির বেশ কাছাকাছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্যমতে, যুদ্ধের এক পর্যায়ে জাহাজটি যখন উত্তর দিকে ঘুরতে গিয়েছিলো, তখনই হঠাৎ করে এক দমকা হাওয়ায় জাহাজটি বেশ খানিকটা কাত হয়ে যায়। ফলে কাত হওয়া অংশের গান পোর্টগুলো দিয়ে হঠাৎ করেই ঢুকে যায় পানি। আর কিছু বুঝে উঠতে পারার আগেই জাহাজে থাকা মানুষগুলো নিজেদের পানিবন্দী অবস্থায় আবিষ্কার করে।
জাহাজে থাকা ৪০০ জন নাবিকের মাঝে মাত্র ৩৫ জনই সেদিন নিজেদের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিলো।
ব্যাবিলন
ভৌগলিক অবস্থান

ব্যাবিলন ছিলো প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ নগরী। ধারণা করা হয় যে, ১৭৭০-১৬৭০ এবং পুনরায় ৬১২-৩২০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের সময়টিতে ব্যাবিলনই ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর। ২,০০,০০০ এর উপর জনসংখ্যাধারী প্রথম নগরী বলেও মনে করা হয় ব্যাবিলনকে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৫ম শতকের দিকে ব্যাবিলন নগরীটি সুরক্ষিত ছিলো বৃহদাকার প্রাচীরের আড়ালে। পুরো নগরী বেষ্টন করে ছিলো ২ স্তরের প্রাচীর, যাতে করে প্রথম প্রাচীরের পতন ঘটলেও দ্বিতীয়টি দিয়ে শত্রুকে ঠেকানো যায়। এ দুই দেয়ালের মাঝে ছিলো পরিখা, যা শত্রুপক্ষের জন্য শহরের ভেতরে প্রবেশ করাকে রীতিমত অসম্ভব করে রেখেছিলো। এছাড়া ওয়াচটাওয়ারগুলোতে সার্বক্ষণিক সশস্ত্র পাহারার ব্যবস্থা তো ছিলোই।
গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসের মতে এ দেয়ালগুলো ছিলো ৩০০ ফুট উঁচু, ৮০ ফুট চওড়া ও ৫৫ মাইল জুড়ে বিস্তৃত। অবশ্য বর্তমানকালের ঐতিহাসিকদের মতে হেরোডোটাস বাড়িয়ে বলেছিলেন। তাদের মতে দেয়ালগুলো ছিলো ৯০ ফুট উঁচু ও ১০ মাইল লম্বা। এছাড়া ইউফ্রেটিস নদী শহরটির মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ছিলো। ফলে অবরুদ্ধ থাকাবস্থায় পানির সরবরাহ নিয়েও তাদের চিন্তার কিছু ছিলো না।
দুর্ঘটনা
৫৩৯ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে পারস্যের রাজা ২য় সাইরাস, যিনি ‘সাইরাস দ্য গ্রেট’ নামেই অধিক পরিচিত, আক্রমণ করে বসেন ব্যাবিলনে। কিন্তু ব্যাবিলনের সৈনিকেরা সাইরাসের এ আগমনকে পাত্তাই দেয় নি। তারা তখন ফসল কাটার উৎসবে ব্যস্ত ছিলো। শহরের নিরাপত্তা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগা ব্যাবিলনিয়ান সৈনিকদের কাছে সাইরাস যেন ছিলেন এক শিশু।
শুরুতেই বলেছিলাম যে, ব্যাবিলনের চারদিকে প্রাচীর দিয়ে ছিল সুরক্ষিত। শহর দিয়ে যে ইউফ্রেটিস নদী গিয়েছিলো, এর প্রবেশ পথেও গেট নির্মাণ করে রেখছিলো তারা। কিন্তু এদিকে বাড়তি আর কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাখে নি তারা। শহরটির সৈন্যরা কখনো আশা করে নি যে, পানির নিচে কেউ সেই গেট ভেঙে তাদের শহরে আক্রমণ চালাবে। এছাড়া পানির নিচে কেউ এত দীর্ঘ সময় ধরে দম আটকে পারবে বলেও মনে করে নি তারা।
আর তাদের ঠিক সেই জায়গা দিয়েই আক্রমণ করলেন সাইরাস। নদীর আশেপাশে বিভিন্ন খাল ও অন্যান্য জলাশয় খনন করে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ব্যবস্থা করালেন তিনি। ফলে নদীতে পানির স্তর নিচে নেমে যায়। তখনই দেখা মেলে গেটগুলোর। এরপর এক রাতে গোপনে তার সৈন্যরা সেখানের ফাঁকা জায়গা দিয়ে শহরে প্রবেশ করে এর মূল ফটকটি খুলে দেয়!
ব্যস, খেল খতম! এরপর মৌমাছির ঝাঁকের মতো শহরের ভেতরে ঢুকে পড়লো সাইরাসের বাহিনী। প্রকৃত অবস্থাটি ব্যাবিলনের সৈন্যদের বুঝতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগেছিলো। যখন তারা বুঝতে পারলো, ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। আর দিনরাত নাচগান ও মদের রাজ্যে ডুবে থাকায় তারা সেভাবে প্রতিরোধও গড়তে পারে নি। সাইরাস দ্য গ্রেটের সৈন্যদলের কাছে কচুকাটা হতে হয়েছিলো তাদের।
শাত্যুঁ গাইলার্ড দুর্গ
ভৌগলিক অবস্থান ও অন্যান্য

ইংল্যান্ডের রাজা ১ম রিচার্ড, যিনি ‘রিচার্ড দ্য লায়ন হার্ট’ নামে প্রসিদ্ধ, ১১৯৬ সালে তার তত্ত্বাবধানে প্যারিসের ৯৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে শাত্যুঁ গাইলার্ড দুর্গটি নির্মাণ শুরু করেন। মাত্র দু’বছরের মাথাতেই প্রায় ৬,০০০ শ্রমিকের রাত-দিন নিরলস পরিশ্রমে দাঁড়িয়ে যায় চুনাপাথর দিয়ে তৈরি এ দুর্গ।
ভৌগলিক দিক থেকেও দুর্গটি ছিলো বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে। শত্রুপক্ষ যদি আক্রমণ করতে চাইতো, তাহলে তাদের জন্য কেবল সামনের দিকটিই খোলা ছিলো। তবে সেখানেও ছিলো বিশাল সমস্যা। কারণ দুর্গটি ঘেরা ছিলো ৩০ ফুট চওড়া ও ৪০ ফুট গভীর এক পরিখা দিয়ে। সেই সাথে ছিলো ১০ ফুট চওড়া দেয়াল। ফলে শত্রুপক্ষকে এ দুর্গ আক্রমণের আগে অনেক ভেবে-চিন্তেই এগোতে হতো।
রাজা রিচার্ড নিশ্চিত ছিলেন যে, এ দুর্গের পতন তাকে কোনোদিন দেখতে হবে না। সত্যি কথা বলতে, তাকে তেমনটা দেখতে হয়ও নি। কারণ দুর্গ বানানোর ১ বছরেরও কম সময়ের মাঝে মারা যান তিনি। রিচার্ডের পর সিংহাসনে বসেন তার ভাই জন। তিনি এ দুর্গে সামান্য পরিবর্তন আনেন। দুর্গে শুধু তিনি অতিরিক্ত একটি টয়লেট যোগ করেন। এ টয়লেটের যাবতীয় আবর্জনা এর সাথেই থাকা এক ড্রেন দিয়ে বাইরে যেতো। কিন্তু হায়, যদি তিনি জানতেন! কী? এখন আসছি সেই গল্পেই।
দুর্ঘটনা
ফ্রান্সের রাজা ২য় ফিলিপ যখন রিচার্ড দ্য লায়ন হার্টের মৃত্যুর কথা জানতে পারলেন এবং শুনলেন তারই ভাই জন ক্ষমতায় বসেছে, তখন তিনি বুঝলেন যে, দুর্গ দখলের এখনই সময়। তাই সৈন্য নিয়ে গিয়ে তিনি শাত্যুঁ গাইলার্ড অবরোধ করে বসলেন। কিন্তু গাইলার্ডে থাকা সৈন্যরাও ছিলো আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত। সেই সাথে মোটামুটি ১ বছরের মতো রসদ তাদের জমা করে রাখা ছিলো। ফলে এ অবরোধে তাদের তেমন একটা বেগ পেতে হলো না।

বেশ কয়েকবার দুর্গ দখলের চেষ্টাতে ব্যর্থ হয়ে ফিলিপ নতুন কৌশল খুঁজতে লাগলেন। এজন্য তিনি গোপনে একদল সৈন্যকে পাঠালেন দুর্গের দুর্বলতা খুঁজে বের করার জন্য। এ সৈন্যদের মাঝেই একজনের নাম ছিলো রাল্ফ। দুর্গের চারদিক পর্যবেক্ষণের সময় রাল্ফ সেই বাড়তি টয়লেটের সাথে থাকা ড্রেনটার সন্ধান পেয়ে যান। তিনি বুঝতে পারেন যে, একজন মানুষ সহজেই সেই ড্রেনের ভেতর দিয়ে দুর্গের একেবারে ভেতরে ঢুকে যেতে সক্ষম! এরপর রাল্ফের নেতৃত্বে আরো কয়েকজন সৈন্য ৩০ ফুট লম্বা সেই ড্রেনের মধ্য দিয়েই দুর্গের ভেতর যান। এ ৩০ ফুট ধরে তাদের অতিক্রম করা লেগেছে মানববর্জ্য! এরপর? এরপর তারা দুর্গের মূল ফটকটি খুলে দিলেই বাইরে অপেক্ষমান রাজা ২য় ফিলিপের বাহিনী তুমুল বেগে ভেতরে ঢুকে পড়ে। শেষ পর্যন্ত পতন হয় রিচার্ড দ্য লায়ন হার্টের শখের শক্তিশালী এ দুর্গের।