সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ই-মেইল, মোবাইল ফোনে পাঠানো ক্ষুদেবার্তার কারণে চিঠিপত্রের ব্যবহার দিনে দিনে কমে আসছে। এখন অনেকের কাছে ডাকটিকেট শুধুই শখ করে সংগ্রহে রাখার জিনিস। তবে এখনো ডাকটিকেট একটি রাষ্ট্রের পরিচয় বহনের কাজটি করে থাকে, চিঠির খামে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের নীরব দূত হয়ে কাজ করে যায়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়েছিল, সেই সরকারে তাদের রাষ্ট্রীয় কাজে চিঠিপত্র চালাচালিতে ব্যবহার করছিলেন পাকিস্তানের নামাঙ্কিত ডাকটিকেট। ঢাকা জিপিওর কয়েকজন অফিসার যারা পালিয়ে এসে মুজিবনগর সরকারের সাথে যুক্ত হতে পেরেছিলেন তাদের কাছে থাকা ডাকটিকেটগুলোকেই নতুন করে ছেপে আবার ব্যবহার করা শুরু হয়। মুজিবনগর সরকারের চারদিকে অনেক দায়িত্ব, নতুন করে ডাকটিকেট ডিজাইন করে, তা ছেপে ব্যবহার করার কাজটি ছিল অনেক কঠিন। তাই বড়জোর রাবার স্ট্যাম্প দিয়ে সেই ডাকটিকেটের উপর বাংলাদেশ লেখাটি ছাপ দিয়েই কাজ চালানো হতো।
জন স্টোনহাউজ হাত বাড়িয়ে দিলেন
১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েকজন অকৃত্রিম আন্তর্জাতিক বন্ধু, এর মাঝে একজন ছিলেন ব্রিটিশ এমপি জন স্টোনহাউজ। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ ছিল জন স্টোনহাউজের, তার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের এবং মুজিবনগর সরকারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ ছিল।
ঘটনাক্রমে এমপি স্টোনহাউজ কয়েকবছর আগে ব্রিটেনের পোস্টমাস্টার জেনারেল হিসেবে কাজ করেছেন, সেই সুবাদে একটি দেশের নিজের ডাকটিকেট ছাপানোর এবং এর প্রচারের গুরুত্ব তিনি ভালো করে জানতেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন বাংলাদেশে যে অস্থায়ী সরকার গঠিত এবং তারা যে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করছেন তার বৈশ্বিক স্বীকৃতি আদায়ে ডাকটিকেট একটি ভালো মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদেরকে স্মারক হিসেবে বাংলাদেশের ডাকটিকেট দেওয়া হলে এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নামটি পৌঁছাবে। এছাড়া বিশ্বজুড়ে নামি-দামি ডাকটিকেট সংগ্রাহকরা তো আছেই। তাদের কাছেও বাংলাদেশের নামটি পৌঁছাবে, সেখানে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চলছে তার ব্যাপারটিও পৌঁছানো যাবে, পাশাপাশি বাংলাদেশের শরণার্থী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করাও সম্ভব হবে।
১৯৭১ সালের মে মাসে জন স্টোনহাউজ কলকাতা আসেন এবং মুজিবনগর সরকারের সাথে এই বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করে যান। স্বাধীনতার পরে স্টোনহাউজের লেখা আত্মজীবনী ‘Death of an Idealist’ এ তিনি উল্লেখ করেন, মুজিবনগর সরকারের কাছে এই প্রস্তাবটি দেওয়ার পর তারা প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং তাকে পুরো কাজের দায়িত্বভার দিয়ে দেন। স্টোনহাউজ তার বইয়ে লিখেছেন,
I decided to step up the campaign in Britain and to try to establish such a powerful lobby for Bangla Desh that even Governments would have to listen. I suggested to Tajuddin and Mansoor Ali the Minister of Finance who was also present that Bangla Desh should issue postage stamps which could be used for mail from the liberated areas and which would also be excellent propaganda to establish the fact of the existence of Bangla Desh.
বাঙালি ডিজাইনার বিমানচাঁদ মল্লিক
১৯৬৯ সালে ব্রিটেনের পোস্টমাস্টার জেনারেল থাকার সময়ে জন স্টোনহাউজ গান্ধীর জন্মশতবার্ষিকী উৎযাপন উপলক্ষ্যে ডাকটিকেট বের করেছিলেন। সেটি ছিল প্রথমবার কোনো বিদেশি নেতাকে স্মরণ করে ব্রিটেন থেকে বের হওয়া প্রথম ডাকটিকেট। আবার সেই আয়োজনে অনেক খ্যাতিমান ডিজাইনারকে ডাকার পাশাপাশি তিনি ডেকেছিলেন বাঙালি এক ডিজাইনার বিমানচাঁদ মল্লিককে। ঘটনাক্রমে তিনিও প্রথম বিদেশি নাগরিক যিনি ব্রিটেনের কোনো ডাকটিকেট ডিজাইন করার খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
পশ্চিমবাংলার হাওড়ায় জন্মগ্রহণ করলেও পড়াশোনা আর কাজের সুবাদে ব্রিটেনে তিনি পরিচিত। ১৯৭১ সালে ব্রিটেনে থাকাকালীন তিনি বাংলাদেশের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখছিলেন, চাইছিলেন কিছু একটা করা যায় কিনা। জন স্টোনহাউজ তাকে সেই সুযোগটা করে দিলেন। ১৯৭১ সালের ২৯ এপ্রিল স্টোনহাউজ বিমান মল্লিকের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করে জানতে চান, তিনি ডাকটিকেট ডিজাইন করার কাজটি নিতে চান কিনা। বিমান মল্লিক খুব উৎসাহের সাথে রাজী হয়ে যান, তিনি জানতে চান কী করবেন তার দিক নির্দেশনার জন্য।
জন স্টোনহাউজ তাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেন ডিজাইন থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজের ব্যাপারে। শুধু বলে দিয়েছিলেন হাতে সময় কম, যত দ্রুত করা যায় ততই ভালো। বিমান মল্লিক তখন সপ্তাহে পাঁচদিন শিক্ষকতার কাজ করছেন, হাতে আছে কিছু ফ্রিল্যান্স কাজকর্ম। সবকিছুর মাঝেও বাংলাদেশের জন্য আটটি ডাকটিকেট এবং একটি ফার্স্ট ডে কাভারের ডিজাইন করেন বিমান মল্লিক তিন সপ্তাহের মাঝেই।
যেহেতু ডিজাইনের জন্য কোনো দিক নির্দেশনা ছিলো না, কত মূল্যমানের ডাকটিকেট হবে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল বিমান মল্লিককেই। তিনি সিদ্ধান্ত নেন এক পাউন্ড অর্থাৎ ২১ রুপি ৮০ পয়সার মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখবেন আটটি ডাকটিকেটের দাম। মূল্যমান নির্ধারণ করেন যথাক্রমে ১০ পয়সা, ২০ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১ রুপি, ২ রুপি, ৩ রুপি, ৫ রুপি ও ১০ রুপি। ডাকটিকেটের একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল এতে বাংলাদেশের নাম লেখা হয়েছিল ‘বাংলা দেশ’ এবং মুদ্রা রুপি।
এই বিষয় নিয়ে পরবর্তীকালে বিমান মল্লিক বলছিলেন, যেহেতু কোনো নির্দেশনা ছিল না। তাই কাজটি করতে তিনি জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের বাংলা ভাষার অভিধানের সাহায্য নিয়েছিলেন। যেখানে থাকা ‘বাঙ্গালা দেশ’ শব্দ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ডাকটিকেটে ‘বাংলা দেশ’ শব্দটি ব্যবহার করেন। এবং ভারত-পাকিস্তানের মুদ্রার ব্যাপারটি থেকে তিনি রুপিতে এর দাম নির্ধারণ করেন। এই ডিজাইন করে তা তিনি স্টোনহাউজের কাছে পাঠান, সেখান থেকে তা যায় মুজিবনগর সরকারের কাছে। সেখান থেকে অনুমোদন হয়ে আসলে প্রকাশের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
পরের কাজটি করেন জন স্টোনহাউজ, পোস্টমাস্টার জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালনের সুবাদে তিনি ‘E.E Oatway’ নামের একটি কোম্পানিকে এই ডাকটিকেট ছাপানো, এখান থেকে আদায়কৃত অর্থের ব্যাপারটি মুজিবনগর সরকারের সাথে বোঝাপড়ার দায়িত্ব দিয়ে দেন। তার উদ্যোগেই সব ঝক্কি ঝামেলা শেষ করে ২৬ জুলাই ১৯৭১ সালে এর প্রকাশনা করা হয়। ব্রিটেনের হাউজ অফ কমন্সের হারকোট কক্ষে ছোটোখাটো একটি প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করে এই প্রকাশনা উৎসব করা হয়। সেখানে স্টোনহাউজ, বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ছাড়াও, ব্রিটিশ এমপি পিটার শোর এবং অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি যোগ দেন।
বিষয়বস্তু
প্রথম ডাকটিকেট, অর্থাৎ ১০ পয়সার ডাকটিকেটে ছিল বাংলাদেশে মানচিত্র, বাংলাদেশের মানুষের ভূখণ্ড তার দেশের পরিচয় বিশ্বকে জানানো ছিল এই ডাকটিকেটের প্রধান লক্ষ্য। তাই ডাকটিকেটে তিনি খুব বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় মাঝ বরারর দিয়ে যাওয়া কর্কটক্রান্তি রেখার কথা উল্লেখ করেন।
দ্বিতীয়টি ২০ পয়সার ডাকটিকেট, যেখানে ২৫ মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া হত্যাযজ্ঞকে স্মরণ করে ডিজাইন করেন তিনি। নিজে একজন শিক্ষক হওয়ার সুবাদে একটি শিক্ষায়তনে হামলাকে তিনি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছেন। সবুজ জমিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখাটির উপর লাল রক্তের ছোপ দিয়েছেন। পরে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘ম্যাসাকার অ্যাট ঢাকা ইউনিভার্সিটি’ ডাকটিকেটটি তার সবচেয়ে প্রিয় কাজ ছিল।
পঞ্চাশ পয়সার তৃতীয় ডাকটিকেটে, ৭৫ মিলিয়ন মানুষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ৭ এবং ৫ কে একীভূত করে তাদের একত্রে সংগ্রামের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
এক রুপীর ডাকটিকেটে, বাঙালি জাতির পতাকাকে দেখানো হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের পতাকাখচিত মানচিত্রটি ব্যবহার করা হয়েছে। সেই পতাকা অবশ্য মুক্তিযুদ্ধের পরে মানচিত্র সরিয়ে একটু পরিবর্তন করানো হয়েছে।
দুই রুপীর ডাকটিকেটে দেখানো হয় ব্যালটবাক্সেকে, ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিজয় এবং বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থাকে দেখানে হয়েছে। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী বাঙালীর কাছে ক্ষমতা ছাড়তে চায়নি বরং হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।
তিন রুপীর ডাকটিকেটে দেখানো হয়ে ভাঙ্গা শিকল, যেখানে বাঙালি তার নিষ্পেষণ ছেড়ে মুক্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
পাঁচ রুপীর ডাকটিকেটে দেখানো হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানকে, বাংলাদেশের এই অবিসংবাদিত নেতা তখন বন্দি ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে। এই ডাকটিকেটেই শুধুমাত্র ছবি ব্যবহার করা হয়েছে বাকি সব কয়টিতেই ডিজাইন করা হয়েছে।
১০ রুপীরটিতে বাংলাদেশের মানচিত্র দিয়ে লেখা ছিলো ‘Support Bangla Desh’, এই ডাকটিকেটটি ছিল সাদামাটা, কিন্তু এর বার্তাটি ছিল সবেচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ। বাংলাদেশের সাহায্য দরকার, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক, এবং এই ডাকটিকেট সেই বার্তাটিই বহন করছে।
আগস্টের এক তারিখ লন্ডনের ট্রাফলগার স্কয়ারে ‘Stop Genocide, Recognise Bangladesh’ নামের একটি সভা করা হয়, সেখানে স্টোনহাউজ, আবু সাঈদ চৌধুরী, বহু বাংলাদেশি, ভারতীয় সাধারণ মানুষের সাথে যোগ দেন বিমান মল্লিক। তিনি সেখান থেকে উঁচিয়ে ধরেন বাংলাদেশের জন্য তার ডিজাইন করা আটটি ডাকটিকেট।
পাকিস্তানের আপত্তি
জন স্টোনহাউজের চেষ্টায় বিভিন্ন দেশে এই ডাকটিকেটগুলো পৌঁছে দেওয়ার ব্যস্থা করা হয়। পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশের নাম প্রচারিত হতে থাকে, দলে দলে সংগ্রাহকরা আসতে থাকে ডাকটিকেট সংগ্রহের জন্য। ব্রিটেনে প্রথম দিনেই ২৩ হাজার ডলারের ডাকটিকেট মানুষ সংগ্রহ করে। আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের জন্য ব্যাপারটি নাক কাঁটা যাবার অবস্থা। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আন্তর্জাতিক পোস্টাল ইউনিয়ন’ এর কাছে জানানো হয় যে এই ডাকটিকেটের সাথে কোনো দেশের সংযুক্তি নেই, এটি ভিত্তিহীন।
বাংলাদেশের অল্প কিছু মুক্তাঞ্চল ছিল, সেই এলাকায় থাকা পোস্ট অফিসগুলোকে প্রমাণ হিসেবে দেখানো হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। যদিও বাংলাদেশের ডাক যোগাযোগ ততদিনে ভেঙে পড়েছে, ধরতে গেলে কোনো অবকাঠামোই মুক্তাঞ্চলে কাজ চলার মতো অবস্থায় নেই। তারপরেও এই ডাকটিকেট ইউরোপীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে কূটনৈতিক, সংগ্রাহক, প্রবাসী বাঙালী এবং ভারতীয়দের হাতে হাতে।
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম, ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ে পঁচিশে মার্চের গণহত্যা, বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সচেতনতা তৈরিতে বিমান মল্লিকের এই অবদান অনস্বীকার্য, এবং সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপারটি ছিল এই কাজের জন্য তিনি কোনো পারিশ্রমিকও দাবি করেননি। ভালোবাসা থেকেই কাজটি করে দিয়েছিলেন।
সেই ভালোবাসা থেকে স্বাধীনতার পরে বিমান মল্লিক বাংলাদেশের জন্য একটি কারেন্সি নোট অর্থাৎ ‘টাকা’র ডিজাইনও করেছিলেন, এক টাকা এবং দশ টাকা মূল্যমানের দুইটি নোটের ডিজাইন করেছিলেন। তবে বাংলাদেশ থেকে আর কোনো সাড়া না পাওয়ায় সেই ডিজাইন কাজে লাগেনি আর। ভালোবেসে করেছিলেন সেই ভালোবাসা নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ এগিয়ে গিয়েছে নিজের পথে, বিমান মল্লিকও তার জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ব্রিটেনে নিজের মতো করে জীবন কাটিয়ে গেছেন, শিক্ষকতা করেছেন, ডিজাইন করেছেন, ম্যারাথন দৌড়েছেন, লিখেছেন বেশ কয়েকটি বই, অনুরাগ আছে সংগীত আর কবিতা নিয়ে।
অবশেষে তার মহান কাজের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালের ২৭ মার্চ তাকে ‘Friends of Liberation War Honour’ এ ভূষিত করে, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা নিতে প্রথমবার বাংলাদেশে এসে আবেগ আপ্লুত হয়েছেন বিমান মল্লিক। আর স্টোনহাউজের জীবনজুড়েই ছিল নাটকীয়তা, শেষ জীবনে কিছু কাজের জন্য ব্রিটেনেই সমালোচিত হয়েছেন তিনি। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার ভূমিকা ছিল সত্যিই অসাধারণ, ১৯৮৮ সালেই মারা গিয়েছেন ঐ রাজনীতিবিদ।