আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের জন্য ব্যাপারটি নাক কাঁটা যাবার অবস্থা। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আন্তর্জাতিক পোস্টাল ইউনিয়ন’ এর কাছে জানানো হয় যে এই ডাকটিকেটের সাথে কোনো দেশের সংযুক্তি নেই, এটি ভিত্তিহীন। বাংলাদেশের অল্প কিছু মুক্তাঞ্চল ছিলো, সেই এলাকায় থাকা পোস্ট অফিসগুলোকে প্রমাণ হিসেবে দেখানো হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। যদিও বাংলাদেশের ডাক যোগাযোগ ততদিনে ভেঙে পড়েছে, ধরতে গেলে কোনো অবকাঠামোই মুক্তাঞ্চলে কাজ চলার মতো অবস্থায় নেই। তারপরেও এই ডাকটিকেট ইউরোপীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে কূটনৈতিক, সংগ্রাহক, প্রবাসী বাঙালী এবং ভারতীয়দের হাতে হাতে।