স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র: মুক্তিযুদ্ধে শব্দসৈনিকদের রচিত বীরত্বগাথা

ষাটের দশক থেকেই পূর্ব বাংলায় রেডিও জনপ্রিয় গণযোগাযোগ মাধ্যমে রূপ নেয়। দেশ বিদেশের খবরাখবর থেকে শুরু করে দিনশেষের ক্লান্তির রেশ কাটাতে বেতার হয়ে ওঠে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী। শহর থেকে শুরু করে প্রান্তিক গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে কোনো সংবাদ পৌঁছে দিতে রেডিওর বিকল্প ছিল না। ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে বিনোদনের পাশাপাশি নানা সময় পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ আর বৈষম্যের খবরও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হতো।

ঢাকা বেতারের শেষ বার্তা নিয়ে ভারতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন; Source: docstrangelove.com

তাই অনেকটা পূর্ব পরিকল্পনা করেই, ২৫ মার্চের কালরাতে বাঙালির উপর বর্বর আক্রমণের সংবাদ যাতে স্ফুলিঙ্গ হয়ে দিকবিদিক ছড়িয়ে না পড়ে সেই লক্ষ্যে, ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরেই ঢাকায় অবস্থিত বেতার কেন্দ্র দখলে নেয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। নাম দেওয়া হয় ‘রেডিও পাকিস্তান ঢাকা’। সেখান থেকেই পাকিস্তানের সামরিক আইনের পক্ষে তুবড়ি ছোটানো হতো। সেই রেডিও থেকে ক্রমাগত প্রচার করা হয় পূর্ব বাংলার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত। কিন্তু দখল করার আগেও নাজমা আক্তারের কন্ঠে শোনা গেছে বাঙালির উপর গণহত্যার খড়গ নেমে আসার কথা। ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সেই ঘোষণা মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে বেশ আলোড়ন তৈরি করে। তাই বাঙালির কন্ঠস্বর আর মতামতের অন্যতম এই মাধ্যম বেতার কেন্দ্রকে থামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টাকে বাঙালিরা বেশ জোরে চটোপঘাত করে।

ছাব্বিশে মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে অবস্থিত কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকেই জ্বলে উঠে সেই বিদ্রোহের বাতি। সে বাতির আলোয় উদ্বেলিত হয়ে উঠে পুরো বাঙালি জাতি। পুরো যুদ্ধে বাঙালি মুক্তিসেনাদের সাফল্য, সংগ্রামের একেকটি সোনালী ঘোষণা স্বাধীন বাংলা বেতারের সংকেতে পৌঁছে গেছে সাত কোটি বাঙালির কানে। পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বর নির্যাতন আর নিপীড়নের চিত্র মুক্তিবাহিনীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটিও করেছে এই স্বাধীন বাংলা বেতার। একটি ফুলকে বাঁচাবার জন্য, নিপীড়িত একদল মানুষের নোঙ্গর তুলে স্বাধীনতার ঘাটে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যুদ্ধ করে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিনোদন আর অনুপ্রেরণা দেওয়ার কাজটি করে গেছেন স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দসৈনিকেরা।

চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকেই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে। চট্টগ্রাম বেতারের বেশ কয়েকজন কর্মী, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী আর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সমন্বিত উদ্যোগে চালু হয় ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র’। কালুরঘাট বেতারের নিজস্ব শিল্পী বেলাল মোহাম্মদ, ফটিকছড়ি কলেজের উপাধ্যক্ষ আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম বেতারের কয়েকজন প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং জনসাধারণের সহায়তায় এই বিপ্লবী বেতারের বার্তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সারাদেশে মুক্তিসংগ্রাম যে অনেকটা জোরেশোরে শুরু হয়ে গেছে সেই ব্যাপারে মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছে দিতে থাকে, তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে কালুরঘাটের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

পত্রিকার পাতায় স্বাধীন বাংলা বেতারের কথা; Source: docstrangelove.com

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চোখ এড়িয়ে আর যুদ্ধ জাহাজের শেলিং থেকে নিরাপদে থেকে যুদ্ধের খবরাখবর প্রচার করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকার বেতার কেন্দ্র বাদ দিয়ে লক্ষ্য করা হয়েছিল কালুরঘাট কেন্দ্রকে। এই কালুরঘাটের বিপ্লবী মঞ্চ থেকে একে একে অনেকেই বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে গিয়েছেন। তবে সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বেতার কেন্দ্রের নাম থেকে ‘বিপ্লবী’ শব্দটি বাদ দিয়ে নতুন নামকরণ করা হয় ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’।

কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের ছবি; Source: abasar.net

শুরু থেকেই পাকিস্তানি বাধার মুখে পড়েছে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। চার দিনের মাথায় এটি আক্রান্ত হয়। ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ কালুরঘাটের বেতার কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস সদস্যদের সহায়তায় এক কিলোওয়াটের একটি ছোট ট্রান্সমিটার তারা বহন করে নিয়ে এসেছিলেন। বেতারকেন্দ্রে বোমা হামলা করেও পাকিস্তানিরা তাই কন্ঠরোধ করতে পারেনি এই শব্দসৈনিকদের। এক কিলোওয়াটের এই ছোট ট্রান্সমিটারই বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের আন্দোলনের খবর পৌঁছে দিতে থাকে দিক দিগন্তে। এভাবে বেশ কিছুদিন স্বাধীন বাংলা বেতারকে চালিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এরপর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে অনুষ্ঠানগুলো চালিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা এবং সাধারণ মানুষ উভয়পক্ষের কাছেই স্বল্প সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।

১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের পর স্বাধীন বাংলা বেতারের দুরাবস্থার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়। অস্থায়ী সরকারের অনুরোধে ভারত সরকার ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’র শিলিগুড়ি কেন্দ্রকে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেয়। ঐ কেন্দ্র থেকেই প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদসহ বেশ কয়েকজনের ভাষণ প্রচারিত হয়। পাশাপাশি নিয়মিত অনুষ্ঠানমালাও চলতে থাকে।1

কলকাতায় অবস্থানরত প্রবাসী সরকারের উপস্থিতিতে সেখানে পূর্ব বাংলা থেকে আসা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা জড়ো হতে থাকেন। কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের ৫৭/৮নং দোতলা বাড়িটিতে অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের থাকার জায়গার পাশাপাশি ট্রান্সমিটার বসিয়ে বেতার কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়।

মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের চেষ্টায় পঞ্চাশ কিলোওয়াটের ট্রান্সমিটার জোগাড় হয়ে যায়। পঁচিশে মে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের জন্মদিনকে সামনে রেখে বেতার কেন্দ্রকে নতুনভাবে চালু করার যুদ্ধ শুরু হয়। কিন্তু তখনো পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাব। কিন্তু ততদিনে ঢাকা বেতার থেকে বেতার কর্মী আশফাকুর রহমান, তাহের সুলতান, আরটিএইচ শিকদার, সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে আলমগীর কবীর, আলী যাকের, পারভীন হোসেন, নাসরিন আহমদ শীলুর মতো তরুণ প্রতিভাবান ব্যক্তিরা যোগ দিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মে সকাল সাতটায় সকল বাধা বিপত্তিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নতুন করে যাত্রা শুরু করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ এই গানের যন্ত্রসঙ্গীতের মূর্ছনায় বাঙালিরা আরো একবার নিজেদের ভূখণ্ডের দাবিকে বাস্তব হিসেবে চোখের সামনে দেখতে পায়।

পঁচিশে মে সকাল ও সন্ধ্যায় দুটি অধিবেশন প্রচারিত হয়। সকাল সাতটায় এক ঘন্টাব্যাপী প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সন্ধ্যা সাতটার অধিবেশনে সংবাদ ব্যতীত সকল কর্মসূচীর পুনঃপ্রচার করা হয়।

স্বাধীন বাংলা বেতারের অনুষ্ঠানসূচী; Source: dailysangram.com

স্বাধীন বাংলা বেতারের থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠানের মধ্যে ‘চরমপত্র’ ছিলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আর শাসকদের লক্ষ্য করে ব্যাঙ্গাত্মক ও শ্লেষাত্মক মন্তব্যে ভরা এই অনুষ্ঠান চরম দুঃখের দিনেও বাঙালিদের জুগিয়েছে আনন্দের খোরাক। এম আর আখতার মুকুলের অনবদ্য রচনায় আর উপস্থাপনায় এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি ক্ষণ হয়ে উঠে ইতিহাসের স্বাক্ষী।

আখতার মুকুল চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন তার চরমপত্রের জন্য; Source: jonmojuddho.com

শুরুর দিন ২৫শে মে থেকে বিজয়ের দিন ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘ছক্কু মিয়া’ ছদ্মনামে অস্ত্রহীন বাকযুদ্ধ চালিয়ে গেছেন। ঢাকাইয়া কুট্টি থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষায় হাসি ঠাট্টার ছলে রাজনীতির নিগুঢ় তত্ত্বটি সাধারণ মানুষের কাছে ঠিকই পৌঁছে দিয়েছেন আখতার মুকুল। রণাঙ্গনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে জলদগম্ভীর খবরের ভারী শব্দ শুনেও যারা বুঝতেন না দেশে আসলে কী হচ্ছে তারাও ছক্কু মিয়ার ‘চরমপত্র’ ঠিক ঠিক বুঝে যেতেন। ১৬ই ডিসেম্বরের মাহেন্দ্রক্ষণে বিজয় যখন দরজায় কড়া নাড়ছে ছক্কু মিয়ার আড়াল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন এম আর আখতার মুকুল, তার স্বভাবসুলভ চরমপত্রের ভাষায় বিজয়ের ঘোষণাটা ছিল ঠিক এইরকম,

“কি পোলারে বাঘে খাইলো? শ্যাষ। আইজ থাইক্যা বঙ্গাল মুলুকে মছুয়াগো রাজত্ব শ্যাষ। ঠাস্ কইয়্যা একটা আওয়াজ হইলো। কি হইলো? কি হইলো? ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পিঁয়াজী সাবে চেয়ার থনে চিত্তর হইয়া পইড়া গেছিলো। আট হাজার আষ্টশ চুরাশি দিন আগে ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট তারিখে মুছলমান-মুছলমান ভাই-ভাই কইয়া, করাচী-লাহুর-পিন্ডির মছুয়া মহারাজরা বঙ্গাল মুলুকে যে রাজত্ব কায়েম করছিল, আইজ তার খতম্ তারাবি হইয়া গেল। আত্কা আমাগো চক বাজারের ছক্কু মিয়া ফাল্ পাইড়্যা উডলো, এলায় কেমন বুঝতাছেন? বিচ্চুগো বাড়ির চোটে হেই পাকিস্তান কেমতে কইর্যা ফাঁকিস্তান হইয়া গেল? আইজ ১৬ই ডিসেম্বর। চরমপত্রের শ্যাষের দিন আপনাগো বান্দার নামটা কইয়া যাই। বান্দার নাম এম আর আখতার মুকুল।”

তবে শুধু চরমপত্রই নয় বাঙালি মুক্তিসংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের ধ্রুবতারা হয়ে পথ দেখিয়েছে এই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। পাকিস্তানি বাহিনীর গতিপথ, অস্থায়ী সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রচারিত হয়েছে এই বেতার কেন্দ্র থেকে।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বার্তা সম্পাদক কামাল লোহানী; Source: ittefaq.com.bd

শুরুতে কর্মী সংকট থাকলেও মুক্তিসংগ্রামের বিভিন্ন সময় স্বাধীন বাংলা বেতারে বাংলাদেশ থেকে এসে যোগ দিয়েছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। এই নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের কারণেই স্বাধীন বাংলা বেতার চালু হওয়ার পর থেকে একদিনের জন্যেও বন্ধ থাকেনি। শত প্রতিকূলতা আর সংকটের মধ্য দিয়েও মুক্তিবাহিনীর মনোবল ধরে রাখতে বেতারকে চালু রেখেছিলেন এই শব্দসৈনিকেরা।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন যারা; Source: dailysangram.com

একটিমাত্র স্টুডিও থেকেই অন্ধকার রাত্রে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পথে পথে ঘুরতে থাকা বাঙালিকে এই বেতার শুনিয়েছে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’। প্রয়োজনীয় বাদ্য যন্ত্র ও যন্ত্রীর অভাবে থেমে না গিয়েও চায়ের দোকানে রেডিওর সামনে বসে থাকা মধ্যবয়স্ককে শুনিয়েছে ‘কারার ঐ লৌহকপাট, ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট’। কাজ করতে করতে মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়ার আগে এই বেতার কেন্দ্র, পাকিস্তানের সুসজ্জিত হানাদারের সাথে লড়াই জীবনসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা যোদ্ধাকে জানিয়েছে ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি, মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি’।

পাহাড়সমান বাঁধা ডিঙ্গিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতারের কর্মীরা বিজয়ের গান গেয়ে গেছেন। এইভাবেই দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিসংগ্রামের প্রথম দিন থেকেই সাধারণ মানুষের ভরসা আর আবেগের স্থান হয়ে উঠে এই ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’। তাই কালুরঘাট থেকে শুরু হওয়া বিপ্লবী বেতারের এই মুক্তির মিছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসজুড়ে দখল করে আছে এক বিশাল স্থান।

তথ্যসূত্র

  1. হাসান, মঈদুল (২০১৭)। মূলধারা ’৭১, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, পৃষ্ঠা: ৪০

Featured Image: protidinersangbad.com

Related Articles

Exit mobile version