
১৪ এপ্রিল, ২০১৪; বর্ন প্রদেশের চিবুক শহরের গভর্নমেন্ট গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে ১৬-১৮ বছর বয়সী ২৭৬ জন মেয়েকে অপহরণ করে বোকো হারাম। তাদের ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। ট্রাক থেকে লাফিয়ে ৫৭ জন মেয়ে পালাতে সক্ষম হয়। একটি মাঝারি আকারের শহরের স্কুল হওয়া সত্ত্বেও বোকো হারামের অপহরণকর্ম চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো কোনো প্রতিকারের উদ্যোগ নিতে পারেনি, বাঁচাতে পারেনি বোকো হারামের অপহরণ থেকে।
এই ঘটনা আলোড়ন তোলে নাইজেরিয়াজুড়ে; তৎকালীন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এবং নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই টুইটারে পোস্ট দেওয়ার পর চিবুকের ঘটনা আলোড়ন তোলে পৃথিবীজুড়ে। অপহরণের তিন সপ্তাহ পরে, ৪ এপ্রিল, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এই অপহরণের ঘটনা স্বীকার করেন; স্বীকার করেন অপহৃত মেয়েদের উদ্ধারে দীর্ঘসূত্রিতার কথা। পরদিনই বোকো হারামের প্রধান আবুবকর সেকাও অপহরণের দায়িত্ব স্বীকার করেন ভিডিওবার্তার মাধ্যমে, হুমকি দেন অপহৃত মেয়েদের দাসী হিসেবে বিক্রি করে দেওয়ার।

এক সপ্তাহ পরে বোকো হারাম আরেকটি ভিডিওবার্তা পাঠায়, যেখানে শতাধিক অপহৃত মেয়েকে একসাথে দেখা যায়। তারা জানায়, এই মেয়েদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছে, এবং সরকারি কাস্টডিতে থাকা বোকো হারামের যোদ্ধাদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তাদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
চিবুক গার্লদের উদ্ধারচেষ্টা
মে মাসের ২৪ তারিখ গুডলাক জোনাথন প্যারিসে দেখা করেন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, ফ্রান্স ও ব্রিটিশ প্রতিনিধিদের সাথে, সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে চুক্তির পরিবর্তে সংকট সমাধানে জোর দেওয়া হয় শক্তি প্রয়োগের উপর। দু’দিন পর নাইজেরিয়ার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ ঘোষণা দেন, অপহৃত মেয়েদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে। কিন্তু শক্তি প্রয়োগ করতে গেলে কোলাটেরাল ড্যামেজ হতে পারে, সেই আশঙ্কায় সামরিক বাহিনী পাঠানো হয়নি।
৩০ মে প্রথমবারের মতা দুজন অপহৃত মেয়েকে পাওয়া যায়। আধা-সামরিক বাহিনীর এক সদস্য অর্ধমৃত অবস্থায় দুই মেয়েকে উদ্ধার করে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, একই জায়গায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় আরো চার মেয়েকে। অক্টোবরে আরো তিনজন মেয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়, নিরাপদ স্থানে পৌঁছাতে তাদের হাঁটতে হয় তিন সপ্তাহ। পালিয়ে আসা মেয়েরা জানায়, ক্যামেরুনের একটি ক্যাম্পে তাদের প্রতিদিন ধর্ষণ করা হয়েছে।

চিবুক গার্লসের অপহরণের ঘটনায় আরেক মেয়ে উদ্ধার হয় ২০১৬ সালের মে মাসে, সাম্বিসা বনে উদ্ধার হয় স্বামী আর সন্তানসহ। মে মাসের ১৯ তারিখ আমিনা আলি কেকি নামের মেয়েটি দেখা করে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বুহারির সাথে।
২০১৬ সালের আগস্টে নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী বোকো হারামের সদরদপ্তরে হামলা চালায়। সাম্বিসা বনে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় প্রাণ হারায় কয়েকজন সিনিয়র কমান্ডার, গুরুতর আহত হন বোকো হারামের প্রধান আবুবকর শেকাও। রিপোর্ট অনুযায়ী, একই হামলায় ১০ জন চিবুক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয় আরো ৩০ জন শিক্ষার্থী।
নিরাপত্তা বাহিনীর এই হামলার মাসখানেক পর বোকো হারাম আরেকটি ভিডিওবার্তা পাঠায়। ভিডিওবার্তায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে দেখা যায়, যাদের অনেকের কোলেই তখন বাচ্চা। ভিডিওতে মাস্ক পরিহিত সন্ত্রাসী মেয়েদের মুক্তির বিনিময়ে আটক সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিতে বলে। আবুবকর শেকাওয়ের নির্দেশে ধারণ করা এই ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, বেশ কিছু চিবুক শিক্ষার্থী সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছে, ৪০ জনকে মিলিট্যান্টদের বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে।
২০১৭ সালের মে মাসে মুক্তি পায় ৮২ জন শিক্ষার্থী। সুইস সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিউম্যান সিকিউরিটি ডিভিশন আর রেডক্রসের মধ্যস্থতায় বোকো হারাম আর নাইজেরিয়া সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়, মেয়েদের মুক্তির বিনিময়ে ৩ মিলিয়ন ইউরোর পাশাপাশি মুক্তি দেওয়া হয় পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় বোকো হারাম নেতাকে।

এরপর বিচ্ছিন্নভাবে আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী উদ্ধার হয়েছে, ফিরে এসেছে স্বাভাবিক জীবনে। তবে, এখন পর্যন্ত শতাধিক মেয়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি, জানা যায়নি কী ঘটেছে তাদের জীবনে।
উদ্ধার হওয়া মেয়েদের জবানীতে জানা যায়, তাদের যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করেছে বোকো হারামের যোদ্ধারা, ব্যবহার করেছে যৌনদাসী হিসেবে। অনেকে দিনের পর দিন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ব্যবহৃত হয়েছেন যোদ্ধাদের ‘কমফোর্ট গার্ল’ হিসেবে। বাধ্যতামূলক ধর্মান্তরিত করার পাশাপাশি অনেককে বোকো হারামের যোদ্ধাদের বিয়ে করতে হয়েছে, গর্ভধারণ করতে হয়েছে তাদের সন্তানদের। দুঃসহ এক জীবন কাটাতে হয়েছে বন্দীদশায়, নিজেদের ইচ্ছার কোনো মূল্য ছিলো না ক্যাম্পগুলোতে।
বোকো হারামের সন্ত্রাসী কার্যক্রম
রক্ষণশীল ধর্মীয় মূল্যবোধকে ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বোকো হারাম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে চেয়েছিল উত্তর নাইজেরিয়াতে। এক দশকের শান্তিপূর্ণ সাংগঠনিক কার্যক্রমের পর সরকারের দমন-পীড়নের অনেকটা প্রতিক্রিয়া হিসেবেই সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করে বোকো হারামের সদস্যরা, একইসাথে জড়িয়ে যায় সন্ত্রাসবাদের সাথে। অর্থের যোগানের জন্য অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে বোকো হারাম, ব্যাংক ডাকাতি আর মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণের ঘটনা হয়ে যায় নিয়মিত ঘটনা। আবুবকর শেকাওয়ের নেতৃত্বে বোকো হারাম হয়ে ওঠে পৃথিবীর অন্যতম বর্বর সন্ত্রাসী সংগঠন।

বোকো হারামের প্রতিষ্ঠা ২০০২ সালে হলেও এর অপ্রাতিষ্ঠানিক অস্তিত্ব পাওয়া যায় নব্বইয়ের দশক থেকেই। প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইউসুফের অধীনে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ উপায়েই নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে বোকো হারাম। ২০০৯ সালে পুলিশি হেফাজতে মোহাম্মদ ইউসুফের মৃত্যু আর নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আট শতাধিক সদস্যের মৃত্যু তাদের চরিত্র বদলে দেয়। এটি হয়ে ওঠে আফ্রিকার নৃশংসতম সন্ত্রাসী সংগঠন। ২০০৯ সালে ২০টি সন্ত্রাসী হামলা চালায় বোকো হারাম, যাতে নিহত হয় ৮১৭ জন। ২০১০ সালে ৩৭টি সন্ত্রাসী হামলার বিপরীতে নিহত হয় ৭৫ জন, ২০১১ সালে ১২৩টি হামলার বিপরীতে নিহত হয় ৫৯৪ জন। ২০১৩ সালে বোকো হারামের সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭২-এ, নিহত হয় ২,৯৭৪ জন। এক দশকে বোকো হারামের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ দুই বছর কাটে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে, হামলার সংখ্যা আর হতাহতের হিসাব ছাড়িয়ে যায় অতীতের সব রেকর্ড।
২০১৪ সালে ৪১৫টি হামলায় প্রাণ হারায় ৭,৭১৩ জন নাইজেরীয়; ২০১৫ সালে হামলা হয় ৪৫৬টি, নিহত হয় ৮,৮৫২ জন। পরের বছর কমে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা, কমে হতাহতও। ২০১৭ সালে ৪২৩টি সন্ত্রাসী হামলা চালায় বোকো হারাম, নিহত হয় ৪২৩ জন।

প্রদেশ হিসেবে বোকো হারামের আক্রমণের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে বর্ন। তাদের হামলায় এই প্রদেশে নিহত হয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি নাইজেরীয়। যামফারা আর কাদুনা প্রদেশে নিহত হয়েছে দশ হাজারের বেশি মানুষ, বুনে আর আদামাওয়া প্রদেশে প্রায় চার হাজার করে মানুষ। ইয়োব আর প্লেটো প্রদেশে তিন হাজারের চেয়েও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বোকো হারামের হামলায়।
চিবুক গার্লসের ঘটনায় নাইজেরিয়া সরকারের দায়
চিবুক গার্লসের ঘটনা বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণ করে, বোকো হারামের বর্বরতার ব্যাপারে বৈশ্বিক জনমত তৈরি হয়, নাইজেরিয়া উপস্থাপিত হয় সন্ত্রাসবাদের চারণভূমি আর এক ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে। এটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের যুগ যুগ ধরে অনুসৃত নীতির একটি ফলাফল মাত্র। একের পর এক সরকার এসেছে নাইজেরিয়াতে, কিন্তু সেখানে সংঘাতের চক্র তৈরি হওয়া আটকাতে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অনেকদিক থেকেই নাইজেরিয়া সরকার সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর উত্থানের দায় এড়াতে পারে না।
প্রথমত, চিবুকের মেয়েদের অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উত্থানের জন্য প্রয়োজনীয় তিনটি উপাদানের সবকয়টিই আছে নাইজেরিয়াতে। নাইজেরিয়াতে নাগরিকেরা নাগরিক স্বাধীনতা কিংবা রাজনৈতিক অধিকার উপভোগ করেন না, রয়েছে তীব্র অর্থনৈতিক বৈষম্য, আর নাগরিকদের মধ্যে রয়েছে স্থায়ী বিভাজন। স্বাধীনতার ছয় দশক পরও নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এই নিয়ামকগুলোকে অকার্যকর করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ত, সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত সমাধানের অনেকগুলো উপায় আছে। রাষ্ট্র সংলাপের আয়োজন করতে পারে, আয়োজন করতে পারে রাজনৈতিক সমঝোতার। কিন্তু, নাইজেরিয়ার স্বৈরাচারী সরকার সবসময়ই যেকোনো সংঘাত ও ভিন্নমত দমনে শক্তিপ্রয়োগের উপায় বেছে নিয়েছে, একই কাজ করেছে গণতান্ত্রিক সরকারও। সংলাপের মাধ্যমে সংঘাত সমাধানের অভিজ্ঞতার অভাব চিবুকের মেয়েদের উদ্ধারে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে।
তৃতীয়ত, নাইজেরিয়াতে তীব্র অর্থনৈতিক বৈষম্য রয়েছে, অর্থনৈতিক শ্রেণীর শীর্ষে আর নিম্নপর্যায়ে থাকা মানুষের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক আয়বৈষম্য। তেলরাজস্ব নাইজেরিয়াতে প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হয়েছে, রাষ্ট্রীয় সুবিধাকে নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে পারেনি, নাগরিকদের দেখাতে পারেনি ভালো জীবনের স্বপ্ন। রয়েছে কর্মসংস্থানের তীব্র অভাব, অফিসিয়াল হারের চেয়ে বাস্তবিক বেকারত্বের হার অনেক বেশি। সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের ক্ষেত্রে এটাও ভূমিকা রাখে। কারণ, বোকো হারামের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো যুবকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি আয়ের নিশ্চয়তা দেয়। একজন নাইজেরিয়ান সৈন্য যেখানে দৈনিক ৩ ডলার বেতন পান, বোকো হারামের একজন সন্ত্রাসী সেখানে আয় করেন ৩০ ডলার করে।
চতুর্থত, চিবুকের মেয়েদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক এলিটরা ভুল করেছে, ভুল করে আমলাতন্ত্রও। দুর্নীতি আমলাতন্ত্রের দক্ষতা কমিয়ে দেয়, কমিয়ে দেয় গ্রহণযোগ্যতাও। এলিট কালচারকেন্দ্রিক আমলাতন্ত্র বোকো হারামের সাথে চিবুক গার্লসদের ব্যাপারে সংলাপে কোনো সাফল্য দেখাতে পারেনি, সাফল্য দেখাতে আগ্রহী ছিল না রাজনৈতিক সরকারও।

পঞ্চমত, নাইজেরিয়ার রপ্তানি আয়ের ৯৫ শতাংশ আসে তেল রাজস্বের মাধ্যমে, সরকারি ব্যয়ের ৭০ শতাংশ আসে তেলরাজস্ব থেকে। স্বাধীনতার পর কেবল তেলরাজস্ব থেকেই নাইজেরিয়া আয় করেছে ৮০০ বিলিয়ন ডলার। ফলে, রাষ্ট্রের যে মৌলিক ভিত্তি, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নাইজেরিয়ার সামরিক আমলাতন্ত্র সেটি অনুভবই করে না। একটি সরকারি স্কুলের হোস্টেল থেকে এতজন ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তেমন কোনো ভূমিকাই নিতে পারেনি, আটকাতে পারেনি অপহরণও। তেল রাজস্বের প্রভাবে নাইজেরিয়াতে তৈরি হয়েছে রেন্টিয়ার ইফেক্ট; জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়মুক্তিমূলক আচরণের সুযোগ করে দিয়েছে।
ষষ্ঠত, ২০১৬ সালে যখন নিরাপত্তা বাহিনী বোকো হারামকে মার্জিনালাইজ করে দেয়, তখনও চিবুক গার্লসদের উদ্ধারে ব্যর্থ হয় নিরাপত্তা বাহিনী। মুক্তিপণের মাধ্যমে সংকট সমাধানের ব্যর্থ চেষ্টা বোকো হারামকে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়, পলিসির অধারাবাহিকতা এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে লাইফলাইন দেয়।
চিবুক গার্লসের ঘটনাই নাইজেরিয়াতে একমাত্র অপহরণের ঘটনা না। বরং, প্রাকৃতিক সম্পদের নিরিখে একসময়ের সম্ভাবনাময় দেশটি সীমাহীন অপরাধ আর অস্থিতিশীলতার চক্রে আটকা পড়েছে, নিয়মিত ঘটছে অপহরণের ঘটনা। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ না হওয়ায় রাষ্ট্রও নিয়মিত ব্যর্থ হচ্ছে।