রেনেসাঁর প্রভাবে ইউরোপের দেশগুলোতে মানুষের শাসনতান্ত্রিক চিন্তার পরিবর্তন শুরু হয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে, শক্তিশালী হতে থাকে সংস্কারপন্থীরা। সংস্কারচিন্তার প্রভাব পড়ে আটলান্টিকের অপর পাড়েও, উত্তর আমেরিকাতেও শক্তিশালী হয় শাসনতান্ত্রিক বিবর্তনের পক্ষের মানুষেরা। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে আমেরিকায় শুরু হয় স্বাধীনতা আন্দোলন, ইউরোপে শুরু হয় শাসনতান্ত্রিক বিবর্তন।
অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যেই স্বাধীনতা অর্জন করে আমেরিকানরা, উনবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই আফ্রিকান দাসদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় হাইতি। ইউরোপ উত্তাল হয়ে উঠে ফরাসি বিপ্লবের ঢেউয়ে, বাস্তিল দুর্গের পতনের সাথে ক্ষমতাচ্যুতি ঘটে ফ্রান্সের সম্রাটেরও। আমেরিকান স্বাধীনতাকামী নেতারা ফেডারেল কাঠামোতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, ফ্রান্স শুরুতে রিপাবলিক গঠন করলেও পরবর্তীকালে চালু হয় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র।
আধুনিক গণতন্ত্র এরপরও ক্রমাগত উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গেছে। শাসনতান্ত্রিক বিবর্তনের ঢেউ এসেছে, উনবিংশ শতাব্দীতেই ইউরোপের অনেক দেশে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রকে ঠেলে অনেক দেশে প্রতিষ্ঠা হয় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। এশিয়াতে আধুনিক গণতন্ত্রের ঢেউ লাগে ইরান আর চীনের মাধ্যমে, বিংশ শতাব্দীর শুরুতে দ্বিতীয় সাংবিধানিক শাসনতন্ত্রের আন্দোলনের সময়টাতে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়টাতে দ্রুত বাড়তে থাকে গণতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা, এশিয়ার পাশপাশি বিউপনিবেশায়ন হয় আফ্রিকার দেশগুলোতেও। অর্ধশতাব্দীর স্নায়ুযুদ্ধ শেষে পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়ে যায়, মানবসভ্যতার সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য শাসনতান্ত্রিক মতাদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় গণতন্ত্র।
আধুনিক গণতন্ত্র ও নগররাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র
খ্রিষ্টপূর্ব ৫০৮ অব্দের দিকে প্রাচীন গ্রিসে এথেন্সে শুরু হয় গণতান্ত্রিক শাসনের চর্চা, নাগরিকেরা নিজেরাই নিজেদের শাসন করত এসেম্বলির মাধ্যমে। প্রতি মাসে গড়ে তিনবার বসত এসেম্বলি, সিদ্ধান্ত হতো রাষ্ট্রীয় নীতি আর নীতি কার্যকরের পথের ব্যাপারে। প্রাপ্তবয়স্ক সকল স্বাধীন পুরুষ এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হতেন, নিজেদের ভোটের মাধ্যমে জানাতেন মতামত। এথেন্সের মতো গ্রিসের অন্যান্য নগররাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও মোটামুটি একই ধরনের শাসন কাঠামোর উপস্থিতি ছিল, চর্চা হতো প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র।
বর্তমান সময়ের গণতন্ত্র নগররাষ্ট্রের যুগের প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র থেকে আলাদা। জাতিরাষ্ট্রের আকার নগররাষ্ট্রের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক বড়, জনসংখ্যাও অনেক বেশি। ফলে, আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের যুগে এসে গণতান্ত্রিক শাসনের ধরনে পরিবর্তন এসেছে। আধুনিক গণতন্ত্রের সাথে তাই নগররাষ্ট্রের যুগের গণতন্ত্রের কিছু মৌলিক পার্থক্য তৈরি হয়েছে।
প্রথমত, নগররাষ্ট্রগুলোর এসেম্বলিতে কেবল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদেরই গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার সুযোগ ছিল। নারীরা এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেত না, এসেম্বলিতে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল না দাসদেরও। নগররাষ্ট্রের মোট বাসিন্দার এক-দশমাংশই সুযোগ পেত গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার।
অন্যদিকে, আধুনিক গণতান্ত্রিক কাঠামোগুলোতে প্রায় সর্বক্ষেত্রেই সার্বজনীন ভোটাধিকারের ধারণাটি স্বীকৃতি পেয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক প্রভাব, আদর্শিক অবস্থানের উর্ধ্বে উঠে প্রাপ্তবয়স্ক সকল নাগরিক নিজেদের ভোট প্রদানের সুযোগ পান। ‘এক ব্যক্তির এক ভোট’-এর ভিত্তিতে হয় নির্বাচন, সংখ্যাগরিষ্ঠের ম্যান্ডেট নিয়ে একজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে আসেন জনপ্রতিনিধি হিসেবে।
দ্বিতীয়ত, প্রাচীন গ্রিসের নগররাষ্ট্রগুলোতে প্রতি দশ দিন অন্তর অন্তর বসত এসেম্বলি, নাগরিকেরা সেখানে সরাসরি নিজেদের মতামত দিত, নাগরিক অধিকারের চর্চা করত। কিছু কিছু নগররাষ্ট্রে ছিল সাংবিধানিক শাসন। ফলে, সেসব নগররাষ্ট্রের বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত শাসকের উপর নজরদারি করতে পারত, সাংবিধানিক রীতি বা নির্ধারিত প্রথা ভাঙার চেষ্টা করলে দ্রুতই শাসককে জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসতে পারত। আবার, কোনো শাসক বা আমলা এসেম্বলির গৃহীত আইনের ব্যত্যয় ঘটালেও ছিল দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সুযোগ।
অন্যদিকে, আধুনিক গণতন্ত্রে শাসনকাজে নাগরিকদের সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ নেই, সুযোগ নেই নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণেরও। প্রায় সবগুলো আধুনিক গণতান্ত্রিক কাঠামোতেই নাগরিকেরা একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর ভোট দিয়ে শাসক ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে। বিভিন্ন গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে এই সময়ের অন্তরটা বিভিন্ন রকম। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় প্রতি চার বছর অন্তর, সিনেটর নির্বাচন হয় প্রতি ছয় বছর অন্তর। ইরানে আবার এক্সপার্ট কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচন হয় আট বছর পর পর, ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় ছয় বছর অন্তর। দুই নির্বাচনের মাঝের সময়টিতে নাগরিকদের আসলে প্রত্যক্ষভাবে গণতান্ত্রিক কাঠামোতে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই, সুযোগ নেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির ভুলের বা আইনভঙ্গের তাৎক্ষণিক প্রতিকারের। বরং, নাগরিকদের আবার নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, অপেক্ষা করতে হয় ভালো কোনো প্রার্থীর উত্থানের।
তৃতীয়ত, নগররাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যেসব রাষ্ট্রে শক্তিশালী আমলাতন্ত্রের উপস্থিতি ছিল না, তথ্যের জন্য শাসককে নির্ভর করতে হতো জনপ্রতিনিধিদের উপর, সাধারণভাবে সেসব জায়গাতেই হয়েছে শাসনতান্ত্রিক বিবর্তন ও গণতান্ত্রিক শাসনের চর্চা। ইউরোপের যেসব পলিটিতে আমরা গণতান্ত্রিকি কাঠামো বিকাশের পাঠ আধুনিক যুগে এসে পাই, প্রায় সবগুলো পলিটিতেই শাসকের ছিলেন তুলনামূলকভাবে দুর্বল, আমলাতন্ত্রও ছিল দুর্বল। যেসব জায়গায় শক্তিশালী আমলাতন্ত্রের উপস্থিতি ছিল, সাধারণভাবে সেসব জায়গাতে গণতান্ত্রিক শাসনের উপস্থিতি দেখা যায়নি। অর্থাৎ, নগররাষ্ট্রের গণতন্ত্রে এসেম্বলির সাথে বিপরীতমুখী সম্পর্ক ছিল আমলাতন্ত্রের।
আধুনিক গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে এই সমীকরণের উপস্থিতি নেই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোগুলো আধুনিক যুগে তিনটি বিভাগে বিভক্ত। আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ আর বিচার বিভাগ। আইনসভা বহন করছে নগররাষ্ট্রগুলোর এসেম্বলির পরম্পরা, নির্বাহী বিভাগের বর্তমান রূপ এসেছে সামরিক আর বেসামরিক আমলাতন্ত্রের বিবর্তনের মাধ্যমেই। দু’টি বিভাগের সহাবস্থান রয়েছে আধুনিক গণতন্ত্রগুলোতে, যেটি নগররাষ্ট্রের যুগের গণতন্ত্রে দেখা যায়নি।
তবে, কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোতে এখনো তুলনামূলক শক্তিশালী আমলাতন্ত্রের উপস্থিতি দেখা যায়, দেখা যায় অসীম ক্ষমতার চর্চা করতে। সেই তুলনায়, সেসব দেশ গণতন্ত্রের চর্চায় এগিয়ে থাকে, সেখানে আমলাতন্ত্রের ক্ষমতার সীমারেখা থাকে, থাকে কর্তৃত্বের দায়বদ্ধতা।
আধুনিক গণতন্ত্রের উত্থানের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট
প্রাচীন গ্রিসের নগররাষ্ট্রগুলোতে কয়েক শতাব্দীর মধ্যেই থেকে যায় প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের চর্চা, শুরু হয় সাম্রাজ্যবাদের যুগ। সাম্রাজ্যবাদের যুগের প্রধান শাসনব্যবস্থা ছিলো রাজতান্ত্রিক। শাসকের উত্তরসূরী নির্বাচিত হতেন উত্তরাধিকারের মধ্যে থেকে। শাসনব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্রের আবার উত্থান ঘটে ইউরোপে, তুলনামূলক আধুনিক সময়ে এসে। ইউরোপে রেনেসাঁ শুরু হলে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে শাসনতান্ত্রিক বিবর্তনের তাড়না, একে একে সংকুচিত হতে থাকে রাজার ক্ষমতা, কোথাও কোথাও পুরোপুরি পতন ঘটে রাজতন্ত্রের। আধুনিক যুগে এসে শাসনব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্রের উত্থান হলেও, এর পেছনে কাজ করেছে অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, পরিবর্তনকে প্রভাবিত করেছে মানুষের অর্থনৈতিক বিবেচনা।
প্রথমত, ইউরোপের প্রধানতম সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ছিল যুক্তরাজ্য, উত্তর আমেরিকার দেশগুলোও ছিল তাদের উপনিবেশ শাসনের অধীনে। আধুনিক গণতন্ত্রের যাত্রা ব্রিটিশদের হাত ধরে শুরু হলেও, আধুনিক গণতন্ত্রের বিকাশ তাদের হাত ধরে ঘটেনি। ব্রিটেনে ১৮৩২ সালে ‘গ্রেট রিফর্ম অ্যাক্ট’ পাশ হলেও, মোট জনসংখ্যার অল্প একটি অংশ নতুন কাঠামোতে ভোটাধিকারের চর্চা করতে পারতেন, তখনো ব্রিটেনে প্রবর্তিত হয়নি ‘এক ব্যক্তির এক ভোট’ নীতি। বরং, ব্রিটেনের হাত ধরেই, সার্বজনীন ভোটাধিকারের ধারণা প্রথম প্রয়োগ হয় উত্তর আমেরিকায়, সপ্তদশ শতাব্দীতে। ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের আগ পর্যন্ত শ্বেতাঙ্গ পুরুষ নাগরিকেরা এই ভোটাধিকার উপভোগ করেছে।
বেশকিছু কারণেই ব্রিটেনের শাসকেরা নিজের দেশের নাগরিকদের সার্বজনীন ভোটাধিকার না দিয়ে, উত্তর আমেরিকার উপনিবেশগুলোতে দিতে বাধ্য হয়েছিল। উত্তর আমেরিকার জনসংখ্যা ছিল অল্প, অন্যদিকে ছিল বিপুল পরিমাণে জমি। ফলে, আমেরিকানরা চাইলেই শাসকের কর্তৃত্ববাদ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারত। অর্থাৎ, উত্তর আমেরিকার বাসিন্দাদের কাছে ‘এক্সিট পয়েন্ট’ ছিল সহজলভ্য।কর্তৃত্ববাদী কাঠামোর শাসন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বাস্তবসম্মত সুযোগও ছিল। একই রকমের বাস্তবতা ইউরোপের দেশগুলোর ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছিল, সহজলভ্য হয়ে উঠেছিলো ‘এক্সিট পয়েন্ট’।
দ্বিতীয়ত, দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মাঝামাঝি থেকেই শুরু হয় ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে উঠতে থাকে ইউরোপের উপনিবেশ। উত্তর আমেরিকাতে ব্রিটেন আর ফ্রান্সের উপনিবেশ শাসনের প্রতিযোগিতা ছিল, লাতিন আমেরিকাও ছিল ইউরোপের উপনিবেশ শাসনের অধীনে। সপ্তদশ আর অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে এশিয়ার বড় একটা অংশ চলে যায় ইউরোপীয় উপনিবেশ শাসনের অধীনে, দাস-বাণিজ্যের জন্য ইউরোপীয়দের আফ্রিকাতে আনাগোনো ষোড়শ শতাব্দীতেই শুরু হলেও, আফ্রিকা মহাদেশ ইউরোপীয় উপনিবেশ শাসনের অধীনে যায় উনবিংশ শতাব্দীতে।
উপনিবেশবাদের বিস্তারের ফলে ইউরোপীয়দের সামনে প্রচুর কাজের সুযোগ তৈরি হয়, তৈরি হয় সম্পদ বৃদ্ধির সুযোগ। একইভাবে, ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের ফলেও বাড়ে কাজের সুযোগ, তৈরি হয় শিল্পের শ্রমিক শ্রেণির। ভেতরে আর বাইরের এই রাজনৈতিক অর্থনীতির পরিবর্তন শ্রমিক সংকটের সৃষ্টি করে ইউরোপে, যার ফলে অভিজাত গোষ্ঠীর চাপে শ্রমিকদের আকর্ষণ করতে রাজনৈতিক অধিকার দেওয়া শুরু করেন শাসকেরা। আধুনিক গণতন্ত্রের বিকাশে এই কারণটিও রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
তৃতীয়ত, সভ্যতার শুরু থেকেই সমাজের ক্ষুদ্র একটি অংশই বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের কাজে জড়িয়েছে, মানবজাতির বড় একটা অংশ শারীরিক শ্রমের মাধ্যমে নির্বাহ করেছে নিজেদের জীবিকা। শিল্পবিপ্লবের ফলে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের বাজারজাতকরণ বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পদের সংখ্যাও। আবার, যন্ত্রের মাধ্যমে কাজের সুযোগ তৈরি হওয়ায় অল্পসংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কারখানা চালানোর সুযোগ তৈরি হয়, ফলে দক্ষতাসম্পন্ন শ্রমিকের মজুরি বাড়তে থাকে দ্রুতগতিতে। অর্থনৈতিক এই কাঠামোগুলোর পরিবর্তন ভূমিকা রাখে নতুন একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরিতে।
এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ছড়িয়ে যায় থমাস হবস, নিকোলো ম্যাকিয়াভেলিদের দর্শন, জনপ্রিয় হতে থাকে রিপাবলিকান কাঠামোর দাবি। পরবর্তী সময়ে, মধ্যবিত্ত শ্রেণির রাজনৈতিক পরিবর্তনের দাবির মুখেই পতন ঘটেছে বিভিন্ন সাম্রাজ্যের, বিকাশ ঘটেছে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার।