Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

আফগানিস্তানে কেন ‘আধুনিক রাষ্ট্র’ নির্মাণের পশ্চিমা প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো? | ২য় পর্ব

[প্রথম পর্ব পড়ুন]

নাইন ইলেভেনের ঘটনার পর আফগানিস্তানে সামরিক হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র, এক মাসের মধ্যেই তালেবানকে কাবুলের ক্ষমতাবলয় থেকে সরিয়ে শুরু হয় আধুনিক রাষ্ট্র নির্মাণের প্রক্রিয়া। দুই দশক পরে ঠিক উল্টো একটি চিত্র রেখে আফগানিস্তান থেকে বিদায় নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বিজয়ীর বেশে কাবুলে পুনরায় প্রবেশে ঘটেছে তালেবানদের। সকল বিনিয়োগ পেছনে ফেলে, তালেবানদের হাতেই ক্ষমতা ছেড়ে কাবুল থেকে বিদায় নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। একটি দুর্বল, ভঙ্গুর ও বিভাজিত রাষ্ট্র থেকে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, ব্যর্থ হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের প্রচেষ্টা।

আফগানিস্তানে রাষ্ট্রনির্মাণ

রাষ্ট্র হিসেবে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল, রাষ্ট্রীয় কাঠামো কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব রয়েছে, নাগরিকদের মধ্যে সংঘাতের সংস্কৃতি রয়েছে, সমাজে বিভাজন রয়েছে ধর্মীয় আর জাতিগত পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে। রাষ্ট্র হিসেবে এই বৈশিষ্ট্যগুলো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্য আকর্ষণীয়, কারণ রাষ্ট্রের অনুপস্থিতিই সন্ত্রাসবাদ বিকাশে বেশি ভূমিকা রাখে। নাইন ইলেভেনের ঘটনার পর, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো যাতে আর সন্ত্রাসী হামলার মুখোমুখি না হয়, সেজন্য আফগানিস্তানে শুরু হয় পশ্চিমা আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র নির্মাণের প্রক্রিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো যাতে আর সন্ত্রাসী হামলার মুখোমুখি না হয়, সেজন্য আফগানিস্তানে শুরু হয় রাষ্ট্র নির্মাণের প্রক্রিয়া; Image Source: The New Arab.

রাষ্ট্র নির্মাণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র অনুসরণ করে এক্সোজেনাস অ্যাপ্রোচ, যেটি অনেকটা টপ-ডাউন অ্যাপ্রোচের মতো। দুই দশক পরে ব্যর্থতাকে সঙ্গী করেই বিদায় নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্যর্থ হয়েছে তাদের দৃষ্টিতে আধুনিক রাষ্ট্র নির্মাণের প্রচেষ্টা। কেন বিপুল বিনিয়োগের পরেও ব্যর্থ হলো ‘যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক রাষ্ট্র’ নির্মাণের এত প্রচেষ্টা?

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে ব্যর্থতা

আফগানিস্তানে শুরু থেকেই কার্যকর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অভাব ছিল, অভাব ছিল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দক্ষতার। আমলাতন্ত্র দুর্নীতিতে যতটা পারদর্শীতা দেখিয়েছে, ততটাই ব্যর্থতা দেখিয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মাণ আর বিকাশে ভূমিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে। আফগানিস্তানের অর্থনীতির বেশিরভাগই ছিল অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের, ছিল না কার্যকর অর্থনৈতিক কাঠামো। ফলে, উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা তৈরির ভার যায় আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর উপর। রক্ষণশীল আফগান সমাজে এই পরিকল্পনা কাজ করেনি, বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্যারোকিয়াল রাজনৈতিক সংস্কৃতিও। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার সাথে খাপ খায়নি, অনুভব করেনি সামঞ্জস্যতা। আন্তর্জাতিক এনজিওতে কাজ করা ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য ন্যাটোকে আবার সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখতে হয়েছে।

Image Source: Bloomberg.

২০০১ সালের বন চুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয় অন্তর্বতীকালীন প্রশাসন, উত্তরের যুদ্ধবাজ নেতাদের মন্ত্রীসভায় স্থান দেওয়ার পাশাপাশি ফিরিয়ে আনা হয় ১৯৬৪ সালের সংবিধান। তালেবানদেরকে বন চুক্তির বাইরে রাখা হয়, পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো উদার গণতান্ত্রিক আফগানিস্তান নির্মাণের স্বপ্ন দেখছিল অর্থনৈতিক উদারনীতি আর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশের মাধ্যমে।

রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণে ব্যর্থতা

২০০৪ সালের জানুয়ারিতে আফগানিস্তানে নতুন সংবিধান পাস হয়, ৫০২ জন আফগান ডেলিগেটের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি হয় সংবিধান। সাংবিধানিকভাবে, আফগানিস্তানে একটি শক্তিশালী প্রেসিডেন্সিয়াল কাঠামো তৈরি করা হয়, তৈরি করা হয় বহু গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। জাতীয় আর স্থানীয় পর্যায়ের ক্ষমতার ভারসাম্য আনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছিল আফগানিস্তানে একটি একক জাতিরাষ্ট্রের কাঠামো তৈরি করতে, জাতিগত বিভাজনকে গৌণ করে তুলতে।

সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, আফগানিস্তানে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৪ সালের অক্টোবরে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওঠে বড় ধরনের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ। দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন হয় এর ঠিক পাঁচ বছর পর, ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে। ভোট কারচুপির অভিযোগে প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে এই নির্বাচন বাতিল করতে হয়, পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের তারিখ পড়ে ২০০৯ সালের নভেম্বরে। নির্বাচনে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলে হামিদ কারজাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানেও একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘নির্বাচন’ প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি, ঘটেনি প্রকৃত গণতন্ত্রায়ন।

নাগরিকদের আগ্রহ সত্ত্বেও ব্যাপক কারচুপি হয়েছে আফগানিস্তানে নির্বাচনগুলোতে; Image Source: e-ir.info

অন্যান্য রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বিকাশের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়মিত নির্বাচন হয়নি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিকাশে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রকৃত রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠেনি, যেগুলো জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পারে। আফগানিস্তানের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে নৃগোষ্ঠীগুলোর নেতারাই, রাজনীতির মূল নিয়ামক থেকেছে জাতিগত পরিচয়ই। কার্যকর সিভিল সোসাইটি গড়ে ওঠেনি। সিভিল সোসাইটি হিসেবে সমাজের যে অংশের কাজ করার কথা ছিল, তারা রক্ষণশীল আফগান কাঠামোর সাথে নিজেদের সংযুক্ত অনুভব করেনি। রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়নে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো উদ্যোগই টেকসই হয়নি।

সংঘাতের সংস্কৃতি

হবসের প্রকৃতির রাজ্যে শক্তিশালী মানুষ হরহামেশাই দুর্বল মানুষের অধিকার হরণ করত। ফলে, মানুষের সম্মতির ভিত্তিতে রাষ্ট্রকে এমন একটি শক্তিশালী কাঠামো হিসেবে গড়ে তোলা হয়, যেখানে শক্তিশালী মানুষ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভয়ে দুর্বল মানুষের অধিকার হরণ করতে না পারে। ক্ষমতার সাথে একদিকে যেমন সংলাপের ক্ষমতা জড়িত, একইভাবে জড়িত সংঘাত উৎপাদনের ক্ষমতাও। একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্রকাঠামোর জন্য বৈধ সংঘাত উৎপাদনের ক্ষমতায় রাষ্ট্রের মনোপলি প্রয়োজন, প্রয়োজন কার্যকর শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্যও। আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বাইরেও সংঘাত উৎপাদনের ক্ষমতা ছিল তালেবানদের, ছিল বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী আর ধর্মীয় গোষ্ঠীরও। রাষ্ট্রের বাইরে তারা বিভিন্নভাবে তাদের সংঘাত তৈরির ক্ষমতার বৈধতা তৈরি করত। ফলে, আফগানিস্তানে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গির রাষ্ট্র নির্মাণের প্রক্রিয়া সুষম হয়নি।

আফগান সামরিক বাহিনীর পেছনে বিপুল ব্যয় রাষ্ট্র নির্মাণে কোনো ভূমিকা রাখেনি; Image Source: Military Times.

আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীর দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন ছিল, প্রশ্ন ছিল তাদের আদর্শিক অবস্থান নিয়েও। আফগান সামরিক বাহিনীর পেছনে যুক্তরাষ্ট্র বিপুল বিনিয়োগ করেছিল, দেওয়া হয়েছিল অত্যাধুনিক সব অস্ত্র। ভারতীয় মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে আফগান অফিসার ক্যাডেটদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়, প্রতিবছরই কয়েক ডজন আফগান জেন্টলম্যান ক্যাডেট ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন। তালেবানরা যখন ক্ষমতা নেয়, তখনও ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে ৮৩ জন জেন্টলম্যান ক্যাডেট ছিল। ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসাররা তালেবানদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো পার্থক্যই গড়ে তুলতে পারেননি, আফগান সামরিক বাহিনীর প্রতিরোধ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তালেবানদের আক্রমণের সামনে।

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে ব্যর্থতা

রাষ্ট্র নির্মাণের অর্থ কেবলমাত্র নতুন সংবিধান তৈরি করা না, নতুন নতুন মন্ত্রণালয় তৈরি করা না, অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের জন্য নতুন নতুন কমিশন তৈরি করা না। যুক্তরাষ্ট্রের দুই দশকের রাষ্ট্র নির্মাণের প্রচেষ্টায় প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়েছে আফগানিস্তানের মানুষের, বেড়েছে শিক্ষার হার, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অর্থনীতির আকার। কিন্তু, আফগানিস্তানে রাষ্ট্র নির্মাণের ক্ষেত্রে আফগান সমাজের প্রথাগত ক্ষমতা কাঠামোকে আমলে নিতে ভুলে যায় পশ্চিমা দেশগুলো, রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য গভীরভাবে নির্ভরশীল হয়ে যায় রাজনৈতিক অভিজাতদের উপর। আমলাতন্ত্রের সীমাহীন দুর্নীতি, ক্ষমতাসীনদের সম্পদ কেন্দ্রীভূত করার প্রবণতার বিপরীতে তালেবানদের রক্ষণশীল ক্ষমতাকাঠামো আফগানদের কাছে তুলনামূলকভাবে ভালো বিকল্প হিসেবে উঠে আসে।

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে ব্যর্থতা কেবল বাড়িয়েছে আফগান শরণার্থীর ঢল; Image Source: Sapiens

সাংবিধানিক কাঠামো অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে ওঠে, উদ্যোগ নেওয়া হয় ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের। কিন্তু, স্থানীয় সরকারের কাঠামোগুলোর কাছে প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দ যায়নি, কেন্দ্রীভূত আমলাতন্ত্র আর রাজনৈতিক অভিজাতরা সেটি নিজেদের অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে।

রেন্টিয়ার ইফেক্ট

একটি রাষ্ট্র গড়ে ওঠে নাগরিকদের সাথে রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে, যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে নাগরিকদের সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে। নাগরিকরা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কর পরিশোধ করেন, রাষ্ট্রের আইনের প্রতি অনুগত থাকেন। বিনিময়ে, রাষ্ট্র নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদান করে, নাগরিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করে।

কিন্তু, অনুৎপাদনশীল খাতে যেসব রাষ্ট্রের ব্যয়ের বেশিরভাগ অর্থ উঠে আসে, সেসব দেশে এই সম্পর্ক শিথিল হয়ে যায়। তেল রাজস্বের উপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে এই প্রক্রিয়া দেখা যায়, কারণ রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের বেশিরভাগই উঠে আসে তেল রাজস্ব থেকে, নাগরিকদের করের উপর রাষ্ট্র নির্ভরশীল থাকে না। এটিই রেন্টিয়ার ইফেক্ট নামে পরিচিত।

শাসকগোষ্ঠী নাগরিকদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেনি; Image Source: SIPRI

আফগানিস্তানের রাষ্ট্র নির্মাণের ক্ষেত্রেও রেন্টিয়ার ইফেক্টের উপস্থিতি দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত প্রশাসন রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যয়ের জন্য নির্ভরশীল ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থের উপর, যার বড় অংশই এসেছে ‘সহায়তা’ হিসেবে। ফলে, রাষ্ট্র আর নাগরিকদের মধ্যে যে সম্পর্কটি গড়ে ওঠার কথা ছিল, সেটি গড়ে ওঠেনি। আফগানিস্তানে পশ্চিমা মতাদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র নির্মাণে ব্যর্থতার অন্যতম কারণ এটাও।

যুক্তরাষ্ট্র কী করতে পারত?

বিশ বছরের রাষ্ট্র নির্মাণের যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তানে উপস্থিতির মধ্যেই কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবানরা।

প্রথমত, টপ-ডাউন অ্যাপ্রোচ অনুসরণ না করে যুক্তরাষ্ট্র আফগান স্থানীয় রাজনৈতিক কাঠামোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পারত, প্রথাগত আফগান সমাজের প্রভাবশালী কাঠামোকে আধুনিক রাষ্ট্রকাঠামোতে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করতে পারত। দ্বিতীয়ত, দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক অভিজাত আর আমলাতন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হওয়ার চেয়ে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র তার পশ্চিমা মিত্রদের নিয়ে স্থানীয় গ্রুপগুলোর সাথে কাজ করতে পারত। তৃতীয়ত, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিকাশে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারত, সিভিল সোসাইটির কাজের পরিসর বিস্তৃত করতে পারত, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশ ঘটাতে পারত।

This article was written in Bangla about the failure of modern state-building efforts by western powers in Afghanistan. 

All the necessary links are hyperlinked inside. 

Feature Image: Vox/ Getty Images. 

Related Articles