পরিবেশ ও প্রকৃতি সবসময়ই পৃথিবীর মানুষের কাছে রহস্যময়তার সৃষ্টি করে। কখনো কখনো এমন অনেক ঘটনার প্রদর্শন করে যা হঠাৎ আমাদের চিন্তাভাবনাকে নতুন মাত্রা দেয় কিংবা এমন ঘটনার জন্ম দেয় যার ব্যাখ্যা করা হয়ে পড়ে দুষ্কর। কারণ এসব ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়া যায় না বা গেলেও অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের পরই সেটা সম্ভব হয়। আর যদি সেটা করা না যায় তবে তা ব্যাখ্যাতীত ঘটনার খেতাব পায় এবং রহস্যে আবৃতই থেকে যায় পৃথিবীর মানুষের কাছে। এরকমই একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ভারতের কেরালা।
বর্ষা ঋতুতে বৃষ্টি হবে এটাই তো স্বাভাবিক। গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন প্রকৃতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, জনজীবন হয়ে পড়ে দুর্বিষহ ঠিক তখন বৃষ্টির স্পর্শে পরিবেশ ও প্রকৃতি যেন প্রাণ ফিরে পায়। হয়ে ওঠে সতেজ সবুজ এবং আরো আকর্ষণীয়।
সচরাচর বৃষ্টির পানিই প্রকৃতিতে পাওয়া বিশুদ্ধ পানির একমাত্র উৎস। এই পানি বর্ণহীন। কিন্তু কেমন হয় যদি রক্তের মতো লাল বর্ণের বৃষ্টির ধারা নেমে আসে আকাশ থেকে? এটি একদিকে যেমন ভয়ংকর, অন্যদিকে ঠিক ততটাই রহস্যজনক বটে। ভারতের কেরালায় ঠিক এরকমই লোহিত বৃষ্টি বা রক্ত বৃষ্টির ঘটনার কথা শোনা যায়।
২০০১ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ ভারতের কেরালা প্রদেশে লাল বর্ণের বৃষ্টিপাত ঘটে থাকে। ভারী বর্ষণের এই সময়ে যে পানি পতিত হয়েছিলো তা বাইরে শুকাতে দেয়া কাপড়কে রক্তবর্ণে রঙিন করে ফেলে। এই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছিলো মূলত জুলাই মাসের ২৫ তারিখ থেকে। তবে এর আগেও ১৮৯৬ সালে এরকম বৃষ্টি হয়েছিলো বলে জানা যায়। সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী ২০১২ সালেও এরকম ঘটনা ঘটেছে।
ইতিপূর্বে বৃষ্টির পানি সবুজ বা হলুদ বর্ণের হতে শোনা গিয়েছে। কিন্তু সেটা সাধারণত পরিবেশে এসিড কিংবা বিভিন্ন কণিকার উপস্থিতির কারণে হয়েছে বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু রহস্যময় এই রক্তবৃষ্টিকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি তখন। কতিপয় বিজ্ঞানী এই কথাও বলেছেন যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যে আমরা একা নই এই রক্তবৃষ্টি তাই প্রমাণ করে। চলুন আস্তে আস্তে গভীরে প্রবেশ করা যাক।
কেরালার রক্তবৃষ্টি ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে যে গবেষণা করা হয় তাতে বলা হয় যে খুব সম্ভবত কোনো উল্কাপিণ্ডের বিস্ফোরণের কারণে এবং সেসময় বৃষ্টিপাতের কারণে বৃষ্টির পানির বর্ণ লাল হয়েছিলো। পরে ভারতের আরেকদল গবেষক বলেন যে স্থানীয় কোনো স্থলজ শৈবালগোত্রের বায়ুতে ভাসমান স্পোরের উপস্থিতির কারণে বৃষ্টির পানি লাল বর্ণ ধারণ করেছিলো।
বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল হিসেবে এবং বিভিন্ন গবেষকের মতের উপর ভিত্তি করে এরকম আরো অনেক ব্যাখ্যা পাওয়া গিয়েছিলো তখন। কিন্তু ২০১৬ সালের আগে এই রক্তবৃষ্টি বা এর ব্যাখ্যা মানুষের এত দৃষ্টি আকর্ষণ করেনি। ২০০৬ সালে মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের গডফ্রে লুইস ও সন্তোষ কুমার এই বিষয়ে একটি বিতর্কিত ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তারা প্রস্তাব করেন, রক্তবৃষ্টিতে যে পার্টিকল আছে সেগুলো বহিঃজাগতিক।
সাধারণত রক্তবৃষ্টি একটি বিশেষ ধরনের বৈশিষ্ট্য বহন করে। যেমন খুব সংকীর্ণ অঞ্চলে; সেটা হতে পারে দুই থেকে তিন বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে, পতিত হতে পারে। কেউ কেউ আবার বলেন, এই স্থানের পরিমাণ আরো কম, যেখানে একই সাথে বিশুদ্ধ বৃষ্টির পানির পাশাপাশি রক্তবর্ণের বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয়। কাজেই এরকম ক্ষেত্রে রক্তবৃষ্টির ব্যাখ্যা প্রদান করা আসলেই দুরূহ হয়ে পড়ে। মজার ব্যাপার হলো, এই বৃষ্টি খুব বেশি হলে ২০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
কেরালার এই রক্তবৃষ্টির ঘটনার পর সেটি গবেষকগণের নজর কাঁড়ে খুব সহজে। প্রশ্ন স্বভাবতই আসে যে, বৃষ্টির পানিতে কী এমন আছে যে কারণে এর বর্ণ লাল হলো। এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ এই বৃষ্টির পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করলেন। গবেষণায় দেখা যায় যে, এই রক্তবৃষ্টির প্রতি মিলিমিটার পানিতে প্রায় নয় মিলিয়ন লাল বর্ণের কণিকা উপস্থিত আছে। গণনা করে আরো দেখা যায়, প্রতি লিটার পানিতে প্রায় ১০০ মিলিগ্রাম কঠিন পদার্থ বিদ্যমান। এই গণনা থেকে বিজ্ঞানীগণ জানান, কেরালায় যে পরিমাণ রক্তবৃষ্টিপাত হয়েছে, তাতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০,০০০ কিলোগ্রাম পরিমাণ লাল কণিকা ভূমিতে পতিত হয়েছিলো।
বৃষ্টির পানি থেকে আলাদা করা এসব কঠিন পদার্থের নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায় যে এদের বর্ণ বাদামী-লাল বর্ণের। এসব কণিকার প্রায় ৯০ শতাংশ পরিমাণই গোলাকার (অনেকটা প্রাণীর রক্তের লোহিত কণিকার মত) এবং বাকি অংশ কোনো বস্তুর ধ্বংসাবশেষ বলে মনে হয়। এছাড়াও সবুজ বা হলুদ বর্ণের অল্প কিছু পরিমাণ কণিকার উপস্থিতিও পাওয়া যায় এই পানিতে। মূলত লাল কণিকার উপস্থিতির কারণেই বৃষ্টির বর্ণ এরূপ হয়েছে বলে জানান গবেষকগণ।
এখন আরেকটা প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক- কোথা থেকে এলো এসব গোলাকার লাল বর্ণের কণিকা? কীভাবে এলো? বা শুধু কেরালার এই নির্দিষ্ট অঞ্চলেই কেন?
এই ঘটনায় যাওয়ার আগে আরো একটা রহস্যময় ঘটনার কথা বলে নেয়া উচিৎ, যা কেরালার ঐ একই এলাকায় ঘটেছিলো। রক্তবৃষ্টি পতিত হওয়ার কয়েকদিন পূর্বে কোত্তায়াম এবং ইড়ুক্কি অঞ্চলের মানুষেরা হঠাৎ প্রচণ্ড জোরালো শব্দ শুনতে পায় এবং সেই সাথে প্রচণ্ড আলোর ঝলকানিও দেখা যায়। এরকম শব্দ কেবল সুপারসনিক বিমানের দ্বারাই তৈরী করা সম্ভব হতে পারে। কিন্তু ভারতের বিমান বাহিনী থেকে জানানো হয়, ওই কয়েকদিন কোনো প্রকার বিমান মহড়া করা হয়নি। কাজেই এটি একটি রহস্যময়তার সৃষ্টি করেছিলো তখন।
এরপর যখন কয়েকদিন পর রক্তবৃষ্টির ঘটনা ঘটলো তখন এই রহস্য আরো ঘনীভূত হতে লাগলো। প্রথমদিকে সিইএসএস (সেন্টার ফর আর্থ সায়েন্স স্টাডিজ) তাদের গবেষণায় জানায় যে, কিছুদিন পূর্বে হঠাৎ করে ঘটা সনিক বুম অর্থাৎ সেই প্রচণ্ড শব্দ আসলে ছিলো কাছাকাছি কোনো এক উল্কাপিণ্ডের বিস্ফোরণের শব্দ। বিস্ফোরণের ফলে সেখান থেকে লাল কণিকাগুলো বৃষ্টির পানির সাথে মিশে পতিত হয় এবং রক্তবৃষ্টি তকমাটি লাভ করে। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক, সিইএসএস এর গবেষকগণ তাদের এই গবেষণায় নিজেরাই সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না।
প্রথমত এই অঞ্চলে যদি কোনো উল্কাপিণ্ডের বিস্ফোরণ হয়ে থাকে তবে সেগুলো বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে অবস্থান করে এবং বায়ুর প্রভাবে এদের উড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কাজেই এই সনিক বুমের প্রায় দুই মাস পরে পতিত হওয়া রক্তবৃষ্টির মধ্যে বিস্ফোরিত উল্কাপিণ্ডের ধ্বংসাবশেষ থাকাটাও বেশ অসম্ভব। তাছাড়া যদি উল্কাপিণ্ডের ধ্বংসাবশেষ বৃষ্টির পানির সাথে পতিত হয়ে থাকে তাহলে কেরালার আরো বিভিন্ন অঞ্চলে, এমনকি এর বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় রক্তবৃষ্টি হওয়ার কথা শোনা যেত। কিন্তু সেটা হয়নি।
দ্বিতীয়ত, বৃষ্টির পানিতে প্রাপ্ত কণিকাগুলোকে যখন আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করা হয়, তখন দেখা যায় এরা আসলে কোনো উল্কার ধ্বংসাবশেষ নয়, বরং কোনো জীবের স্পোর। প্রাপ্ত এই নতুন তথ্য আসলে সিইএসএস কখনো প্রত্যাশা করেনি। তারা এই পানির নমুনা পৌঁছে দেয় ট্রপিক্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেন এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট (টিবিজিআরআই) এ। এখানে নমুনাকে পুনরায় পরীক্ষানিরীক্ষা করে তারা জানান, এসব লাল বর্ণের কণিকা মূলত ট্রেন্টেফোলিয়া গণের একপ্রকার শৈবালের স্পোর, যারা পানিতে মিশে লাল বর্ণের সৃষ্টি করে। পরে ওই অঞ্চলে প্রায় একই রকম শৈবালের উপস্থিতি খুঁজে পায় এই গবেষকদল এবং তারা একটি উপসংহারে পোঁছায়।
অতএব উল্কাপিণ্ডের বিস্ফোরণ সম্পর্কিত তত্ত্বকে আর প্রতিষ্ঠা করা হলো না। কিন্তু শৈবালের স্পোর তত্ত্বও গবেষকদের সন্তুষ্ট করতে পারলো না। এদিকে আরো বেশ কিছু গবেষণায় অন্যান্য বিকল্প তত্ত্বের অবতারণা করা হয়।
প্রথম বিকল্প তত্ত্বে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতকে দায়ী করা হয়। ইন্ডিয়ান মিটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট এসিস্ট্যান্ট কে. কে. শশীধরন পিল্লাই এ সম্পর্কে একটি ব্যাখ্যা প্রদান করেন। যখন কেরালায় রক্তবৃষ্টির সময় ছিলো ঠিক সেসময়েই ফিলিপাইনের মায়োন আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত চলছিলো। তার মতে, এই আগ্নেয়গিরি থেকে এসিডিক পদার্থসমূহ নিরক্ষীয় বায়ুর প্রভাবে কেরালা অঞ্চলে পৌঁছায়। কেরালা এবং ফিলিপাইনের ওই অঞ্চল প্রায় সমঅক্ষীয় হওয়ায় এই তত্ত্ব সমাদর পেলেও পরে গবেষকগণের গবেষণায় জানা যায়, প্রাপ্ত কণিকাগুলো মোটেও এসিডিক ছিলো না। ফলে এই তত্ত্বও বাদ দিতে হলো।
দ্বিতীয় প্রকল্পে আরব মরুভূমির ধুলিকণাকে দায়ী করা হয়। বলা হয়ে থাকে, মরুভূমির ধূলিকণায় তৈরী মেঘ কেরালার আকাশে সেই সময়ে অবস্থান করতে পারে যখন রক্তবৃষ্টি হয়েছিলো। কিন্তু পরে যেহেতু জানা গিয়েছে সেখানে কোনো ধূলিকণা নেই এবং পার্টিকলগুলো শৈবালের স্পোর ধরনের। তখন এই তত্ত্বও টিকলো না আর।
তৃতীয় প্রকল্পটি আসলেই অন্যরকম ছিলো। কারণ এই প্রকল্পে বহির্জাগতিক প্রাণীর অস্তিত্বের সম্ভাবনার উপর আলোকপাত করা হয়। অন্যসব হাইপোথিসিস থেকে এই হাইপোথিসিস বেশ জোরালো সমর্থন অর্জন করেছিলো তখন। মূলত এই তত্ত্বের প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই পদার্থবিদ সন্তোষ কুমার এবং গডফ্রে লুইস। তাদের মতে, উল্কাপিণ্ডের বিস্ফোরণের ফলে এসব বহির্জাগতিক প্রাণ কণিকা উন্মুক্ত হয় এবং সেগুলো বৃষ্টির পানির সাথে মিশে পৃথিবীতে নেমে আসে।
সন্তোষ কুমার এবং গডফ্রে লুইস এসব লাল কণিকা নিয়ে আণুবীক্ষণিক গবেষণা করেন এবং বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখতে পান। তারা বলেন, এই কণিকাগুলো আসলে জৈবদেহ বা জীবন্ত বস্তু। এরা বেশ উচ্চ তাপমাত্রায়, যেমন ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেশ ভালোভাবে জন্মাতে পারে এবং এরা বিভিন্ন জৈব ও অজৈব পদার্থকে বিপাক করতে সক্ষম। যদিও এসব তথ্য প্রমাণ করে না যে এসব অণুজীব আসলেই বহির্জগত থেকে পৃথিবীতে এসেছে।
তবে সেক্ষেত্রে গডফ্রে লুইস একটি চমৎকার তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, এসব অণুজীবকে বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে এদের কোনো ডিএনএ নেই। কিন্তু পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর শরীরেই ডিএনএ থাকবে এটাই সত্য। অর্থাৎ এরা যে পৃথিবীতেও জন্ম নেয় নি সে কথাই বলতে চেয়েছেন তিনি। তবে এই তত্ত্বও নানা প্রকার বিতর্কের প্রভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
তো সব মিলিয়ে প্রতিটি তত্ত্বেই কিছু না কিছু প্রশ্ন থেকে গিয়েছে। যেমন উল্কাপিণ্ডের বিস্ফোরণ হওয়ার পর সেগুলো উড়ে চলে গিয়েছিলো না সেখানেই অবস্থান করছিলো, করলেও কিভাবে? আবার যদি শৈবালের স্পোরের কথা বলা হয় তবে এত প্রশ্ন থেকে যায় যে এসব স্পোর কিভাবে বৃষ্টির পানির সাথে মিশে গেলো এবং তা আবার পতিত হলো মাটিতে। আবার দেখা যায় যে এসব কণিকার পরিমাণ এতই বেশি ছিলো যে ওই অঞ্চলের শৈবালের দ্বারা এত পরিমাণ স্পোর তৈরী করাই সম্ভব না। বহির্জাগতিক প্রাণীর অস্তিত্বের কথা তো আছেই।
এসব নানাবিধ প্রশ্নের মুখে পড়ে কোনো তত্ত্বই আসলে সঠিক হিসেবে জায়গা করে নিতে পারেনি। ফলে কেরালার এই রহস্যময় রক্তবৃষ্টি আদতে রহস্যই থেকে গিয়েছে গবেষকগণের কাছে।
ফিচার ইমেজ: factslegend.org