ধরুন আপনার বিশাল যব ক্ষেত আছে। আপনি সেখানে যব চাষ করেছেন। হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনার সেই যব ক্ষেতের মাঝে কে যেন রাতারাতি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে বিশাল এক নকশা এঁকে রেখে গেছে! আপনি তৎক্ষণাৎ কি ভাববেন? ফসলের ক্ষতি নিয়ে মাথা ঘামাবেন, নাকি কাজটা কে করেছে তাই ভাববেন? আর যদি তখন আপনি দেখেন কাজটা চমৎকার জ্যামিতিক আকৃতিতে করা যা অন্তত এক রাতে করে ফেলার মতো কাজ আপনার কাছে মনেই হচ্ছে না, তখন আপনার ভাবনায় একটা নাম উকি দিতে বাধ্য, আর তা হচ্ছে এলিয়েন!
ক্রপ সার্কেল আসলে কী? কারা বানায় ক্রপ সার্কেল? বানানোর উদ্দেশ্যই বা কি? আসলেই কি এলিয়েনরা ক্রপ সার্কেলের মাধ্যমে আমাদের কোনো সিগন্যাল দিতে চাইছে? এসব প্রশ্নের উত্তর যদিও অনেকেই দিতে চাইবেন ক্রপ সার্কেলকে মানবসৃষ্ট ধাঁধা হিসেবে আখ্যায়িত করার মাধ্যমে, কিন্তু তবুও প্রশ্ন থেকেই যায়। কেননা ক্রপ সার্কেলের সাথে সম্পর্কিত আছে এমন কিছু বিস্ময়কর ব্যাপার যা সত্যিই মানুষকে ভাবায়। আর এই ভাবনাই ক্রপ সার্কেল সম্বন্ধে গবেষণাকারী বিজ্ঞানীদেরকে কয়েক দশক ধরে বিভক্ত করে রেখেছে।
কেউ বলছেন এগুলো মানুষের সৃষ্টি, তো কেউ বলছেন এগুলো আসলে এলিয়েনদের সৃষ্টি। স্বীকারোক্তিও রয়েছে অনেকের। যারা তৈরী করে তাদের বলা হয় ক্রপ সার্কেল হোক্সার। ইংরেজি শব্দ হোক্সার অর্থ যে ব্যক্তি ধাঁধাঁ তৈরী করে বা ধাপ্পাবাজি করে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে ক্রপ সার্কেল রহস্য আসলেই পুরোপুরি সমাধান হয়নি আজও। এখনও রয়েছে কিছু জিনিস অজানা।
ক্রপ সার্কেল হচ্ছে বিস্তৃত শস্যক্ষেতে শস্য নুইয়ে সমতল করে তার মধ্যে অদ্ভুত প্রকৃতির নকশা ফুটিয়ে তোলা। ১৬৭৮ সালে সর্বপ্রথম একটি ব্রিটিশ পত্রিকায় ‘মোয়িং ডেভিল’ নামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। অনেকে এটিকেই পৃথিবীর প্রথম ক্রপ সার্কেল বলে অভিহিত করেন। কিন্তু কেউ কেউ সেটিকে ক্রপ সার্কেল বলতে নারাজ। কেননা সেখানে দেখা গিয়েছিল শস্য সমতল করে নয়, বরং কেটে একটি আকৃতি তৈরী হয়েছিল।
আধুনিক সময়ে ১৯৩২ সালে ইংল্যান্ডে প্রথম ক্রপ সার্কেল দেখা যায়। তবে ক্রপ সার্কেলের খবর পুনঃপুনঃ আসতে শুরু করে ৮০’র দশক থেকে। কোনো এক এন্ড্রু কলিন নামক ব্যক্তি এই অদ্ভুত কর্মকান্ডের সাথে প্রথম ‘ক্রপ সার্কেল’ নামটির পরিচয় করান। ততদিনে ক্রপ সার্কেল একটি বিশ্বব্যাপী রহস্যে পরিণত হয়েছে। তবে ডুওগ বাওয়ার এবং ডেভ কোরলি, ইংল্যান্ডের দুজন কৌতুকাভিনেতা ১৯৯১ সালে স্বীকার করেন যে, সমগ্র ইংল্যান্ড জুড়ে তারাই ক্রপ সার্কেল বানিয়েছেন এবং তারা তা প্রমাণ করতে সকলের সামনে একটি ক্রপ সার্কেল বানিয়েও দেখান। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১৯৭৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তারা দুজন মিলে প্রায় ২০০ এর অধিক ক্রপ সার্কেল তৈরী করেন। এই দুই হোক্সার এর স্বীকারোক্তির পর অনেকেই ক্রপ সার্কেল রহস্যের ইতি টানতে চেয়েছেন এই বলে যে, ইংল্যান্ডের বাইরে যেসব সার্কেল হচ্ছে সেগুলোও মানুষের সৃষ্টি। কিন্তু রহস্য আবার ঘনীভূত হয় যখন একদল গবেষক একটি ক্রপ সার্কেল এর উপর পরীক্ষা চালিয়ে বলেছিল- “এটা মানুষের তৈরী হতে পারে না”।
সেই থেকে ক্রপ সার্কেল মানুষের নিকট একটি রহস্য হয়ে আছে। মানুষের দ্বারা কিংবা ঝড়ে কিংবা প্রাকৃতিকভাবে একাধিক ধাপে বিবর্তিত হয়ে ক্রপ সার্কেলের সৃষ্টি, এরকম আরও নানান তত্ত্ব দিচ্ছেন নানা জন। কিন্তু কোনোটিই আদতে ক্রপ সার্কেলের রহস্য ভেদ করতে পারেনি। তবে ভেদ না হবার পেছনে আছে কিছু মুখরোচক কারণও। চলুন তাহলে জেনে নিই ক্রপ সার্কেলের ব্যাপারে দশটি অবিশ্বাস্য তথ্য।
১০) রোজওয়েল পাথর এবং চিজেলডন ক্রপ সার্কেল
২০০৪ সালের কথা। রবার্ট রিজ হাঁটছেন মরুভূমিতে। হঠাৎ করে তার নজরে আসে একটি অদ্ভুত পাথর। কালো রঙের পাথরটির ওপর নিখুঁত রহস্যময় এক সঙ্কেত খোদাই করা ছিল। তাছাড়া পরীক্ষা করে দেখা যায় যে পাথরটি মোটামুটি পুরনো এবং মরুভূমিতে এর প্রাকৃতিকভাবে তৈরী হওয়া অন্তত সম্ভব না।
রিজ এর উপর গবেষণা চালিয়ে দেখতে পান প্রায় আট বছর আগে ইংল্যান্ডে চিজেলডন নামে একটি গ্রামে একটি ক্রপ সার্কেল পাওয়া যায় যেটির নকশা অবিকল রোজওয়েল পাথরটির মতোই। নিশ্চিত হবার জন্য রিজ আধুনিক কম্পিউটার সফটওয়্যার এর সাহায্যে পাথরের ওপরের নকশাটিকে চিজেলডন ক্রপ সার্কেল এর ছবির ওপর বসান। অবিশ্বাস্যভাবে দুটোর আকৃতি সম্পূর্ণ মিলে যায়!
৯) শস্য বাঁকানো নাকি ভাঙা!
একদিকে আপনি জানেন ক্রপ সার্কেল মানুষও তৈরী করতে পারে, অন্যদিকে আপনি এটাও জানেন যে সকল ক্রপ সার্কেল মানুষের তৈরী কিনা তা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তাহলে আপনি কি করে বুঝবেন কোনটি আসল আর কোনটি হোক্সারদের সৃষ্ট ধাঁধাঁ? ক্রপ সার্কেল গবেষকদের কাছে আপনি খুঁজে পাবেন এর উত্তর। যে সব ক্রপ সার্কেল এর শস্যগুলো ভাঙা কিংবা দুমড়ে মুচড়ে যায়, আপনি সহজেই ধরে নিবেন সেগুলো হচ্ছে হোক্সারদের সৃষ্ট ধাঁধাঁ বা পাজল। খাঁটি ক্রপ সার্কেল সেগুলোই যেগুলোর শস্যগুলো ভাঙা থাকে না। বরং এমনভাবে নোয়ানো থাকে যে তাদের কোনো ক্ষতিই হয় না। অনেকেই এই তত্ত্ব প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে ততটাও অগ্রহণযোগ্য নয় তত্ত্বটি।
৮) ক্রপ সার্কেলে পোকামাকড় মারা যায়!
গবেষকরা বেশ কিছু বড় ক্রপ সার্কেলে মৃত ছোট ছোট প্রাণী ও পোকামাকড় খুঁজে পেয়েছেন। ক্রপ সার্কেলে পোকামাকড় কেন মারা যায় এ ব্যাপারে চলছে গবেষণাও। আশ্চর্য ব্যাপার হলো ক্রপ সার্কেলের নোয়ানো ফসলের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে কিছু মাছি তখনও শস্যের ওপর বসে আছে। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে এমন মনে হবে যে মাছিগুলো যেভাবে শস্যের ওপর বসেছিল ঠিক সেভাবেই তারা জমে বরফ হয়ে গেছে।
সবচেয়ে বেশি যে ঘটনাটি রহস্যের সৃষ্টি করে তা হচ্ছে, ২০১৩ সালে একটি শস্যক্ষেতে ১০০ এর অধিক মৃত এল্ক (এক প্রজাতির হরিণ) পাওয়া যায় যেখানে একটি ক্রপ সার্কেলও পাওয়া গিয়েছিল। পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, এল্কগুলো কোনো রোগ বা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মরেনি। তাহলে কিভাবে মরেছিল এত ব্যাপক সংখ্যক এল্ক? তা আজও রহস্যই হয়ে আছে।
৭) জটিল গাণিতিক সমীকরণ
ক্রপ সার্কেলগুলো কেবলই কিছু নকশা বা ছবি নয়। গভীর পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা থেকে দেখা গেছে এদের মধ্যে লুকিয়ে আছে জটিল গাণিতিক সমীকরণ। এমনকি কেউ কেউ দাবি করেছেন ক্রপ সার্কেলে লুকায়িত কোডও রয়েছে!
২০১০ সালের মে মাসে ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ারে আবিষ্কৃত একটি ক্রপ সার্কেলের গবেষকরা ‘ইউলারস আইডেনটিটি’ নামক একটি গাণিতিক সমীকরণ খুঁজে পায় যাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সমীকরণ। এর দু’বছর আগেই উইল্টশায়ারের নিকটেই অবস্থিত ‘বারবারি ক্যাসেল’ নামক স্থানে আরও একটি ক্রপ সার্কেল আবিষ্কৃত হয়েছিল। একজন আমেরিকান এস্ট্রোফিজিসিস্ট দাবি করেছিলেন যে, ক্রপ সার্কেলটির মধ্যে গাণিতিক ধ্রুবক ‘পাই’ এর মানের প্রথম দশটি অঙ্ক চিত্রিত আছে।
৬) বিকিরণ ব্যত্যয়
যেকোনো ক্রপ সার্কেলের ব্যাপারে গবেষকরা সর্বপ্রথম যে জিনিসটি পরীক্ষা করেন তা হচ্ছে সেখানকার মটি থেকে কোনো ধরণের বিকিরণ হচ্ছে কিনা। পরমাণু বিজ্ঞানী মাইকেল কোরোস্ট এবং মারশাল ডাডলি ১৯৯১ সালে প্রথম ক্রপ সার্কেলের স্থানে রেডিয়েশন পরীক্ষা চালান। এর ফলাফল ছিল বিস্ময়কর। তারা দেখতে পান যে ক্রপ সার্কেলের মাটিতে বিকিরণ এর মাত্রা এর আশেপাশের মাটির স্বভাবিক মাত্রার তুলনায় তিনগুণ।
৫) ক্রপ সার্কেল তারকা মানবদের তৈরী!
স্থানীয় আমেরিকানদের কল্পিত তারকামানব সম্পর্কিত গল্পগুলোই সম্ভবত ক্রপ সার্কেলের সাথে সংশ্লিষ্ট সবচেয়ে মুখরোচক গল্প যা এর সাথে এলিয়েনদের সংযোগ সহজেই ঘটায়। স্থানীয় আমেরিকান অধিবাসীদের বিশ্বাস তারকামানব বা ‘স্টার পিপল’ যারা কিনা আকাশ থেকে নেমে এসে শস্যক্ষেতে এসব আকৃতি তৈরী করে রেখে যায়। ক্রপ সার্কেলকে তারা পবিত্র চিহ্ন জ্ঞান করে এবং বিশ্বাস করে এর দ্বারা তারার দেশের মানুষেরা পৃথিবীর মানুষের নিকট সঙ্কেত পাঠায়।
৪) স্টোনহেঞ্জ ক্রপ সার্কেল
১৯৯৬ সালের গ্রীষ্মকালে কথিত বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে। কিছু মোটর বাইকার এবং স্টোনহেঞ্জ দেখতে যাওয়া কিছু দর্শনার্থী দাবি করেন যে তাদের চোখের সামনে একটি ক্রপ সার্কেল আবির্ভূত হয়েছে! ‘জুলিয়া সেট’ ফরমেশনের ক্রপ সার্কেলটির ওপর গবেষণা করে জানা যায় যে ক্রপ সার্কেলটিগঠিত হতে মাত্র এক ঘন্টার মতো সময় লেগেছিল! ফলে যারা দাবি করেছেন তাদের চোখের সামনে গঠিত হয়েছিল ক্রপ সার্কেলটি তাদের কথা অবিশ্বাসও করা যায় না। কেননা পরীক্ষা করে দেখা যায় যে তারা যে সময়ের উল্লেখ করেছেন সে সময়েই সার্কেলটি তৈরী হয়েছিল। একটি স্থানীয় বিমানের পাইলটের কাছেও এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। পাইলটের দাবি অনু্যায়ী তিনি সেই মাঠের উপর দিয়ে সেদিন ৫.৩০ মিনিটেও যখন উড়ে যাচ্ছিলেন তখন কিছু দেখেননি। কিন্তু ৬.১৫ মিনিটে তিনি যখন ফিরছিলেন তখন তিনি মাঠে ক্রপ সার্কেলটি দেখতে পান। তবে ঘটনাটি নিয়ে অনেক মুখরোচক গল্পও পরবর্তীতে অনেককে বলতে শোনা যায়। যেমন একজন দাবি করেন তিনি স্থানটির ওপর ঘূর্ণায়মান সাদা ধোঁয়ার মতো মেঘ দেখতে পান!
৩) চিবলটনের ঘটনা
ক্রপ সার্কেলগুলোর মধ্যে অন্যতম রহস্যময় দুটি ক্রপ সার্কেলের দেখা মেলে ২০০১ সালে চিবলটন অবজারভেটরির পাশের মাঠে। বিস্ময়করভাবে একটি সার্কেলের মধ্যে মানুষের অবয়ব ফুটে ওঠে। তবে অন্যটি ছিল আরও আশ্চর্যজনক। এর মধ্যে ১৯৭৪ সালে কার্ল সেগানের নেতৃত্বে একদল জোতির্বিজ্ঞানী কর্তৃক পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বে প্রেরিত বাইনারি রেডিও সিগন্যাল ‘অ্যারেসিবো মেসেজ’ এর প্রতিরূপ বা রেপ্লিকা দেখতে পাওয়া যায়। বিস্ময় সকল সীমা ছাড়িয়ে যায় যখন পরীক্ষায় দেখা গেল যে রেপ্লিকাটি থেকে প্রাপ্ত তথ্য ১৯৭৪ সালের সেই অ্যারেসিবো মেসেজের মতো নয়। সংকেতগুলোর পাঠোদ্ধার করে জানা যায় যে, সেগুলো বরং অ্যারেসিবো মেসেজের প্রতিউত্তর! মূল অ্যারেসিবো মেসেজে ছিল মানুষের জিনগত তথ্য এবং সৌরজগত সম্বন্ধীয় কিছু তথ্য যা কোড আকারে ছিল।
জোতির্বিদরা এই আশায় কোড প্রেরণ করেছিলেন যে আমাদের পৃথিবী থেকে প্রায় ২৫ আলোকবর্ষ দূরে কোনো এক এম-১৩ নামক তারকাগুচ্ছে সেটি পৌছুবে এবং সেখানে কোনো এলিয়েন থাকলে তারা এর পাঠোদ্ধার করে প্রতিউত্তর পাঠাবে। চমকপ্রদ এই ক্রপ সার্কেলটিতে সেই উত্তরই পাওয়া যায়! সত্য না মিথ্যা তা প্রমাণসাপেক্ষ তবে ক্রপ সার্কেলটিতে পাওয়া কোড বিশ্লেষণ করে মোট ২৯টি প্রতিউত্তর পাওয়া গেছে যার মধ্যে মানুষ নয় বরং অন্য কোনো প্রাণীর জেনেটিক কোড এবং অচেনা এক সৌরজগতের তথ্য পাওয়া যায়!
২) ছায়াপথ
২০১২ সালে ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ারে দেখা যায় এযাবতকালের সবচেয়ে বড় ক্রপ সার্কেল যার আকৃতিগত বৈচিত্রতার কারণে নাম দেয়া হয়েছে ‘গ্যালাক্সি’ বা ছায়াপথ। প্রায় ৫০০ মিটার বিস্তৃত মাঠজুড়ে সার্কেলটির অবস্থান যার মধ্যে আছে ৫০০টি নির্ভুল বৃত্ত। কিছু কিছু বৃত্তের ব্যাস ২০ মিটারেরও অধিক ছিল। অনেক ক্রপ সার্কেল হোক্সারই বলেছেন এটি কোনো হোক্সারের কাজ হতে পারে না। ক্রপ সার্কেল বিশেষজ্ঞ ক্যারেন ডগলাস বলেছেন যে, এর আকার এবং জটিল গঠন একে ভিন্নতা প্রদান করে।
১) অদ্ভুত আলোর গোলক
ক্রপ সার্কেল কিভাবে গঠিত হয় তা নিয়ে আছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। তবে সবচেয়ে বেশি যে কথাটি শোনা যায় তা হচ্ছে অদ্ভুত আলোর গোলক তত্ত্ব। অনেকেই দাবি করেন তারা ক্রপ সার্কেলের গঠন প্রক্রিয়া দেখেছেন। কথিত বর্ণনা অনু্যায়ী ছোট ছোট আলোর গোলক মাটির ১/২ মিটার উপরে ভাসতে থাকে এবং খুব দ্রুত ঘুরতে থাকে। এরকম কিছু ভিডিও ও ইউটিউবে অনেকে শেয়ার করেছেন। তবে ঘটনার সত্যতা কতটুকু তা জানা যায় নি।