ধরুন, আপনাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আজ সারাদিন কী কী করেছেন। খানিকক্ষণ ভাববেন আপনি। তারপর ভোরবেলা চোখ মেলে মোবাইলের অ্যালার্ম অফ করা, আড়মোড়া ভেঙে ওয়াশরুমে যাওয়া… প্রতিটি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ঘটনাই গড়গড় করে বলে দিতে পারবেন। কারণ ঘটনাগুলো সদ্যই ঘটেছে আপনার জীবনে, তাই মস্তিষ্কে সেসব ঘটনার স্মৃতি এখনো তরতাজা।
কিন্তু আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করি, দুদিন আগে কী কী করেছেন, তাহলে নিশ্চয়ই অনেক ঘটনাই বাদ পড়ে যাবে। এক সপ্তাহ আগের ঘটনা জানতে চাইলে স্মৃতিশক্তি আরো বেশি প্রতারণা করবে। এভাবে যতই পেছনের দিকে যাওয়া হবে, আপনার মনে থাকা ঘটনার পরিমাণ ততই কমতে থাকবে।
এবং হঠাৎ করে যদি পাঁচ বছর আগের যেকোনো একটি দিনের কথা আপনাকে জিজ্ঞেস করে বসি, যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে যে সেই দিনটির কোনো ঘটনাই আপনার মনে পড়ছে না। কেবলমাত্র ওই দিনটিতে খুব বিশেষ কোনো ঘটনা যদি আপনার সাথে ঘটে থাকে, বা আপনি প্রত্যক্ষ করে থাকেন, তবেই দিনটির কথা আলাদা করে আপনার মনে থাকবে।
এর মানে দাঁড়াচ্ছে, ভুলে যাওয়া মানুষের খুবই স্বাভাবিক প্রবণতা। মানুষের মস্তিষ্ক এখনো অত বেশি শক্তিশালী হতে পারেনি যে জীবনের আপাদমস্তক সকল ঘটনার স্মৃতিই সে সংরক্ষণ করে রাখবে। তাছাড়া সকল ঘটনার স্মৃতি সংরক্ষণ করে রাখার দরকারই বা কী!
কিন্তু এবার যদি আপনাকে বলি, পৃথিবীতে এমন মানুষও আছে, যারা জীবনের কোনো ঘটনাই ভোলেন না? যদি বলি, আজকে সকাল থেকে আপনি কী কী করেছেন, তা যেমন গড়গড় করে বলে দিতে পেরেছেন, ঐসব ব্যক্তি জীবনের প্রতিটি দিনেরই এমন পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিতে পারেন? করবেন বিশ্বাস?
জানি, বিশ্বাস না করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই বিচিত্র পৃথিবীতে কত অবিশ্বাস্য ঘটনাই না ঘটে। তেমনই একটি অবিশ্বাস্য কিন্তু সত্য তথ্য হলো, বর্তমান বিশ্বে এমন অন্তত ৬০ জন ব্যক্তি রয়েছেন, যারা তাদের জীবনের যেকোনো দিন বা যেকোনো ঘটনার কথাই মনে করতে পারেন। এসব ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে একটি বিরল মেডিকেল কন্ডিশনের অস্তিত্ব, যার নাম ‘হাইলি সুপেরিয়র অটোবায়োগ্রাফিক্যাল মেমোরি’।
যে মেডিকেল কন্ডিশনটির কথা বলছি, সেটি কিন্তু খুব বেশিদিন আগে আবিষ্কৃত হয়নি। ২০০৬ সালে পার্কার, কাহিল ও ম্যাকগাফ প্রথম গবেষণার মাধ্যমে এজে নামক এক অংশগ্রহণকারীর মধ্যে এই কন্ডিশনটির হদিস পান। এজের বিশেষত্ব ছিল: তাকে কোনো একটি তারিখের কথা বলা হলে, তিনি বলে দিতে পারতেন সেটি সপ্তাহের কোন দিন ছিল, এবং সেদিন তিনি ঠিক কী কী করেছিলেন।
২০১২ সালে গবেষকরা আরো একটি নতুন তথ্য হাজির করেন যে, এই মেডিকেল কন্ডিশন রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের সাথে সাধারণ মানুষের মস্তিষ্কের গঠনে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই মেডিকেল কন্ডিশনটি কিন্তু ফটোগ্রাফিক মেমোরি জাতীয় কিছু নয়। অর্থাৎ যাদের এটি রয়েছে, তারা যেকোনো কিছু দেখলে বা পড়লেই তা স্মৃতিতে গেঁথে রাখতে পারবেন, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর সে কারণে এমনটিও বলা সম্ভব নয় যে তারা সকলেই শিক্ষার্থী হিসেবেও অনেক ভালো হবেন। শুধু নিজের সাথে ঘটেছে বা নিজে কোনো ঘটনার অংশ ছিলেন, এমন ঘটনাসমূহ মনে রাখার ক্ষেত্রেই মেডিকেল কন্ডিশনটি প্রযোজ্য।
এই মেডিকেল কন্ডিশনটি রয়েছে এমন একজন ব্যক্তি হলেন মার্কি পাস্তারনাক। তিনি এমনকি এ-ও মনে করতে পারেন যে, ঠিক কবে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন তার মস্তিষ্ক অন্যদের থেকে আলাদা। সেটি ছিল ২০১৪ সালের ২৬ আগস্ট, মঙ্গলবার। মারকেট ইউনিভার্সিটিতে তার জুনিয়র ইয়ার সবে শুরু হয়েছে। তিনি বসে ছিলেন লার্নিং অ্যান্ড মেমোরি নামক একটি মনোবিজ্ঞানের কোর্সে, যেখানে মানুষের মস্তিষ্ক ও স্মৃতি সম্পর্কে পড়ানো হয়।
প্রফেসর ড. ক্রিস্টি নিয়েলসন ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে সেমিস্টার আউটলাইনের দিকে নজর বোলানো শেষে ঘোষণা দিলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি সিলেবাস শেষ করা যায়, তাহলে তিনি বিভিন্ন মজার মজার বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন। বিশেষত সেসব মানুষদের নিয়ে, যাদের রয়েছে অসাধারণ স্মৃতিশক্তি, ফলে তারা কোনো গান শুনে পুরোটা মনে রাখতে পারেন কিংবা কোনো একটি শহর একবার ঘুরেই সেটির মানচিত্র তৈরি করে ফেলতে পারেন। এমনকি সময় থাকলে মনোবিজ্ঞানের একদমই নতুন একটি ধারা নিয়েও পড়াবেন, যেখানে বলা হয়েছে প্রতিদিনের ঘটনাবলি স্মরণে রাখতে পারেন এমন ব্যক্তিদের সম্পর্কে।
প্রফেসরের মুখে শেষোক্ত শ্রেণীর ব্যক্তিদের কথা শুনেই মার্কির মনে হয়েছিল, “আরে, এটা তো আমি!”
আসলেই মার্কি এমন। ২০০৫ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যেকোনো একটি দিনের কথা তাকে জিজ্ঞেস করুন, তিনি আপনাকে বলে দেবেন সেই দিনটি কী বার ছিল, এবং তিনি সেদিন উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটনা তার জীবনে ঘটেছিল। যেমন- ২০০৬ সালের ১১ ডিসেম্বর তার বাবা ভুলক্রমে ক্রিসমাস ট্রির স্টাম্প কাটতে গিয়ে একদম উপর থেকে কেটে ফেলেছিলেন; কিংবা ২০০৯ সালের এক শুক্রবারে তিনি মিডল স্কুল ডান্সে অংশ নিয়েছিলেন এবং তারপর মাত্রই দুদিন আগে পরিচয় হওয়া এক ছেলের সাথে ডেটে গিয়েছিলেন।
অথচ সেদিন মনোবিজ্ঞানের ক্লাসে বসে প্রফেসর নিয়েলসনের কথা শোনার আগে মার্কি ঘুণাক্ষরেও জানতেন না, কী অসাধারণ এক ক্ষমতা নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছেন তিনি। তিনি ভাবতেন তিনি অন্যদের চেয়ে কিছুটা আলাদা, এর বেশি কিছু নন। বর্তমানে ২৪ বছর বয়সী মার্কিই বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি, যার রয়েছে হাইলি সুপেরিয়র অটোবায়োগ্রাফিক্যাল মেমোরি।
এই মেডিকেল কন্ডিশন থাকা আরেকজন ব্যক্তি হলেন জোয়ি ডিগ্র্যান্ডিস। তিনি যখন দশ বছরের বালক, তখনই তার বাবা-মা তার মধ্যকার এই প্রতিভাটি টের পেয়েছিলেন। তাদের পরিবারে যখনই কেউ কোনো একটি দিন বা ঘটনার কথা স্মরণ করতেন, তিনি সাথে সাথে বলে দিতেন, “ওহ, ওটা তো ছিল সোমবার,” কিংবা “ওদিন ছিল ২০ জুন।” জোয়ির বলার ভঙ্গিতে এমন আলস্যভরা আত্মবিশ্বাস থাকত যে, তার মা প্রায়ই পুরনো ক্যালেন্ডার ঘেঁটে দেখে নিতেন তিনি আসলেই সঠিক বলছেন কি না। আর যখন দেখতেন প্রতিটি কথাই অক্ষরে অক্ষরে ঠিক, তখন পুরো হতভম্ব হয়ে যেতেন।
জোয়ি তার এই অবিশ্বাস্য ক্ষমতার জোরে ভড়কে দিতেন বাইরের মানুষজনদেরও। স্কুলের ম্যাজিক শোতে তিনি সাম্প্রতিক অতীতের যেকোনো তারিখ সপ্তাহের কোন দিন ছিল তা বলে দিয়ে সকলের প্রশংসা আর হাততালি কুড়াতেন। কিন্তু এমনকি তিনি নিজেও ভাবতেন, এটি বুঝি কেবলই কোনো বিশেষ ‘ট্রিক’। তিনি যে আসলেই আরো বড় ক্ষমতার অধিকারী, সেটি তিনি অনুধাবন করেন সিবিএস নিউজে সম্প্রচারিত ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানের একটি সেগমেন্টে হাইলি সুপেরিয়র অটোবায়োগ্রাফিক্যাল মেমোরি নিয়ে আলোচনা দেখে। সেখানে এই মেডিকেল কন্ডিশনসম্পন্ন কয়েকজন ব্যক্তিকেও আনা হয়েছিল, যাদের সাথে জোয়ি নিজের মিল খুঁজে পান। পরবর্তীতে তিনি এ বিষয়ে গবেষকদের সাথে যোগাযোগ করে নিজেও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করেন।
এরকম আরেকজন হলেন ২৮ বছর বয়সী রেবেকা শ্যারক। তিনি এমনকি নিজের ১২ বছর বয়সী অনেক ঘটনারও বিস্তারিত বর্ণনা দিতে পারেন। তবে তার মেডিকেল ইতিহাস কিছুটা জটিল। ছোটবেলা থেকেই তিনি অটিজম এবং অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডারের শিকার। এছাড়াও তিনি বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ ও নিদ্রাহীনতায়ও ভুগতেন।
নয় বছর বয়সে শেষোক্ত সমস্যাটির সমাধান তিনি নিজে নিজেই খুঁজে বের করেন। তিনি খেয়াল করে দেখেন, ঘুমানোর আগে হ্যারি পটার সিরিজের বই পড়লে তার তাড়াতাড়ি ঘুম আসছে। তাই তিনি প্রতিদিন ঘুমানোর সময় হলে হ্যারি পটার পড়তে শুরু করেন। এভাবে হ্যারি পটার সিরিজের সাতটি পর্বের প্রতিটি অধ্যায়, প্রতিটি লাইন তার মনে গেঁথে গেছে। কেউ তার সামনে কোনো একটি অধ্যায়ের দুই-এক লাইন বললেই তিনি বাকি পুরোটা কবিতার মতো করে আবৃত্তি করে শোনাতে পারেন।
এছাড়া হাইলি সুপেরিয়র অটোবায়োগ্রাফিক্যাল মেমোরির সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলোও রয়েছে তার। যেকোনো নির্দিষ্ট দিনে তিনি কী করেছিলেন, কোথায় গিয়েছিলেন, কোন কাপড় পরেছিলেন, কী বলেছিলেন, কেমন আবেগ অনুভব করেছিলেন- সবকিছুই বলে দিতে পারেন।
এখন যে কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, হাইলি সুপেরিয়র অটোবায়োগ্রাফিক্যাল মেমোরির অধিকারী হওয়া ভালো নাকি খারাপ। এবং এই বিষয়টি মূলত ব্যক্তিবিশেষের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, মানসিকতা, জীবনাবস্থা প্রভৃতির উপরও নির্ভর করে।
যেমন ধরুন, মার্কি এবং জোয়ির কথা। তারা এখন পর্যন্ত মোটামুটি সুখী একটি জীবন কাটিয়েছেন। তাই আলোচ্য মেডিকেল কন্ডিশনটি তাদের উপর খুব বেশি বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং তারা তাদের এই ক্ষমতাটি দেখিয়ে আশেপাশের মানুষদের চমৎকৃত করতে পেরেছেন, সকলের বাহবাও লাভ করেছেন। তাছাড়া মার্কি নিজে মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে মনে করেন, তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা গবেষকদের সাথে শেয়ারের মাধ্যমে মনোবিজ্ঞানের উন্নতিকল্পে বিশেষ ভূমিকাও রাখতে পারছেন।
তবে এই মেডিকেল কন্ডিশনের কারণে জোয়ির মাথায় সবসময় অসংখ্য স্মৃতি ও চিন্তা গিজগিজ করতে থাকে। ফলে খুব সহজেই তিনি পাঠ্যপুস্তকের কোনো পড়া মনে রাখতে পারতেন না। তাছাড়া যখনই তার সাথে খুব খারাপ কিছু হতো, সেটির রেশ তার মনে দীর্ঘদিন তাজা রয়ে যেত। গড়পড়তা মানুষজন চাইলেই যেকোনো দুঃসহ স্মৃতি কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে, কিন্তু জোয়ির পক্ষে তা সম্ভব নয়। এ কথা ঠিক যে তার জীবনে অজস্র সুখস্মৃতিও রয়েছে, যেগুলো রোমন্থনের মাধ্যমে তিনি একাকী অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। কিন্তু খারাপ কোনো ঘটনা ঘটলে, যেমন কোনো কাছের মানুষের বিদায়ে তার মনের মধ্যে শোক অনেক দীর্ঘকাল ধরে স্থায়ী থাকে।
আর এই মেডিকেল কন্ডিশনটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে রেবেকার উপর। তার যে বিষণ্নতা ও মানসিক চাপের ইতিহাস রয়েছে, চাইলেই তিনি সেগুলোকে পেছনে ফেলতে পারেন না। যেকোনো বাজে স্মৃতিই অতি সূক্ষ্মভাবে মনে রাখতে পারেন বলে, সেগুলো তার মনে কাঁটার মতো বিঁধে থাকে, হঠাৎ হঠাৎ সেগুলো নাড়াচাড়া করে তার মনকে বিষিয়ে দেয়।
তাছাড়া তিনি যে ওসিডির শিকার, এর পেছনেও সম্ভবত একটি বড় ভূমিকা রয়েছে হাইলি সুপেরিয়র অটোবায়োগ্রাফিক্যাল মেমোরির। কোনো কিছুই সহজে ভুলতে পারেন না বলে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক বিষয় নিয়ে তিনি মাত্রাতিরিক্ত অবসেশনে ভুগতে থাকেন। যেমন- কেউ একজন হয়তো অনেকদিন আগে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিল। সাধারণ যেকোনো মানুষ হলেই কিছুদিন পরেই তা ভুলে যেত। কিন্তু যেহেতু তিনি সব মনে রাখেন, তাই খুব সহজেই তিনি খারাপ ব্যবহারকারী মানুষটিকে ক্ষমা করে দিতে পারেন না বা তার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে ফেলতে পারেন না।
হাইলি সুপেরিয়র অটোবায়োগ্রাফিক্যাল মেমোরি ভালো না খারাপ, সে বিষয়ে কোনো পাকাপোক্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় হয়তো এখনও আসেনি। তবে এ কথা মানতেই হবে, অসাধারণ ক্ষমতার সদ্ব্যবহার সবাই করতে পারেন না, সবার সেরকম পরিস্থিতিও থাকে না। যারা জীবনে বড় কোনো আঘাত পাননি, তাদের জীবনে এই মেডিকেল কন্ডিশনটি খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু যাদের শৈশব, কৈশোর খুব একটা ভালো কাটেনি, কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায়ও যাদেরকে খুব বড় কোনো ট্র্যাজেডির সম্মুখীন হতে হয়েছে, তাদের জন্য এই মেডিকেল কন্ডিশনটি সাক্ষাৎ অভিশাপস্বরূপ।
একবার চিন্তা করে দেখুন, কোনো ব্যক্তি নিজের চোখের সামনে খুবই মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা ঘটতে দেখলেন, যা অনেকগুলো প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ওদিকে ঘটনাক্রমে ব্যক্তিটির রয়েছে হাইলি সুপেরিয়র অটোবায়োগ্রাফিক্যাল মেমোরি। তাই শত চেষ্টা করেও তিনি ওই দুঃসহ স্মৃতিটি মন থেকে তাড়াতে পারছেন না। তাহলে বাকি জীবনটা তিনি কীভাবে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে কাটাবেন?
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/