দেশের প্রতিশ্রুতিশীল স্টার্ট-আপ আই-ফার্মারের অর্জনের মুকুটে যুক্ত হলো নতুন আরও একটি পালক। এবার তারা নির্বাচিত হয়েছে সিডস্টার ঢাকা ২০১৯ এর প্রথম স্থান বিজয়ী হিসেবে। যোগ্যতা অর্জন করেছে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য এশীয় আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশগ্রহণেরও।
আই-ফার্মারের (অ্যাগ্রি-টেক) প্রথম স্থান লাভের পাশাপাশি দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার জিতেছে যথাক্রমে রমণী সার্ভিসেস লিমিটেড (কনজিউমার সার্ভিসেস) ও লেট’স ফার্নিশ (এন্টারপ্রাইজ প্রোডাক্টস)।
পুরস্কার বিজয়ীদের নির্বাচিত করেছে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি বিচারক প্যানেল। যেখানে ছিলেন সিডস্টারের এশীয় অঞ্চলের বিশ্লেষক ফারিহা বাজাওরি, বাংলাদেশ তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের বিনিয়োগ উপদেষ্টা টিনা জাবিন এবং সোশান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী তানভীর সৌরভ।
গত বছর এই একই অনুষ্ঠানে আই-ফার্মার বাংলাদেশে অবস্থিত সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের পক্ষ থেকে জিতে নিয়েছিল ‘সুইস অ্যামবাসি সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড’। সেই ধারাবাহিকতায়ই এবার আরও বড় সম্মাননা লাভ করল তারা।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে দারুণ সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে আই-ফার্মার। তাদের মূল লক্ষ্য একটি গোটা কৃষি সরবরাহ চক্র গড়ে তোলা। তারা কৃষিব্যবসায় আগ্রহী শহরের পৃষ্ঠপোষকদের গবাদি পশুপালনে স্পন্সরশিপের সুযোগ করে দিয়ে থাকে, যার মাধ্যমে কৃষক পায় সুদবিহীন মূলধন অর্জনের সুযোগ।
এভাবে একইসাথে শহরের পৃষ্ঠপোষকরা যেমন পাচ্ছেন একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়ের উৎস, ঠিক তেমনই কৃষকরাও হচ্ছেন ঋণের বোঝা মুক্ত। আই-ফার্মারের এই উদ্ভাবনী উদ্যোগ ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে উদ্যোক্তা- সবারই।
গত ২৬ অক্টোবর (শনিবার) রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায় গ্রামীণফোন হাউজে এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে আই-ফার্মারসহ অন্যান্য বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয় পুরস্কার। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটির স্থানীয় সহযোগীর ভূমিকায় ছিল গ্রামীণফোন ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাস।
শুধু বাংলাদেশেই নয়, সিডস্টার বিশ্বব্যাপী ৮০টিরও বেশি স্থানীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। তাদের উদ্দেশ্য উদীয়মান বাজারের উদ্ভাবনী উদ্যোক্তাদেরকে নির্বাচিত ও অনুপ্রাণিত করা, এবং একইরকম আরও অনেক নতুন নতুন উদ্যোগের পথ প্রশস্ত করা। ইতিমধ্যেই তাদের কার্যক্রম মোট বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৮৪ শতাংশের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ যা ৯৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চলতি বছরের শেষে লাটাম, আফ্রিকা, এশিয়া, মেনা (মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা) এবং সিইই (কেন্দ্রীয় ও পূর্ব ইউরোপ) এই পাঁচটি অঞ্চলে সিডস্টারের আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর আগামী বসন্তে সুইজারল্যান্ডের লজানে বসবে সিডস্টারের বৈশ্বিক আসর। আই-ফার্মার যদি এশীয় আঞ্চলিক সম্মেলনের গণ্ডি পেরোতে পারে, তাহলে তাদের সামনে সুযোগ রয়েছে বৈশ্বিক আসরে গিয়ে বিশ্বের সেরা উদ্যোক্তাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতারও।