Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

অকুতোভয় এক ক্রিকেটার

১.

অস্ট্রেলিয়ার সিডনী ক্রিকেট গ্রাউন্ড। ২২ বছরের এক তরুণ বাবা-মায়ের সাথে বসে আছে। খেলা দেখতে নয়, খেলতেই এসেছে সে। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের একাদশে নাম আছে তার। তবে ব্যাটিং করার সুযোগ পাবে বলে মনে হচ্ছে না। দলে যে আছেন বিল উডফুল, অ্যালান কিপ্যাক্স, জ্যাক ফিঙ্গলটনের মতো ব্যাটসম্যানেরা।

তবে পরিস্থিতি বদলে গেল। পিচে আগুন ঝরাতে লাগলেন দুই ইংলিশ পেসার হ্যারল্ড লারউড এবং বিল ভোস। তাতে সমস্যা ছিল না, সমস্যা হলো বোলিং স্টাইলের কারণে।

সময়টা ১৯৩২ সাল। ৫ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া এসেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। তাদের অধিনায়কের নাম ডগলাস জার্ডিন। তখনও অস্ট্রেলিয়ায় ঘৃণার পাত্রে পরিণত হননি, তবে ক্রিকেটের মনোযোগী ছাত্ররা জানেন, এই সিরিজের পরেই অস্ট্রেলিয়ানদের চক্ষুশূল হয়ে যাবেন তিনি। বডিলাইনের মতো একটা ন্যাক্কারজনক আইডিয়া বেরিয়েছিল যে তার মাথা থেকেই।

বডিলাইন কী? সহজ ভাষায় বললে, লেগ সাইডে ছাতার মতো ফিল্ডার সাজিয়ে রেখে ব্যাটসম্যানের পাঁজর বরাবর বল করে যাওয়ার নামই বডিলাইন। পাঁজর বরাবর বল করার কারণে ছাড়তে পারবে না ব্যাটসম্যান, খেলতে বাধ্য হবে। আর খেলতে গেলেই ক্যাচ উঠবে লেগ সাইডে।

ব্র্যাডম্যানকে ঠেকানোর জন্য এই কৌশল অবলম্বন করেছিলেন জার্ডিন। লেগ স্ট্যাম্প বরাবর দ্রুতগতির বলে দুর্বলতা আছে ব্র্যাডম্যানের, এমন তথ্য তাকে দিয়েছিলেন আগের অস্ট্রেলিয়া সফরের অধিনায়ক পার্সি ফেন্ডার। ফেন্ডারের কাছ থেকে শুনেই ফন্দী আঁটেন জার্ডিন। তার এই কৌশল বাস্তবায়ন করার জন্য দ্রুতগতির কয়েকজন ফাস্ট বোলার দরকার ছিল। লারউড আর মরিস টেট আগে থেকেই ছিলেন, নটিংহ্যামশায়ারের অধিনায়ক আর্থার কার নিয়ে এলেন বিল ভোসকে। লারউড, জার্ডিন, আর্থার আর ভোস মিলে এক রেস্টুরেন্টে বসে আবিষ্কার করলেন শতাব্দীর সবথেকে বিতর্কিত কৌশলের।

অ্যাশেজ সিরিজের একটি দৃশ্য, লারউডের বল ছেড়ে দিচ্ছেন বিল উডফুল; Source: Cricketcountry.com

সিডনিতে ফেরা যাক। সেই টেস্টে খেলেননি ব্র্যাডম্যান, তার জায়গায় খেলতে নেমেছিলেন জ্যাক ফিঙ্গলটন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইনিংসের সূচনা করেছিলেন দুই ‘বিল’ উডফুল এবং পন্সফোর্ড। নামার পরেই ভোস আর লারউডের সেই তাণ্ডব। অনেকবার ঠেকালেন, ছেড়েও দিলেন অনেকবার। কিন্তু যা হওয়ার কথা ছিল, তা-ই হলো, শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালশিটে নিয়ে কোঁকাতে কোঁকাতে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন ফিঙ্গলটন, উডফুলরা। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন সেই তরুণ মাঠে নামল তখন অস্ট্রেলিয়ার রান ৪ উইকেটে ৮৭। মাঠে নামার আগে সে বাবাকে বলে এলো তার মাকে দেখে রাখতে। আহত হলেও মা যেন মাঠে ঢুকে না পড়েন।

ক্রিজে তখন আছেন ভিক রিচার্ডসন, তার সাথে যোগ দিলেন সেই তরুণ। এই ভিক রিচার্ডসনের আরও একটা পরিচয় আছে, চ্যাপেল ভাইদের নানা তিনি। এতক্ষণ রীতিমতো খাবি খাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া, সেই তরুণ আসতেই দৃশ্যপট পাল্টে গেল জাদুর মতো। সেই ভয়ঙ্কর বোলিঙের সামনে ব্যাটিঙের ব্যাকরণ মেনে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাল সে, নিখুঁত ফুটওয়ার্কের সাথে হুক আর কাটের পশরা সাজিয়ে বসল। ভিকের সাথে ১২৯ রানের একটা বড় পার্টনারশিপ গড়ল সেই তরুণ। দলীয় ২১৬ রানে আউট হয়ে গেলেন ভিক।

কিন্তু সেই তরুণ যেন তখন হারকিউলিস, একা মোকাবেলা করছেন ইংরেজদের! ভিক আউট হওয়ার পরে, পরের পাঁচজন ব্যাটসম্যান মিলে করল ৩১ রান, অস্ট্রেলিয়া অলআউট হলো ৩৬০ রানে। বাকি রান এলো সেই তরুণের ব্যাট থেকে। ইনিংস শেষ হওয়ার পরে ড্রেসিংরুমে যখন ফিরছেন, তখন তার রান অপরাজিত ১৮৭। ২৩৩ বল খেলে এই রান করেছেন, এবং সেটাও করেছেন চার ঘণ্টা মতো সময়ে। দলের অর্ধেকেরও বেশি রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। কতটা ভালো তিনি খেলেছিলেন তা বোঝা যায় লারউডের এক কথাতে। “বাকি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানেরা যদি স্ট্যানের মতো খেলত, তবে অঙ্কুরেই শেষ হয়ে যেত বডিলাইনের ধারণা।”

সিডনির সেই ইনিংস খেলার পথে ম্যাককেব; Source: Espncricinfo.com

লারউড যাকে স্ট্যান বলে ডাকছেন, তার পুরো নাম ছিল স্ট্যানলি জোসেফ ম্যাককেব।

২.

ক্যারিয়ার এমন আহামরি কিছু নয়। ৩৯ টেস্টে ২৭৪৮ রান, সাথে ৩৬টি উইকেট। ৬টি সেঞ্চুরি, তার একটি আবার ডাবল। এই ডাবল সেঞ্চুরি করার পরে ব্র্যাডম্যান ম্যাককেবকে বলেছিলেন, “স্ট্যান, এরকম ইনিংস খেলতে পারলে আমি নিজেও গর্ববোধ করতাম।” ডাবল সেঞ্চুরির কথা পাঠকদের জানানো হবে, তবে তার আগে ম্যাককেবের সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৯১০ সালের ১৬ জুলাই, নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রেনফেল নামক স্থানে। বাবা ছিলেন স্থানীয় নাপিত, স্ট্যান ছিলেন চার ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলতেন তারা, কাঠের টুকরো আর মোজায় জড়ানো ছিপিকে ব্যাট-বল বানিয়ে মনের আনন্দে খেলে বেড়াতেন রাস্তায়। ক্রিকেটার হওয়ার বীজটা বপন হয়ে গিয়েছিল তখনই।

চৌদ্দ বছর বয়সে সিডনির সেন্ট জোসেফ কলেজে ক্রীড়াবৃত্তি পান স্ট্যান। সেখানে তিন বছর কাটান, কলেজের ক্রিকেট দলের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হন। শুধু ক্রিকেটই নয়, কলেজে রাগবি দলের সদস্য ছিলেন, শিরোপাও জিতেছেন। পড়াশোনাতেও মেধাবী ছিলেন, প্রত্যেক বছরেই প্রথম হয়েছেন পরীক্ষায়।

পড়াশোনা শেষ হলে হিসাবরক্ষকের চাকরি নিয়ে গ্রেনফেলে ফিরে আসেন আবার। চাকরির পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতে থাকেন গ্রেনফেল জুনিয়রসের হয়ে। বছরখানেক পরে, চার্লি ম্যাককার্টনির নেতৃত্বে এক ক্রিকেট দল আসে গ্রেনফেলে, তাদেরকে হারিয়ে দেয় গ্রেনফেলের আঞ্চলিক দল। চার্লি ম্যাককার্টনিকে মনে আছে তো? ভিক্টর ট্রাম্পারের পরে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ব্যাটিংয়ে ম্যাককেব সুবিধে না করতে পারলেও বোলিংয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

এরপরে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। আরও কয়েক ম্যাচ খেলার পরে চ্যাপি ডয়ারের নজরে আসেন তিনি। ১৯৩০ থেকে ১৯৫৪, দীর্ঘ ২৪ বছর নিউ সাউথ ওয়েলসের নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন এই চ্যাপি। ম্যাককেবের বাবা-মাকে বুঝিয়েসুঝিয়ে তাদের ছেলেকে নিয়ে আসেন সিডনিতে। ১৯২৮ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় ম্যাককবের, এবং এর বছর দুয়েক পরে ডাক পান অ্যাশেজের জন্য ইংল্যান্ডগামী দলে। দলের অধিনায়ক ছিলেন বিল উডফুল। সেই দলটা একদম তরুণ ছিল বলে ইংলিশ মিডিয়া ব্যঙ্গ করে এই দলের নাম দিয়েছিল ‘উডফুল’স কিন্ডারগার্টেন’।

সেই সিরিজে খুব একটা ভালো খেলতে পারলেন না ম্যাককেব। ৫ টেস্টে ২১০ রানের পাশাপাশি নিলেন ৭ উইকেট। তবে এসব কিছুই নয়, ম্যাককেব পরিচিত হয়ে গেলেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার কারণে। টেকনিক ঠিক রেখেও শট খেলতেন যে কজন ব্যাটসম্যান, তাদের মধ্যে একদম প্রথম দিকে থাকবে তার নাম।

সেই সিরিজেই একজন সুপারম্যানের উত্থান দেখলো বিশ্ব। ৫ টেস্টে ৯৭৪ রানের যে রেকর্ড তিনি করলেন, তা আজও আছে অমলিন। তাঁর নাম পাঠক নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন।

স্যার ডন ব্র্যাডম্যান (বামে) এবং স্ট্যানলি ম্যাককেব (ডানে); Source: Cricketcountry.com

৩.

১৯৩৮ সালের অ্যাশেজ সিরিজ। আগের বছরে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও সিরিজ জিতে নিয়েছেন ডন ব্র্যাডম্যান। এবার ভস্মাধার ফিরিয়ে আনার পালা ইংল্যান্ডে।

প্রথম টেস্ট শুরু হলো নটিংহ্যামে। টসে জিতে ব্যাটিং নিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ওয়ালি হ্যামন্ড। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে ভুল নয়, তা প্রমাণ করার প্রথম দায়িত্ব নিলেন ব্যাটসম্যানেরা। এডি পেইন্টার করলেন ডাবল সেঞ্চুরি; চার্লি বার্নেট, লেন হাটন আর ডেনিস কম্পটন করলেন সেঞ্চুরি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৬৫৮ রানের পাহাড়ে উঠে ইনিংস ডিক্লেয়ার করলো ইংল্যান্ড।

অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা খারাপ হলো না। দলীয় ৩৪ রানে ফিঙ্গলটন ফিরে গেলেও ভালোই খেলছিলেন ব্র্যাডম্যান এবং উইলিয়াম ব্রাউন। কিন্তু সমস্যা হয়ে গেল ব্র্যাডম্যান ফিরে গেলে। ব্র্যাডম্যান ফিরলেন ব্যক্তিগত ৫১ রানে, স্কোরবোর্ডে তখন ১১১ রান মাত্র। ব্রাউন ফিরলেন দলকে ১৩৪ এ রেখে। এরপরে একটা বিপর্যয়ে পড়ল অস্ট্রেলিয়া। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৫১ রানে ফিরলেন লিন্ডসে হ্যাসেট।

দলের এই বিপর্যয়ে রুখে দাঁড়ালেন ম্যাককেব। যে ইনিংস তিনি খেললেন তাকে চাপের মুখে অন্যতম সেরা ইনিংস বলে মনে করা হয় এখনও। তাঁর হাতে উইলোখণ্ড হয়ে গেল জাদুদণ্ড; হুক, পুল, কাট নামক জাদু বেরিয়ে আসতে লাগলো একের পর এক। “দেখে যাও সবাই। এমন জিনিস আর কখনও দেখতে পাবে না।” এই কথা বলে সতীর্থদের সবাইকে ড্রেসিংরুমের ব্যালকনিতে বের করে আনলেন ব্র্যাডম্যান। আসলেই তাই। উডফুল এই কারণেই বলেছিলেন, “শুধুমাত্র নটিংহ্যামের দর্শক ছাড়া এত দুর্দান্ত ইনিংস আর কেউ দেখতে পারল না। কী দুর্ভাগ্য!”

প্রায় চার ঘণ্টা ব্যাট করে ৩৪ চার এবং ১ ছয়ে ২৩২ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছেন, তখন তাঁকে স্বাগত জানাতে মাঠে নেমে এলো দর্শকরা। এই ইনিংস নিয়ে ম্যাককেবের জীবনীকার জ্যাক ম্যাকহার্গ বলেছিলেন, “আক্রমণাত্মক ব্যাটিঙের এনসাইক্লোপিডিয়া ছিল এই ইনিংস।” আর ব্র্যাডম্যান কী বলেছিলেন, তা বলা হয়েছে আগেই।

২৩২ করে যখন ফিরছেন ম্যাককেব; Source: Cricketcountry.com

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় ৪১১ রানে। ২৪৭ রানে পিছিয়ে থেকে ফলো-অনে নামে তারা, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্রাউন আর ব্র্যাডম্যানের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৪২৭ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ড্র হয় এই ম্যাচ।

পরের চার টেস্টের একটি ড্র আর আর একটি পরিত্যক্ত হয়। বাকি দুটির একটিতে জেতে অস্ট্রেলিয়া, আর একটিতে ইংল্যান্ড। সিরিজ ড্র হয় ১-১ এ। ম্যাককেব হয়তো দলকে জেতাতে পারেননি, কিন্তু তাঁর ওই ইনিংস না হলে অস্ট্রেলিয়াকে যে অ্যাশেজ খুইয়েই দেশে ফিরতে হয় সেটা নিশ্চিত।

৪.

দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, সেই সিরিজের পরে আর টেস্ট খেলা হয়নি তাঁর। আগে থেকেই শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। সেই সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মাত্র ৩১ বছরেই তাঁর ক্যারিয়ারকে শেষ করে দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিলেও খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে একটা ডেস্ক জব দেয়া হয় তাঁকে।

ম্যাককেব মারা যান ১৯৬৮ সালে। নিজের বাড়ির কাছের এক পাহাড়ের চূড়া থেকে পা ফস্কে যায় তাঁর, মাথায় চোট লাগে। সেই চোট থেকেই মৃত্যু।

সেই সময়ে ওভালে অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্ট খেলায় ব্যস্ত ছিল অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড। ম্যাককেবের মৃত্যুসংবাদ সেখানে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা মাঠ জুড়ে, খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দর্শকরাও দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা জানান এই কিংবদন্তীকে।

২০১০ সালের জানুয়ারির ৫ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের হোম গ্রাউন্ড সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ম্যাককেবের ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়। বডিলাইনের বিপক্ষে সেই অবিস্মরণীয় ১৮৭ করার পথে শট খেলছেন এমন ভঙ্গীতে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।

ম্যাককেবের সেই ভাস্কর্য; Source: Cricketcountry.com

৫.

অনেকেই অনেক কথা বলেছেন তাঁর সম্পর্কে। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কথাটা বলেছেন রে রবিনসন। তিনি বলেছিলেন, “ক্রিকেটার ম্যাককেবের মধ্যেই আপনি মানুষ ম্যাককেবকে দেখতে পাবেন। একজন সহজ সরল মানুষ ছিলেন তিনি, কোনো কপটতা ছিল না তাঁর মধ্যে। এমন একজন মানুষ ছিলেন যাকে সতীর্থ এবং প্রতিপক্ষের সবাই-ই খুব পছন্দ করত।”

অসাধারণ ক্রিকেটার অনেকেই হন, ভালো মানুষও হন অনেকে। কিন্তু একইসঙ্গে অসাধারণ ক্রিকেটার এবং অসাধারণ মানুষ হন গুটিকয়েক মানুষ।

তাঁদেরই একজন ছিলেন স্ট্যানলি ম্যাককেব।

স্ট্যানলি ম্যাককেব; Source: Espncricinfo.com

Related Articles