গত মৌসুমে তুরিনে ৩-০ তে বিধ্বস্ত হয়ে যখন চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল অ্যাটলেটিকোর, তখন আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছিল, ‘প্রলেতারিয়েত’ মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার শেষ সুযোগটা এবার বুঝি মাটিতে মিশে গেলো। ওই ম্যাচের দুইদিন পরই শোনা যাচ্ছিল সিমিওনের ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন। গ্রিজমান, লুকাসের ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন তো তখন স্পেনের সব নিউজ আউটলেটের প্রথম পাতায়। গডিন, হুয়ানফ্রান, ফিলিপে লুইসের মতো ক্লাব লেজেন্ডদের চুক্তি শেষ। মৌসুমশেষে তারা ক্লাব ছেড়ে যাচ্ছে, তাও পুরোপুরি নিশ্চিত। এক কথায়, বেশ অন্ধকারই দেখাচ্ছিল অ্যাটলেটিকোর ভবিষ্যৎ। ২০১৪ সালে লিগ জেতা এবং তিন বছরে দু’বার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলা দলটা যে এবার ভেঙে যাচ্ছে পুরোপুরি!
গ্যাবি-তোরেস থেকে গডিন-গ্রিজমান; অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কথা বললে যাদের নাম সবার সামনে আসে, সেই লোকগুলোই যে ক্লাব ছেড়ে গিয়েছে গত দুই মৌসুমে। সিমিওনের নিজ হাতে গড়া ব্যান্ডটা এভাবে ভেঙে যাবে, সেটা কেউ হয়তো কল্পনাও করেনি।
তবে এ নিয়ে হা হুতাশ করার সময় নেই তাদের। সিমিওনের মতে ক্লাবের স্মরণকালের ইতিহাসের সবচেয়ে ‘চ্যালেঞ্জিং সামার’, দল বিনির্মাণে তাই পূর্ণ মনোযোগ দিয়েছে অ্যাটলেটিকো। ‘স্মল ক্লাব মেন্টালিটি’ ঝেড়ে ফেলে দিয়ে দেদার খরচ করেছে ট্রান্সফার মার্কেটে। ১০ জনকে হারানোর পর এই গ্রীষ্মে এখন পর্যন্ত নতুন ৮ জনকে দলে ভিড়িয়েছে অ্যাটলেটিকো। এই ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়াটিকে এখন পর্যন্ত সর্বমহল থেকে বুদ্ধিদীপ্ত ও পেশাদারী প্রক্রিয়া হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
জমজমাট ট্রান্সফার মার্কেট
ডিয়েগো গডিন, ফিলিপে লুইস, লুকাস হার্নান্দেজ, হুয়ানফ্রান, রদ্রি, গ্রিজমান – অ্যাটলেটিকোর মূল একাদশের অর্ধেকের বেশিই যেন খালি হয়ে গিয়েছিল। তবে এদের শূন্যস্থান পূরণ করতে সময় নেয়নি দলটি। মারিও হারমসো, ফেলিপে, রেনান লদি, কিয়েরন ট্রিপিয়ারকে এনে ডিফেন্সকে ঢেলে সাজিয়েছে। এই চারজনের সম্মিলিত খরচ ৮৭ মিলিয়ন ইউরো, যেখানে এক লুকাস হার্নান্দেজকে বিক্রি করেই তারা পেয়েছে ৮০ মিলিয়ন ইউরো। ৭০ মিলিয়ন ইউরোতে ম্যানসিটিতে পাড়ি দেয়া রদ্রি হার্নান্দেজের শূন্যস্থান পূরণের জন্য আনা হয়েছে নগর প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ থেকে মার্কোস য়ুরেন্তে এবং পোর্তোর হেক্টর হেরেরাকে। দুইজনের সম্মিলিত খরচ ৩০ মিলিয়ন ইউরো।
তবে সব ছাপিয়ে তারা ১২৬ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তারা দলে ভিড়িয়েছে বেনফিকার বিস্ময়বালক জোয়াও ফেলিক্সকে, যা কি না বলতে গেলে এই গ্রীষ্মেরই সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ দলবদল। আঁতোয়ান গ্রিজমানের শূন্যস্থান কতটা পূরণ করতে পারবেন এই পর্তুগীজ বিস্ময়, তা সময়ই বলে দিবে। তবে ফেলিক্সের প্রি-সিজনের ফর্ম বলছে, গ্রিজমানকে এই মৌসুমে সম্ভবত মিস করবে না ‘ওয়ান্দা মেট্রোপলিটানো’।
সর্বসাকুল্যে এখন পর্যন্ত ২৪৩ মিলিয়ন খরচ করেছে অ্যাটলেটিকো, বিক্রি করেছে মোট ৩১১ মিলিয়ন ইউরোর সমমানের খেলোয়াড়দের। গডিন, হুয়ানফ্রান, ফিলিপে লুইসরা ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দল ছাড়ার পরও ট্রান্সফার মার্কেটে লাভের অংকটা যখন নেট ৬৭ মিলিয়ন হয়, তখন বলাই যায়, গ্রীষ্মটা খারাপ যায়নি অ্যাটলেটিকোর।
নতুন মৌসুমের রণকৌশল
দলের চেহারা বদলে গিয়েছে আপাদমস্তক, সম্ভবত বদলে যাচ্ছে সিমিওনের রণকৌশলও। এই ‘নিউ লুক’ অ্যাটলেটিকোর সাথে তুরিনে বিধ্বস্ত হওয়া অ্যাটলেটিকোর যে কোনো মিলই নেই!
তবে স্কোয়াড যতটাই অচেনা হোক, সিমিওনের দলের স্কোয়াড-ডেপথ আগের মতোই আছে। দল ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়ায় এই গ্রীষ্মে যে সকল প্লেয়ারদের দলে ভিড়িয়েছে অ্যাটলেটিকো, তাদের সবাই নিজ স্থানে খেলা পূর্বের প্লেয়ারের চেয়ে একটু বেশি অ্যাটাক-মাইন্ডেড। ট্রান্সফার স্ট্র্যাটেজি থেকেই আসলে একটা বিষয় আন্দাজ করা যায়, ডিফেন্সিভ ফুটবলের চির-পরিচিত বলয় থেকে অ্যাটলেটিকোকে বের করে আনতে চাচ্ছেন সিমিওনে।
মূল একাদশের দুই ফুলব্যাক হুয়ানফ্রান ও ফিলিপে লুইসকে হারানোর পর তাদের জায়গায় আনা হয়েছে কিয়েরন ট্রিপিয়ার ও রেনান লদিকে, যারা দুইজনই বলতে গেলে উইংব্যাক। বোঝাই যাচ্ছে, বিশ্বের আরও চার-পাঁচটা অ্যাটাকিং মানসিকতার দলগুলোর মতো অ্যাটলেটিকোও চাচ্ছে, দলের প্রাথমিক অ্যাটাকিং স্পিরিট আসুক দুই ফুলব্যাক থেকেই। অ্যাটলেটিকোর নতুন দুই ফুলব্যাক কতটা সফল হবেন, তা সময়ই বলে দেবে। তবে দুই ফুলব্যাকই তাদের মৌসুম শুরু করেছেন দুর্দান্তভাবে। এখন পর্যন্ত হওয়া লা লিগার তিন ম্যাচের মধ্যে দু’টিতেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন এই দুই ফুলব্যাক। তবে দুইজনের মধ্যে ট্রিপিয়ারের উপর এবার নজর একটু বেশিই থাকবে। কেননা, ৯৫ বছর পর প্রথম ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে অ্যাটলেটিকোর জার্সি গায়ে দেয়া ট্রিপিয়ার, যে অ্যাটলেটিকোর রক্ষণে সবচেয়ে অভিজ্ঞ যোদ্ধা। এছাড়া, গ্রিজমান-পরবর্তী সময়ে অ্যাটলেটিকোর সেটপিস নেয়ার দায়ভারও যাচ্ছে এই ইংলিশম্যানের ঘাড়েই। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নিখুঁত সেটপিস টেকারদের একজন তিনিই কি না!
ডিফেন্সের পর মধ্যমাঠেও নতুনত্ব আনতে পারে অ্যাটলেটিকো। প্রায় সময়ই দেখা যায় সিমিওনে তার মধ্যমাঠে চারজন সেন্টার-মিডকে খেলাচ্ছেন। সন্দেহ নেই, চারজন বিশ্বমানের সেন্টার-মিড খেলানোর সামর্থ্য অ্যাটলেটিকোর আছে। আর এমন হলে প্রতিপক্ষকেও বেশ বেগ পেতে হয় সল-কোকে-টমাস পার্টে-হেক্টর হেরেরাদের সমন্বয়ে গঠিত মধ্যমাঠকে ভেদ করতে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এই মিডফিল্ড যথেষ্ট সৃজনশীলতা উপহার দিতে ব্যর্থ হয় সামনের দুই স্ট্রাইকারের জন্য। তবে এবার এই রণকৌশল বদলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন সিমিওনে। বাম ও ডানে ওয়াইড মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতে পারেন টমাস লেমার ও জোয়াও ফেলিক্স। ফেলিক্স মূলত দু’টি পজিশনে খেলবেন এই মৌসুমে, রাইট মিডফিল্ডার ও সেকেন্ড স্ট্রাইকার হিসেবে। ডিয়েগো কস্তা ও মোরাতা দুইজনকেই খেলানো হলে রাইট মিডফিল্ডে জায়গা হবে ফেলিক্সের। টিমশিটে তাকে রাইট মিডফিল্ডার দেখানো হলেও তার রোলটা হবে মূলত ফ্রি রোল। ফেলিক্সের জন্য অ্যাটলেটিকোর মধ্যমাঠ নমনীয় করা হবে। ম্যাচের মধ্যেই মধ্যমাঠ রৈখিক থেকে ডায়মন্ড আকার ধারণ করবে। ডায়মন্ডের চূড়ায় খেলবেন ফেলিক্স, নিচে বাকি তিনজন মিডফিল্ডার।
দর্শন বদলাচ্ছেন সিমিওনে?
ক্লাব হিসেবে অ্যাটলেটিকো আজীবনই ছিল ডিফেন্সিভ, কাউন্টার-অ্যাটাকনির্ভর একটি দল। আর ‘রোজি ব্ল্যাঙ্কোস’দের এই দর্শনের সাথে সবচেয়ে মানানসই কোচ হচ্ছেন ডিয়েগো সিমিওনে।
এই কাউন্টার-অ্যাটাকনির্ভর দর্শন বলতে গেলে অ্যাটলেটিকোর ডিএনএ’র অংশ। ডিফেন্সিভ ফুটবল ও কাউন্টার অ্যাটাক, এরা ক্লাবের সমার্থক শব্দ হয়ে যাওয়ার পিছনে মূল কারণ ছিল মুনাফার অভাব। অ্যাটলেটিকোকে বরাবরই দেখা হয়েছে মাদ্রিদের শ্রমজীবী শ্রেণীর ক্লাব হিসেবে, যে ক্লাব আজীবন বড় হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের ছায়ায় থেকে।
তবে সিমিওনে-যুগে অনেক কিছুই বদলেছে এই ক্লাবের। মাঠের ফুটবলে যেমন এসেছে সাফল্য, তেমনি ক্লাবের অর্থনৈতিক অবস্থাতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। গত চার বছরে ট্রান্সফার মার্কেটে রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে বেশি খরচ করেছে অ্যাটলেটিকো। ক্লাবটি স্থানান্তরিত হয়েছে ওয়ান্দা মেট্রোপালিতানোতে, যা কি না ইউরোপের আধুনিকতম স্টেডিয়ামগুলোর একটি।
সিমিওনের ফুটবল দর্শনকে খাটো করে দেখবার কোনো সুযোগ নেই। তার দর্শনের বলেই একটি মাঝারি সারির ক্লাব থেকে আজকের এই জায়গায় এসেছে ‘রোজি ব্ল্যাঙ্কোস’রা। ২০১১ সালে সিমিওনে যখন দায়িত্ব নিলেন, তখন লিগে অ্যাটলেটিকোর অবস্থান ছিল ১৭। ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছিল রেলিগেশন জোন। সেখান থেকে গত আট বছরে দলকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে এসেছেন। ঘরোয়া ফুটবলে রিয়াল-বার্সার দুর্গ ভেদ করে জিতেছেন লা লিগা, কোপা ডেল রে, স্প্যানিশ সুপার কাপ। এছাড়া এই সময়ে ইউরোপীয় পর্যায়েও ভালোই সাফল্য দেখেছে ‘রোজি ব্ল্যাঙ্কোস’রা, দুইবার করে জিতেছে ইউরোপা লিগ ও উয়েফা সুপার কাপ। চ্যাম্পিয়নস লিগেও রানার্সআপ হয়েছে দুইবার। একটি ‘মধ্যবিত্ত’ দলের কাছ থেকে এর চেয়ে আর কী-ই বা আশা করা যায়!
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অ্যাটলেটিকো যে আর ‘মধ্যবিত্ত’ ক্লাব নেই। সিমিওনের নেতৃত্বে মাঠের সাফল্য অ্যাটলেটিকোকে এনে দিয়েছে অর্থনৈতিক সাফল্যও। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১৫ ক্লাবের মধ্যে একটি এখন অ্যাটলেটিকো। তাই স্বাভাবিকভাবেই অন্য সব ক্লাবের মতো অ্যাটলেটিকোর কাছেও ভক্তরা এ যুগের সাথে মানানসই অ্যাটাকিং ফুটবল প্রত্যাশা করে। এছাড়া, এ যুগে ডিফেন্সিভ ফুটবলের অপর নামই যেন হয়ে উঠেছে ‘আন্ডারডগ ফুটবল’। সুতরাং, ‘আন্ডারডগ’ তকমাটি মুছতে চাইলেও অ্যাটাকিং ফুটবলের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় নেই ‘রোজি ব্ল্যাঙ্কোস’দের।
বিষয়টি হয়তো অনেকেরই নজর এড়িয়ে গিয়েছে, কিন্তু অ্যাটলেটিকো কিন্তু তাদের দর্শন বদলানোর চেষ্টা করছে গত কয়েক মৌসুম ধরেই। যেই অ্যাটলেটিকো কখনো কোনো ডিফেন্ডারের পিছনে ২৫ মিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করেনি, তারাই কি না গত চার বছরে জ্যাকসন মার্টিনেজ (৩৭ মিলিয়ন), লুসিয়ানো ভিয়েতো (২০ মিলিয়ন), নিকো গাইতান (২৫ মিলিয়ন), জেলসন মার্টিনসের (২২ মিলিয়ন) মতো অ্যাটাকারের পিছনে মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থ খরচ করেছে। অ্যাটলেটিকোর জার্সিতে যাদের পারফরম্যান্স এতটাই মলিন ছিল যে লাল-সাদা জার্সিতে অনেকে তাদের স্মরণই করতে পারে না। এই মাঝারি মানের অ্যাটাকারদের এনে দলের অগ্রভাগ বদলে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে অ্যাটলেটিকো অনেকদিন ধরে। কিন্তু এদের অধিকাংশই সিমিওনের সিস্টেমে মানিয়ে নিতে পারেননি।
তবে অনেক ট্রায়াল শেষে এবার হয়তো সিমিওনে স্মরণকালের সবচেয়ে পারফেক্ট অ্যাটাকিং লাইনআপটি পেয়েছেন। ডিয়েগো কস্তা, আলভারো মোরাতা দুইজনই সিমিওনে ঘরানার স্ট্রাইকার। ফ্রি রোলে জোয়াও ফেলিক্স শুধু সিমিওনে নয়, বিশ্বের যেকোনো সিস্টেমেই হয়তো মানিয়ে নিতে পারবেন। ওয়াইড মিডফিল্ডার হিসেবে টমাস লেমার ও ভিটোলো মাচিন দুর্দান্ত। তার তাদেরকে সঙ্গ দেয়ার জন্য দুই উইংব্যাক তো আছেনই।
খাতায়-কলমে অনেক পারফেক্ট দেখালেও সুদীর্ঘ মৌসুমে কিছু বিষয় ভোগাতে পারে সিমিওনের দলকে। প্রথমত, রক্ষণে তিন লিজেন্ডের একসাথে বিদায়ের পর কিছুটা অভিজ্ঞতাশূন্য হয়ে পড়েছে অ্যাটলেটিকোর রক্ষণ। ডিয়েগো গডিনদের শূন্যস্থান পূরণের বড় দায়িত্ব এখন হিমনেজ-স্যাভিচদের উপর। দ্বিতীয়ত, আতোঁয়ান গ্রিজমানের বিদায় পুরো দলের জন্যই একটা বড় ধাক্কা। গ্রিজমান শুধু অ্যাটলেটিকোর মেইনম্যানই ছিলেন না, সিমিওনের সিস্টেমে সবচেয়ে মানানসই অ্যাটাকারদের একজন ছিলেন তিনি। দলের সম্মুখভাগের দীর্ঘদিনের এই কাণ্ডারির শূন্যস্থান কি পূরণ করতে পারবেন জোয়াও ফেলিক্স? অন্তত অ্যাটলেটিকো ফ্যানরা সে ব্যাপারে অনেক আশাবাদী, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
যদি গডিন-গ্রিজমানদের শূন্যস্থান পূরণ করতে পারে অ্যাতলেটিকো, এবং যদি সিমিওনের অ্যাটাকিং ট্যাকটিক্স প্রথমবারের মতো ফলপ্রসূ হয়, তাহলে এবার হয়তো ২০১৩-১৪ মৌসুমের পুনরাবৃত্তি দেখতে পারে লা লিগা। চ্যাম্পিয়নস লিগেও ঘটতে পারে কিছু অঘটন।
বেশভূষায় ‘আন্ডারডগ’ তকমা মুছে ফেলেছে লাল-সাদা শিবির। তবে কি এবার মাঠের ফুটবলেও ‘আন্ডারডগ’ তকমা মুছতে পারবে তারা?