১.
দুটো চার মেরেছেন। লক্ষ্যটা নাগালে না এলেও খুব দূর আর মনে হচ্ছে না মোটেও। ওপ্রান্তে যিনি আছেন, তিনি আছেন ফর্মের সপ্তচূড়ায়। সংকল্প তার যেন ফেভিকলের মজবুত জোড়, ভাঙবেই না! তাকে খানিক সঙ্গ দিলেই সাঙ্গ হবে পালা। মাথায় কি ভূত চাপল, কে জানে! এতক্ষণের স্থিতধী জোফরা আর্চার লীডসের গ্যালারিতে আছড়ে ফেলতে চাইলেন নাথান লায়নকে! বাদ সাধলেন ট্রাভিস হেড। ঠিক দড়ির এপারে দাঁড়িয়ে ক্যাচটা লুফে নিলেন, আবার ওপারে গিয়েও ফিরে এলেন। কিন্তু বলটা রাখলেন এপারেই। ফল হলো এই, আর্চারকে যেতে হলো দড়ির ওপারে।
ব্রড এলেন, গেলেন তার কাছে। কী যেন বোঝালেন, তিনি শুনলেন, মাথাটা রাখলেন তেমনই নুইয়ে। আম্পায়ার জানালেন, ব্যাটসম্যান দু’জন ক্রস করেছিলেন পরস্পরকে, স্ট্রাইক পাবেন না তিনি। প্যাটিনসনকে সামলাতে হবে ব্রডকেই। প্যাটিনসনের শর্ট পিচ ট্র্যাপ সামলাতে গিয়ে ব্রড বেমালুম ভুলে গেলেন আর সব ডেলিভারি। ফুলার লেংথের বলটা মিস করলেন পুরো, লেগ বিফোর। রিভিউ নিয়েও লাভ হলো না, ফিরতে হলো তাকে।
জ্যাক লীচ। আরো চার-চারটা বল সামলাতে হবে তাকে। প্যাটিনসনের তূণের চারটা তীরই সামলালেন তিনি।
তারপর?
তারপর হেডিংলির আকাশ আলো করে রোমাঞ্চকর এক অবিশ্বাস্য বিকেল এলো। যার পুরোটা জুড়ে কেবলই একজন, বেঞ্জামিন অ্যান্ড্রু স্টোকস।
২.
হেডিংলির আকাশ আগেও দেখেছে মহাকাব্য। লীডসের ঘাসে লেখা হয়েছে অবিশ্বাস্য রূপকথা। সেই রূপকথার কারিগর ছিলেন স্যার ইয়ান বোথাম, ইংলিশ ক্রিকেটের প্রিয় ‘বিফি’। সেই ‘বিফি’ এমনই প্রিয় আর আদরের হলেন যে, তিনি গেলেও তার স্মৃতি ভুলতে পারল না ইংলিশ ক্রিকেট। তার মতো একজনের খোঁজে সে কী অনুসন্ধান প্রক্রিয়া!
বহু বছর পর এলেন একজন, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। ইংলিশ ক্রিকেটের প্রিয় ‘ফ্রেডি’। সেই ‘ফ্রেডি’র পর আবার শোকের মাতম, ইংলিশ ক্রিকেটজুড়ে ‘হায় ফ্রেডি’ ‘হায় বিফি’!
সেই হাহাকার খানিক চাপা পড়লো একজন বেন স্টোকস পেয়ে। কিন্তু এ কী? বেন স্টোকসের এ কী শ্রী! এই ‘হারু-মহাশয়’ কীভাবে হবেন ফ্রেডি কিংবা বিফি?
তাহলে ফেরা যাক কলকাতায়, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল।
কলকাতার নন্দনের সন্ধ্যেটা সেদিন ক্রিকেট-আনন্দের সমস্ত সজ্জায় সজ্জিত। নান্দনিক ক্রিকেটের অনিন্দ্য আয়োজনে নানান রঙের ক্রিকেট পুষ্পের সমাহার। নগর কলকাতার ফ্লাইওভার-ধ্বসের বিভীষিকা কেটে গিয়ে সেখানে কেবল ক্রিকেটকাননের জয়জয়কার।
অপূর্ব ক্রিকেট সৌন্দর্য্যের রাতটা বেনের জীবনে এল দুঃসহ যন্ত্রণার হয়ে। শেষ ওভারে ১৯ রান ডিফেন্ড করতে এসে ব্রাথওয়েটের ব্যাটে খেলেন রামধোলাই। ৬, ৬, ৬, ৬। স্টোকসের জীবনে ভুলে যাওয়ার মতো চারটি ছয়। স্টোকস স্ট্রোক করতে পারতেন সেদিন, ক্যারিয়ারের ঘটতে পারতো ইতি। কিন্তু শোকে পাথর না হয়ে শোককে করলেন শক্তি, ফিরলেন নতুন রূপে নিজেকে গড়ে।
রুটের সমবেদনার হাতটা যন্ত্রণায় প্রলেপ না হলেও প্রয়োজন ছিল তখন। সেই রুটকে যেন সেদিনের পাশে থাকার প্রতিদান দিলেন বেন, অধিনায়কত্বের প্রথম অ্যাশেজ জয় উপহার দিয়ে!
৩.
মাস দুয়েক আগের গল্প করা যাক। মঞ্চটা লীডসই, ফরম্যাটটা ভিন্ন। সাদা বল আর রঙিন পোশাকের ক্রিকেট। বিশ্বকাপ, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর। শ্রীলংকার বিপক্ষে ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ হয়ে লড়ছিলেন। লড়াইটা দারুণ, লংকান সিংহ বনাম ইংলিশ সিংহ। সেদিনও তাকে ‘একা’ রেখে আর্চার ফিরলেন হঠকারিতার মূল্য চুকিয়ে।
৩৮ বলে ৪৭ রান প্রয়োজন, হাতে আছে মাত্র ১ উইকেট। ৭৩ বলে ৫৭ করেছেন তিনি। প্রয়োজনটা চোখের পলকে তিনি নিয়ে এলেন ১৯ বলে ২১-য়ে। ৮৯ বলে ৮২, ওপ্রান্তে গিয়ে উডকে একটি বল সামলানোর মন্ত্র আউড়ে যাচ্ছেন।
হায় উড! সেই একটি বলেই ডেকে আনলেন বিপদ। হতাশ ও বিপর্যস্ত বেন স্টোকস। তারপরও সামলে উঠলেন সে সময়। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ছিলেন ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’। তিনি ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ হলেন আবার, লর্ডসের স্বপ্ন পূরণের উদ্যানে। নিটোল কল্পনা কিংবা দক্ষিণ ভারতের ভীষণ অবাস্তব সিনেমাকেও হার মানানো এক চিত্রনাট্যের নাটের গুরু কিংবা মূখ্য চরিত্রে ছিলেন যেদিন।
ক্লান্তিহীন তার বাঁ-হাত বারবার স্বপ্নসারথী হয়ে ইংলিশ ক্রিকেটের স্বপ্নরথ বয়ে চলে। তিনি করতালিতে সিক্ত হন, ভালোবাসায় ঋদ্ধ হন। ইংলিশ ক্রিকেটের ‘স্যার’, ‘কিং’, ‘লর্ড’ এবং আরো কী কী হবেন, তাই নিয়ে আলোচনার আসরজুড়ে আলোচিত হন।
বেন স্টোকস, পরিণত হন ইংলিশ ক্রিকেটের অবিসংবাদিত সুপারহিরোতে। প্রিয় বিফি আর প্রিয় ফ্রেডি’র পর তিনি হন ইংলিশ ক্রিকেটের প্রিয় বেন, ‘বিগ বেন’।
৪.
অথচ ইংলিশ ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’ তকমায় ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারতো তার। গত অ্যাশেজের আগে ব্রিস্টলের নাইটক্লাবে মারামারি করে দৌঁড়াতে হলো আদালতের চত্ত্বরেও। দল থেকে নাম কাটা গেল তার। সতীর্থরা অ্যাশেজে চুনকালি মাখিয়ে ছাইভস্মটা রেখে আসছে অস্ট্রেলিয়ায়, এদিকে তিনি তখন কেলেঙ্কারি ঘটিয়ে অনিশ্চয়তার নৌকায় গন্তব্যহীন যাত্রী।
মাসকয়েকের বিরতি শেষে ক্রিকেটে ফিরলেও অস্বস্তি থেকে মুক্তি নেই বুঝি! স্বস্তি মিলল ভারতের বিপক্ষে, এজবাস্টনে। রাখলেন তার নিবেদন আর বদলে যাওয়ার অনন্য প্রমাণ। একটানা বোলিংয়ে আটকে দিলেন রাহুল, পান্ডিয়াসহ সবচেয়ে বড় বাধা বিরাট কোহলিকেও। ভারত হারলো ৩১ রানে, তিনি পেলেন চার উইকেট। পুরো সিরিজের গতিপথও বুঝি ঠিক করে দিল তা।
বেন স্টোকস যেন জানিয়ে দিলেন, তিনি আর নেই তিনি! বদলে গেছেন তিনি, বদলে গেছে তার মানসিকতাও। একদম শেষ বল পর্যন্ত লড়াইয়ের অদম্য মনোবল, অটুট সংকল্প বারবার যেন বলতে চায়, কলকাতার সেই রাতটা তার জীবনে শোকতপ্ত ছিল না মোটেও, বরং তা ছিল অন্যরকম ক্রিকেটপাঠ!
৫.
দ্য অ্যাশেজ। ছাইভস্ম ঘিরে সবচেয়ে প্রাচীন এবং ক্রিকেটের সর্বোচ্চ বনেদী লড়াই। আভিজাত্য আর অহমের লড়াই। তুমি বাপু যা-ই জেতো, বিশ্বকাপ বা হাতিঘোড়া, অ্যাশেজে রসগোল্লা যদি পাও, তাহলে অর্জনের খাতায় রইলো লবডঙ্কা।
ব্যাপারটা জানে ইংলিশ ক্রিকেট, জানেন বেন স্টোকস। ম্যাচটা হারলেই সব শেষ। ২-০ তে পিছিয়ে গেলে অস্ট্রেলিয়া থেকে আর ফেরানো যাবে না ছাইভস্মটা। প্রায় ঘন্টাখানেক সময় খেলা বাকি তখনও। ডেনলির বিদায়ে নেমেছেন স্টোকস। শুরু থেকেই ভীষণ সাবধানী। দিন শেষে অপরাজিত ৫০ বলে ২ রান নিয়ে। অধিনায়কের সঙ্গে পরের সকাল মোটেও ভালো হলো না। অধিনায়কের পর বেয়ারেস্টো, আরেকজন জাত ফাইটার। স্টোকসের ফেভিকলের মজবুত জোড়ের মানানসই সঙ্গী, অবিচল সংকল্প শক্তপোক্ত হলো আরো। তাকে টলাবে, সাধ্য কার?
বেয়ারেস্টোর পর ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট বাটলার, তারপর আউট ওকসও। হঠাৎ করেই লীডসের আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। কে তাকে আশা দেবে? কে তাকে ভরসা দেবে?
ইংলিশ ক্রিকেট চাইলো স্টোকস পানে, আর স্টোকস চাইলেন আর্চারকে। কিন্তু আর্চার মাসকয়েক আগের গল্পের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে হঠকারিতার মূল্য চুকালেন আবার। আর্চার শিখলেন না, শিখলেন স্টোকস। কাজে লাগালেন শিক্ষা। লীচকে সাথে নিয়ে পাড়ি দিলেন অনতিক্রম্য মনে হওয়া সমস্ত পথ। আর লীচ যোগ্য সহচরের মতো সারাটা সময় থাকলেন স্টোকসের ‘ইচ্ছা’ হয়ে।
৬.
৬২ বলে ৭৬ রানের জুটি। যাতে লীচের অবদান ১৭টি বল মোকাবেলা, এবং ১টি রান। আর স্টোকসের ব্যাটে ধ্বংসের উচ্ছ্বাস, বুনো ক্ষিপ্রতার রাজসিক প্রদর্শন। ৪৫ বলে ৭৪ রান। অভাবনীয়, অবিশ্বাস্য এবং অদ্ভুতুড়ে শট ও প্রচেষ্টার সম্মিলন। অদম্য লড়াই, সুতীব্র জিগীষার সর্ব্বোচ্চ প্রতিফলন।
লায়নকে স্ট্রেইট লং অফ দিয়ে ‘ওহ! হোয়াট অ্যা শট!’ আপনাতেই মুখ ফুঁড়ে বেরোনো ছয় দিয়ে শুরু, তারপর ন্যূনতম মমত্ব দেখাননি আর কাউকে। হ্যাজলউড, কামিন্স যে-ই এসেছেন, বেধড়ক পিটিয়ে লীডসের আকাশজুড়ে তুলেছেন একটানা হর্ষধ্বনি আর আনন্দময় চিৎকার।
কামিন্সের লেগ বিফোরের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি। অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নিলেও পাত্তা দেননি খুব একটা। যেন জানেন, দিনটা তার, বিকেলটা তার, সময়টা তার। লায়নকে আবার হেডিংলির আকাশ দেখিয়ে আছড়ে ফেললেন দর্শকসারিতে।
আর মাত্র দুই রান। এক রান নিলেই টাই। ইতিহাসের দুটো টাই টেস্টেই আছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় টাইয়েও থাকবে কি?
লীচ দৌঁড় দিলেন। ডোনাল্ড যেমন দৌঁড়েছিলেন, এজবাস্টনে। ক্লুজনার সেদিন ওদিক থেকে এলেও এদিন স্টোকস ফিরিয়ে দিলেন লীচকে। কিন্তু ফ্লেমিংয়ের মতো ঠান্ডা মাথায় কাজের কাজটা করতে পারলেন না লায়ন। মিস করলেন তিনি, খুব সম্ভবত ক্যারিয়ারেরই সবচেয়ে জঘন্য মিস। পরের বল, লেগ বিফোরের জোরালো আবেদন। স্টোকস এবার পক্ষে পেলেন জো উইলসনের ‘নট আউট’ ডিসিশন। খুব সম্ভব উইলসনের অন্যতম ‘স্মরণীয়’ ভুল।
অস্ট্রেলিয়ার নেই কোনো রিভিউ। স্টোকস হিরো হওয়ার পথে, অমরত্বের ধাপে ভাগ্যটাকে পাশে পেলেন অভাবনীয় নাটকীয়তায়।
দুই রান আর এক উইকেট দূরত্বে ম্যাচে কী সব অস্বাভাবিক নাটকের মঞ্চায়ন! সপ্তাহ ছয়েক আগেই না ইয়ান স্মিথ বলেছিলেন, ‘ইউ ক্যান নট রাইট স্ক্রিপ্ট লাইক দিজ’!
হ্যাঁ, সম্ভবই না এটা। বাণী চিরন্তনী, টেস্ট ক্রিকেট অ্যাট ইটস বেস্ট।
৭.
লীচ দুটো বল ঠেকিয়ে কামিন্সের তৃতীয় বলটায় ছোটেন। ম্যাচে স্কোরস লেভেল। ব্যাটিংয়ে বেন স্টোকস, যাকে এই বিকেলে ‘অবধ্য’ বা ‘অপরাজেয়’ বলে মোটামুটি মেনেই নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্ব ক্রিকেট। কোনো অশরীরী নির্ঘাত ভর করেছে, অথবা হেডিংলির সেই তরুণ বোথাম?
অনেকটা থাপ্পড় মারার মতো বলটাকে সীমানা দড়ির পথ দেখান স্টোকস, আর তারপর মুষ্টিবদ্ধ উদযাপন। গোটা লীডস তো বটেই, পুরো বিশ্ব ক্রিকেটই তখন অভিবাদন জানানোয় উপায় খুঁজতে ব্যস্ত।
বেন স্টোকস। যিনি গ্রেনাডায় পেয়েছিলেন মারলন স্যামুয়েলসের বিদ্রুপাত্মক অভিবাদন। যিনি ঢাকার মিরপুরে পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসানের নির্বাক অভিবাদন। সেই তিনি, সেই স্টোকস এইদিন পেলেন বিশ্ব ক্রিকেটের চূড়ান্ত অভিবাদন। যে অভিবাদনে একজন চ্যাম্পিয়নের প্রতি সবিস্ময় প্রশংসা বৈ আর কিছু থাকার অবকাশ নেই!
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম ক্ল্যাসিক ম্যাচের রেশ আর মুগ্ধতা চোখে, আর কানে ভেসে আসে কমেন্ট্রিবক্সের চেনা স্বর…
‘হোয়াট অ্যান ইনিংস, হোয়াট অ্যা প্লেয়ার! টেক অ্যা বাউ বেন স্টোকস। দ্য অ্যাশেজ ওয়েল অ্যান্ড ট্রুলি অ্যালাইভ বিকজ অফ ওয়ান ক্রিকেটার, অ্যান্ড দ্যাট ক্রিকেটার ইজ বেঞ্জামিন স্টোকস। দ্য ক্রিকেটার ফর ইংল্যান্ড ইন টু থাউজেন্ড নাইন্টিন।’
৮.
কবি শহীদ কাদরী’র তোমাকে অভিবাদন, প্রিয়তমা কবিতার মতো করে যদি বলি..
সমস্ত গ্যালারী আর বিশ্বক্রিকেট
কেবল আপনাকেই চতুর্দিক থেকে ঘিরে-ঘিরে
একটানা অভিনন্দনে অভিবাদন জানাবে,
স্তুতিবানের শব্দকোষ শেষ হয়ে যাবে, তবু-
ফুরোবে না আপনাকে অভিনন্দন প্রক্রিয়া…
গ্রীষ্ম মিলিয়ে শীতের প্রকোপ বাড়বে
গাছে গাছে ডালে ডালে হারাবে সুন্দরের গান,
কিন্তু হারাবেন না আপনি,
গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত কিংবা যে কাল আসুক কিংবা
কালের গহ্বরে হোক গত
আপনি এবং আপনার এই লীডসের মহাকীর্তি
চিরটা কাল হবেন অভিনন্দিত।
অভিবাদন, অভিবাদন, এবং অভিবাদন
বেন স্টোকস, আপনাকে অভিবাদন।
এবারকার ইংলিশ গ্রীষ্মের অবিসংবাদিত সম্রাট!
আপনাকে অভিনন্দন। আপনাকে অভিবাদন।