টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি দর্শকদের মাঠমুখী করার জন্য আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৯ সালের পহেলা আগস্ট ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মাঠে গড়ায়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বেশ কয়েকটি সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ এবং চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরের ম্যাচ গুলোতে দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করা সেরা এগারো ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে সাজানো হলো রোর বাংলার ২০১৯ সালের বর্ষসেরা টেস্ট একাদশ।
১. মায়াঙ্ক আগারওয়াল (ভারত)
গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টের মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল মায়াঙ্ক আগারওয়ালের। দীর্ঘদিন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পেয়ে ৭৬ ও ৪২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালও শুরু করেছিলেন ৭৭ রানের ইনিংসের মধ্যে দিয়ে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলেও ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতককে প্রথম দ্বিশতকে রূপান্তর করার পর বাংলাদেশের বিপক্ষেও ২৪৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের পর অন্য দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করেছেন। ইতঃমধ্যে ভারতের টেস্ট ওপেনার হিসাবে জায়গা পাকাপোক্ত করা মায়াঙ্ক ২০১৯ সালে আট ম্যাচের ১১ ইনিংসে তিনটি শতক এবং দু’টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৬৮.৫৪ ব্যাটিং গড়ে ৭৫৪ রান সংগ্রহ করেছেন।
২. টম ল্যাথাম (নিউ জিল্যান্ড)
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে অপরাজিত ২৬৪ রান এবং ১৭৬ রানের ইনিংস খেলার পর নতুন বছরে নিজের প্রথম ইনিংসেও ১৬১ রানের ইনিংস খেলেন ল্যাথাম, বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্টে তিনি এই ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে কলম্বোতে ১৫৪ রান এবং নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
বছরের প্রায় পুরোটা সময় রানের মধ্যে থাকার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার ছন্দপতন ঘটে। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মাত্র একবার অর্ধশত রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তারপরও ২০১৯ সালে আট ম্যাচে তিনটি শতক এবং একটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৫০.০৮ ব্যাটিং গড়ে ৬০১ রান সংগ্রহ করেছেন।
৩. মার্নাস ল্যাবুশেন (অস্ট্রেলিয়া)
পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৮ সালে দুবাইতে ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসাবে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল ল্যাবুশেনের। নিজের অভিষেক সিরিজে আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। এরপর দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে কাটিয়ে দেন প্রায় এক বছর। এই সময়ে কাউন্টিতে ধারাবাহিকভাবে রান করছিলেন তিনি, যার দরুন ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজে তাকে ব্যাকআপ ব্যাটসম্যান হিসাবে রেখে দেয় অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টে মূল একাদশে জায়গা পাননি তিনি। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে স্টিভ স্মিথ ইনজুরিতে পড়লে ক্রিকেটের প্রথম ‘কনকাশন সাবস্টিটিউট’ হিসাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেন ল্যাবুশেন।
বদলি হিসাবে ব্যাট করতে নামা ল্যাবুশেন লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। এরপরের তিন ইনিংসেও অর্ধশতক হাঁকান তিনি। টানা চার অর্ধশতক হাঁকিয়ে দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করলেও ইনিংস বড় করতে না পারাকে অনেকে দুর্বলতা হিসাবে দেখা শুরু করেছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ১৮৫ ও ১৬২ রানের ইনিংস খেলার পর তার বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য নিয়ে আর কথা বলার সুযোগ রাখেননি। পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দু’টি শতক হাঁকানোর পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও ১৪৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বদলি ক্রিকেটার হিসাবে খেলতে নেমে বছর শেষ করেন টেস্টে বছরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসাবে। ২০১৯ সালে তিনি ১১ ম্যাচের ১৭ ইনিংসে তিনটি শতক এবং সাতটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৬৪.৯৪ ব্যাটিং গড়ে ১,১০৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
৪. স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অ্যাশেজের মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছিলেন স্টিভেন স্মিথ। দীর্ঘ বিরতির পর সাদা পোশাকে খেলতে নেমে পুরনো ফর্ম ধরে রেখেছিলেন তিনি। নিজের ফিরতি ম্যাচের দুই ইনিংসে ১৪৪ ও ১৪২ রানের দুটি অসাধারণ ইনিংস খেলে দলের জয়ে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন। লর্ডসে ৯২ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলার পথে ইনজুরিতে পড়ে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস ও হেডিংলি টেস্ট মিস করেছিলেন তিনি। ইনজুরিতে না পড়লে হয়তো ডন ব্র্যাডম্যানের এক সিরিজে ৯৭৪ রানের রেকর্ড হুমকির মুখে পড়ে যেতো।
ইনজুরির কারণে তৃতীয় টেস্ট খেলতে না স্টিভ স্মিথ ম্যানচেস্টারে চতুর্থ টেস্টে ফিরে এসে ২১১ ও ৮২ রানের ইনিংস খেলেন। সিরিজে মোট সাত ইনিংস ব্যাটিং করে তিনটি শতক এবং তিনটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ১১০.৫৭ ব্যাটিং গড়ে ৭৭৪ রান সংগ্রহ করেছেন। আগস্টে বছরের প্রথম টেস্ট খেলা স্মিথ বছর শেষ করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসাবে। তিনি ২০১৯ সালে আট ম্যাচের ১৩ ইনিংসে ৭৪.২৩ ব্যাটিং গড়ে ৯৬৫ রান সংগ্রহ করেছেন।
৫. বিরাট কোহলি – অধিনায়ক (ভারত)
বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ভারতই একমাত্র টেস্ট দল যারা ২০১৯ সালে এক ম্যাচেও পরাজিত হয়নি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ভারত সম্ভাব্য ৩৬০ পয়েন্টের মধ্যে ৩৬০ পয়েন্ট অর্জন করে চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে এবং র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থেকে বছর শেষ করেছেন। আইসিসি র্যাংকিংয়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকায়ও বিরাট কোহলি শীর্ষস্থানে অবস্থান করছেন।
বিরাট কোহলি ২০১৯ সালে আট ম্যাচের ১১ ইনিংসে ৬৮.০০ ব্যাটিং গড়ে ৬১২ রান সংগ্রহ করেছেন। শতক হাঁকিয়েছেন দু’টি এবং অর্ধশতক দু’টি। তার দু’টি শতকের মধ্যে একটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ও অপরটি বাংলাদেশের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচে। পুনেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা অপরাজিত ২৫৪ রানের ইনিংসটি তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
৬. বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন বেন স্টোকস। ২০১৯ সালে ব্যাটে-বলে, ফিল্ডিংয়ে অসাধারণ সময় কাটানো স্টোকস টেস্ট ক্রিকেটেও সফল ছিলেন। তিনি অ্যাশেজে লর্ডসে এবং হেডিংলিতে টানা দু’টি ম্যাচ বাঁচানো শতক হাঁকিয়েছিলেন, যার মধ্যে হেডিংলিতে অপরাজিত ১৩৫ রানের ইনিংস দলকে নাটকীয় জয় এনে দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮৬ রানে নয় উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে জ্যাক লিচকে সাথে এক উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। তার অপরাজিত ১৩৫ রানের ইনিংসটিকে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ইনিংসদের তালিকায় নিঃসন্দেহে বেশ উপরের দিকেই রাখা হবে।
বেন স্টোকস ২০১৯ সালে ১১ টেস্টের ২১ ইনিংসে দু’টি শতক এবং চারটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৪৫.৬১ ব্যাটিং গড়ে ৮২১ রান সংগ্রহ করেছেন। বল হাতেও বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত স্পেল রয়েছে তার। ১৫ ইনিংসে বল করে ৩৫.৪৫ বোলিং গড়ে ২২ উইকেট শিকার করেছেন। স্লিপে অসাধারণ ফিল্ডিং করা স্টোকস ক্যাচও তালুবন্দী করেছেন ১৩টি।
৭. বিজে ওয়াটলিং (নিউ জিল্যান্ড)
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাকভাবে পালন করার পরও বরাবরই আলোচনার বাইরে থেকে গেছেন নিউ জিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বিজে ওয়াটলিং। তিনি তার ক্যারিয়ারে দলের বিপদের মুখে বেশ কয়েকটি ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস খেলেছেন, তবে স্বীকৃতিটা ঠিক মিলছিল না। এ বছর ছিল ওয়াটলিংয়ের শিকল ছেঁড়ার বছর।
২০১৯ সালের আগস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোতে অপরাজিত ১০৫ রানের ইনিংস খেলার পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরবর্তী ইনিংসেই ২০৫ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি, যা নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসাবে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এই দুই ম্যাচেই নিউ জিল্যান্ড ইনিংস ব্যবধানে জয় পেয়েছিল।
বিজে ওয়াটলিং ২০১৯ সালে আট টেস্টের ১১ ইনিংসে দু’টি শতক এবং দু’টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৫৫.৯০ ব্যাটিং গড়ে ৫৫৯ রান সংগ্রহ করেছেন। উইকেটের পিছনেও সফল ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে তার ডিসমিসাল সংখ্যা ২৯টি।
৮. প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)
বর্তমান বিশ্বসেরা টেস্ট বোলার প্যাট কামিন্স ২০১৯ সালে টেস্ট ক্রিকেটে একমাত্র বোলার হিসাবে অর্ধশতাধিক উইকেট শিকার করেছেন। তিনি ২০১৯ সালে ১২ টেস্টে ২০.১৩ বোলিং গড়ে ৫৯ উইকেট শিকার করেছেন। ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন দুইবার এবং ম্যাচে দশ উইকেট শিকার করেছেন একবার। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসাবে বছর শেষ করা কামিন্সের বছরের শুরুটা হয়েছিল সিডনিতে ভারতের বিপক্ষে ১০১ রানের বিনিময়ে উইকেটশূন্য থেকে।
বছরের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিবারাত্রি টেস্ট ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রানের বিনিময়ে ছয় উইকেটসহ ম্যাচে ৬২ রানের বিনিময়ে দশ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া অ্যাশেজে ১৯.৬২ বোলিং গড়ে ২৯ উইকেট শিকার করে অস্ট্রেলিয়াকে অ্যাশেজ নিজেদের কাছে রাখতে বড় ভূমিকা পালন করেন।
৯. মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)
বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যানবেরাতে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করে ম্যাচে ১০০ রানের বিনিময়ে দশ উইকেট শিকার করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। এরপর ইনজুরির কারণে অ্যাশেজের পাঁচ টেস্টের মধ্যে চারটিতেই মাঠে নামতে পারেননি তিনি। ইনজুরি থেকে ফিরে পাকিস্তানের বিপক্ষে অ্যাডিলেইডে এবং নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পার্থে ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। বাঁহাতি এই পেসার ২০১৯ সালে আট টেস্টে ২০.৭১ বোলিং গড়ে ৪২ উইকেট শিকার করেছেন। ইনিংসে চারবার পাঁচ উইকেট এবং ম্যাচে একবার দশ উইকেট শিকার করেছেন।
১০. নিল ওয়াগনার (নিউ জিল্যান্ড)
নিউ জিল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার নিল ওয়াগনার ২০১৯ সালে মাত্র ছয় টেস্টে ১৭.৮১ বোলিং গড়ে ৪৩ উইকেট শিকার করেছেন। এই আক্রমণাত্মক পেসার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে আসছেন। দলের তৃতীয় পেসার হিসাবে খেলার পরও ইতঃমধ্যে তিনি ৪৭ টেস্টে ২০৪ উইকেট শিকার করেছেন। বলাই বাহুল্য, তার বেশিরভাগ উইকেটই এসেছে নিখুঁত বাউন্সারে।
২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা দুই টেস্টের চার ইনিংসেই তিনি তার পরিকল্পনায় অটল থেকে স্টিভ স্মিথের উইকেট তুলে নিয়েছেন। ওয়াগনার ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টে ১৬ উইকেট, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টে ১৩ উইকেট এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টে ১৪ উইকেট শিকার করেছেন।
১১. নাথান লায়ন (অস্ট্রেলিয়া)
২০১৯ সালে টেস্ট ক্রিকেটে পেসারদের সফলতার পাল্লাই ছিল ভারি। সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহকদের তালিকায় সেরা ১৫ জনের মধ্যে মাত্র একজন স্পিনার, অস্ট্রেলিয়ার অফস্পিনার নাথান লায়ন। তিনি ২০১৯ সালে ১২ টেস্টে ৪৫ উইকেট শিকার করে সেরা উইকেটসংগ্রাহকদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। ৩৩.২৬ বোলিং গড়ে ৪৫ উইকেট শিকার করা লায়ন ইনিংসে দুইবার পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন; ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজে ৪৯ রানে ছয় উইকেট এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৯ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট। স্পিনার হিসাবে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে আসতে পারতেন আফগানিস্তানের রশিদ খান, তিনি ২০১৯ সালে মাত্র তিন টেস্টে স্পিনারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ উইকেট শিকার করেছেন।