হাজারো সংশয় কাটিয়ে অবশেষে কোপা আমেরিকা ২০২১ মাঠে গড়ালো। ব্রাজিল বনাম ভেনেজুয়েলা ম্যাচ দিয়ে আসরের পর্দা ওঠার পর প্রথমদিন অনুষ্ঠিত হয়েছে দুটো ম্যাচ। ‘কোপা আমেরিকা জয়ে যারা এগিয়ে’ সিরিজের দ্বিতীয় পর্বে আজ আলোচনা করা হবে চিলি ও আর্জেন্টিনাকে নিয়ে।
আর্জেন্টিনা
লিওনেল মেসির সামনে সুযোগ এসেছিল টানা তিনটি। জার্মানির বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও পরপর দুই বছর চিলির বিপক্ষে কোপা আমেরিকা কোনোটিই শেষমেষ জেতা হয়নি। ২০১৬ সালের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের পর পেনাল্টিতে গিয়ে মেসি মিস করে ফেলেন তার পেনাল্টি শট। সে ম্যাচের পর নিজেকে জাতীয় দল থেকে সরিয়েও নিয়েছিলেন। কিন্তু সমর্থকদের ভালোবাসায় আবার আকাশী-সাদা জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন, কলম্বিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে বিশ্বকাপের মঞ্চে তুলেছেন নিজের দেশকে। অবসর ভেঙে আবার আর্জেন্টিনার হয়ে খেলে ফেলেছেন একটি কোপা আমেরিকা ও একটি বিশ্বকাপও। কিন্তু এখনও যে কিছুই জেতা হলো না নিজ দেশের হয়ে!
অবসর হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এই কোপা আমেরিকাই হয়তো তার ক্যারিয়ারের শেষ সুযোগ। মেসি কি প্রস্তুত? কোপা আমেরিকা সামনে রেখে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন বা কোচ লিওনেল স্কালোনি কি সঠিক প্রস্তুতি নিয়েছেন?
আর্জেন্টিনা দলে কমতি কোথায়? অনেকেই বলবে, সেভাবে কমতি তো চোখে ধরা পড়ে না! আসলে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলে সব থেকে বড় কমতি হচ্ছে তাদের আর্জেন্টিনা বোর্ড। তিন-তিনটি ফাইনাল হারের পর এই দলে একাধিক তরুণ প্রতিভার আগমন হয়েছে। কিন্তু তাদের ঠিকভাবে গড়ে জন্য পর্যাপ্ত যত্ন কখনোই ছিল না। এছাড়াও এই দলের পেছনে যারা কলকাঠি নাড়েন, দল নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথাই যেন নেই। দলের ভিতই যেখানে নড়বড়ে, যেখানে সাফল্য আসাও কঠিন। আর্জেন্টিনাও দলে সাফল্য নেই। এক একটি প্রতিযোগিতা আসে, শেষ হয় হতাশা আর অপমানে।
আর্জেন্টিনার বর্তমান কোচ লিওনেল স্কালোনি। হোর্হে সাম্পাওলির ব্যর্থতার পর স্কালোনিকে কোচ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি দলের দায়িত্ব নেবার পর আর্জেন্টিনা দলে বেশ কিছু বদল এসেছে বটে, কিন্তু আদতে তিনি আহামরি কোচ নন। ইউরোপে কী, খোদ আর্জেন্টিনাতেই তার বিশেষ সুনাম নেই। পাশাপাশি তার বেতনটাও বেশ কম। এজন্য বোর্ডের উপরে কোনো উচ্চবাচ্যের সাহস বা সামর্থ্য কোনোটিই নেই তার। তাই বলা যায়, জেনারেল ডিরেক্টর লুইস মেনোত্তি ও প্রেসিডেন্ট ক্লাদিও তাপিয়ার হাতের পুতুল তিনি। এমনকি তিনি যে দল ঘোষণা করেন, সেখানেও নিয়ন্ত্রণ রাখে এএফএ।
পুরো এএফএ এখনো রয়ে গেছে আদিমযুগে। এখনও আর্জেন্টিনা দলে অঘোষিত কোটা পদ্ধতি চালু আছে। স্থানীয় লিগে খেলে বলে, অসংখ্য অযোগ্য খেলোয়াড় খেলে গেছে জাতীয় দলে। রিভার প্লেট ও বোকা জুনিয়র্স থেকে খেলোয়াড় নিতেই হবে, এমন নিয়ম বহাল তৈবিয়তে এখনও চালু আছে। স্কালোনি এত দেরি করে কোপার দল ঘোষণা করলেন, তার কারণও এটাই। উপর মহল থেকে চাপ ছিল, গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানিকে দলে নিতেই হবে। অপরদিকে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আছেন দলের বাইরে। তাই শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়েছে তাকে দলে ঢোকানোর জন্য। আর আর্জেন্টিনা কোপা খেলতে ব্রাজিলে উড়ে গেছে চারজন গোলরক্ষক নিয়ে। এএফএকে নিয়ে এমন অভিযোগ আজ নতুন নয়। হয়তো এর প্রমাণও সেভাবে নেই। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্থ এই ফুটবল ফেডারেশনই আর্জেন্টিনার বর্তমান দশার অন্যতম কারণ, সেটা না বললেও চলে।
কোচ স্কালোনি ও তার ফুটবল ট্যাকটিক্সের দিকে ফিরি। জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়ে তিনি প্রচুর খেলোয়াড়কে দলে ডেকেছেন। তাদেরকে ম্যাচে নামিয়েও সামর্থ্য পরীক্ষা করেছেন। কিন্তু শেষমেষ দলে ঘুরেফিরে স্থায়ী হয়েছে বুড়োরাই। ৪-৩-২-১, ৪-২-২-২ ও ৩-৫-২ ছকে দলকে খেলালেও কোপা আমেরিকায় স্কালোনি থিতু হতে পারেন তিনজন রক্ষণের ট্যাকটিক্সে। তিনজন প্রথাগত সেন্টারব্যাক থাকবেন রক্ষণে, এরপর মধ্যমাঠের দুই পাশে লেফট-মিডফিল্ডার অথবা লেফট-উইংব্যাক হিসেবে ফুলব্যাককে নামাতে পারেন। মাঝমাঠে থাকবেন তিনজন মিডফিল্ডার, উপরে দুইজন স্ট্রাইকার। এছাড়াও ৪-৩-৩ ছকে খেলানোর সুযোগ রয়েছে, যে কৌশল তিনি কিছুদিন আগেই বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু ৯০ মিনিট শেষে ফলাফল বের করে আনতে পারেননি।
গোলরক্ষক হিসেবে থাকতে পারেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। তবে রিভারপ্লেটের গোলরক্ষক আরমানিকেও আর্জেন্টিনার গোলবারের নিচে দেখার সম্ভাবনা আছে।
রক্ষণের ডানপাশ নিয়ে সেভাবে কোনো সমালোচনা নেই। মার্কোস আকুনা ও নিকোলাস তাহলিয়াফিকো সামলাবেন লেফটব্যাক পজিশন। রাইটব্যাক হিসেবে স্কালোনি নিয়েছেন নাহুয়েল মোলিনা ও মন্টিয়েলকে। মন্টিয়েলকে বলা হয় বর্তমান আর্জেন্টিনার লিগের সেরা ফুলব্যাক। এই খেতাব নিয়েও আর্জেন্টিনা জার্সিতে অভিষেকের পর তিনি পুরোমাত্রায় ব্যর্থ। বিকল্প হিসেবে ডাক পাওয়া মোলিনা ইউরোপের মঞ্চে একেবারেই আনকোরা। ভিয়ারিয়ালের হয়ে ইউরো শিরোপা জেতা হুয়ান ফয়েথকে ডাকেননি আর্জেন্টিনা কোচ। বাছাইপর্বের এক ম্যাচে ভুলের খেসারত দিয়ে ফয়েথ কোপা দেখবেন বাড়িতে বসে।
অথচ দিনের পর দিন আর্জেন্টিনা রক্ষণকে বেহুলার বাসরঘর বানিয়ে রেখেছেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। শুধুমাত্র অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে তিনি টিকে আছেন আর্জেন্টিনার রক্ষণে। যদি এক ম্যাচে ভুলের কারণে ফয়েথের মতো খেলোয়াড়কে বাদ যান, তাহলে বিগত তিন বছর ধরে ওটামেন্ডি ও পেতজেলার আর্জেন্টিনা দলের প্রাথমিক দলেও ডাক পাওয়ার কথা নয় বৈকি। কিন্তু তারা দু’জনেই আছেন বহাল তবিয়তে। ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর ইনজুরির কারণে কোপা আমেরিকার মঞ্চে থাকবেন ও লুকাস মার্টিনেজের সঙ্গী হবেন ওটামেন্ডি। অথচ আয়াক্সের হয়ে দুর্দান্ত একটি মৌসুম পার করার পরও দর্শকের ভুমিকায় থাকতে হবে লিসান্দ্রো মার্টিনেজকে।
আর্জেন্টিনার মধ্যমাঠ তাদের অন্যতম শক্তির জায়গা। এ পজিশনে নিয়মিত হয়েছেন উদিনেসের বক্স-টু-বক্স মিডফিন্ডার রদ্রিগো ডি বল। আছেন পারেদেস, যিনি দেখভাল করবেন মধ্যমাঠের রক্ষণকাজ। এছাড়াও জিওভানি লো সেলসোর মতো ক্রিয়েটিভ মিডফিল্ডারও থাকবেন একাদশে, মেসির পাশে থেকে মধ্যমাঠ খেলা গড়ে দিতে সাহায্য করবেন তিনি।
আছেন রিয়াল বেটিসের হয়ে দুর্দান্ত মৌসুম কাটানো গিদো রদ্রিগেজ। কিন্তু মধ্যমাঠ থেকে আক্রমণ অংশের রসায়ন যিনি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারতেন, সেই বুয়েন্দিয়াকে ডাকেননি স্কালোনি। অথচ আটালান্টা থেকে সেভিয়াতে আসার পর থেকেই ফর্মহীনতায় ভুগতে থাকা এবং আর্জেন্টিনার হয়ে কালেভেদ্রে মাঠে নামা পাপু গোমেজকে দলে রেখে আলবিসেলেস্তে কোচ ‘বেঞ্চের শক্তিমত্তা বাড়িয়েছেন’!
স্কালোনি যদি ৩-৫-২ ছক ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে উপরভাগে থাকবেন লাউতারো ও মেসি। কিন্তু ৪-৩-৩ কৌশলের ক্ষেত্রে তা বদলে যেতে পারে। লাউতারো থাকবেন প্রধান স্ট্রাইকার হিসেবে। মেসি ডানে সরে গিয়ে রাইট উইঙ্গার হিসেবে মাঠে নামবেন। যদিও তিনি তার স্বভাবমতো প্লেমেকিং করবেন প্রতিপক্ষে হাফ-স্পেসে গিয়ে ও ডি-বক্সের সামনে থেকে। আর লেফট উইঙ্গার হিসেবে থাকতে পারেন স্টুটগার্টের নিকোলাস গঞ্জালেস বা পিএসজির ডি মারিয়া থেকে যেকোনো একজন। এছাড়াও বেঞ্চ থেকে আক্রমণভাগের ধার বাড়িয়ে তোলার জন্য আছেন আনহেল কোরেয়া ও হোয়াকিন কোয়েরা।
দলকে ঘিরে এএফএর রাজনীতি ও কোচের দুর্বলতা এই দলের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। আর মাঠের অনেক বিষয় তো আছেই। রক্ষণভাগ এখনো ঠিক হয়নি, অযাচিত গোল হজম করা এখনও নিত্যদিনের অংশ। আর এমন রক্ষণের সাথে গোলবারে যদি থাকেন আরমানি, তাহলে আর্জেন্টিনার কপালে শনিই অপেক্ষা করছে। এছাড়াও দলে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় থাকলেও তাদের সবার ভেতর বোঝাপড়াটা এখনও গড়ে ওঠেনি। তাই কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনাকে ফেভারিট দল হিসেবে ধরা হলেও এই দলে সমস্যা ও দুর্বলতার বিশেষ অন্ত নেই।
সম্ভাব্য একাদশ
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, মন্টিয়েল, মার্টিনেজ কুয়ার্তা, ওটামেন্ডি, আকুনা, পারেদেস, লো চেলসো, ডি পল, মেসি, লাউতারো, নিকোলাস গঞ্জালেস
যাদের দিকে নজর রাখবেন
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, পারেদেস, লাউতারো, মেসি।
চিলি
২০১৫ ও ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকায় দুর্দান্ত খেলা চিলি আর পুরনো সেই ফর্মে নেই। দলে যেমন পরিবর্তন এসেছে বেশ কয়েকটি পজিশনে, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড়কে তারা এবার পাচ্ছে না। কিন্তু দলের শক্তিমত্তা যতই কমে যাক, কোপা আমেরিকা আসলেই চিলি জেগে ওঠে নতুন শক্তিতে।
২০২১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটো ম্যাচ খেললে, কোনো ম্যাচ হারেনি তারা। তবে শেষ ১০ বছরে কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা থেকে চিলি শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকলেও সাফল্যে এগিয়ে। লা রোজাদের নতুন এই প্রজন্ম টানা দুইবার আর্জেন্টিনাকে হারিয়েই কোপা আমেরিকা শিরোপা জিতেছিল। ২০১৯ সালে আয়োজিত কোপা আমেরিকাতেও তারা তৃতীয় স্থান নির্ধারণ ম্যাচে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল। বিতর্কিত ঐ ম্যাচে হেরে গেলেও চিলি আর্জেন্টিনার বিপক্ষে লড়েছিল পূর্বের মতোই। আর এ বছরেও তাদের কোপার পথচলা শুরু হচ্ছে মেসিদের বিপক্ষে।
চলতি বছরই চিলি তাদের কোচ পাল্টে ফেলেছে। রেইনালদো রুয়েদা রিভেরার স্থলে উরুগুইয়ান কোচ মার্টিন লাসার্তে চিলির দায়িত্ব নিয়ে এ পর্যন্ত কোনো ম্যাচ হারেননি। এর মাঝে তার দল আটকে দিয়েছে আর্জেন্টিনাকেও, যদিও জিততেও পারেননি কোনো ম্যাচ। আর্জেন্টিনা ও বলিভিয়ার বিপক্ষে দুটো ম্যাচই হয়েছে ১-১ গোলে ড্র।
মার্টিন লাসার্তে তার দলকে সাধারণ ৪-২-৩-১ ছকে খেলাতে পছন্দ করেন। তবে চিলির দায়িত্ব নিয়ে তিনি ব্যবহার করছেন ৪-৪-২ ফর্মেশন। যেখানে গোলরক্ষকের দায়িত্বে থাকবেন দুইবার কোপা আমেরিকা জেতা সাবেক ম্যানচেস্টার সিটির ক্লাদিও ব্রাভো। ৩৮ বছর বয়স হলেও ব্রাভো যে এখনও লা রোজাদের গোলবার সামলানোর ক্ষমতা রাখেন, তা তিনি আর্জেন্টিনা ম্যাচেই প্রমাণ করে দিয়েছেন।
রক্ষণে নেই গনজালো জারা। কিন্তু কোপা জেতা মারিৎসিও ইসলা ও গ্যারি মেদেলরা ঠিকই আছেন। এছাড়াও তাদের সঙ্গী হিসেবে দেখা যাবে মোনাকোতে খেলা গুইয়েলমো মারিপান ও এগুয়েনো মেনাকে। বর্তমান দলটির দলের মূল দুর্বলতা এখানেই। ইসলা ও মেদেলরা ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে চলে আসলেও তাদের বিকল্প খেলোয়াড় এখনও খুঁজে পায়নি চিলি।
৪-৪-২ ফর্মেশনে মধ্যমাঠে দেখা যাকে আর্তুরো ভিদাল ও এরিক পুলগারকে। এছাড়াও চার্লজ আরাঙ্গিজ আছেন এই পজিশনে। কিন্তু ৪ জন মিডফিল্ডার ব্যবহার করলেও একাদশে তিনজন সেন্টার মিডফিল্ডারকে একসাথে খেলানোর উপায় নেই। তাই কোচকে হয়তো ভিন্ন কোনো উপায় ভেবে দেখতে হতে পারে। ক্লাব লিওনে খেলা ২৮ বছর বয়সী মেনেসেস খেলতে পারেন মধ্যমাঠের বিভিন্ন অংশে। তাই তার ভার্সেটাইলিটি কাজে দেবে ওয়াইড মিডফিল্ডার নির্বাচন করতে।
কোপা আমেরিকা শুরুর পূর্বেই চিলি বড় ধাক্কা খেয়েছে অ্যালেক্সিস সানচেজকে হারিয়ে। চোটে পড়ে গ্রুপপর্বের ম্যাচগুলো খেলা হচ্ছে না তার। তাই অ্যাগুয়ার্দো ভারগাসের সঙ্গী কে হবেন, তা নিয়েও ভাবতে হবে লাসার্তেকে।
বর্তমান চিলি দলে অন্যতম শক্তিমত্তা ভারগাস ও সানচেজের আক্রমণ। এছাড়াও থাকবে মধ্যমাঠ ও রক্ষণে ভিদাল, ইসলা ও মেদেলের অভিজ্ঞতা। পুলগার ও মারিপানের মতো ইউরোপে খেলা খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতাও সুবিধা দেবে এ দলকে। দুর্বল দিক হিসেবে বিবেচিত হবে স্কোয়াড ডেপথ ও রক্ষণ৷ কারণ, দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেবার মতো খেলোয়াড় নেই বর্তমান লা রোজাদের দলে।
তবে বরাবরই চিলি কোপা আমেরিকায় তাদের রক্ষণের উপর বাড়তি নজর দিয়ে এসেছে। আর আক্রমণেও সফলতা এসেছে ভারগাস এবং সানচেজের হাত ধরে। তেমন কোনো অঘটন না ঘটলে চিলির সহজেই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যাবার কথা। তখন আক্রমণে ফিরবেন ভারগাসও। বিগত বছরগুলোর মতো চিলি কি এবারও পারবে কোপার মঞ্চে তাদের সফলতা ধরে রাখতে? বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৩টায় এই প্রশ্নের জবাব কিছুটা হলেও পাওয়া যাবে।
সম্ভাব্য একাদশ
ব্রাভো, ইসলা, মেদেল, মারিপান, মেনা, ভিদাল, আরাঙ্গিজ, পুলগার, মেনেসেস, ভারগাস, ফেলিপে মোরা।
যাদের দিকে নজর রাখবেন
পুলগার, ভারগাস, সানচেজ।