স্পেন জাতীয় দলের মতো উত্থান-পতন গত শতাব্দীতে আর কোনো দল দেখেনি। একঝাঁক প্রতিভাবান ফুটবলার নিয়ে গত শতাব্দীর প্রথম দিকে আগমন ঘটেছিল এক অবিশ্বাস্য দলের; যে দল ইউরো জিতেছে, বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে, পুরো পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে অনিন্দ্য সুন্দর পাসিং ফুটবল প্রদর্শন করে। আবার সময়ের সাথে এই একই দল সাফল্যের চূড়া থেকে ক্রমশ নিচে নেমেছে। ব্রাজিল ও রাশিয়া বিশ্বকাপ এবং ২০১৬ সালের ইউরোর স্মৃতি তাদের জন্য এক প্রকার লজ্জাজনক।
কার্লোস পুয়োল, ভিক্টর ভালদেস, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জাভি, ডেভিড ভিয়া বা জেরার্ড পিকে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছেন এই ‘লা রোহা’দের দল থেকে। হয়তো এই ইউরোর পরই সার্জিও রামোস, বুসকেটস, জর্দি আলবাদের মতো অনেক তারকাও বুটজুতো তুলে রাখবেন। এই প্রজন্ম বিদায় নেবার সাথে সাথে স্পেন প্রবেশ করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কেন্দ্র করে এক দলের জগতে। যে দল তৈরি করার গুরুত্ব চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল রাশিয়া বিশ্বকাপ। স্পেন জাতীয় দলের জন্য এবারের ইউরো হবে সেই আগামীর প্রজন্মদের প্রথম লড়াইয়ের মঞ্চ।
লুইস এনরিকে। সাবেক বার্সেলোনা ও বর্তমান স্পেন জাতীয় দলের এই স্প্যানিশ কোচ অধিকাংশ রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের চোখের বিষে পরিণত হয়ে গেছেন। কারণ, প্রায় অর্ধশতাব্দী পর স্পেন কোনো বড় প্রতিযোগিতা খেলবে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় ছাড়াই। তবে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ইচ্ছা করে খেলোয়াড় ডাকা হয়নি, বিষয়টি ঠিক এমন নয়। ভাসকেজ, কারভাহাল ও রামোসদের মতো তারকা খেলোয়াড়রা ডাক পাননি মূলত ইনজুরির কারণে। বিপরীতে ইসকো-আসেনসিও স্পেন দলের হয়ে ডাক পাবার মতো আহামরি পারফরম্যান্স করেননি। এনরিকে যাকে একমাত্র উপেক্ষা করে গেছেন, তিনি নাচো ফার্নান্দেজ। ২০২০-২১ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সেরা সময় কাটানো নাচোকে ধরা হচ্ছিল আসন্ন ইউরোতে স্পেন দলের রক্ষণের নিয়মিত মুখ।
তবে তাকে না ডাকার পেছনেও যুক্তিগত কিছু কারণ দেখানো যায়। প্রথমত, কোচের ব্যক্তিগত মতামত। একজন কোচ অবশ্যই তার ফুটবল দর্শন ও তার পছন্দের খেলোয়াড় নিয়েই দল সাজাবেন। কেননা, একটি দলের আগাগোড়া সেই দলের কোচই সবচেয়ে ভালো বোঝেন। তাই এখানে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।
অন্য একটি কারণ হতে পারে এনরিকের ট্যাকটিক্স। সাধারণত তার দলকে তিনি ৪-৩-৩ ফর্মেশনে মাঠে নামান, যেখানে দুইজন প্রথাগত সেন্টারব্যাক ডিফেন্ডারের পাশে দুইজন ফুলব্যাক থাকেন। এই ফুলব্যাকদের রক্ষণ ও আক্রমণ দুদিকেই নজর রাখতে হয়। লেফটব্যাক পজিশনের জন্য এনরিকে ডেকেছেন আলবা ও গ্যায়াকে। দু’জনেই আক্রমণাত্মক ফুলব্যাক, ফলে রক্ষণে অংশ নেবার ক্ষেত্রে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়। তবে বর্তমান সময়ে গ্যায়া সমানতালে উভয় দিকে উন্নতি করলেও আলবা এখনও বেশ দুর্বল। তাই এখানে এমন একজন রাইটব্যাকের প্রয়োজন যিনি তিনজন ডিফেন্ডারের ব্যাকলাইন তৈরি করে খেলতে পারবেন, আবার সার্ভিস দেবেন একজন রাইটব্যাক হিসেবেও। এছাড়া মিডফিল্ডে থাকা খেলোয়াড় দিয়েও এই শূন্যস্থান কিছু মাত্রায় পূরণ করা সম্ভব।
এনরিকের রক্ষণজুটি হতে পারেন এরিক গার্সিয়া ও পাউ তোরেস। তবে রাইটব্যাক কে হবেন, তা নিয়ে বেশ ধোঁয়াশা থাকছে। দ্বিতীয় দফায় স্পেন দলের দায়িত্ব নেবার পর এনরিকের একাদশে বেশ কয়েকজন রাইটব্যাককে খেলিয়েছেন, যার সর্বশেষ সংযোজন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মিডফিল্ডার মার্কোস লরেন্তে। ডিয়েগো সিমিওনের অধীনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পজিশনে খেলা লরেন্তে একদম উপযুক্ত ভার্সেটাইল খেলোয়াড় হিসেবে ইতোমধ্যে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। রক্ষণ ও আক্রমণ উভয়দিকে পারদর্শী হলেও তিনজনের রক্ষণভাগে তিনি সেভাবে কার্যকরী নন। অন্যদিকে চেলসির ফুলব্যাক আজপিলিকেতা আক্রমণে সেভাবে পারদর্শী না হলেও একজন ফুলব্যাক হিসেবে রক্ষণ ও তিনজনের আক্রমণভাগে সমানতালে কার্যকরী। তাই মাঠের অবস্থা বা প্রতিপক্ষ বুঝে এনরিকের সামনে সুযোগ রয়েছে কৌশল পাল্টে ফেলার। একদিকে লরেন্তের ভার্সেটাইল ফুটবল, অন্যদিকে বর্ষীয়ান খেলোয়াড় আজপিলিকেতার কারণেই দারুণ মৌসুম পার করেও এনরিকের নজর কাড়তে পারেননি নাচো।
স্পেনের বহুদিনের রক্ষণ সৈনিক রামোস থাকবেন না এবারের ইউরোতে। ইনজুরি তাকে দল থেকে ছিটকে দিলেও এনরিকের হাতে আছে নির্ভরযোগ্য কয়েকটি অস্ত্র।
আইমেরিক লাপোর্ত বারবার ফ্রান্স দল থেকে উপেক্ষিত থাকার দরুণ এবার তিনি বেছে নিয়েছেন স্পেনকে। এছাড়াও রক্ষণে থাকবেন পাউ তোরেস ও এরিক গার্সিয়া। এনরিকের কৌশলে রক্ষণভাগের জুটিকে বল পায়ে পারদর্শী হতে হয়, যাতে ছোট ছোট পাসে নিজেদের ডি-বক্স থেকেই আক্রমণ গড়ে তোলা যায়। লাপোর্ত ছাড়াও তোরেস ও গার্সিয়া দু’জনের পাসিং অ্যাকুরেসি বেশ ভরসাযোগ্য। ম্যানচেস্টার সিটির গার্সিয়া বর্তমানে বেশ সমালোচিত ডিফেন্ডার হলেও এনরিকের তার উপর বেশ আস্থা রেখেছেন। এজন্যই স্পেন দলের হয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি, এবং স্পেন হয়ে তার পারফরম্যান্সও নজরকাড়া।
এছাড়াও লাপোর্ত ও তোরেস তাদের নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে নিজেদের প্রমাণ করেছেন বারবার। তাই রক্ষণে একজন সার্জিও রামোসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ছাড়া স্পেন দলের রক্ষণভাগে তেমন কোনো ত্রুটি চোখে পড়ে না। তবে রক্ষণে একজন অভিজ্ঞতার অভাব যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা না বললেও চলে। এজন্য গার্সিয়া ও তোরেসদের সঠিক দিকনির্দেশনার দায়িত্ব নিতে হবে আজপিলিকেতা-আলবাকেই।
এবার গোলরক্ষক পজিশনে আসা যাক। অনেকের ধারণা, এই পজিশন বহুদিন ধরেই অবিসংবাদিতভাবে দখল করে রেখেছেন ডেভিড ডে হিয়া। তবে কয়েক বছর ডে হিয়ার ফর্মহীন পারফরম্যান্স ও বড় ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকাকে কেন্দ্র করে এবার তার স্থান বেশ নড়বড়ে হয়ে গেছে। এনরিকের দলে এবার দেখা যেতে পারে অ্যাটলেটিকো ক্লাবের তরুণ গোলরক্ষক উনাই সিমোনকে।
মূলত ৪-৪-৩ বা ৪-১-৪-১ ফর্মেশনে খেলা দলের প্রাণ থাকে মধ্যমাঠ। এনরিকে যখন বার্সেলোনার কোচ ছিলেন, ইনিয়েস্তা-বুসকেটস-রাকিটিচের সমন্বয়ে মধ্যমাঠ ছিল সব থেকে উজ্জ্বল। কিন্তু লা রোহাদের দায়িত্ব নেবার পরে এখনও মধ্যমাঠের রসায়ন সেভাবে ফুটে ওঠেনি। কিন্তু এনরিকের হাতে মধ্যমাঠের অস্ত্র কম আছে, তাও নয়।
মধ্যমাঠের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার দায়িত্ব এবারও পালন করবেন সার্জিও বুসকেটস। শেষ কয়েক মৌসুম ধরে হতাশাজনক পারফরম্যান্স উপহার দিলেও বার্সেলোনার হয়ে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে তিনি দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন। মধ্যমাঠে বল উইনারের দায়িত্ব তো পালন করেছেনই, পুরো মৌসুমজুড়ে দারুণ সব বলও বানিয়ে দিয়েছেন মেসি-গ্রিজমানদের। বল পা থেকে হারিয়ে ফেলা ও ভুল পাস দেবার প্রবণতা বেড়ে গেলেও বুসকেটসের ডিফেন্সচেড়া পাসগুলোর সঠিক ব্যবহার করতে পারলে স্পেনের আক্রমণভাকে গোলের জন্য চিন্তা করতে হবে না। এ পজিশনে বুসকেটসের বদলি হিসেবে থাকবেন রদ্রি।
এনরিকের ফুটবল দর্শন অনুযায়ী তার এমন মিডফিল্ডার প্রয়োজন, যারা পায়ে বল রাখতে পারে। নিজেদের ভেতর বল দেয়া-নেয়া করে এগিয়ে যেতে পারবে এবং অবশ্যই তাদের পাসিং অ্যাকুরেসি ছাড়াও প্রয়োজনে রক্ষণাত্মক হয়েও উঠতে হবে। স্পেনের ২৪ সদস্যের দলে এমন অনেক খেলোয়াড়ই আছেন যারা এনরিকের এমন ফুটবলের সাথে মানানসই। কিন্তু বর্তমানে সব থেকে বড় অভাব তাদের ফর্ম ও মাঠে নিজেদের ভেতরে বোঝাপড়াতে।
লিভারপুলের মিডফিল্ডার থিয়াগো পুরোদমে এনরিকের ফুটবল দর্শনের সাথে মানিয়ে যান, কিন্তু সমস্যা তার ফর্ম। লিভারপুলের হয়েও গড়পড়তা মানের একটি মৌসুম তিনি কাটিয়েছেন। এছাড়াও আছেন কিছুটা রক্ষণাত্মক ভূমিকায় খেলা কোকে, বার্সেলোনার হয়ে দারুণ একটি মৌসুম পার করা পেদ্রি এবং নাপোলির ফাবিয়ান রুইজ। বড় মঞ্চে প্রথমবার খেলা পেদ্রি হয়তো শুরুর একদশে সবসময় থাকবেন না। তাই বুসকেটসের পাশে কিছুটা রক্ষণাত্মক হবার কারণে কোকের পাশাপাশি একজন প্রথাগত বল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে ফাবিয়ান বা থিয়াগোর থাকার সম্ভবনা বেশি।
এনরিকের স্কোয়াডে তারুণ্যের ছোঁয়া সব থেকে বেশি পেয়েছে আক্রমণভাগ। লেফট ও রাইট উইং পজিশনে তার একাদশের নিয়মিত মুখ ফের্নান তোরেস, দানি ওলমো এবং মিকেল ওইয়ারসাবাল। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে তোরেস ২৪ ম্যাচে ৭ গোল করেছেন। তবে ক্লাব ছাড়াও জাতীয় দলেই তার পারফরম্যান্স সবচেয়ে বেশি উজ্বল। জাতীয় দলে অভিষেকের পর ১০ ম্যাচে তিনি করেছেন ৬ গোল। তাই লা রোহাদের আক্রমণভাগের ডানপ্রান্তে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পারেন তোরেস।
তোরেসের পাশাপাশি বিশেষভাবে বলা উচিত দানি ওলমোর নাম। লেফট-উইং ছাড়াও প্রথাগত নাম্বার টেন হিসেবে খেলার দক্ষতা আছে তার। আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হলেও তার প্রেসিং করার দক্ষতা দুর্দান্ত। এছাড়াও প্লেমেকিংয়ের কারণে তার ক্লাব লাইপজিগে তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তাই এবারের ইউরোতে এনরিকের আক্রমণের বামপাশে বা মধ্যমাঠে দেখা যাবে দানি ওলমোকে।
ওলমোর সাথে আক্রমণের বামপ্রান্ত ভাগাভাগি করেন মিকেল ওইয়ারসাবাল। রিয়াল সোসিয়েদাদের এই উইংগার গোল করার পাশাপাশি গোল করাতেও পটু। এছাড়াও আছেন আদামা ত্রায়েরে। উলভারহ্যাম্পটনের হয়ে তেমন সাফল্যজনক মৌসুম পার না করলেও তার গতি বদলে দিতে পারে ম্যাচের গতিপথ।
এবার স্পেন দলের সবচেয়ে দুর্বল পজিশনের কথা বলা যাক। স্পেনের স্বর্ণালী সময়ে আদতে তাদের স্ট্রাইকারই লাগতো না। ফলস নাইন কৌশল ব্যবহার করে তারা রাজত্ব করেছে দীর্ঘদিন। বর্তমানে আর এই ফলস নাইন কৌশলের ব্যবহার নেই স্পেন দলে। খেলোয়াড় অপর্যাপ্ততা থাকার কারণে চাইলেও এনরিকে ফলস নাইন ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। তাই তাকে ব্যবহার করতে হবে একদম প্রথাগত স্ট্রাইকার, যার প্রধান কাজ গোল করা। কিন্তু এ পজিশনেই স্পেন এতদিন বেশ পিছিয়ে ছিল।
স্ট্রাইকার হিসেবে এনরিকে ডেকেছেন জুভেন্টাসের আলভারো মোরাতা ও ভিয়ারিয়ালের ২৯ বছর বয়সী স্ট্রাইকার জেরার্ড মোরেনো। এনরিকের প্রথম পছন্দের স্ট্রাইকার মোরাতা হলেও ইয়োলো সাবমেরিনের হয়ে মোরেনো সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ১২ ম্যাচে ৭ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করে ভিয়ারিয়ালকে জিতিয়েছেন ইউরোপা ট্রফি। তেমনই লা লিগায় ৩৩ ম্যাচে ২৩ গোল করে নিজের স্কোরিং দক্ষতা বজায় রেখেছিলেন। মোরেনোর বিপরীতে মোরাতা চ্যাম্পিয়নস লিগে ৮ ম্যাচে করেছেন ৬ গোল, জুভেন্টাসের হয়েও ৩২ ম্যাচে ১১ গোল আছে তার।
স্ট্রাইকার হিসেবে মোরাতা বেশ সমালোচিত। বড় ম্যাচে শিশুতোষ ভুল করে তোপের মুখে তিনি পড়েছেন বারবার। আর ২০১৯ সালে স্পেন দলে অভিষেক হওয়া মোরেনো স্পেন দলে যেমন নিজের ফর্ম টেনে এনেছেন, তেমনই ক্লাবের হয়ে পুরো মৌসুম টানা গোল করে গেছেন। হয়তো ইউরোর মঞ্চে মোরেনো বেশ ভালো সুযোগই পাবেন। আর যদি ক্লাবের ফর্মও টেনে আনতে পারেন, গোল নিয়ে এনরিকেকে আর মাথা ঘামাতে হবে না।
ইউরোকে সামনে রেখে এনরিকে একদম তারুণ্যনির্ভর দল সাজিয়েছেন। কিন্তু ইউরোপসেরার লড়াইয়ে একজন বর্ষীয়ান খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যমাঠে এই অভিজ্ঞতা আনতে পারবেন সার্জিও বুসকেটস। কিন্তু রামোসের ইনজুরিতে রক্ষণে নেতৃত্ব দেবার মতো কেউ থাকছে না। একই কথা প্রযোজ্য আক্রমণভাগের জন্যও। কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দল হলেও এনরিকের ভাবতে হবে মধ্যমাঠ নিয়ে। মিডফিল্ডে থাকা খেলোয়াড়ের সাথে আক্রমণভাগের যোগসূত্র না থাকলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে পুরো দল। আর ভবিষ্যৎকে কেন্দ্র করে বানানো এই দলে এমন পরিণতি এখনই কাম্য নয়।
পুর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
গোলরক্ষক: ডেভিড ডে হেয়া, রবার্তো সানচেজ, উনাই সিমোন
ডিফেন্ডার: জর্দি আলবা, হোসে গ্যায়া, পাউ তোরেস, আইমেরিক লাপোর্ত, ডিয়েগো লরেন্তে, এরিক গার্সিয়া, সিজার আজপিলিকেতা, মার্কোস লরেন্তে
মিডফিল্ডার: সার্জিও বুসকেটস, রদ্রি, কোকে, ফাবিয়ান রুইজ, পেদ্রি, থিয়াগো আলকান্তারা
ফরোয়ার্ড: দানি ওলমো, আদামা ত্রায়োরে, জেরার্ড মোরেনো, আলভারো মোরাতা, ফের্নান তোরেস, মিকেল ওইয়ারযাবাল, পাবলো সারাবিয়া
সম্ভাব্য লাইনআপ
উনাই সিমোন, জর্দি আলবা, পাউ তোরেস, এরিক গার্সিয়া, সিজার আজপিলিকেতা, সার্জিও বুসকেটস, ফের্নান তোরেস, ফাবিয়ান রুইজ, কোকে, দানি ওলমো, জেরার্ড মোরেনো।
যাদের দিকে থাকবে নজর
পাউ তোরেস, জেরার্ড মোরেনো ও ফের্নান তোরেস।