‘ফতুল্লা’ নামটাই বুকের ভেতর কেমন হাহাকার জাগিয়ে তোলে। একটু এদিক-ওদিক হলে সেখানেই যে লেখা হতো টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের আরেক মহাকাব্য-গাঁথা! অথচ সেখানেও কি না জুড়ে রয়েছে মুলতান-ট্র্যাজেডির মতোই ‘ইশ’ শব্দটা।
বিশ বছরের টেস্ট ইতিহাসে অনেক স্মৃতি এসেছে মনের মণিকোঠায় সযত্নে সাজিয়ে রাখার মতো। আর বেশিরভাগই এসেছে দুঃস্বপ্নের মতো ভুলে যাওয়ার জন্য। ফতুল্লার অবস্থান একই সাথে গৌরবে গেঁথে রাখার, আবার খানিক দুঃস্বপ্ন এসে মিটিমিটি মিলিয়ে যাওয়ার।
সেবার বাংলাদেশে অজিরা এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের ঘরের মাঠে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে। অস্ট্রেলিয়ানরা বরাবরই নামজাদা আর আভিজাত্যে ঠাসা দল। প্রতিপক্ষকে ছিড়েখুঁড়ে খেয়ে ফেলা অব্দি যারা চরম নির্দয়। বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের অবস্থান ঠিক তার বিপরীত মেরুতে। তখন বাংলাদেশের টেস্টে লক্ষ্যই ছিল যেন অভিজ্ঞতা অর্জন, একটা টেস্ট কোনোক্রমে পঞ্চম দিনে নিয়ে যেতে পারলেই জয়ের সমতুল্য উচ্ছ্বাস প্রকাশ।
***
ব্রেট লি, স্টুয়ার্ট ক্লাক, জেসন গিলেস্পি, শেন ওয়ার্ন, স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল সম্বলিত বোলারের তালিকাটা দেখেও স্বাগতিক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তে অজি অহমে বোধহয় খানিক ধাক্কা খেল! প্রথম দিনের শেষে বাংলাদেশের ৫ উইকেটে ৩৫৫ রান সেই ধাক্কারই প্রাথমিক প্রতিবিম্ব বৈকি। এই স্কোরবোর্ড যদি ভ্রম তৈরি করে, ‘স্বপ্ন নয় তো?’ ভাবনার উপলব্ধি ঘটায়, তাৎক্ষণিক একটা চিমটি কাটা স্পর্শ আপনাকে জানান দিয়ে দেয়, এটা আসলে স্বপ্নপূরণের দিন।
প্রভাত নাকি দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয়। প্রথম কয়েক বলে শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাটিংয়ে ঠিক সেরকমই ইঙ্গিত মিলেছিল। তবে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার উপায় ছিল না, চার টেস্টের আট ইনিংসে একটিমাত্র ফিফটির অভিজ্ঞতাই যে সম্বল!
দিনের প্রথম চারটা সেই নাফীসের ব্যাট থেকেই আসে। অপর প্রান্তে জাভেদ ওমর সহজাত রক্ষণাত্মক ঢংয়ে খেলবেন, এমনটাই ভাবনা। সেই জাভেদ ওমর পঞ্চম ওভারের শেষ বল থেকে ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে চমৎকার টাইমিং আর পায়ের দুর্দান্ত কারুকার্যে চার মেরে যেন পুরো দিনের চিত্রটা এঁকে দিলেন।
শেন ওয়ার্ন ততদিনে লেগ স্পিন জাদুতে টেস্টে ৬৭৪ উইকেটের পর্বত ছুঁয়েছেন। তখন পর্যন্ত একবারও ওয়ার্নের মুখোমুখি না হওয়া নাফীস নিশ্চয়ই সেসবের কিছু দৃশ্য টিভিতে দেখে অভিভূত হয়েছেন!
তবে বাইশ গজে প্রবেশের পরমুহূর্তেই সেসব যে তুচ্ছ, সদ্য কুড়িতে পা দেওয়া নাফীস নিশ্চয়ই জানতেন। তাই তো হাবিবুল বাশারের সঙ্গে মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে দেওয়া ১৮৭ রানের জুটিতে একেকটা সুইপ শটে অবলীলায় ওয়ার্নকে বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন। সেই ওয়ার্নকে চার মেরে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তো বটেই, টেস্ট জগতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটাও সেরে ফেললেন নাফীস। ঘড়িতে তখন বেলা ২ টা বেজে ১২ মিনিট।
হাবিবুল বাশারও শটের ফুলঝুরি ছুটিয়ে আপনাকে এক পশলা মুগ্ধতায় ডুবিয়ে বিদায় নিলেন ‘প্রশ্নবোধক চিহ্ন’ রেখে যাওয়া এক শটে। ওয়ার্ন কি তার সুদূরতম কল্পনায়ও ভেবেছিলেন, নাফীস নামে ‘পুঁচকে’ ছেলেটার ১৩৮ রানের ইনিংসটায় ১৯ চারের দশটাই তার উপর দিয়ে যাবে? ওয়ার্নের দুঃস্বপ্নে নাকি শচীন আসতেন নিয়মিত। সেই রাতে শাহরিয়ার নাফীসও এক ঝলক এসেছিলেন কি?
***
দ্বিতীয় দিনে রাজিন সালেহ যেন জানান দিতে নেমেছিলেন, কেন তাকে টেস্টের ‘নেক্সট বিগ থিং’ মনে করা হচ্ছে। অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ৩৫০তম ডিসমিসালের শিকার হয়ে খালেদ মাসুদ পাইলটের বিদায়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটি যখন ভাঙে, বাংলাদেশের রান তখন ৩৯৮। একপাশে রাজিন সালেহ তখনও মাটি কামড়ে টিকে রয়েছেন।
খালেদ মাসুদের বিদায়ের পর ‘টিপিক্যাল’ টেল-এন্ডার এক শটে মোহাম্মদ রফিক বোল্ড। তাতেই এলো ক্যারিয়ারজুড়ে শেন ওয়ার্নের ছায়াতলে পড়ে থাকা স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের আরেকটি ফাইফার। রাজিন সালেহ’র ২৮৪ মিনিটে ৩৩ স্ট্রাইকরেটে ২০৩ বলে ৬৭ রানের ইনিংসটায় জৌলুস ছিল না, কিন্তু ছিল নিখাঁদ টেস্ট ব্যাটিংয়ের সব উপকরণ। স্কোরবোর্ডে শেষ চার ব্যাটসম্যানের অবদান মাত্র ১৫ রান। ম্যাচের সেরা তো বটেই, ম্যাকগিল থেমেছেন ক্যারিয়ারসেরা ১০৮ রানে ৮ উইকেট নিয়ে। বাংলাদেশের রোমাঞ্চ থামে ৪২৭ রানে।
ম্যাচের আগে ক্রিকেটবিশ্বের চারদিক থেকে ধেয়ে আসছিল সমালোচনার ঝড়। কুলীন ফরম্যাটে বাংলাদেশের জায়গা তখন প্রশ্নবিদ্ধ। প্রাথমিক অবস্থা সামাল দিতে আলোড়ন তুলে দেওয়া একটা আবহের দরকার ছিল। প্রথম ইনিংসে সেই কাজটা একেবারে ঠিকঠাক করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
***
সবেমাত্র একটি টেস্ট জেতা একটা দল, মহাপরাক্রমশালী অজিদের বিপক্ষে অমন হেসেখেলে রান করা, চাপে ফেলে অজিদের কাবু করা। অজিরা বোধহয় তখনো বিস্ময়ের ঘোর আর অহমের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারে নাই। তাই কি না স্কোরবোর্ডে রানের সংখ্যাটা তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ছয়-ছয়জন অজি ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে যান।
ওই টেস্টেই বাংলাদেশের অনেক স্মরণীয় মুহূর্তের আরেকটির জন্ম… স্পিনে সিদ্ধহস্ত মাইকেল ক্লার্কের ব্যাট-প্যাড ফাঁকি দিয়ে বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়রের স্বপ্নীল এক ডেলিভারিতে স্ট্যাম্প ভেঙে দেওয়া ডেলিভারি। তবে যা হওয়ার কথা ছিল বিজয়ের চিত্র, কে জানতো, সেটাই হতে চলেছে আফসোসের আবরণ!
অজিদের সামনে ফলোঅন তখন চোখ রাঙাচ্ছে। তবে অজিরা যে সহজেই হাল ছাড়ার পাত্র নয়, সেটা বুঝিয়ে দিতেই বোধকরি কমেন্ট্রি বক্স থেকে আতাহার আলী খানের ওই ভাষ্য,
“Tough times, but no doubt in my mind that they are very much capable of coming out this pressure situation.”
আতাহার আলী খানের কথা রাখতে কি না টেস্ট ক্যারিয়ারে ৯৬.৬৪ স্ট্রাইকরেটের গিলক্রিস্ট অমন খোলসে ঢুকে খেলেন স্বভাববিরুদ্ধ এক ইনিংস। ছয় উইকেটের পর লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ইনিংসে গিলক্রিস্ট জুটি এগিয়েছেন ব্রেট লি’র সাথে ১৮.৩ ওভার, গিলেস্পির সাথে ২৬.৫ ওভার এবং শেষ দুই ব্যাটসম্যান স্টুয়ার্ট ক্লার্ক ও স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের সাথে ১২ ওভার। তাতেই ফলোঅনের সব শঙ্কা সুদূর তাসমান সাগরে ছুড়ে দিয়ে ১৫ চার ৬ ছয়ে গিলক্রিস্টের সময়োপযোগী এবং ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ১৪৪ রানের ইনিংস। বাঁহাতি স্পিনারের কারখানায় বড় মঞ্চের প্রথম পথিকৃৎ মোহাম্মদ রফিক, ক্যারিয়ারে সপ্তমবার পাঁচ উইকেট নেন তাতে খরচা করেন ৬২ রান। অজিরা প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানে পিছিয়ে থেকে থামে ২৬৯ রানে।
***
‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।’
একটা বড় স্কোরের সাথে বাকিদের ছোট ছোট অবদানগুলো মিলিয়ে প্রথম ইনিংসে অজিদের সামনে অমন বিশালাকার একটা স্কোর দাঁড় করানো সম্ভবপর হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে এই প্রবাদটা মানতে না পারাতেই কি না বাংলাদেশের এমন বেহাল দশা। তবে শুরুটা হয়েছিল প্রথম ইনিংসের মতো একই দৃশ্য মেনে। স্কোরবোর্ডে ৪১ রান নিয়ে যখন তৃতীয় দিনের চা-বিরতির ডাক পড়লো, উইকেটের ঘরে সংখ্যাটা শূন্য। বিরতিটাই বাগড়া বাঁধিয়েছে কি না, বেশিক্ষণ আর টিকলেন না জাভেদ ওমর। প্রথম ইনিংসে দু’জনের জুটি থেকে তিন রান কমে ভাঙলো ওপেনিং জুটি।
এরপরে শুরু আসা-যাওয়ার এক লম্বা স্রোত। সেখানে ১১৮ বলে ৩৩ রানের ইনিংসটা দিয়ে স্রোতে বাঁধ দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন রাজিন সালেহ, যার শেষ প্রথম ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকা শেন ওয়ার্নের ঘূর্ণিফাঁদে পড়ে। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪৮ রানে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং চিত্র যেভাবে এগিয়েছে, দ্বিতীয় ইনিংসে অজিদের বোলিং এগিয়েছে ঠিক একই তালে। হাত ঘুরানো এক মাইকেল ক্লার্ক বাদে বাকি সবাই মিলে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন টাইগারদের দশ উইকেট।
***
অজিদের সামনে টার্গেট ৩০৭ রানের। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে যেটিকে নির্দ্বিধায় ‘বিশাল’ বলাই যায়। তবে অজিরা হারার আগে হারে না, এটা জানান দিতেই কি না দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাথু হেইডেনের সঙ্গে রিকি পন্টিংয়ের ১০৯ রানের জুটি। তার আগে মাইক হাসির সাথে হেইডেনের জুটিও জমে গিয়েছিল। সেটিই মূলত টাইগারদের উড়ন্ত মানসিকতার উপর প্রথম বড়সড় একটা ধাক্কা দেয়।
হেইডেনের রানআউটে ১০৯ রানের জুটি যখন ভাঙে, অজিদের স্কোর তখন ১৭৩ রানে ২ উইকেটে। ডেমিয়েন মার্টিন শেষের বাজনা বাজাচ্ছেন, এমন সময় আবারও রফিকের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলেন। রফিক খেলাটা জমিয়ে দিলেন টানা আরো তিন উইকেট নিয়ে, অস্ট্রেলিয়া পরিণত হলো ২৩১ রানে ৬ উইকেটের দলে।
তখনও অজিদের পাড়ি দিতে হবে ৭৬ রানের ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার’। অস্ট্রেলিয়ান প্রতাপ জানান দিতে একপাশে তখনও ‘গলার কাঁটা’ হয়ে অবিচল অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং। অতিমানবীয় ইনিংসটার পূর্ণতা দিতে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে গেলেন ব্রেট লি’কে। টাইগার ক্রিকেটারদের কাটা ঘা’য়ে নুনের ছিঁটে দিয়ে ব্রেট লি খেললেন ৭৪ বলে ২৯ রানের মহামূল্যবান এক ইনিংস, অধিনায়ককে যোগ্য সঙ্গত দেয়ার কাজটা করলে দারুণভাবে।
লি আউট হয়ে যাওয়ার পর অজি মর্যাদা আর সাম্রাজ্যের পিঠে আঘাত লাগতে না দেয়ার বাকি ৩০ রানের দূরত্বটা পন্টিং সম্পূর্ণ করেছেন জেসন গিলেস্পিকে সাথে রেখে। মোহাম্মদ রফিক নিঃসঙ্গ দোতারা বাজাতে গিয়ে নিঃস্তব্ধতায় ডুবেছেন। তার দ্বিতীয় ইনিংসের চার উইকেট হয়ে থাকলো একাকীত্বের প্রলাপ।
***
এই টেস্টটা যেন আরেকবার বুঝিয়ে দিয়ে গেল, চ্যাম্পিয়নরা কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, আর বড় মঞ্চে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকা দলগুলো কীভাবে বারেবারে ‘এত কাছে, তবু এত দূরের’ হৃদয়বিদারক দৃশ্যগুলোর সামনাসামনি হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে।
টেস্ট নম্বর ১৭৯৭, বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া, ফতুল্লা, ৯-১৩ এপ্রিল, ২০০৬। ক্রিকেটের ইতিহাসে লেখা থাকবে, ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়া জিতেছে তিন উইকেটে। এখানে লেখা থাকবে না সদ্য কৈশোর পেরোনো নাফীসের অমন দাপুটে আর্বিভাবে অজিদের নাড়িয়ে দেওয়ার গল্প। লেখা থাকবে না চারদিকের ধেয়ে আসা তীক্ষ্ণ বাক্যগুলো সামলিয়ে এই টেস্ট কীভাবে বনেদী ফরম্যাটে খড়কুটো ধরে টিকে থাকার টনিক দিয়েছিল।
পরক্ষণেই আপনি ভাববেন, ‘ইশ, মাশরাফি যদি পন্টিংয়ের ক্যাচটা ধরে ফেলতেন! যদি দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোরবোর্ড আরেকটু সতেজ করা যেত!’
তবে দিনশেষে এসব কেবলই আফসোসের নিদারুণ বিভ্রম। জীবনের মতো ক্রিকেটের ময়দানও বড্ড অমোঘ বিধান মেনে চলে, ‘যেটা চলে যায়, সেটা আর ফিরে আসে না।’ তাই তো মুলতান রূপকথার কাব্য হয়ে ফিরে আসেনি, এসেছে বাংলাদেশের ট্র্যাজেডির গল্প হয়ে। সম্ভাবনার বাতি জ্বালিয়ে নিভে যাওয়া ফতুল্লাও ফিরে আসেনি জয়ের মশাল জ্বেলে।
তবু মুলতান-ফতুল্লা ফিরবেই। কিছু সুখস্মৃতি হয়ে ফিরবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে চিরঅম্লান আবেগের রেণু ছড়াতে, স্মরণীয় চিত্র হয়ে ফিরবে মুহূর্তের খোরাক জোগাতে। আর লোকের মুখে মুখে ফিরবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের চিরকালীন লোকগাথায় ঠাঁই পেয়ে যাওয়া গল্প হয়ে। গল্পগুলো না হয় এভাবেই ফিরে আসুক প্রতিবার, ক্ষতি কী!