সুইডেনের বিপক্ষে টনি ক্রুসের অসাধারণ সেই ফ্রি কিকে জার্মানি যখন জিতলো তখন মোটামুটি সবাই ভেবে নিয়েছিলো জার্মানরা বুঝি চ্যাম্পিয়নদের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ধারাটা ভেঙ্গেই ফেললো। কারণ ওই ম্যাচে জয়ের পর জার্মানির রাউন্ড অফ সিক্সটিনে যাওয়ার জন্য গ্রুপের দুর্বলতম দল দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জয়ই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে জার্মানির ২-০ গোলের অপ্রত্যাশিত হারে সব সমীকরণ উল্টেপাল্টে গিয়েছে। গত ৮০ বছরে যা হয়নি এবার সেটাই হলো, গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো জার্মানদের। অন্যদিকে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই রাউন্ড অফ সিক্সটিন নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। গ্রুপ ই ও গ্রুপ এফ এর শেষ রাউন্ডের নাটকীয় চারটি ম্যাচ নিয়েই আজ আলোচনা করা হবে।
এ কেমন জার্মানি?
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জার্মানির হারের পর এই কথাটাই সবার মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। সত্যিই তো, ২০০৪ ইউরোতে ভরাডুবির পর নতুনভাবে গড়ে ওঠা জার্মান দলের যে দাপট দেখে সবাই অভ্যস্ত তার সাথে এই বিশ্বকাপে জার্মানির পারফর্মেন্সে যে ছিটেফোঁটা মিলও নেই! বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রীতি ম্যাচগুলোতেও জার্মানিকে বেশ ছন্নছাড়া লেগেছিলো, তখন সবাই ভেবেছিলো প্রীতি ম্যাচ বলেই হয়তো জার্মানরা নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে না। তবে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর কাছে ০-১ গোলে হারার পর সবার টনক নড়ে যায়। ফলাফলের চেয়েও ভয়ের ব্যাপার ছিল সেই ম্যাচে মেক্সিকোর কাউন্টার অ্যাটাকগুলো সামলাতে গিয়ে জার্মান ডিফেন্ডাররা বারবার দিশেহারা হয়ে যাচ্ছিলো। তবে সুইডেনের সাথে বাঁচা মরার ম্যাচে ২-১ গোলের নাটকীয় জয় পাওয়ার পর মনে হচ্ছিলো, আর যা-ই হোক, অন্তত গ্রুপপর্বের বাঁধাটা পার হতে পারবে জার্মানি।
সেই বাঁধা পার হওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জার্মানদের জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। অন্যদিকে আগের দুই ম্যাচে হেরে দক্ষিণ কোরিয়ার বিদায় প্রায় নিশ্চিত, যতটুকু সম্ভাবনা বেঁচে ছিল তা স্রেফ কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ ছিল। তাই কোরিয়ানদের এ ম্যাচ থেকে হারানোর কিছুই ছিল না। কিন্তু জার্মানির মতো পরাশক্তির বিপক্ষে কিছু করতে পারলে বিদায়টা অন্তত সম্মানজনক হবে- এটা কোরিয়ানরা ভালোভাবেই জানতো। সুইডেনের বিপক্ষে নামানো একাদশে পাঁচ পরিবর্তন এনে দল সাজান জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো। গত দুই আসরে জার্মানির সেরা খেলোয়াড় থমাস মুলারকে এদিক মূল একাদশে রাখেননি জার্মান বস! পাঁচ পরিবর্তন আনলেও জার্মানি অবশ্য তাদের সেই চিরচেনা ৪-২-৩-১ ফর্মেশনেই খেলতে নেমেছিলো। আর দক্ষিণ কোরিয়া খেলতে নেমেছিলো ৪-৪-২ ফর্মেশনে।
খেলার শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকে ডাই ম্যানশাফটরা, সিংহভাগ সময়ে জার্মানির পায়েই বলের দখল ছিল। কিন্তু ডিবক্সের সামনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিলো জার্মানির ফরোয়ার্ডরা, তাই সেভাবে গোলের সুযোগও তৈরি হচ্ছিলো না। উল্টো কোরিয়ানরাও সেটপিস থেকে পাওয়া সুযোগে জার্মানিকে কাঁপিয়ে দিচ্ছিলো। খেলার ২০ মিনিটে এমনই এক ফ্রি কিক নয়্যারের হাত ফসকে বের হয়ে গিয়েছিলো, তাৎক্ষণিক দক্ষতায় সেই যাত্রায় জার্মানিকে বাঁচিয়ে দেন নয়্যার। প্রথমার্ধের ৩৯ মিনিটে কর্ণার থেকে জটলার মধ্যে বল পেয়ে যান ম্যাট হামেলস, কিন্তু কোরিয়ার গোলরক্ষক হ্যুন-উ জোকে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য পুরোদমে ঝাঁপিয়ে পড়ে জার্মানি, ৪৭ মিনিটে সুযোগও এসে গিয়েছিলো। কিন্তু ডিবক্সে ফ্রি হেডার পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন গোরেতজকা।
এর মধ্যেই খবর চলে আসে এফ গ্রুপের আরেক ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে গোল পেয়ে গিয়েছে সুইডেন, অর্থাৎ পরের রাউন্ডে যেতে হলে জার্মানিকে জিততেই হবে, ড্র হলেও হবে না। এই খবর আসার পরপরই গোল করার সবচেয়ে সহজ সুযোগটি জার্মানি পেয়েছিলো। কিন্তু হায়! টিমো ভের্নারের শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে জোয়াকিম লো সামি খেদিরার মতোন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে উঠিয়ে মারিও গোমেজকে নামান যাতে আক্রমণের ধার বাড়ে। গোমেজ সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন কোরিয়ার গোলরক্ষক। খেলার ৮৭ মিনিটে আবারো ডিবক্সে ফ্রি হেডার মিস করে জার্মানি, এবারের খলনায়ক ম্যাট হামেলস।
নাটকের মূল অংশটা মঞ্চায়িত হয় ইনজুরি সময়ে, কিম ইয়াংয়ের করা গোল প্রথমে রেফারি অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন। কিন্তু পরে রিপ্লেতে দেখা যায় যে কিম অফসাইড পজিশনে থাকলেও তিনি যে পাস থেকে গোল করেছেন সেটা তার কোনো সতীর্থের পা থেকে আসেনি! জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের ব্যাকপাস সুলের পা ছুঁয়ে কিমের কাছে এসেছিলো। রিপ্লে দেখে গোলের সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন রেফারি। এই গোলের পর জার্মানির বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু দলটা জার্মানি, তাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে অল আউট অ্যাটাকে চলে যায় তারা। এমনকি গোলরক্ষক নয়্যারও গোলবার ছেড়ে আক্রমণে যোগ দিয়েছিলেন।
কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হলো। নয়্যারের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে শট করে দেন কোরিয়ার জু সে-জং, সেই শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হচ্ছিলো। কিন্তু সন হিউং-মিন তা হতে দেননি। তার করা গোলেই জার্মানির কফিনে শেষ পেরেকটি লেগে যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেবে জার্মানি- এমন কথা বিশ্বকাপ শুরুর আগে কয়জন ভেবেছিলো? দীর্ঘ ৮০ বছর পর আবারো প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিলো জার্মানি। আর জার্মানির এই বিদায়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের দুর্দশার গল্প আরেকটু দীর্ঘায়িত হলো। ২০০২ এ ফ্রান্স, ২০১০ এ ইতালি আর ২০১৪ এ স্পেনের পর সেই তালিকায় যোগ দিলো জার্মানি। মাঝে ২০০৬ সালে ব্রাজিলই শুধু এই ফাড়া কাটাতে পেরেছে, অর্থাৎ শেষ পাঁচবারের চারবারই বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা বিদায় নিয়েছে গ্রুপপর্ব থেকে!
গ্রুপের অন্য ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে সুইডেনের জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। খেলার শুরুটাও সেভাবেই হয়েছিল, আগের দুই ম্যাচে দারুণ খেলা মেক্সিকোকে চেপে ধরে সুইডিশরা। তবে প্রথমার্ধে কোনো দলই আর গোল পায়নি। খেলার মোড় ঘুরে যায় দ্বিতীয়ার্ধে, ৫০ মিনিটে ভিক্টর ক্ল্যাসেনের পাস থেকে লুদভিগ আগুস্তিনসনের গোলে ১-০ তে এগিয়ে যায় সুইডেন। ৬২ মিনিটে সুইডিশ ফরোয়ার্ড মার্কোস বার্গকে ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সুইডেনের অধিনায়ক গ্রাঙ্কভিস্ট। ৭৪ মিনিটে এডসন আলভারেজের আত্মঘাতী গোলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় সুইডেনের। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা মেক্সিকো তখন ঘোর বিপদে, কাজান এরিনায় কোরিয়ার বিপক্ষে জার্মানি জয় পেলেই মেক্সিকানদের বিদায় ঘণ্টা বেজে যেত। কিন্তু জার্মানির সেই অপ্রত্যাশিত হারে সুইডেনের কাছে ৩-০ গোলে হেরেও গ্রুপ রানার্স আপ হিসেবে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করে মেক্সিকানরা। আর জার্মানিকে ঘরে ফিরতে হয় গ্রুপের সবচেয়ে তলানীতে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করার এক লজ্জাজনক অভিজ্ঞতা নিয়ে।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোতে ব্রাজিল
শেষ রাউন্ডের আগে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল ব্রাজিল। কারণ গ্রুপ এফ থেকে জার্মানির গ্রুপ রানার্স আপ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে ব্রাজিলকে রাউন্ড অফ সিক্সটিনেই জার্মানির মুখোমুখি হতে হতো। কিন্তু জার্মানির বিদায়ে সব শঙ্কা হাওয়ায় উবে যায়, সার্বিয়ার বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামে ব্রাজিল। অন্যদিকে পরের রাউন্ডে যেতে হলে সার্বিয়াকে এ ম্যাচে জিততেই হতো। তাই তারাও কিছুটা আক্রমণাত্মক ফর্মেশনে খেলতে নামে। ব্রাজিল তাদের আগের ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিত রেখে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে খেলা শুরু করে। অন্যদিকে সার্বিয়া তাদের চিরচেনা ৪-২-৩-১ ফর্মেশন নিয়েই মাঠে নামে।
খেলার শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় ব্রাজিল, ইনজুরির কারণে মাত্র ১০ মিনিটে মাঠের বাইরে চলে যান মার্সেলো। তবে এই ইনজুরি ব্রাজিলের খেলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং মার্সেলোর বদলে খেলতে নামা ফিলিপ লুইস মাঠে নামার পর থেকেই চমৎকারভাবে সবকিছু সামলাতে থাকেন। ম্যাচে ব্রাজিলের দাপট স্পষ্ট ছিল, গোলের সুযোগও তারা পাচ্ছিলো। কিন্তু জেসুস আর নেইমারের গোল মিসে গোলের দেখা আর সেলেসাওরা পাচ্ছিলো না। অবশেষে ৩৬ মিনিটে সার্বিয়ার ডিফেন্স ভাঙতে সক্ষম হয় ব্রাজিল। মাঝমাঠে বল যখন কৌতিনহোর পায়ে তখন তিনি পাউলিনহোর ডিবক্সের দিকে দৌড়টা লক্ষ্য করেন। কৌতিনহো তাই লব থ্রু বাড়িয়ে দেন পাউলিনহোর দিকে। বিপদ দেখে সার্বিয়ার গোলরক্ষক স্টয়কোভিচ এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু পাউলিনহোর বুদ্ধিদীপ্ত চিপ শট গোলরক্ষককে পরাস্ত করলে ১-০ তে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ব্যবধানটা প্রথমার্ধেই দ্বিগুণ হতে পারতো, কিন্তু নেইমারের শট গোলবারের উপর দিয়ে গেলে সে যাত্রায় আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি সেলেসাওরা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সার্বিয়া। পুরো ম্যাচে সার্বিয়ার লক্ষ্য ছিল উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে ক্রস থেকে গোল আদায় করা। কিন্তু গোলবার থেকে বের হয়ে এসে সার্বিয়ার সব ক্রস ক্লিয়ার করে দিয়ে সেই পরিকল্পনা মাটি করে দেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক এলিসন। তবে ৬২ মিনিতে এই কাজ করতে গিয়ে দলকে বিপদেই ফেলে দিয়েছিলেন এলিসন। তার পাঞ্চ থেকে বল সার্বিয়ার স্ট্রাইকার মিত্রোভিচের পায়ে চলে গিয়েছিলো। কিন্তু মিত্রোভিচের নেওয়া শট থিয়াগো সিলভার গায়ে লেগে ফিরে এলে তাড়াতাড়ি বল নিজের আয়ত্বে নিয়ে নেন এলিসন। এরপর আবারো সার্বিয়া সুযোগ পায়। তবে সে যাত্রায় মিত্রোভিচের হেডার ঠিকঠাকভাবে তালুবন্দী করেন এলিসন। সার্বিয়ার এই দাপট দেখে টিটে ৬৬ মিনিটে পাউলিনহোর বদলে ফার্নান্দিনহোকে নামান। এরপরই খেলার নিয়ন্ত্রণ আবারো ব্রাজিলের কাছে চলে আসে। ৬৮ মিনিটে নেইমারের কর্ণার থেকে ফ্রি হেডারে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন থিয়াগো সিলভা।
এই গোলের পর সার্বিয়া আর খেলায় আর ফিরতে পারেনি। বাকিটা সময় ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা নিজেদের মধ্যেই বলের আদান প্রদান করে খেলতে থাকে। বেশ কিছু সুযোগও তৈরি হয়েছিলো, কিন্তু সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে নেইমার, জেসুসরা ব্যর্থ হওয়ায় ২-০ গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ব্রাজিলকে। তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই রাউন্ড অফ সিক্সটিন নিশ্চিত করলো ব্রাজিল, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ এফ গ্রুপের রানার্স আপ মেক্সিকো।
ই গ্রুপের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলো কোস্টারিকা ও সুইজারল্যান্ড। আগের দুই ম্যাচে হেরে বিদায় নিশ্চিত হলেও এ ম্যাচে দারুণ খেলা উপহার দেয় কোস্টারিকা। প্রথমার্ধে দুবার বল গোলপোস্টে না লাগলে এগিয়ে যেতে পারতো কোস্টারিকাই। তবে ৩১ মিনিটে এমবোলোর হেড থেকে পাওয়া বলে গোল করে সুইসদের এগিয়ে দেন ব্লেরিম জেমাইলি। গোল খেয়ে অবশ্য দমে যায়নি কোস্টারিকা, দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পর আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় কোস্টারিকা। ৫৬ মিনিটে সেটার ফলও তারা পেয়ে যায়। জোয়েল ক্যাম্পবেলের নেওয়া কর্ণার থেকে হেড করে কোস্টারিকাকে সমতায় ফেরান কেন্ডাল ওয়াস্টন।
এরপর সুইসরা আবারো আক্রমণের ধার বাড়ায়। ৭৮ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ইয়োসিফ দ্রিমিচের নেওয়া শট বারে লেগে ফিরে আসে। তবে ৮৮ মিনিটে ডেনিস জাকারিয়ার অসাধারণ এক পাস থেকে গোল করে সেই ইয়োসিফ দ্রিমিচই দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন। তবে নাটকের শেষ অংশটা তখনো বাকি। ৯৩ মিনিটে জোয়েল ক্যাম্পবেলকে পেনাল্টি বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় কোস্টারিকা। ব্রায়ান রুইজের নেওয়া পেনাল্টি গোলপোস্টে লেগে ফিরে এলেও তা সুইস গোলরক্ষক সোমারের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ফলে চরম নাটকীয় ম্যাচটি শেষ হয় ২-২ গোলে। এই ড্র এর ফলে তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে রাউন্ড অফ সিক্সটিনে পা রাখলো সুইজারল্যান্ড, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ এফ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন সুইডেন।
ফিচার ইমেজ : cbs news