স্পেনের মাদ্রিদে এ মাসেই শুরু হচ্ছে ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট। দাবা-দুনিয়ায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের পরপরই চলে আসে যে টুর্নামেন্টটির নাম, সেটিই ক্যান্ডিডেটস! অনেক বোদ্ধা তো আবার আরেকধাপ এগিয়ে বলেই বসেন বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের থেকেও কঠিন ক্যান্ডিডেটস জেতা। আর তা হবে নাই বা কেন, যেখানে আপনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে শুধু একজনকে হারালেই চলে, সেখানে ক্যান্ডিডেটসে নিজের সমান শক্তিমত্তার আরও ৭-৮ জনের সাথে লড়ে জিততে হয়।
আচ্ছা কীভাবে এলো এই ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট? কবে এর শুরুটা হয়েছিল? পূর্বে ক্যান্ডিডেটসে কে কেই বা জিতেছিলেন? সব কিছু জেনে নেবো আমরা এই আর্টিকেলে। করোনা বিপত্তিতে ১১তম ক্যান্ডিডেটস দুই বছরে অর্ধেক অর্ধেক করে হওয়ায় ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেল একটু পিছিয়ে পড়ে। এবারে মাদ্রিদের প্যালেস অফ সান্তোনাতে বসছে ক্যান্ডিডেটসের ১২তম আসর। আর বিজয়ীর সাথে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ম্যাগনাস কার্লসেনের খেলা পড়বে ২০২৩ সালে। ১৬ জুন থেকে ৫ জুলাই ২০২২ ফিদের বেঁধে দেয়া এই সময়সূচীর ভেতর শেষ হবে এবারের ক্যান্ডিডেটস। আজকে আমরা জানবো ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টের আগাগোড়া ইতিহাস।
রাশিয়া, কিংবা আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে সোভিয়েত ইউনিয়ন, বরাবরই ছিল দাবায় অগ্রগামী। দাবায় সোভিয়েত আধিপত্য বুঝতে হলে ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টের ফলাফল দেখাই যথেষ্ট। ১৯৯১ সালের আগে যে ছয়টি ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়েছে, তার প্রতিটিতেই বিজয়ী হয়েছেন কোনো না কোনো সোভিয়েত গ্র্যান্ডমাস্টার! ইতিহাসে মাত্র চারজন দাবাড়ু ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট জয়ের পর চ্যাম্পিয়নশিপেও বিজয়ী হন। তাদের ছবি ফিচার ইমেজে দেখতে পাচ্ছেন, বাঁ থেকে ভাসিলি স্মিস্লভ, মিখাইল তাল, তিগ্রান পেত্রসিয়ান এবং হালের ম্যাগনাস কার্লসেন। ম্যাগনাস বাদে বাকি তিনজনই সোভিয়েত!
হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ১৯৫০ সালের মে মাসে প্রথম ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে দশজন দাবাড়ু অংশ নেন, যার মধ্যে সাতজন ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে। আইজ্যাক বোলেস্লাভস্কি ১২ পয়েন্ট নিয়ে ডেভিড ব্রন্সটেইনের সাথে প্রথম স্থান ভাগাভাগি করেন। পরবর্তীতে টাইব্রেকে বোলেস্লাভস্কিকে ৭.৫-৬.৫ পয়েন্টে হারিয়ে প্রথম ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট জিতে নেন ব্রন্সটেইন।
দ্বিতীয় ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টে জয়ী হন ভাসিলি স্মিস্লভ। পনেরজন দাবাড়ু ডাবল রাউন্ড রবিনে খেলেন ১৯৫৩ সালে জুরিখে অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টে। এই টুর্নামেন্ট সম্পর্কে বিশদে জানা যায় ব্রন্সটেইনের সুবাদে। তিনি একটি বই লেখেন এর উপর। সেই বইটি আরও কয়েকবার মুদ্রিতও হয়েছিল। ব্রন্সটেইনও এই টুর্নামেন্টে পল কেরেস আর স্যামুয়েল রেশেভস্কির সাথে যৌথভাবে দ্বিতীয় হন।
১৯৫৬ সালের ২৭ মার্চ থেকে ১লা মে, অ্যামস্টার্ডামে তৃতীয় ক্যান্ডিডেটসে লড়েন দশ দাবাড়ু। ডাবল রাউন্ড রবিনের এই আসরে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যান্ডিডেটস জয়ের মাইলফলক অর্জন করেন স্মিস্লভ। পরবর্তীতে মিখাইল ময়সেভিচ বতভিনিককে হারিয়ে সেবারে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাবও নিজের মুকুটে অঙ্কিত করেন এই সোভিয়েত গ্র্যান্ডমাস্টার।
যুগোস্লাভিয়ার তিনটি শহর ব্লেড, বেলগ্রেড, জাগ্রেবে যৌথভাবে বসেছিল ক্যান্ডিডেটসের পরের আসর। ১৯৫৯ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর জুড়ে হওয়া এই ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী আট দাবাড়ুর মধ্যে মিখাইল নেখমেভিচ তাল বিজয়ী হন। পরের বছর চ্যাম্পিয়নশিপে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে তৎকালীন সর্বকনিষ্ঠ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বনে যান তাল।
১৯৬২ সালে পঞ্চম ক্যান্ডিডেটস আয়োজিত হয় দক্ষিণ আমেরিকার দ্বীপরাষ্ট্র কুরাশাওতে। এতে স্টকহোম ইন্টারজোনাল থেকে ছ’জন প্রতিযোগী অংশ নেন। টুর্নামেন্ট চলাকালেই তৃতীয় রাউন্ড শেষে মিখাইল তাল অসুস্থতাজনিত কারণে ছিটকে পড়েন। ববি ফিশার এই টুর্নামেন্টের ব্যাপারে অভিযোগ করেন যে, বিজয়ী যাতে সোভিয়েত কেউ হয়, এটা নিশ্চিত করতে সোভিয়েতরা যোগসাজশ করে খেলে। আয়রন তিগ্রান খ্যাত তিগ্রান পেত্রসিয়ান এই আসরে বিজয়ী হন।
সুদীর্ঘ ২৩ বছরের লম্বা বিরতির পর ১৯৮৫ সালে ফ্রান্সের মন্টপেলিয়েরে পরবর্তী আসর বসে। চারজন দাবাড়ু ফাইনাল রাউন্ডে যান, যেটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। যাদের মধ্যে বিজয়ী ১৯৮৭ সালের এই সুপারফাইনালে যাবেন, যেখানে তিনি আগেরবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ রিভেঞ্জ ম্যাচের পরাজিতের সাথে খেলবেন- এমন নিয়ম ছিল সেবার। ফাইনাল রাউন্ডে জিতে সোকোলোভ রিভেঞ্জ ম্যাচের পরাজিত আনাতোলি কারপভের সাথে সুপার ফাইনালে মুখোমুখি হন। সুপার ফাইনালে কারপভ বিজয়ী হন।
২০১৩ সালের মার্চে সপ্তম ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টের আসর বসে লন্ডনে। এতে বিজয়ী হন এবং পরবর্তীতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন নরওয়ের ম্যাগনাস কার্লসেন। এখন অবধি তিনিই দাবার রাজমুকুট ধারণ করে আছেন। টুর্নামেন্টেটিতে ম্যাগনাসের সাথে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় ভ্লাদিমির ক্রামনিকের। শুরু থেকেই ম্যাগনাস এগিয়ে থাকলেও শেষের দিকে পাঁচ পয়েন্টের ভেতর চার পেয়ে প্রথম স্থান নিয়ে বসেন ক্রামনিক। তবে একদম শেষ রাউন্ডে ক্রামনিক হারেন এবং কার্লসেন জিতে যান। টাইব্রেকের নিয়মানুসারে জয়ের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ম্যাগনাস কার্লসেন বিজয়ী হন।
রাশিয়ার খান্তি-মানসিইস্কে ২০১৪ সালে আয়োজিত ক্যান্ডিডেটসে বিজয়ী হন ভারতের বিশ্বনাথন আনন্দ। বেশিরভাগ বোদ্ধাই ভেবেছিলেন চুয়াল্লিশ বছর বয়স্ক আনন্দের এই টুর্নামেন্টে ভালো করার কোনো সম্ভাবনাই নেই, এমনকি তিনিও এমনই ভেবেছিলেন। তবে বন্ধু ক্রামনিকের উৎসাহে তিনি অংশ নেন, এবং কোনো ম্যাচ না হেরেই টুর্নামেন্ট জিতে নেন।
২০১৬ সালের মার্চে মস্কোতে নবম ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়। হোমবয় সার্গেই কারিয়াকিন বিজয়ী হন। এই আসরে কারিয়াকিনের সাথে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় মার্কিন জিএম ফাবিয়ানো কারুয়ানার। চৌদ্দতম রাউন্ডে তারা নিজেদের মধ্যে ডিসাইসিভ গেমে মুখোমুখি হয়। কারুয়ানা জয়ের পথেই ছিলেন, কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে কারিয়াকিন তার রুক স্যাক্রিফাইস করেন এবং জয় ছিনিয়ে আনেন। সাথে প্রথম স্থানও তার হস্তগত হয়।
দশম ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট বার্লিনে অনুষ্ঠিত হয় দশ থেকে সাতাশে মার্চ, ২০১৮ সালে। গত আসরের অন্যতম ফেবারিট ফাবিয়ানো কারুয়ানা এবার নিজের স্থান বুঝে নেন। শুরু থেকেই পুরো টুর্নামেন্টে লিড নিয়ে আসছিলেন ফাবি, কিন্তু সার্গেই মাঝের ছয় গেমে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে আসেন; এমনকি নিজেদের মুখোমুখি এনকাউন্টারে ফাবিকে হারিয়ে ফার্স্ট লিড নেন কারিয়াকিনই। তবে শেষ দুই রাউন্ডে লেভন অ্যারোনিয়ান আর অ্যালেক্সান্ডার গ্রিশচুককে পরাজিত করে এক পয়েন্টের মার্জিনে এগিয়ে গিয়ে প্রথম স্থান পুনরুদ্ধার করেন ফাবি। এভাবে ১০ম ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টের বিজয়ী হন ফাবিয়ানো কারুয়ানা।
১৯৯৩ সালের আগপর্যন্ত ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো তিন বছর পর পর। ২০১৩ সালের পর থেকে এটি দুই বছর পর পর আয়োজিত হতে থাকে। নিয়ম এমন করা হয় যে, ক্যান্ডিডেটসের জন্য কোয়ালিফিকেশনের টুর্নামেন্টগুলো হবে বিজোড় সালগুলোতে, ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট হবে জোড় সালের শুরুতে এবং বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ হবে জোড় সালের শেষে। সেই সূত্র ধরেই এবারের একাদশ ফিদে ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের মার্চে, আর সেখানের বিজয়ীর সাথে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনের চ্যাম্পিয়নশিপের কথা ছিল গত বছরের শেষভাগে। কিন্তু কোভিড-১৯ এর করালগ্রাসে পুরো পৃথিবীই যেখানে থমকে গেছিল, সেখানে দাবা আর কোন ছার!
সবশেষে আয়োজিত হওয়া ক্যান্ডিডেটসের ভেন্যু ছিল ইয়েকাতেরিনবার্গ, রাশিয়ায় ২০২০-২১ সালে। সেটি মূলত আয়োজিত হয়েছিল দুইভাগে। প্রথম অর্ধেক ২০২০ সালে হয়, এবং মাঝপথে করোনার থাবায় আটকে যায়। ২০২১ সালে বাকি অর্ধাংশ খেলানো হয়। সেটি জিতে নিয়েছিলেন রুশ গ্র্যান্ডমাস্টার ইয়ান নেপোমনিয়াশি, কিন্তু চ্যাম্পিয়নশিপে ম্যাগনাসের কাছে তিনি হেরে যান। নেপো এবারেও আছেন। দেখা যাক তিনি এবার সুবিধা করতে পারেন কিনা।
এবারের ৮ জন প্রতিযোগীগণ হচ্ছেন যথাক্রমে, [কোয়ালিফিকেশনের ক্রম অনুযায়ী]
- ১. ইয়ান নেপোমনিয়াশি, গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের রানার-আপ
- ২. তৈমুর রাজাবভ, ফিদে নমিনেশন প্রাপ্ত *
- ৩. ইয়ান ক্রিস্তফ দুদা, বিশ্বকাপ ২০২১ এর বিজয়ী
- ৪. ডিং লিরেন, মে ২০২২ সালের সর্বোচ্চ ইলো রেটিংধারী **
- ৫. আলিরেজা ফিরৌজা, ২০২১ গ্র্যান্ড সুইসের বিজয়ী
- ৬. ফাবিয়ানো কারুয়ানা, ২০২১ গ্র্যান্ড সুইসের রানার-আপ
- ৭. হিকারু নাকামুরা, ২০২২ গ্র্যান্ড প্রিক্সের বিজয়ী
- ৮. রিহার্ড রাপোর্ট, ২০২২ গ্র্যান্ড প্রিক্সের রানার-আপ
* [গতবার তৈমুর রাজাবভ টুর্নামেন্টের শুরুতে করোনার কারণে সূচি পেছাতে বলেছিলেন ফিদেকে। কিন্তু ফিদে তার কথা কর্ণপাত না করে টুর্নামেন্ট চালিয়ে যায় এবং তৈমুর খেলতে অসম্মতি জানানোয় তাকে বাদ দিয়ে এমভিএলকে তার স্থলাভিষিক্ত করে। তাদের এই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমানিত হয়, কারণ করোনার প্রকোপে তারা মাঝপথে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়, এবং পরের বছর বাকি অংশ খেলায়। ফিদে তাদের সেই ভুল শুধরে নেয়ার জন্য এবং তৈমুরকে তার ন্যায্য স্থান দেয়ার জন্য এবারের ক্যান্ডিডেটসে অটো নমিনেশন দিয়েছে।]
** [২০২১ দাবা বিশ্বকাপ থেকে দুজন কোয়ালিফাই করার কথা ছিল, একজন উইনার আরেকজন রানার-আপ। উইনার হয়ে কোয়ালিফাই করেছেন দুদা। আর রানার-আপ হয়ে কোয়ালিফাই করেছিলেন সার্গে কারিয়াকিন। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে বারংবার আগ্রাসী মন্তব্য করতে থাকায় ফিদে তাকে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে সব ধরনের দাবা থেকে। ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টের শিডিউল এর মাঝে পরে যাওয়ায় তিনি ছিটকে পড়েন। সেই শূন্যস্থানে ঢুকে যান মে ২০২২ এর সর্বোচ্চ রেটিংধারী ডিং লিরেন।]
এবারের ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টের বিজয়ীর সাথে ম্যাগনাসের সম্মুখসমরের কিন্তু খুব যে দেরী তা নয়। আগামী বছরের একদম শুরুর দিকেই দাবার রাজমুকুটের জন্য লড়বেন তারা! প্রতিযোগীদের মধ্যে একজন হলেন আলিরেজা ফিরৌজা, জার সামনে হাতছানি দিচ্ছে বিশ্বরেকর্ড ঘড়ার। তার বয়স মাত্র ১৮, এই টিনএজেই ২৮০০ রেটিং স্পর্শ করে তিনি ইতিহাসের কনিষ্ঠতম দাবাড়ু হিসেবে ২৮০০ রেটিং অর্জনের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। এরপর তিনি যদি এবারের ক্যান্ডিডেটস জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ম্যাগনাসকে হারাতে পারেন, তবে সর্বকালের সর্বকনিষ্ঠতম দাবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবার দুর্লভ রেকর্ড গড়বেন আলিরেজা!
তো প্রিয় পাঠক, কে হচ্ছেন এবারের ক্যান্ডিডেটস উইনার? আলিরেজা কি পারবেন ভক্তদের দাবী মেটাতে? তিনি কি দাবার ইতিহাস নতুন করে লিখতে চলেছেন? বিশ্বরেকর্ড গড়তে পারবেন তো আলিরেজা? সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে কিন্তু সান্তোনার বিলাসবহুল প্রাসাদে, এই সপ্তাহ থেকে শুরু হতে যাওয়া ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টেই!