Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

মার্সেলো: রবার্তো কার্লোসের ছায়া ছাড়িয়ে স্বমহিমায় ভাস্বর

ব্রাজিলের বোতাফোগো সমুদ্র সৈকতে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে একঝাঁক তরুণ। এদের মধ্য থেকে একজন বলে উঠলো, “আমি হবো পেলে”। তার পাশের জন বলে উঠলো, “আমি হবো রিভালদো”। একে একে গারিঞ্চা, দুংগা, রোনালদো এমনকি বারের নিচে পাওয়া গেলো গোলকিপার দিদাকেও। একদম পিছন থেকে সবচেয়ে ছোটজন বলে উঠলো, “আমি হবো রবার্তো কার্লোস”। বেশ ছোট হওয়ায় এই ছেলেটি ভাইদের সাথে খেলার খুব একটা সুযোগ পায় না। কিন্তু একদিন তাকে সুযোগ দেওয়ার পর তার জাদুতে সবাই এতটাই মুগ্ধ হয় যে, সবাই তাকে এখন নিজেদের দলে নিতে চায়। আসলেই মার্সেলো ভিয়েরা দ্য সিলভা এতটাই দুর্দান্ত খেলোয়াড় ছিলো যে, সে একদিন সত্যি সত্যি ব্রাজিল জাতীয় দলে এবং রিয়াল মাদ্রিদে তার আইডল রবার্তো কার্লোসের মত লেফট ব্যাক পজিশনেই নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে নেয়।

রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড় হিসেবে মার্সেলোকে এভাবেই প্রেসের সামনে আনা হয়; Source: Realmadrid.com

মার্সেলো তখনো জানতেন না ১৪ নভেম্বর, ২০০৬ সালের রৌদ্রোজ্বল এক দিনে রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট র‍্যামোন ক্যালেদরন তাকে পরিচয় করিয়ে দেবেন ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সফলতম ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের ফ্যানদের সাথে। ফুটবল খেলোয়াড়দের জন্য রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবে জায়গা পাওয়া এমনিতেই অনেক বড় ব্যাপার, কিন্তু মার্সেলোর জন্য এটি ছিলো আরো বিশেষ কিছু। কারণ রিয়াল মাদ্রিদেই খেলতেন তার আইডল রবার্তো কার্লোস। মার্সেলো যখনই তার বন্ধুদের সাথে খেলতেন রাস্তায় অথবা পাড়ার মাঠে, তিনি সব সময়েই লেফট ব্যাক পজিশনেই খেলতে চাইতেন, যেখানে খেলেই রিয়াল মাদ্রিদ এবং ব্রাজিলে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন তার আইডল।

২০০৬-০৭ মৌসুমে রবার্তো কার্লোসকে আরো এক মৌসুম রিয়ালে রাখার সিদ্ধান্ত হলো। তাই মার্সেলোকে রিয়াল মাদ্রিদের একাডেমি টিম কাস্তিয়াতে পাঠানোর কথাবার্তা চলছিলো, যাতে তিনি দ্বিতীয় বিভাগে খেলে ইউরোপের ফুটবলের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু রিয়ালের তখনকার কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলোর হস্তক্ষেপে এগুলোর কিছুই হলো না। এর পরিবর্তে তিনি মূল দলের সাথে ট্রেনিং করা শুরু করলেন। সেখানে মার্সেলো তার আইডল রবার্তো কার্লোসকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান। “যদিও আমি বেশি খেলার সুযোগ পাইনি এবং বেশিরভাগ সময়েই আমাকে প্রধান স্কোয়াডের বাইরেই রাখা হতো, তাও আমি অনেক কিছু শিখেছি সে সময়ে”- ফ্যাবিও ক্যাপেলো তাকে কীভাবে সাহায্য করেছিলেন, এই প্রশ্নের উত্তরে ইতালিয়ান এক সাক্ষাৎকারে মার্সেলো এমনটাই জানান।

ফ্যাবিও ক্যাপেলোর হাত ধরেই উথান ঘটে মার্সেলোর; Source: Eurosport

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ট্রেনিংয়ে ডেভিড বেকহামের বাজে ট্যাকলের শিকার হয়ে রবার্তো কার্লোস ইনজুরড হলে মূল স্কোয়াডে মার্সেলোর জায়গা হয়। কিন্তু ক্যাপেলো তখন মার্সেলোকে প্রধান একাদশে খেলানোর জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তাই রাইটব্যাক হওয়া সত্ত্বেও রামোসকেই লেফট ব্যাকে স্টার্ট করান মাদ্রিদ কোচ, যদিও মার্সেলো একটি ম্যাচে শেষের ৩০ মিনিট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। একইভাবে আরো দু’বার তিনি বেঞ্চ থেকে খেলার সু্যোগ পান রবার্তো কার্লোস ফিরে আসার আগ পর্যন্ত। এরপর গেটাফের সাথে ম্যাচের সময় ইনজুরি থেকে ফিরে আসেন কার্লোস এবং একই ম্যাচে হিগুয়েনের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মার্সেলো। এটিই ছিলো মাদ্রিদের জার্সিতে একমাত্র প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ, যেখানে এই দুজনকে একই সাথে মাঠে দেখা গেছে। সে বছর লিগের শেষের দিকে আর মাত্র দুটি ম্যাচে মার্সেলো বদলি হিসেবে নামার সু্যোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু একইসাথে তার আইডলের সাথে নামার সুযোগ আর আসেনি। তুর্কি ক্লাব ফেনারবাচে যাওয়ার আগে সেই মৌসুমে মার্লোকার সাথে মাদ্রিদের সাথে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেন রবার্তো কার্লোস। ব্রাজিলের জার্সিতেও একইসাথে খেলার সুযোগ হয়নি দুজনের। মার্সেলোর অভিষেক হওয়ার এক মাস আগেই ২০০২ সালের বিশ্বকাপজয়ী এই কিংবদন্তী বিদায় জানান জাতীয় দলকে।

যদিও মার্সেলোকে কেনা হয়েছিলো ব্রাজিলিয়ান বুলেট মানব রবার্তো কার্লোসের উত্তরসূরি হিসেবে, কিন্তু ২০০৭-০৮ মৌসুমে ক্যাপেলোর বিদায়ের পর নতুন কোচ ব্রেন্ড সুস্টারের দলে প্রথম মাসে লেফট ব্যাক হিসবে জায়গা পান সদ্য কেনা দুই ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল হেইনজ এবং রয়স্টোন ড্রেনথ। রবার্তো কার্লোস উচ্চতায় মাত্র ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হলেও, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তার ছায়া ছিলো অনেক বড়। তার জায়গা নেওয়ার সেই অসম্ভব কাজটাকে সম্ভব করার স্বপ্নই দেখতেন একসময়ে বোতাফোগোর সমুদ্র সৈকতে খেলা মার্সেলো ভিয়েরা। তবে কার্লোসের উত্তরসূরি হওয়ার যে একটা চাপ, সেটি নেওয়ার মতো বয়স তখনো হয়নি মার্সেলোর। ফলে প্রথমদিকে খারাপ পারফর্ম করার দরুন সহ্য করতে হয়েছিলো বার্নাব্যু দর্শকদের দুয়োধ্বনি।

রবার্তো কার্লোস; source: Denis Doyle/Getty Images

মার্সেলো অতি সাধারণ কোনো খেলোয়াড়ের জায়গা পূরণ করতে আসেননি। এসেছিলেন এমন একজনের জায়গা নিতে, যাকে সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডারদের তালিকায় রাখা হয়। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কার্লোস জিতেছিলেন ৪টি লা লিগা ও ৩টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। জিতেছিলেন ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ। ব্যক্তিগতভাবে দু’বার বিশ্বের সেরা ডিফেন্ডার হওয়ার পাশাপাশি ২০০২ সালে ব্যালন ডি অরে হয়েছিলেন দ্বিতীয়। তার ১১ বছরের রিয়াল মাদ্রিদ ক্যারিয়ারে মাত্র ৩ জন ডিফেন্ডার ব্যালন ডি অর লিস্টে এসেছিলেন। বাকি দুজন হচ্ছেন পাওলো মালদিনি এবং ফ্যাবিও ক্যানাভারো। ফাচেত্তির পর ফুলব্যাক হিসেবে কার্লোস ছিলেন মাত্র দ্বিতীয় ব্যাক্তি, যিনি ব্যালন ডি অরে ২য় স্থান অর্জন করেছিলেন।

যদিও ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের গ্যালাক্টিকো যুগ শুরু হওয়ার আগে থেকেই রবার্তো কার্লোস রিয়ালে ছিলেন, কিন্তু তাও তাকে বিবেচনা করা হতো গ্যালাক্টিকোর তারকা হিসেবেই। তিনি দুর্দান্ত গতিতে সামনে এগিয়ে যেতেন, বক্সে পাওয়ারফুল ক্রস দিতেন, ছিলো ভালো ট্যাকলিং এবিলিটি এবং গেম রিড করতেন খুব ভালোভাবে; সবমিলিয়ে রবার্তো কার্লোস ছিলো একজন পরিপূর্ণ লেফট ব্যাক। তার উপর তিনি বিখ্যাত ছিলেন তার বুলেট গতির ফ্রি কিকের জন্য। ২৪ ইঞ্চি পুরু থাই দিয়ে তিনি ঘণ্টায় ১০০ মাইল বেগে ফ্রি কিক মারতেন!

মার্সেলো; Source: latribunamadridista.com

এরকম একজন ফুটবলারের খেলা দেখে অভ্যস্ত বার্নাব্যুর দর্শকরা স্বাভাবিকভাবেই প্রথমদিকে মার্সেলোকে সহজভাবে নিতে পারেনি। এই নিয়ে পরবর্তীতে মার্সেলো স্প্যানিশ মিডিয়া ‘এল পাইস’ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, দাড়ি রাখার কারণে হয়তো দর্শকরা তার সঠিক বয়স বুঝতে পারেনি, তাই তার কাছ থেকে তারা আরো বেশি ভালো খেলা আশা করতো! মার্সেলো মজা করে বললেও, কথাটি একদম ফেলনা নয়, কারণ তার বয়স তখনো ২০ এর গন্ডিই পার হয়নি। এত অল্প বয়সে কার্লোসের জায়গা নেওয়া কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শকদের মুখে কালো ছায়া পড়লেও সেটি কেড়ে নিতে পারেনি সদা হাস্যোজ্বোল মার্সেলোর হাসি। রবার্তো কার্লোসেরও কোনো সন্দেহ ছিলো না- একদিন মার্সেলো তার যোগ্য উত্তরসূরি হবে। তাই প্রতিনিয়ত তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতেন তিনি।

রবার্তো কার্লোস ও মার্সেলো; Source: diez.hn

এটি অজানা নয় যে, পরিশ্রম করলে সাফল্য আসবেই। মার্সেলোর ক্ষেত্রেও এটি ভিন্ন নয়, তিনি হাল ছাড়েননি। কঠিন প্ররিশ্রমের মাধ্যমে ধীরে ধীরে লেফট ব্যাকের জায়গাটি নিজের করে নিতে থাকেন তিনি। ২০০৭-০৮ সিজনের শেষ ১৬ ম্যাচের ১১টিতেই প্রথম একাদশে থেকে খেলেন মার্সেলো এবং আবারো লিগ জেতে রিয়াল মাদ্রিদ।

যদিও মার্সেলো আগের থেকে অনেক উন্নতি এনেছিলেন তার খেলায়, কিন্তু তারপরেও তিনি তখনও পরিপূর্ণ ছিলেন না। “কখনো কখনো বলের খোঁজে আমি সামনে যেতেই থাকতাম… তখন আমি ভুলে যেতাম আবার আমার জায়গায় ফিরে আসতে”- এল পাইসকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছিলেন মার্সেলো।

মার্সেলো তখনো নিজেকে তৈরি করছিলেন। কিন্তু নতুন মাদ্রিদ কোচ হুয়ান্দে রামোস তাকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হওয়ার সে সময়টা দিতে চাইলেন না। রিয়ালে তখন চলছে ‘হায়ার এন্ড ফায়ার’ নীতি। তাই কোনো প্রকার রিস্ক নিতে রাজি ছিলেন না সাবেক এই মাদ্রিদ কোচ। লেফট ব্যাকের জন্য উপযোগী না মনে হলেও আক্রমণ করার প্রবণতা এবং দক্ষতার জন্য কোচ তাকে লেফট উইংয়ে খেলানো শুরু করলেন। এরপর সেই মৌসুমে বরখাস্ত হলেন হুয়ান্দে রামোস।

ব্রাজিলের জার্সিতে মার্সেলো; source: Managing Madrid

২০০৯-১০ সিজনে নতুন কোচ নিয়োগ দেয়া হলো ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনিকে। তিনি মার্সেলোকে বেশ যত্নের সাথে মাঠে তার রক্ষণভাগের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেন। সেই মৌসুমে ডিফেন্সে বেশ উন্নতি করলেও নিজের সহজাত আক্রমণ করার মানসিকতা ত্যাগ করতে পারলেন না তিনি। মৌসুম শেষে শুধুমাত্র রোনালদো এবং কাকার এসিস্টই মার্সেলোর থেকে বেশি ছিলো। এ থেকেই বোঝা যায়, কতটা আক্রমণাত্মক খেলা খেলতেন মার্সেলো।

এত ভালো মৌসুম কাটানোর পরেও মার্সেলোর মাদ্রিদ ক্যারিয়ার আবারো হুমকির মুখে পড়ে। সে সিজনে ইন্টার মিলানকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো কোচ মরিনহোকে নিয়ে আসা হলো মাদ্রিদে। তিনি নিজে আসলেন এবং সাথে করে মার্সেলোর সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য নিয়ে আসলেন স্বদেশী ফ্যাবিও কন্ত্রেয়াওকে।

মার্সেলো এবং কন্ত্রেয়াও; Source: Marca

২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে কে গোল করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে যার নাম সবার পরে আসবে, তার নাম হচ্ছে মার্সেলো। রামোসের গোল ক্যামেরায় যত অ্যাঙ্গেলে সম্ভব সবভাবেই দেখানো হয়, দেখানো হয় গ্যারেথ বেলের লিড নেওয়া হেডারকেও। একদম শেষে পেনাল্টি থেকে গোল করে জার্সি ছিঁড়ে ফেলার সেই দৃশ্যও স্থান পেয়েছে পত্র-পত্রিকার প্রথম পাতায়। লেজেন্ড হিসেবে মাদ্রিদের ইতিহাসে ঠাই পাওয়ার জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গোল করার চেয়ে বড় সুযোগ আর কী হতে পারে? এমনকি রবার্তো কার্লোসও কখনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে গোল করতে পারেননি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৬ গোল নিয়ে রবার্তো কার্লোস মাদ্রিদের ১৫তম টপ স্কোরার ছিলেন যেটি জিদান, রুদ ফন নিস্টলরয় এবং রোনালদোর চেয়েও বেশি।

সময়ে সময়ে মার্সেলোর সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন খেলোয়াড় আসলেও, মার্সেলো জায়গা রক্ষার এই ইঁদুর দৌড়ে প্রতিবারই জয়লাভ করেন। মার্সেলোর কাছে একে একে জায়গা হারান রাউল ব্রাভো, মিগুয়েল তোরেস, হেইনজ এবং কন্ত্রেয়াও। মরিনহো প্রথমদিকে কন্ত্রেয়াওকে খেলালেও, শেষে মার্সেলোকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। মরিনহোর আমলে মার্সেলো ছিলেন সবচেয়ে বেশি মিনিট খেলা খেলোয়াড়রদের মাঝে নবম। কোচ কার্লো আনচেলত্তি কিছু ম্যাচে কন্ত্রেয়াওকে মূল একাদশে খেলালেও সেটি মার্সেলোর খারাপ পারফর্ম করার জন্য নয়। বরং মার্সেলো ইনজুরিজনিত কারণে মাঠের বাইরে থাকলে তখন কন্ত্রেয়াও ভালো খেলে জায়গা নিয়েছিলেন দলে। এই ইতালিয়ান কোচের সময়ে সবচেয়ে বেশি মিনিট খেলা খেলোয়াড়রদের তালিকায় মার্সেলো থাকবেন ৬ নম্বরে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা হাতে মাদ্রিদ ভাইস ক্যাপ্টেন মার্সেলো; Source: Goal.com

আনচেলত্তি মাদ্রিদ ছেড়ে যাওয়ার পর ২০১৫-১৬ মৌসুমে মার্সেলোকে ভাইস ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নিজের হাশিখুশি ব্যক্তিত্ব দিয়ে মন জয় করেছেন তিনি সকল রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়ের। অ্যাটাক এবং ডিফেন্স দুটোতেই অংশগ্রহণ করা মার্সেলো জিদানের এক অনবদ্য হাতিয়ার। বামপাশ থেকে রোনালদো-মার্সেলো জুটি যেন এক সাক্ষাৎ ত্রাস। মার্সেলোর অনবরত মাপা ক্রস থেকে সবসময় সাহায্য পান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

পরিশেষে বলতে হয়, মার্সেলো এবং রবার্তো কার্লোসের মধ্যে তুলনা করার মানে হয়তো কিছুটা সময় নষ্ট করা। এই তুলনার বিষয়ে মার্সেলো বলেন, “আমি মার্সেলো হিসেবেই ইতিহাস তৈরি করতে চাই, শুধু রবার্তো কার্লোসের বদলি হিসেবে নয়।” মাদ্রিদকে পরপর দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানোয় অনবদ্য ভূমিকা রাখার পর এটি বলাই যায় যে, মার্সেলো নিজেই নিজের ইতিহাস তৈরি করেছেন সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর সবুজ গালিচায়।

ফিচার ইমেজ- YouTube

Related Articles