দ্য ক্রিকেট মান্থলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে প্রথম পর্বে সাবেক অসি অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন কথা বলেছিলেন তাঁর টেকনিক্যাল আর মানসিক দক্ষতা, আইপিএলের ফাইনালে তার অসাধারণ সেঞ্চুরি, সতীর্থ ফিল হিউজের মর্মান্তিক বিদায়, টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার-হিটিং, মাঝের ওভারে ব্যাটিং এবং রশিদ খানসহ অন্যান্য স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের কৌশল নিয়ে।
তৃতীয় ও শেষ পর্বে তিনি কথা বলেছেন ম্যাচ-আপ, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আক্রমণ আর রক্ষণের সমন্বয়, এবং তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটার থেকে একজন পুরোদস্তুর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারে রূপান্তরিত হওয়া প্রসঙ্গে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে যতটা দ্রুতগতির মনে হয়, সেটা কি আসলেই ততটা দ্রুতগতির? চিন্তা করার মতো পর্যাপ্ত সময় কি আদৌ পাওয়া যায় এখানে?
অবশ্যই সময় পাওয়া যায়। তবে এখানে মূল্যায়নের ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ। নিজের কথাই বলছি। খেলার হয়তো প্রথম ওভার চলছে, আমি হয়তো মাত্র দুটো বল খেলেছি, কিন্তু আমি যদি বুঝতে পারি যে বল তেমন সুইং করছে না এবং ব্যাটে আসছে সুন্দরভাবে, সেক্ষেত্রে ওই বোলারের বিরুদ্ধে আমি চড়াও হওয়ার চেষ্টা করব।
তাই হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যতটা দ্রুতগতির বলে মনে হয়, ততটা নয়, বরং আপনি সময় পাবেন। যেমন আপনি অনেক ক্ষেত্রেই একটা পার্টনারশিপ তৈরি করে মোমেন্টামটা নিজের দিকে নিয়ে আসার সময় পাবেন। অনেক ক্ষেত্রে ফিল্ডারদের অসতর্কতা আর বোলারদের ক্লান্তর সুযোগে প্রায় বিনাচেষ্টায় কিছু রান তুলে ফেলতে পারবেন। তবে আমি সবসময়ে খুঁজতাম বোলারকে আক্রমণ করার সুযোগ। একটা বা দুটো বল মোকাবেলার পরই বোঝার চেষ্টা করতাম ঐ বোলারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে পারবো কিনা, চেষ্টা করতাম ম্যাচ-আপকে কাজে লাগিয়ে রান বাড়িয়ে নিতে।
অনেক ক্ষেত্রে একটা-দুটো বল মোকাবেলা করেই বুঝে যেতাম এই বোলারকে আক্রমণ করাটা হবে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ, হয়তো বল বেশি সুইং করছে, অথবা পিচে পড়ার পরে বলের আচরণ বদলে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রেও আমি অতি রক্ষণাত্মক না হয়ে চেষ্টা করেছি নিজের পজিশনে গিয়ে বোলারকে আক্রমণ করতে। তাই আমি সবসময়েই চেষ্টা করেছি আমার সামনে কী আছে সেদিকে লক্ষ্য করতে। কত রান প্রয়োজন, বা এই ধরনের ব্যাপারগুলো মাথায় থাকলে ফলাফল হিসেবে আপনি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দূরে তাকাবেন, এবং বেশি ঝুঁকি নিয়ে ফেলবেন।
আপনি ‘ম্যাচ-আপ’ শব্দটা ব্যবহার করেছেন। তবে আপনি হয়তো পরিসংখ্যানের বদলে সহজাত অনুভূতি বা গাট ফিলিংকেই বেশি গুরুত্ব দেবেন। নাকি দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ?
পুরো ব্যাপারটাই সহজাত। পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই। কিন্তু একজন ক্রিকেটার হিসেবে আপনার গাট ফিলিং, আপনার অবচেতন মনের অনুভূতির প্রতি বিশ্বাসটা রাখতে হবে। আপনার জীবনের সকল অভিজ্ঞতাই আপনার মনের কোন না কোন স্থানে জমা আছে, এবং আপনার অবচেতনেই প্রতিনিয়ত সেই সব তথ্যের প্রক্রিয়াকরণ চলছে।
আমি সেই অবচেতন মনের কথাকে বিশ্বাস করি। হয়তো কোন বাহ্যিক কারণ ছাড়াই অনেক সময়ে মনে হয়, “এই বোলারকে একটু দেখে খেলতে হবে”, এবং আমি সেটা মেনে চলি। যখনই আমি এই অবচেতন মনের কথার বাইরে যাই, শেষ পরিণতিটা ভালো হয় না।
আপনি জানেন আপনি কোন বোলারকে পূর্বে মোকাবেলা করেছেন, আপনি জানেন ঐ বোলার কী করতে পারেন, তবুও আপনাকে মূল্যায়ন করতে হবে। কেননা এটা একটা ভিন্ন দিন, হয়তো ঐ বোলার অন্য দিনের চেয়ে একটু জোরে বা আস্তে বল করছে, হয়তো বলটা পিচে পড়ার পরে একটু থেমে আসছে, এই ব্যাপারগুলো বুঝে সেই অনুসারে নিজের পরিকল্পনা বদলাতে হবে। যদি আপনি এক বলের মধ্যেই বুঝে ফেলেন যে সব কিছু আপনার পক্ষে রয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে এই ম্যাচ-আপের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে পারেন, অথবা খেলার গতির সাথে তাল মিলিয়ে সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে পারেন।
সাধারণ গাণিতিক হিসাব অনুসারে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশ ওভারে আপনি খরচ করার মতো দশটা উইকেট পাচ্ছেন, অর্থাৎ প্রতিটি উইকেটের গুরুত্ব অন্যান্য ফরম্যাটের মতো নয়। এক্ষেত্রে স্থান-কাল-পাত্র ভুলে ব্যাট না চালিয়ে কীভাবে রান তোলা এবং উইকেট বাঁচানোর মধ্যে ভারসাম্যটা রক্ষা করা যায়?
এই বিষয়টা বাস্তবায়নের জন্য সময় প্রয়োজন। আপনাকে বুঝতে হবে, ঠিক কোন সময়ে আপনি বোলারের ওপর আক্রমণ করতে পারবেন। ব্যাটসম্যানদের আরো বেশি উদ্ভাবনী হতে হয়, কখনো কখনো হয়তো ল্যাপ বা রিভার্স ল্যাপের মতো পূর্বনির্ধারিত শটও খেলতে হয়। তবে তার আগে অবশ্যই বোলারকে বুঝতে হবে, পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে ঝুঁকির পরিমাণটাও।
এইটাই আসল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে আপনাকে সাহায্য করবে আপনার অভিজ্ঞতা। যখন কোন কিছুই আপনার পক্ষে যাবে না, যখন আপনি ভুল বলগুলোকে তাড়া করে ফেলবেন, ভুল শট খেলে ফেলবেন, অথবা বলকে অনেক জোরে মারতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলবেন, বা শট খেলতে গিয়ে নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবেন, প্রতিটা ক্ষেত্রেই আপনার ঝুলিতে জমবে অভিজ্ঞতা। আর এই অভিজ্ঞতাই আপনাকে সাহায্য করবে।
তাছাড়া, আপনাকে নিজের পজিশন নিয়ে কাজ করতে হবে, নিজের মনের নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন অতি আক্রমণাত্মক হয়ে বলকে অনেক জোরে মারার চেষ্টা না করা হয়। সঠিক ইন্টেন্ট রাখতে হবে, এর পাশাপাশি টেকনিক্যালি নিজের অবস্থান ঠিক রাখতে হবে, সময় নিয়ে নিজের স্কিলের ব্যাপারে কাজ করতে হবে।
তবে বর্তমানের তরুণ ক্রিকেটাররা এদিক থেকে বেশ এগিয়ে আছে। টি-টোয়েন্টি খেলার অভ্যাসের কারণে তারা ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই এই ব্যাপারগুলো নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াতে ছয়-সাত বছর বয়স থেকেই টি-টোয়েন্টি খেলা শুরু হয়। তাই ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটাররা নিজেদের স্কিল বাড়িয়ে নিতে পারছে, নিজের স্কোরিং জোন সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিচ্ছে।
অনেক সময় এর বিপরীত ঘটনাটাও ঘটে। ধরা যাক, ভুবনেশ্বর কুমার সুইং পাচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে আপনি হয়তো সচেতন থাকছেন কিন্তু অতি রক্ষণাত্মক নন। এই ভারসাম্যটা রক্ষা করেন কীভাবে?
আমার ক্যারিয়ারে অনেকবার খারাপ সময় এসেছে, বিশেষ করে যখন আমি আউট হওয়ার ভয় নিয়ে ব্যাটিং করিনি। তাই যখন আমি আউট না হওয়ার মানসিকতা নিয়ে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করি, আমি আসলে বোলারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছি না। বরং বোলারকে এই ধারণা নিয়ে বোলিং করতে দিচ্ছি, যদি সে লুজ বল করে, তবে আমি তাকে আক্রমণ করবো। ভাবনার এই পরিবর্তনের জায়গাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কেননা “রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করো, আউট হয়ো না” – এই ভাবনাটা বোলারের ওপর আক্রমণ করতে বাধা দেয়। তবে যদি বোলার হাফ-ভলি বা লুজ বল করে, সেক্ষেত্রে আমি অবশ্যই প্রতিক্রিয়া দেখাবো এবং শট খেলবো।
কোনো ব্যাটার যখন পজিটিভ ইন্টেন্টে ব্যাটিং করেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই বোলাররা চাপে থাকেন। অপরদিকে একজন বোলার হিসেবে আমি জানি, যখন ব্যাটসম্যান শুধুই রক্ষণ করছেন, বোলারের জন্য ভুল করার মার্জিনটা একটু বেশি থাকে। একেবারে নিখুঁত বোলিং না করলেও চলে। তাই কখন বলের মুভমেন্ট কেমন, কখন বল সুইং বা সিম মুভমেন্ট করছে, একজন ব্যাটসম্যানের জন্য এই বোধটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৬ পর্যন্ত আপনি সব ফরম্যাটেই খেলতেন, এর পরে আপনি শুধু টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। এই ব্যাপারটার সাথে মানিয়ে নিয়েছেন কীভাবে? অনুশীলন, মাইন্ডসেট এবং অন্যান্য ব্যাপারে পরিবর্তন এনেছেন কীভাবে?
আমি আমার টি-টোয়েন্টি খেলার উন্নতি করেছিলাম। কিছু বিশেষ স্কিলে উন্নয়ন ঘটিয়েছিলাম। বোলিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে, ২০১৬ ছিল আমার টি-টোয়েন্টি বোলিংয়ের সেরা বছর। আমি শুধু কিছু নির্দিষ্ট ধরনের বল নিজের আয়ত্তে আনতে চেয়েছিলাম, আর চেয়েছিলাম সঠিক সময়ে সঠিক বলটা ডেলিভারি করতে। সব ফরম্যাটে মনোযোগ না দিয়ে আমি শুধু নিজের খেলার উন্নতিতে মনোযোগ দিতে চেয়েছিলাম।
অপরদিকে ব্যাটিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে, আমি শুধু আমার পাওয়ার-হিটিংয়ের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছিলাম। পাশাপাশি আমার রক্ষণের কৌশল নিয়েও কাজ করছিলাম, যেন আমি ব্যাটিংয়ের সময়ে একটা উপযুক্ত ভিত্তি পাই। তবে আমার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে সবসময়ে ছিল পাওয়ার-হিটিং, এই ব্যাপারেই আমি নিজেকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম।
মানসিক এবং টেকনিক – দুটো দিক দিয়েই আমি চেয়েছিলাম নিজের ভিন্ন ভিন্ন স্কিল গড়ে তুলতে। পাওয়ার হিটিংটা আমার বিশেষত্বের জায়গা হওয়ার পরে, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তিনটা ফরম্যাটের পরিবর্তে একটা ফরম্যাটেই নিজের সর্বস্বটা দেওয়ার। এবং এই সিদ্ধান্তটা অবশ্যই আমার খেলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
একজন তরুণ খেলোয়াড়ের জন্য ব্যাপারটা কতটা কঠিন? লোকেশ রাহুলের উদাহরণ টানা যাক। ২০১৮ সালে তিনি তার জীবনের সেরা আইপিএল কাটিয়েছেন, কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে তার সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। দেশের বাইরের সিমিং কন্ডিশনে, বল যেখানে প্রচুর সুইং করে, রাহুল রীতিমতো সংগ্রাম করেছেন। ২০১৯ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েন। এরপরে তিনি আবারও টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু তার টি-টোয়েন্টি খেলার ধরন বদলে গেছে। তিনি এখন টি-টোয়েন্টিতে সাবধানী শুরু করেন। আমি জানি না, টি-টোয়েন্টি খেলার অ্যাপ্রোচের সাথে অন্য ফরম্যাটের খেলার সম্পর্ক আছে কি না। তবে খেলার ধরন পাল্টানোটা নিশ্চয়ই বেশ কঠিন। রাহুলকে দেখুন, তিনি প্রতিনিয়ত সমালোচনার স্বীকার হচ্ছেন, একবার টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করতে না পারার কারণে, একবার টি-টোয়েন্টিতে সংগ্রামের কারণে। দুই ফরম্যাটেই একসাথে সফল হওয়ার কোনো টোটকা আছে কি? যদি না থাকে, সেক্ষেত্রে একজন উঠতি তরুণ খেলোয়াড়ের উদ্দেশ্যে আপনি কী বলবেন? যেখানে তার ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে একজন ভালো টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় হিসেবে চায়, অপরদিকে জাতীয় দল হয়তো তাকে চাইছে ভালো টেস্ট ব্যাটসম্যান রূপে, আবার খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত চাওয়াটা হয়তো সব ফরম্যাটে ভালো করা। এই পরিস্থিতিতে আপনার পরামর্শ কী হবে?
এজন্য খেলোয়াড়ের নিজের প্রচেষ্টা দরকার সবচেয়ে বেশি। এর পাশাপাশি যদি সিরিজ বা টুর্নামেন্টের মাঝে সময় পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে টেকনিকের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে, মানসিকভাবে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেমন বিরতি পাওয়া যায় না। রাহুলের কথাই ধরা যাক। তাকে আইপিএল খেলতে হচ্ছে, এরপর কোন বিরতি ছাড়াই তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হবে। হয়তো একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন তিনি। এরপরই তাকে নামতে হবে পরীক্ষায়, কঠিন কন্ডিশনে, হয়তো বল প্রচুর সুইং করবে। নিজের টেকনিক নিয়ে আলাদাভাবে কাজের সুযোগটা তাই খুব বেশি আসে না।
ধরা যাক, যদি আপনি শুধু টেস্ট ক্রিকেটও খেলেন, তবুও আপনাকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য আপনার টেকনিকে পরিবর্তন আনতে হবে, ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা করতে হবে। সফলতার জন্য এই পরিকল্পনাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কাজটা খুবই চ্যালেঞ্জিং, এর সাথে যখন যুক্ত হয় একই সফরে ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেট খেলার চাপ, চ্যালেঞ্জটা তখন আরো বড়। খুব বেশি খেলোয়াড়ের বিশ্বের সব প্রান্তে ভালো খেলার সামর্থ্য থাকে না।
তাই সবকিছুর পাশাপাশি ভাগ্যকেও আপনার পাশে প্রয়োজন। হয়তো দেশের বাইরের বদলে দেশে আপনি বেশি সিরিজ খেলার সুযোগ পাবেন, হয়তো চেনা কন্ডিশনে আপনার ভালো করার সম্ভাবনা বেশি, ভাগ্যকে তাই আপনার পাশে প্রয়োজন।
আর লোকেশ রাহুলের সম্পর্কে আমি বলতে চাই, তার সেরাটা বেরিয়ে আসে যখন তিনি খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করেন, শুধুমাত্র স্ট্রাইক রোটেশন বা রক্ষণাত্মক খেলার ক্ষেত্রে না। তার হাতে সব শট রয়েছে। তাই তিনি যখন নিজের ব্যাটিংটা করেন, যখন বোলারের ওপর চাপটা বাড়িয়ে দেন, বোলারের সামনে বাউন্ডারি হজমের কোনো বিকল্প থাকে না। অপরদিকে রাহুল যখন নিজের খোলসে ঢুকে যান, তার ব্যর্থতার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।