১.
ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল আজ থেকে ১৪১ বছর আগে, ১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চে। যেহেতু ইতিহাসেরই প্রথম টেস্ট ছিল, তাই দুই দলেরই অভিষেক ম্যাচ ছিল সেটি। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ব্যানারম্যান, প্রথম বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন বিলি মিডউইন্টার। এরকম আরও অনেক প্রথমেরই দেখা পাওয়া গিয়েছিলো সেই টেস্টে।
এরপর প্রায় এক যুগের অপেক্ষা। ১৮৮৯ সালে তৃতীয় দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট স্ট্যাটাস পায়। তাদের প্রথম জয় আসে তারও প্রায় ১৭ বছর পরে, ১৯০৬ সালে। তবে এই ১৬ বছরে যে তারা অনেক টেস্ট খেলে ফেলেছিল, তা নয়। সে সময় তাদের খেলা টেস্টের সংখ্যা ছিল মাত্র ১১। আসলে তখন তো এখনকার মতো হরদম খেলা হতো না, আর টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা। আর এখন যেমন ক্রিকেটে প্রচুর অর্থকড়ি, সে সময় তেমনটাও ছিল না। জীবিকার প্রয়োজনে অন্য কাজ করতে বাধ্য হতেন ক্রিকেটাররা, এর প্রভাব পড়তো মাঠের খেলায়। আর সবচেয়ে বড় কথা, ক্রিকেট খেলতোই অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড, যারা কিনা কুলীন দল হিসেবে তখনও বিবেচিত হতো, এখনও হয়। দুর্বল দলগুলোর সাথে খেলতে কুলীন দলগুলোর যে বেজায় আপত্তি, তা-ও তো কারো অজানা নয়।
দ্বিতীয় বো’য়ের যুদ্ধ রীতিমতো এলোমেলো করে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেই সাথে যুক্ত হয়েছিল সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট দলের তকমা এবং খেলতে নামলেই অবশ্যম্ভাবী হারের বদনাম। এ কারণেই ১৯০৫ সালের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকাগামী জাহাজে যে ইংল্যান্ড দলটি চড়ে বসলো, তাতে ছিল না উইলফ্রেড রোডস, সিবি ফ্রাই, স্যার স্ট্যানলি জ্যাকসন, জর্জ হার্স্টদের নাম। সে সময়ে আজকের দিনের মতো বিমান ছিল না, যাতায়াত করতে হতো জাহাজে করে। সমুদ্রভ্রমণ ছিল অনেকের কাছেই আতঙ্কের আরেক নাম। যেমন, গিলবার্ট জেসপ নামের একজন খেলোয়াড় শুধুমাত্র জাহাজে ভ্রমণ করতে হবে বলে কখনো ইংল্যান্ডের বাইরে খেলতে যাননি। এক্ষেত্রেও যে সেরকম কিছু ছিল না, তা জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাপারে, ‘ধুর! এদের সাথে আর কী খেলবো!’ টাইপের মনোভাবের কারণেই যে বেশিরভাগ খেলোয়াড় দক্ষিণ আফ্রিকা যাননি, তা কিছুটা হলেও অনুমান করা যায়।
২.
সিরিজের প্রথম টেস্ট ছিল জোহানেসবার্গে। এ টেস্ট নিয়ে লেখার আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে একটু ঘুরে আসা যেতে পারে। তাহলে পাঠকের একটু হলেও বুঝতে সুবিধা হবে যে, ইংল্যান্ড দল ঠিক কীসের মুখে পড়তে যাচ্ছে।
প্রথম দুই প্রস্তুতি ম্যাচে হেসেখেলে জিতেছিলো ইংল্যান্ড জাতীয় দল। মজাটা হলো ট্রান্সভালে হওয়া শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে। সেই ম্যাচে ট্রান্সভাল হারিয়ে দিল ইংল্যান্ড জাতীয় দল, ওরফে মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবকে।
এই জয় ছিল ইংল্যান্ডের যেকোনো ধরনের দলের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম জয়। হেরে গিয়ে জ্বলতে লাগলো কুলীনরা। জ্বলাটাই স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু জ্বলুনি আরও বাড়িয়ে দিলেন ট্রান্সভালের দুই বোলার, আরও ভালোভাবে বললে দুই গুগলিম্যান অব্রে ফকনার এবং রেগি শোয়ার্জ। তাদের গুগলিতে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানেরা আক্ষরিক অর্থেই খাবি খেয়েছিল সেই ম্যাচে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের লিড নিয়েছিল ইংল্যান্ড, চতুর্থ ইনিংসে টার্গেট ছিল মাত্র ১৭৬ রানের। কিন্তু সেই রান করতে গিয়েও শোয়ার্জ এবং ফকনারের তোপের মুখে ১১৫ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ট্রান্সভাল ম্যাচ জেতে ৬০ রানে।
এবার প্রথম টেস্টে ফেরা যাক।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন পেলহ্যাম ওয়ার্নার। পূর্বসূরী ডব্লিউ. জি. গ্রেসের পরামর্শ অনুযায়ী টসে জিতে ব্যাটিং নিলেন তিনি। শুরুটা হলো খুবই বাজে, স্কোরবোর্ডে ৬ রান জমা হতেই ওয়ার্নার আর ডেন্টনকে ফেরালেন শোয়ার্জ। এর কিছুক্ষণ পরই ফেনকে শোয়ার্জের কাছেই ক্যাচ বানালেন ফকনার। দর্শকরা তখনও গুছিয়ে বসতে পারেননি মাঠে, আর এর মধ্যেই ইংল্যান্ডের নেই ৩ উইকেট। তিন উইকেট পড়ার পর হাল ধরলেন উইনইয়ার্ড আর হায়েস, স্কোর পঞ্চাশ পার হলো।
যারা ক্রিকেট খেলা দেখেন ও বোঝেন, তারা সবাই ‘পেস ব্যাটারি’ অথবা ‘স্পিন কোয়াট্রেট’, এই শব্দযুগলের সাথে মোটামুটি পরিচিত। সে সময় দক্ষিণ আফ্রিকার ছিল ‘গুগলি ব্যাটারি’। শোয়ার্জ আর ফকনারে কাজ হচ্ছে না দেখে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক পার্সি শেরওয়েল ডাকলেন তার তৃতীয় গুগলিম্যান বার্ট ভোগলারকে। ভোগলার আসার সাথে সাথে আউট হায়েস, ভোগলারের হাতে কট অ্যান্ড বোল্ড। স্কোর ৫৩ রানে চার উইকেট।
এর কিছুক্ষণ পরে এগিয়ে এসে শোয়ার্জকে গ্যালারিতে আছড়ে ফেলতে চাইলেন উইনইয়ার্ড, তাকে স্ট্যাম্পিং করে দিলেন পার্সি শেরওয়েল। স্কোর দাঁড়ালো ৭৬ রানে ৫ উইকেট। ক্রিজে তখন আছেন ক্রফোর্ড আর রেলফ নামে দু’জন ব্যাটসম্যান। সেই ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রফোর্ডই খেলেছিলেন মোটামুটি, করেছিলেন সর্বোচ্চ ৪৪।
শেরওয়েল এবার তার চতুর্থ গুগলিম্যানকে ডাকলেন। তার নাম গর্ডন হোয়াইট। এসেই রেলফকে বোল্ড করে দিলেন তিনি। ৯৭ রানেই নেই ৬ উইকেট!
এখান থেকে ক্রফোর্ড আর হেইফের ৪৮ রানের পার্টনারশিপের কারণে মোটামুটি একটি স্কোর দাঁড় করাতে পারলো ইংল্যান্ড, নাহলে আরও বড় লজ্জায় পড়তে পারতো তারা। অলআউট হওয়ার আগে তারা করতে পারলো সাকুল্যে ১৮৪ রান। ৩ ঘণ্টায় শেষ ইংল্যান্ডের ইনিংস, ১০ উইকেটের ৮টিই নিয়েছেন ‘গুগলি মানব’রা।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস নিয়ে তেমন কিছুই বলার নেই। ৯১ রানে অলআউট হলে আর কী-ই বা বলার থাকে! ইনিংসের সর্বোচ্চ রান এলো স্নুক নামের এক ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে, রানের পরিমাণ ১৯। আর চতুর্থ সর্বোচ্চ ‘মি. এক্সট্রা’র, ১০। বাকিদের সংগ্রহ মোবাইল নাম্বার ডিজিট। ওয়াল্টার লিজ নামের এক পেসার নিলেন ৫ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার এই জঘন্য ব্যাটিংয়ের কারণে ১৮৪ রানে অলআউট হয়েও ৯৩ রানের লিড পেল ইংল্যান্ড!
দ্বিতীয় ইনিংসেও ইংল্যান্ড যে খুব হাতি-ঘোড়া মেরে ফেললো ইংল্যান্ড, তা নয়। এই ইনিংসে তেমন সুবিধা করতে পারেননি শোয়ার্জ, কোনো উইকেট পাননি তিনি। তবে ফকনার, ভোগলার থাকতে সমস্যা কী? ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন ওয়ার্নার করলেন হাফ সেঞ্চুরি, ক্রফোর্ড করলেন ৪৩। এর সাথে ডেনটনের ৩৪ আর মি. এক্সট্রার ৩১ যুক্ত হয়ে ইংল্যান্ড থামল ১৯০ রানে। ১৯০ রানের সাথে আগের লিডের ৯৩, সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে টার্গেট ২৮৪ রানের।
৩.
চতুর্থ ইনিংসে ২৮৪ রান করা খুবই কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। কিন্তু যে দল প্রথম ইনিংসে ৯১ রানে আউট হয়, সেই একই দল ২৮৪ রান তাড়া করে জিতবে তা হয়তো কোনো ঔপন্যাসিকও ভাবার সাহস পাবেন না।
শুরুটা যেমন হওয়ার তেমনই হলো, ২২ রানেই ২ উইকেটে হাওয়া হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার। একটু গুছিয়ে যখন নিচ্ছে, তখনই আবার উইকেটের পতন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ৬৮/২ থেকে ১০৫/৬ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। জয় তখনও ১৭৯ রান দূরে, যা এক কথায় অসম্ভব।
তবে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট, অসম্ভব হলে খেলার নাম আর ক্রিকেট কেন? সপ্তম উইকেট জুটিতে দাঁড়িয়ে গেলেন গর্ডন হোয়াইট আর ডেভ নার্স, ১২১ রানের জুটি গড়ে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনলেন খেলায়, স্কোর তখন ২২৬/৬। জিততে লাগে তখনও ৫৮ রান। হোয়াইট সেদিন এমনভাবে খেলছিলেন যেন তিনি আর আউটই হবেন না। কিন্তু তখনই এমন এক ডেলিভারি দিলেন রেলফ, যা হোয়াইটের উইকেট থেকে বেল ফেলে দিল। চার ঘণ্টা দশ মিনিটের লড়াই শেষ হলো হোয়াইটের, ১১ চারে তার রান তখন ৮১।
২৩৯ রানে যখন ৯ম উইকেট পড়ল, তখন ম্যাচ কার্যত শেষ। কারণ জিততে তখনও লাগে ৪৫ রান, ১ উইকেট হাতে নিয়ে তা যে সম্ভব হতে পারে, দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে আশাবাদী সমর্থকটিও হয়তো তখন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তবে…
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ব্যাটসম্যানের নাম পার্সি শেরওয়েল, দুর্দান্ত এক ব্যাটসম্যান তিনি। আসলেই তা-ই। কারণ এর পরের বছর দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ইংল্যান্ড সফরে যায়, তখন তিনি ওপেনিংয়ে নেমে সেঞ্চুরিও করেছিলেন। এরকম একজন ব্যাটসম্যান ১১ নাম্বারে কেন নামতেন, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামলেন ক্যাপ্টেন পার্সি শেরওয়েল। নিজের প্রথম বলে বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খুললেন তিনি। নার্সের সাথে মিলে এরপর যা খেলতে লাগলেন, তা আর ঠেকানোর ক্ষমতা থাকলো না পেলহ্যাম ওয়ার্নারের। বোলিং বদল করলেন, বাউন্ডারিতে লোক দাঁড় করালেন, কিন্তু কিছুতেই আর কিছু হলো না।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২৭৬/৯। জিততে আর লাগে মাত্র ৮ রান। বোলিং করছিলেন ক্রফোর্ড, তার শেষ বলে ব্যাটটা সামান্য ছুঁইয়ে দিলেন পার্সি, দুই স্লিপের মাঝ দিয়ে বল চলে গেল বাউন্ডারির বাইরে। উল্লাসে চিৎকার করে উঠল মাঠের সকল জনতা।
২৮০ রানে ৯ উইকেট, আর ৪ রান মাত্র প্রয়োজন।
নতুন ওভার করতে এলেন রেলফ, প্রথম বলটা লেগ স্ট্যাম্পের উপরে করলেন। বিদ্যুৎ বেগে মিড উইকেটে ঘোরালেন নার্স, বল ছুটতে লাগল বাউন্ডারির দিকে। পেছন পেছন দৌড়ে ফিল্ডার যখন বল ফেরত পাঠালো, ততক্ষণে নিজেদের মধ্যে ৩ বার জায়গা বদল করে ফেলেছেন পার্সি আর নার্স।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮৩/৯, স্কোর সমান। না জিতলেও দক্ষিণ আফ্রিকা হারবে না আর। তবে এরকম খেলার পরে টাইও যে পরাজয়সম!
সিঙ্গেল ঠেকানোর জন্য সকল ফিল্ডার সাথে নিয়ে ওয়ার্নার ঘিরে ধরলেন পার্সিকে। মাঠে তখন চরম উত্তেজনা। খেলোয়াড়রা তো বটেই, এমনকি দর্শকরাও উত্তেজনায় ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলছেন।
দ্বিতীয় বল, ঠেকালেন পার্সি। ডট। রান হলো না।
তৃতীয় বল। আলতো করে ঠেলে দিলেন, বলে চলে গেল ফিল্ডারের হাতে। আবার ডট।
চতুর্থ বল। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বল দিলেন রেলফ, উদ্দেশ্য খোঁচা দেয়ার জন্য পার্সিকে প্রলুব্ধ করা। কিন্তু অবলীলায় ছেড়ে দিলেন পার্সি।
পঞ্চম বলে ভুল করে ফেললেন রেলফ, দিনের সবচেয়ে সহজ বলটা ডেলিভারি দিয়ে ফেললেন তিনি। এই বল চিনতে ভুল হলো না পার্সির, সাথে সাথে স্কয়ার লেগ দিয়ে বল পাঠিয়ে দিলেন বাউন্ডারির অন্য পাশে। বলটা কতটা সহজ ছিল তা বোঝা যায় পরে ওয়ার্নারের বলা কথাটি থেকে, “সারাদিনের এত উত্তেজনাপূর্ণ খেলা নষ্ট করার জন্য এরকম একটা বলই যথেষ্ট।”
স্কোর ২৮৭ রানে ৯ উইকেট, জিতে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা!
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে ইংল্যান্ড অধিনায়ক পেলহ্যাম ওয়ার্নারকে কিছু বলতে বলা হলো। মনে যা-ই থাক না কেন, খাঁটি ভদ্রলোকের মতো তিনি বললেন, “এরকম ম্যাচে পরাজিত দলের পক্ষে থাকাটাও অনেক গৌরবের। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট যতদিন থাকবে, ততদিন এই ম্যাচের কথা উচ্চারিত হবে।”
নখ কামড়ানো এই ম্যাচটি হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ১১৩ বছর আগে, ১৯০৬ সালের ৪ঠা জানুয়ারিতে।
লেখাটি শেষ করার আগে একটা মজার তথ্য জানানো যাক পাঠকদের। ক্রিকেটকে বলা হয় জীবনের ছোট সংস্করণ। ‘আজকের আমিরই কালকের ফকির’ এই দর্শন এক ক্রিকেট ছাড়া অন্য কোনো খেলা তেমনভাবে বোঝাতেও পারে না। এই ম্যাচের ১৭ বছর পরে ইংল্যান্ড সফরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সিরিজের একটি টেস্টও মীমাংসা হয় ১ উইকেটের ব্যবধানে।
সেই ম্যাচের ফলাফলও এসেছিল ৪ঠা জানুয়ারিতে, আর ১৯০৬ সালের সেই দল থেকে এই ম্যাচের একমাত্র সাক্ষী ছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসের বীর ডেভ নার্স!
কাকতালীয় আর কাকে বলে!