রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় কেটে গেল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের দম ফেলবার ফুরসত কই? জনপ্রিয় ইউরোপিয়ান ফুটবল লিগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্পেনের লা লিগা ও ইতালির সিরি আ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সপ্তাহ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে জার্মানির বুন্দেসলিগা ও ফ্রান্সের লিগ ওয়ান।
তবে ইউরোপে নতুন এক লিগ শুরু হতে যাচ্ছে পরবর্তী মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে। মজার ব্যাপার হলো, এই লিগ বিভিন্ন ক্লাবের মধ্যে প্রতিযোগিতা নয়, বরং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নিজ নিজ জাতীয় দলের মাঝে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। অভিনব ধারণার এই লিগের নাম হচ্ছে উয়েফা নেশনস লিগ।
ইউনিয়ন অব ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বা উয়েফা হচ্ছে ইউরোপের ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান। ইউরোপের জাতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলো এই সংস্থার সদস্য। উয়েফার অধীনে থাকা জাতীয় দলগুলোকে আরও শক্তিশালী করা ও তাদের মধ্যে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে উয়েফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে উয়েফা নেশনস লিগ নামে এক নতুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করার।
২০১১ সালে সাইপ্রাসে অনুষ্ঠিত উয়েফার পরিকল্পনা সভায় প্রথমবারের মতো উয়েফা নেশনস লিগ শুরু করার আলোচনা হয়েছিল। পরবর্তীতে উয়েফার বিভিন্ন কার্যনির্বাহী সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো এমন এক লিগ চালুর ব্যাপারে সহমত পোষণ করে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে নরওয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ইংভে হ্যালেন এমন এক নতুন প্রতিযোগিতা শুরুর সিদ্ধান্তের কথা মিডিয়ার কাছে স্বীকার করেন। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে বর্তমান ফিফা প্রেসিডেন্ট ও তৎকালীন উয়েফা সাধারণ সম্পাদক জিয়ান্নি ইনফেন্তিনো এই প্রতিযোগিতা শুরুর ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেন।
পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশানের চেয়ারম্যান গ্রেগ ডাইক ও বেলজিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক স্টিভ মারটিন্স এমন প্রতিযোগিতার উপকারিতার কথা মিডিয়ার কাছে ব্যক্ত করেন। শেষপর্যন্ত ২০১৪ সালের ২৭ মার্চে কাজাখস্থানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিত ৩৮তম অরডিনাল উয়েফা কংগ্রেসে উয়েফা সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে উয়েফা নেশনস লিগ শুরুর ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই লিগের ধরন কেমন হবে?
উয়েফা নেশনস লিগের জন্য উয়েফার সদস্য ৫৫টি দেশকে তাদের র্যাংকিং অনুযায়ী মোট ৪টি লিগে ভাগ করা হয়েছে। তবে এই র্যাংকিং ফিফার নিজস্ব র্যাংকিং নয়। প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টগুলোতে দলগুলোর হার/জিতের উপর ভিত্তি করে করা উয়েফার কো-এফিশিয়েন্ট পয়েন্টের ভিত্তিতে এই র্যাংকিং করা হয়েছে। প্রথম লিগে অর্থাৎ লিগ ‘এ’ তে খেলবে র্যাংকিং এর সেরা ১২টি দল, যাদেরকে আবার চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রথম লিগের অধীনে থাকবে মোট ৪টি গ্রুপ, যাদের প্রত্যেকটিতে খেলবে তিনটি করে দল।
এরপর রয়েছে দ্বিতীয় লিগ বা লিগ ‘বি’, যাতে থাকবে র্যাংকিং এর পরবর্তী ১২টি দল। প্রথম লিগের মতো এই লিগকেও ভাগ করা হয়েছে ৪টি গ্রুপে, যাদের প্রত্যেকটিতে খেলবে ৩টি করে দল। র্যাংকিং এর পরবর্তী ১৫টি দল নিয়ে আছে তৃতীয় লিগ/লিগ ‘সি’। এই লিগও ভাগ হবে চারটি গ্রুপে, যাদের মধ্যে ৩টি গ্রুপে থাকবে ৪টি করে দল এবং একটি গ্রুপে থাকবে ৩টি দল। র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে নিচের ১৬টি দল নিয়ে গঠিত হবে চতুর্থ লিগ বা লিগ ‘ডি’। এই ১৬টি দলকে ভাগ করা হয়েছে ৪টি গ্রুপে, যার প্রত্যেকটিতে থাকবে ৪টি করে দল।
এই লিগের প্রত্যেক গ্রুপের খেলা হবে হোম এবং অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি জাতীয় দল গ্রুপের অন্য সব দলের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। এই দুই ম্যাচের একটি তারা খেলবে নিজেদের মাঠে, অন্যটি খেলবে প্রতিপক্ষের মাঠে। খেলার ফলাফল অনুযায়ী লিগ এ এর চার গ্রুপের সেরা দলগুলোর (৪টি গ্রুপের ৪টি দল) মাঝে ২০১৯ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম উয়েফা নেশনস লিগ সেমিফাইনাল। এই দুই সেমিফাইনালের পরাজিত দুই দল খেলবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে এবং জয়ী দুই দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে। ফাইনালের জয়ী দলই হবে প্রথম উয়েফা নেশনস লিগ চ্যাম্পিয়ন।
ইউরোপিয়ান লিগগুলোতে যে প্রমোশন-রেলিগেশন পদ্ধতি আছে তা এই উয়েফা নেশনস লিগেও বিদ্যমান। প্রতি গ্রুপের সেরা দলগুলো উয়েফা নেশনস লিগের পরবর্তী আসরে উন্নীত হবে, আর খারাপ পারফর্মেন্স করা দলগুলো নিচের লিগে অবনমিত/রেলিগেটেড হবে। তাই প্রথম লিগের দলগুলোর কাছে উয়েফা নেশনস লিগ জেতা ছাড়াও উদ্দেশ্য থাকবে কোনোভাবেই যেন তারা নিচের লিগে অবনমিত না হতে পারে। অন্যদিকে নিচের তিন লিগের দলগুলোর মূল উদ্দেশ্য থাকবে যেন তারা উপরের লিগে উঠে খেলতে পারে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে।
উয়েফা নেশনস লিগের চমক এখানেই শেষ নয়। ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে থাকবে এই প্রতিযোগিতার এক বড় প্রভাব। কারণ এই প্রতিযোগিতা থেকে ৪টি দল সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে ইউরোতে।
ইউরো ২০২০ এ মোট ২৪টি দল অংশগ্রহণ করবে । তার আগে অনুষ্ঠিত হবে এই ইউরোর জন্য বাছাইপর্ব, যাতে উয়েফার ৫৫টি সদস্য রাষ্ট্রকে সর্বমোট ১০টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। ৫টি গ্রুপে থাকবে ৫টি করে দেশ এবং অন্য ৫টি গ্রুপে ৬টি করে দেশ থাকবে। প্রত্যেক গ্রুপের সেরা দুই দলকে সরাসরি ইউরোর জন্য বাছাই করা হবে।
বাকি ৪ দলের জন্যে রয়েছে প্লে-অফ এর ব্যবস্থা। এই ৪ দল বাছাই করা হবে আগের বছরের উয়েফা নেশনস লিগ পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে। উয়েফা নেশনস লিগের অধীনে থাকা চার লিগের মোট ১৬টি গ্রুপের ১৬ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন অংশ নিবে এই প্লে-অফে। যদি কোনো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ইতোমধ্যে ইউরোতে বাছাই করে ফেলে, তাহলে সুযোগ পাবে সেই গ্রুপের পরবর্তী দলটি। যদি কোনো লিগ থেকে চারটির কম দল পাওয়া যায়, তাহলে উয়েফার র্যাংকিং এর উপর ভিত্তি করে অন্য একটি লিগ থেকে কোনো দলকে সুযোগ দেওয়া হবে প্লে-অফে অংশ নেওয়ার। ফলে কোনো শক্তিশালী দলের ইউরোতে না খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক লিগ থেকে একটি করে মোট ৪টি দল প্লে অফের জন্যে ঠিক করা হবে।
এই প্লে-অফ অনুষ্ঠিত হবে ২০২০ সালের মার্চ মাসে। প্রতি লিগের থেকে প্লে-অফের জন্য বাছাইকৃত চারটি দল অংশ নেবে একটি সিঙ্গেল-লেগ সেমিফাইনালে। দুই সেমিফাইনালের জয়ী দল নিজেদের মধ্যে খেলবে ফাইনালে। চার গ্রুপ থেকে চার ফাইনালজয়ী দল সুযোগ পাবে ইউরোর মূল পর্ব খেলার।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক উয়েফা নেশনস লিগের গ্রুপগুলো–
লিগ এ
গ্রুপ ১ – জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস
গ্রুপ ২ – বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড
গ্রুপ ৩ – পর্তুগাল, ইতালি, পোল্যান্ড
গ্রুপ ৪ – স্পেন, ইংল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া
লিগ বি
গ্রুপ ১ – স্লোভাকিয়া, ইউক্রেন, চেক রিপাবলিক
গ্রুপ ২ – রাশিয়া, সুইডেন, তুরস্ক
গ্রুপ ৩ – অস্ট্রিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড
গ্রুপ ৪ – ওয়েলস, রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক
লিগ সি
গ্রুপ ১ – স্কটল্যান্ড, আলবেনিয়া, ইসরাইল
গ্রুপ ২ – হাঙ্গেরি, গ্রিস, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া
গ্রুপ ৩ – স্লোভেনিয়া, বুলগেরিয়া, নরওয়ে, সাইপ্রাস
গ্রুপ ৪ – রোমানিয়া, সার্বিয়া, মন্টেনেগ্রো, লিথুয়ানিয়া
লিগ ডি
গ্রুপ ১ – জর্জিয়া, কাজাখস্থান, লাটভিয়া, অ্যান্ডোরা
গ্রুপ ২ – বেলারুশ, লুক্সেমবার্গ, মলদোভা, স্যান ম্যারিনো
গ্রুপ ৩ – আজারবাইজান, ফ্যারো আইল্যান্ড, মাল্টা, কসোভো
গ্রুপ ৪ – মেসিডোনিয়া, আলবেনিয়া, লিখটেন্সটাইন, জিব্রালটার
উয়েফা নেশনস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো আয়োজিত হবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের আন্তর্জাতিক ফুটবল বিরতিতে। আর লিগ এ এর চার গ্রুপ বিজয়ীদের মধ্যে দুটি সেমিফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ ও ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ সালের জুন মাসে।
একনজরে উয়েফা নেশনস লিগের ফিক্সচার দেখে নেওয়া যাক।
ম্যাচ ডে ১: ৬ – ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ম্যাচ ডে ২: ৯ – ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ম্যাচ ডে ৩: ১১ – ১৩ অক্টোবর, ২০১৮
ম্যাচ ডে ৪: ১৪ – ১৬ অক্টোবর, ২০১৮
ম্যাচ ডে ৫: ১৫ – ১৭ নভেম্বর, ২০১৮
ম্যাচ ডে ৬: ১৮ – ২০ নভেম্বর, ২০১৮
ফাইনালস: ৫ – ৯ জুন, ২০১৯
প্রশ্ন হলো, এই লিগ আয়োজন করে আসলে লাভ কী?
প্রথমত, আন্তর্জাতিক দলগুলোর মাঝে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে থাকে। অনেকের মতেই, প্রতিযোগিতাহীন এই প্রীতি ম্যাচগুলো লাভের চেয়ে ক্ষতিই করছে বেশি। উয়েফা নেশনস লিগ আয়োজনের ফলে এখন এই প্রীতি ম্যাচগুলোর বদলে একটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে, যা উয়েফা সদস্য দেশগুলোর ফুটবলের উন্নতি করবে বলে উয়েফার বিশ্বাস।
এখন শুধু র্যাংকিং এর শুরুর দিকের দলগুলো নয়, বরং ইউরোপের মধ্যম পর্যায়ের দলগুলোর সামনেও যথেষ্ট সুযোগ আছে ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ বা ইউরোতে বাছাই করার। র্যাংকিং এর তলানিতে থাকা ১৬টি দল পাচ্ছে ইউরোতে খেলার সুবর্ণ সুযোগ। ইউরোপের এই অনুজ দলগুলোর কাছে তাদের নিজ দলের উন্নতি করার জন্য প্রেরণা বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি।
ইউরোপের অনেক শক্তিশালী দলের কাছে বহুদিন ধরেই কোনো শিরোপা অধরা হয়ে আছে। ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ক্রোয়েশিয়া, বেলজিয়াম- এসব দলের কাছে এখন সুযোগ হয়েছে এই শিরোপা জুজু কাটানোর। শুধু দলগুলোই নয়, বরং ফুটবলমোদীদের কাছে উয়েফা নেশনস লিগ হয়ে উঠেছে এক বিরাট আকর্ষণ। গ্রুপ পর্বেই তারা উপভোগ করতে পারবেন জার্মানি বনাম ফ্রান্স, পর্তুগাল বনাম ইতালি, স্পেন বনাম ইংল্যান্ডের মতো বেশ কিছু হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ।
তবে এই লিগের ব্যাপারে অনেকেই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। পুরনো সেই ক্লাব বনাম দেশ বিতর্ক আবার নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। শোনা যাচ্ছে, ক্লাব কোচেরা এখন থেকেই চিন্তিত, এই টুর্নামেন্ট ফুটবলারদের ফিটনেসের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে। এটাও মনে করা হচ্ছে যে, এত ঘন ঘন দেশের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে গেলে ক্লাব ফুটবলের উপর মনোযোগ দিতে সমস্যা হতে পারে ফুটবলারদের। লিভারপুল ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ ইতোমধ্যে উয়েফা নেশনস লিগের ব্যাপারে ভীতি প্রকাশ করেছেন। তার মতে, এই লিগের চাপে ফুটবলারদের ক্লান্ত হবার প্রবণতা আরও অনেক বেড়ে যাবে।
উয়েফার অসাধারণ আর্থিক অবস্থা ও সুগঠিত পরিকল্পনার কারণেই আজ ইউরোপের দেশগুলো বিশ্ব ফুটবলের ছড়ি ঘোরাচ্ছে। উয়েফা নেশনস লিগ আয়োজনের ফলে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলায় একাত্মতা বাড়বে ও ইউরোপের দলগুলো আরও শক্তিশালী হবে, এই বিশ্বাস রাখছে উয়েফা। আশা করা যায়, উয়েফার দেখাদেখি অন্যান্য মহাদেশীয় অ্যাসোসিয়েশনগুলোতেও এরকম লিগ চালু হবে।
ফিচার ইমেজ : AS ENGLISH