১
বর্তমানে বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান কে? এরকম প্রশ্নের উত্তরে একেকজন একেক ব্যাটসম্যানের নাম বলবে। কারো দৃষ্টিতে বিরাট কোহলি, আবার কারো কারো চোখে স্টিভেন স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন, জো রুট কিংবা আব্রাহাম বেঞ্জামিন ডি ভিলিয়ার্স, হাশিম আমলারা। সেরা ব্যাটসম্যান হওয়ার দৌড়ে আছেন বেশ কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী। এর আগেরপ্রজন্মে যেমন ছিলো শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, জ্যাক ক্যালিস এবং ব্রায়ান লারাদের মধ্যে।
২
স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান তার সময়কার সেরা ব্যাটসম্যান যে ছিলেন, এতে সন্দেহ প্রকাশের কোনো অবকাশ নেই। কিন্তু তারও প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো। ব্রাডম্যানের মতো অবিশ্বাস্য ব্যাটিং গড়ে রান করতে না পারলেও সেসময়কার সর্বাধিক রান সংগ্রাহক ছিলেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান ওয়ালি হ্যামন্ড। স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান, ডব্লিউ জি গ্রেস, জ্যাক হবসের সাথে সর্বকালের সেরা চার ব্যাটসম্যানের তালিকায় ওয়ালি হ্যামন্ডের নামও উচ্চারিত হয়।
১৯ জুন, ১৯০৩; কেন্টের ডোভেরে জন্মগ্রহণ করেন ওয়াল্টার রেগিনাল্ড হ্যামন্ড। তিনি পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত ডোভেরে কাটিয়েছেন। সেসময় থেকেই ক্রিকেট খেলে সময় পার করতেন। তার বাবার চাকরির দরুন কয়েকবার বাসস্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে তাকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পরিবারসহ ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন হ্যামন্ড। জন্মস্থানে ফেরার পর তার বাবার পদোন্নতি হয়ে ফ্রান্সে বদলি হন। সেখানে কিছুদিন পর তার বাবা খুন হন।
বাবার মৃত্যুর পর মা তাকে গ্রামার স্কুলে ভর্তি করান। সেখানে খেলাধুলায় নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন হ্যামন্ড। স্কুলের ফুটবল এবং ক্রিকেটের দুই একাদশেই জায়গা করে নেন তিনি। স্কুল ক্রিকেটে অসাধারণ পারফরমেন্স করে গ্লৌচেস্টারশায়ারের পরিচালকদের নজরে আসেন ওয়ালি হ্যামন্ড।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১৯২০ সালের আগস্টে গ্লৌচেস্টারশায়ারের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে হ্যামন্ডের। প্রথম চার ইনিংসে মাত্র ২৭ রান করলেও তার ব্যাটিং স্টাইল দেখে অনেকেই ধারণা করছিলো, তার সামনে অপেক্ষা করছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। ওয়ালি হ্যামন্ড ১৯২১ সালে মাত্র দুটি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছিলেন। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ান ট্যুরিস্টদের বিপক্ষে তিন ইনিংসে মাত্র দুই রান করেছিলেন তিনি।
১৯২২ সালেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তবে সেই বছর তার পারফরমেন্সের চেয়ে বেশি আলোচিত ছিলো মাঠের বাইরের ঘটনা। গ্লৌচেস্টারশায়ারের ঐ মৌসুমে পাঁচ ম্যাচে দশের কম ব্যাটিং গড়ে রান করছিলেন হ্যামন্ড। তিনি তার রান খরা কাটানোর সুযোগ পাননি। মেরিলিবর্ন ক্রিকেট ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ লর্ড হ্যারিস খেয়াল করেন, হ্যামন্ডের জন্মস্থান কেন্টে। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়মানুযায়ী, তিনি গ্লৌচেস্টারশায়ারের হয়ে খেলতে পারবেন না। ঐ মৌসুমে তাই তিনি আর খেলতে পারেননি।
তার মতো একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার বাধাগ্রস্ত করার কারণে গণমাধ্যমে সমালোচনার শিকার হন পরিচালকেরা। ১৯২৩ সালে তিনি গ্লৌচেস্টারশায়ারের হয়ে পুনরায় কাউন্টি ক্রিকেটে ফেরেন। সারির বিপক্ষে প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারে প্রথম শতক হাঁকান। ঐ মৌসুমে আর কোনো শতক হাঁকাতে না পারলেও বরাবরের মতো সবার নজর কাড়েন। ১৯২৩ সালে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৭.৮৬ ব্যাটিং গড়ে ১,৪২১ রান করেছিলেন।
৩
ওয়ালি হ্যামন্ডের আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ১৯২৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর। তিনি ১৯২৭ সালের ক্রিকেট মৌসুম শুরু করেছিলেন অসাধারণভাবে। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অন্তর্ভুক্তি একপ্রকার নিশ্চিত ছিলো। ১৯২৭ সালের মে মাস শেষ হওয়ার আগেই ঐ পঞ্জিকাবর্ষে এক সহস্রাধিক রান পূর্ণ করেছিলেন তিনি। ডব্লিউ জি গ্রেসের পর কোনো ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কীর্তি গড়েন হ্যামন্ড। ১৯২৭ সালে ওয়ালি হ্যামন্ড প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৬৯.০৪ ব্যাটিং গড়ে ২,৯৬৯ রান করেছিলেন ১২টি শতকের সাহায্যে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকার কারণে ১৯২৭ সালের ২৪শে ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। নিজের অভিষেক ইনিংসে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের অভিষেক সিরিজে শতকের দেখা না পেলেও পাঁচ ম্যাচে ৪০.১২ ব্যাটিং গড়ে ৩২১ রান এবং ২৬.৬০ বোলিং গড়ে ১৫ উইকেট শিকার করেছেন।
৪
১৯২৮-২৯ মৌসুমে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেন ওয়ালি হ্যামন্ড। নিজের প্রথম অ্যাশেজেই বাজিমাত করেন তিনি। সিডনিতে অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম শতককে দ্বিশতকে রূপান্তরিত করে ২৫১ রানের ইনিংস খেলেন। মেলবোর্নেও দু’শ রান করেন। অ্যাডিলেডে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে জোড়া শতক হাঁকান তিনি। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১১৯ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০৩ বলে ১৭৭ রান করেন।
ওয়ালি হ্যামন্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে চারটি শতকের সাহায্যে ১১৩.১২ ব্যাটিং গড়ে ৯০৫ রান করেছিলেন। এক সিরিজের সর্বাধিক রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সেই সময়কার বিশ্বরেকর্ড ছিলো এটি। পরের অ্যাশেজেই ডন ব্র্যাডম্যান ১৩৯.১৪ ব্যাটিং গড়ে ৯৭৪ রান করে হ্যামন্ডকে টপকে যান। ১৯৩০ সালের অ্যাশেজে ডন ব্র্যাডম্যান দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। সেই সময়কার বিশ্বরেকর্ড ৩৩৪ রানের ইনিংস সহ মাত্র সাত ইনিংসে ৯৭৪ রান করেছিলেন। অপরদিকে হ্যামন্ড মাত্র ৩৪.০০ ব্যাটিং গড়ে ৩০৬ রান করেছিলেন।
৫
নিঃসন্দেহে সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে ডন ব্র্যাডম্যানের চেয়ে পিছিয়ে আছেন ওয়ালি হ্যামন্ড। কিন্তু কমপ্লিট ক্রিকেটার বলতে যা বোঝায়, তা-ই ছিলেন তিনি। দুজনের ক্যারিয়ারের ব্যাপ্তিকাল ছিলো সমান সমান। ওয়ালি হ্যামন্ডের অভিষেক ঘটে ১৯২৭ সালে এবং ডন ব্র্যাডম্যানের ১৯২৮ সালে। হ্যামন্ড ক্রিকেটকে বিদায় জানান ১৯৪৭ সালে এবং ব্র্যাডম্যান ১৯৪৮ সালে।
ডন ব্র্যাডম্যান ছিলেন শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান। ৫২ টেস্ট তার উইকেট সংখ্যা মাত্র দুটি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৩৪ ম্যাচে সেই সংখ্যা ৩২। ব্র্যাডম্যান টেস্ট ক্রিকেটে ৩২টি এবং প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৩১টি ক্যাচ লুফে নেন। অন্যদিকে ওয়ালি হ্যামন্ড সেসময়কার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পাশাপাশি বল হাতেও ছিলেন কার্যকরী। ফিল্ডার হিসেবে ছিলেন সবার সেরা। মিডিয়াম পেস বল করে ৮৫ টেস্টে ৮৩ উইকেট শিকার করেন। এবং প্রথম ফিল্ডার হিসেবে শতাধিক (১১০টি) ক্যাচ লুফে নেন তিনি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার পরিসংখ্যান আরও বেশি সমৃদ্ধ। ৬৩৪টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ২২ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট এবং তিনবার ম্যাচে দশ উইকেট সহ ৭৩২ উইকেট শিকার করেন তিনি। স্লিপে দুর্দান্ত ফিল্ডার হ্যামন্ড তার প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারে ৮২০টি ক্যাচ লুফে নেন।
ওয়ালি হ্যামন্ড তার সময়কার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। রান সংখ্যার দিক দিয়েও তিনি ব্র্যাডম্যানকে পেছনে ফেলেছিলেন। ৮৫ টেস্টে ২২টি শতক এবং ২৪টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৫৮.৪৫ ব্যাটিং গড়ে ৭,২৪৯ রান করেছেন তিনি। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তার অপরাজিত ৩৩৬ রানের ইনিংসটি পাঁচ বছর পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের তালিকার শীর্ষে ছিলো। ৭,২৪৯ রানের মাধ্যমে ৩৩ বছর পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন হ্যামন্ড।
৩৩ বছর তার স্বদেশী কলিন কাউড্রি তার রেকর্ড ভাঙেন। হ্যামন্ড ঘরের মাঠের চেয়েও বিদেশের মাঠে ভালো খেলতেন। ঘরের মাঠে ৪৪ টেস্টে ৫০.০৬ ব্যাটিং গড়ে করেছিলেন ৩,০০৪ রান। অন্যদিকে বিদেশের মাঠে ৪১ টেস্টে ৬৬.৩২ ব্যাটিং গড়ে ৪,২৪৫ রান করেছেন তিনি। সমসাময়িক ডন ব্র্যাডম্যান ৫২ টেস্টে ৯৯.৯৪ ব্যাটিং গড়ে ২৯টি শতক এবং ১৩টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৬,৯৯৬ রান করেছেন।
৬
ইংল্যান্ডের কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান লেন হাটন একবার বলেছিলেন, ডন ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিং দশ ঘন্টা দেখার চেয়ে ওয়ালি হ্যামন্ডের ব্যাটিং একঘণ্টা দেখা বেশি উপভোগ্য।
১৯৩২-৩৩ মৌসুমের কুখ্যাত বডিলাইন সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ওয়ালি হ্যামন্ড। ঐ অ্যাশেজে বৈধ উপায়ে অখেলোয়াড় সুলভ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। লেগ সাইডে ফিল্ডার রেখে লেগ স্ট্যাম্পে শরীর বরাবর একের পর এক শর্ট বল করতে থাকে ইংলিশ পেসাররা। বিপদজনক জেনে ওয়ালি হ্যামন্ড এই পরিকল্পনার বিপক্ষে ছিলেন। শেষপর্যন্ত অধিনায়ক এবং দলের অন্যান্য সদস্যের সাথে তিনিও মাঠে নামেন। ইংল্যান্ড তাদের পরিকল্পনায় সফল হয়ে ৪-১ অ্যাশেজ সিরিজ জিতে নেয়। বডিলাইন সিরিজে ওয়ালি হ্যামন্ড পাঁচ ম্যাচে দুটি শতকের সাহায্যে ৫৫.০০ ব্যাটিং গড়ে ৪৪০ রান করার পাশাপাশি ৯ উইকেট শিকার করেছিলেন।
৭
ওয়ালি হ্যামন্ড আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকান সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এই মাঠে তিনি পাঁচ ম্যাচে চারটি শতক এবং একটি অর্ধশতকের সাহায্যে ১৬১.৬০ ব্যাটিং গড়ে ৮০৮ রান করেছেন। নির্দিষ্ট কোনো মাঠে কমপক্ষে পাঁচ ম্যাচ খেলা এবং পাঁচশো রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং গড় হ্যামন্ডের। ১৯২৮ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ওয়ালি হ্যামন্ড। এই সময়ে ৬৯টি টেস্টে ১৯টি শতক এবং ২০টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৬১.৫০ ব্যাটিং গড়ে ৬,১৫০ রান করেছিলেন। ডন ব্র্যাডম্যান মাত্র ৩৭ টেস্টে ২১টি শতক এবং ৮টি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৯৭.৯৪ ব্যাটিং গড়ে ৫,০৯৩ রান করেছেন।
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি শতক হাঁকানো ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ওয়ালি হ্যামন্ড তৃতীয় স্থানে আছেন। তিনি ৬৩৪টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ১৬৭টি শতক এবং ১৮৫টি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৫৬.১০ ব্যাটিং গড়ে ৫০,৫৫১ রান করেছেন। সবচেয়ে বেশি শতক হাঁকানো ব্যাটসম্যানদের তালিকায় তার উপরে আছে জ্যাক হবস এবং প্যাটসি হেনড্রেন। ওয়ালি হ্যামন্ড প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৩৬টি ডাবল সেঞ্চুরি এবং চারটি ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। তার চেয়ে বেশি ডাবল সেঞ্চুরি এবং ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ডন ব্র্যাডম্যান। তিনি ৩৭টি ডাবল সেঞ্চুরি এবং ৬টি ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।
৮
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটারের মতো ওয়ালি হ্যামন্ডের ক্যারিয়ারও বাধাগ্রস্ত হয়। বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে ক্রিকেটে ফিরেই প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। ঐ বছর মাত্র ২৬ ইনিংসে ৮৪.৯০ ব্যাটিং গড়ে ১,৭৮৩ রান করেছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দ্যুতি ছড়াতে পারেননি তিনি। ৮ টেস্টে ৩০.৫০ ব্যাটিং গড়ে মাত্র ৩৬৬ রান করেন তিনি।
ওয়ালি হ্যামন্ড ১৯৪৭ সালে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটকে এবং ১৯৫১ সালে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদায় জানান। ডন ব্র্যাডম্যানের মতো বিশ্বসেরা ক্রিকেটারের দরুন তার সময়কার সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে তার নাম উচ্চারিত না হলেও তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। অসাধারণ সব কীর্তি গড়ে ক্রিকেটের পাতায় নিজের নাম খোদাই করে রেখে গিয়েছেন।
১৯৬০ সালের ফেব্রুয়ারিতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন হ্যামন্ড। সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও ১৯৬৫ সালের ১লা জুলাই হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তী ক্রিকেটার ওয়াল্টার রেগিনাল্ড হ্যামন্ড।
ফিচার ইমেজ- InsideTheGames