
সীমিত ওভারের সিরিজ শেষ হবার পরও দলের সঙ্গে রেখে দেয়া হয়েছিল তাকে, মূলত নেটে তার অফস্পিন খেলে খেলে অভিজ্ঞ অজি স্পিনার নাথান লায়নের বোলিংয়ের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার জন্যে। অথচ ব্রিসবেন টেস্টে সেই তিনিই কি না লায়নের বলেই হাঁকিয়ে বসলেন ‘নো-লুক-চাবুক’! স্লগ সুইপে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে আছড়ে ফেললেন গ্যালারিতে!
সেই ইনিংসেরই কথা। বিশ্বসেরা টেস্ট বোলার প্যাট কামিন্সের করা বলটা আঘাত করলো তার বাঁ কাঁধে। দু’বল পরই কামিন্সের গোলা আবারও আঘাত হানলো তার উরুতে।

তবু ওয়াশিংটন সুন্দর টলেন না। তার মুখের ভাবভঙ্গিতে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন চোখে পড়ে না।
আপনি অবাক হন তার দৃঢ়তায়। কিন্তু অবাক হন না প্রায় হাজার কিলোমিটার দূরে টিভি পর্দার সামনে বসে থাকা বাবা এম. সুন্দর ও বড়বোন শৈলজা সুন্দর। চিকিৎসকের নিষেধ সত্ত্বেও তারা ছোট্ট ওয়াশিংটনকে দেখেছেন কপালে সেলাই নিয়ে ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতাতে। তার বয়স তখন কেবল ৯। দৃঢ়তা ও চোয়ালবদ্ধ মানসিকতার বীজটা বোধকরি তখনই রোপিত হয়ে গিয়েছিলো।
ওয়াশিংটন সুন্দর হয়তো ভেবে রেখেছিলেন, কখনো এই আঘাত ফিরিয়ে দেবেন কামিন্সকে। সুযোগটা কিন্তু এসে গেলো ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেই।
গ্যাবা দুর্গ ভেদ করতে ভারতের তখন চাই ৪৪ বলে ৪৮ রান, হাতে পাঁচ উইকেট। জুটি বেঁধে বল করছেন বিশ্বসেরা টেস্ট বোলার প্যাট কামিন্স ও শততম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামা নাথান লায়ন। ভারতের জন্য কাজটা খুব একটা সহজ হবে না তা অনুমিতই ছিল।
স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ওয়াশিংটন সুন্দরকে প্রথম ইনিংসে যেরকম ডেলিভারিতে কাঁধে আঘাত করেছিলেন, সেই বলটাই করলেন কামিন্স। ওয়াশিংটন এবার তৈরি হয়েই ছিলেন। হুক করে বলটা পাঠিয়ে দিলেন সীমানা দড়ির ওপারে। শরীরের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল না, পা দুটো শূন্যে উঠে গিয়েছিল। কিন্তু বলটা ঠিকই মাঝব্যাটে লাগিয়েছিলেন। ক্রিজের অপর প্রান্তে থাকা ঋষভ পান্ত এ ধরনের শট খেলতে সিদ্ধহস্ত।

আপনি তাকে এমন শট খেলতে দেখে অবাক হন। কিন্তু অবাক হন না ঋষভ পান্ত। পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গী যে ছিলেন এই ওয়াশিংটন সুন্দরই!
৪৩ বলে আর প্রয়োজন ৪৪…
পরের বলটা কামিন্স করলেন অফ স্ট্যাম্পে। হার্ডহ্যান্ডে ড্রাইভ করতে গেলেন ওয়াশিংটন, সেই চিরাচরিত নিয়ম মেনে “If you slash, slash hard”. ভাগ্যের সহায়তা পেলেন, স্লিপ কর্ডনের উপর দিয়ে বলটা চলে গেলো সীমানার বাইরে। আপনার কানে বেজে উঠলো ইয়ান বিশপের অমর বাণী,
“In times like these, you’d think it’s destiny..”
‘ডেসটিনি’, মানে এই ভাগ্যই তো ওয়াশিংটন সুন্দরকে টেনে এনেছে এতদূর। সিরিজের শুরুতে তো ছিলেন ভারতের ‘চতুর্থ পছন্দের স্পিনার’। সত্যি বলতে, বিবেচনাতেই তো ছিলেন না সুন্দর। সর্বশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচটা খেলেছিলেন ২০১৭ সালের নভেম্বরে, অর্থাৎ তিন বছরেরও বেশি সময় আগে।
এমনকি প্রথম পছন্দের দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা চোটের মিছিলে যোগ দেবার পরও তার খেলার সম্ভাবনা ছিলো কম। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সফল কূলদীপ যাদব থাকতে ওয়াশিংটন সুন্দরকে বিবেচনা করার তো প্রশ্নই আসার কথা নয়!
একটু পেছনে ফিরে যাওয়া যাক। ওয়াশিংটন যখন পরিবারকে জানালেন যে টেস্ট সিরিজের সময়ও দলের সঙ্গে থেকে যাবেন, তখন তার বোন সাবেক ক্রিকেটার শৈলজা সুন্দর ভাবলেন যে, দলের সঙ্গে থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ হবে৷ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তো আগেই অভিষেক হয়েছে। তবে টেস্ট ক্রিকেটটা অন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে কতটা আলাদা, তা ভালো করেই জানেন শৈলজা। কিন্তু তার বাবা বলে বসলেন, “দেখে নিও, ওয়াশি অন্তত একটা টেস্ট খেলে দেশে ফিরবে।”
বাস্তবিক অর্থে সেই সুযোগটা ছিল না বললেই চলে। কিন্তু আপনি ইতঃমধ্যে জেনেই গিয়েছেন যে, ‘ডেসটিনি’ তথা ভাগ্য ওয়াশিংটনের পক্ষেই আছে। তাই ম্যাচের আগের দিন ভিডিও কলে যখন ওয়াশিংটন পরিবারকে জানালেন তার অভিষেকের কথা, তখন অবাক হননি কেউই। হ্যাঁ, আনন্দাশ্রু বয়েছে, পরম আরাধ্য আনন্দাশ্রু।
ফরাসি ভাষায় ‘দেজা ভ্যু’ বলে একটা কথা আছে৷ এটার মানে হচ্ছে, পূর্বে অনুভূত বা প্রত্যক্ষ কোনো অভিজ্ঞতা। ওয়াশিংটন সুন্দরের টেস্ট অভিষেকে ঘটলো এমন কিছু ঘটনা।

টেস্ট অভিষেক হলো রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বদলি হিসেবে। যেমনটা হয়েছিলো ২০১৭ সালে, রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) অভিষেকটা তো অশ্বিনের বদলি হিসেবেই। পরম আকাঙ্ক্ষিত টেস্ট ক্যাপটাও পেলেন অশ্বিনের হাত থেকেই। মজার ব্যাপার হলো, ঘরোয়া ক্রিকেটে দু’জনেই খেলেন একই রাজ্যের হয়ে।
ওয়াশিংটনের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট অজিদের সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ, সুপারজায়ান্টের নেটে যাকে বোল্ড করে নজর কেড়েছিলেন। অর্থাৎ, ওয়াশিংটনের প্রথম টেস্ট উইকেট তার প্রথম আইপিএল অধিনায়ক। এক মুহূর্তের জন্য মনঃসংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া স্মিথ বলটা তুলে দিলেন সোজা মিড উইকেটে দাঁড়ানো রোহিত শর্মার হাতে। এই রোহিতই ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়াশিংটনের প্রথম অধিনায়ক।

তবে ম্যাচে তার করা সেরা ডেলিভারিটা ছিল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে। শ’য়ের উপর বল খেলে ৪৭ রান করে ক্রিজে থিতু হয়ে যাওয়া ক্যামেরন গ্রিনকে ফেরালেন ‘ওয়াশিংটন’স ওয়ান্ডার বল’ দিয়ে। অফস্পিনের গ্রিপে করা বলটা পিচ করে ভেতরের দিকে না ঘুরলো না, কিছুটা উল্টোদিকে বাঁক খেয়ে আঘাত হানলো গ্রিনের স্ট্যাম্পে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এ ধরনের ডেলিভারি করে থাকেন হরহামেশাই। প্রথম ইনিংসে বল করেছিলেন ৩১ ওভার, ৮৯ রান খরচায় উইকেট ৩টি। সব বিবেচনায় বলাই যায়, অশ্বিনের ‘লাইক ফর লাইক রিপ্লেসমেন্ট’ করতে পেরেছিল ভারতীয় ম্যানেজমেন্ট।
কিন্তু ব্যাট হাতে কি ছাড়িয়ে গেলেন অশ্বিনকেও?

সিডনি টেস্টে অসাধারণ দৃঢ়তা দেখিয়ে হনুমা বিহারীকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ বাঁচিয়েছিলেন অশ্বিন। তার বদলি ওয়াশিংটন সুন্দরের খেলা দুটো ইনিংস ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ইনিংসে যখন উইকেটে আসেন, তখন ভারতের স্কোর ৫ উইকেটে ১৬১। ২৫ রান যোগ করতেই সঙ্গী পন্তও ফেরত গেলেন সাজঘরে।
এরপর শার্দূল ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াশিংটন যা করলেন, তা যুগ যুগ ধরে আলোচিত হতে থাকবে ভারতীয় ক্রিকেট লোকগাঁথায়। টেস্ট ক্রিকেটে নিতান্ত অনভিজ্ঞ দু’জন লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান বিশ্বের সবচাইতে বিপজ্জনক বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে সপ্তম উইকেট জুটিতে গড়লেন ১২৩ রানের জুটি, যাতে এক টেস্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে নামা শার্দূলের অবদান ৬৭।

নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হবার আগে অভিষিক্ত ওয়াশিংটন সুন্দর খেললেন ৭ চার ও ১ ছক্কার সহায়তায় ১৪৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস। এই ইনিংস খেলার পথে রেকর্ডও কিছু ভেঙেছেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে ১১০ বছরের পুরনো একটা রেকর্ড।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অভিষেকে সাত নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটা এখন ওয়াশিংটনেরই। ৬২ রানের ইনিংস দিয়ে তিনি ছাপিয়ে গিয়েছেন ইংল্যান্ডের ফ্র্যাঙ্ক ফস্টারকে। ১৯১১ সালে তিনি অভিষেকে সাতে নেমে করেছিলেন ৫৬ রান, রেকর্ডটা এতদিন ছিল তারই দখলে।
এছাড়া দত্তু ফাড়করের পর দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অভিষেকে অর্ধশতক ও তিন উইকেট নেবার কীর্তি গড়েন ওয়াশিংটন সুন্দর। তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট অভিষেকে অর্ধশতকের গৌরবও অর্জন করেন তিনি।
অনূর্ধ্ব-১৩ ক্রিকেটটা শুরু করেছিলেন বাঁহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে। কিন্তু তার দল অন্য একজনকে উইকেটরক্ষণের দায়িত্ব দেয়ায় অগত্যা অফস্পিনে মনোযোগ দেন ওয়াশিংটন। সেসময় থেকেই সুসংহত ব্যাটিং টেকনিকের জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। কিছু সময় কাটিয়েছেন ভারতের পেসারদের আঁতুড়ঘর ‘এমআরএফ পেইস অ্যাকাডেমি’তেও।
অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েছিলেন ১৩ বছর বয়সে, ১৫ বছর বয়সে খেলেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট। প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে খেলেছেন নিজের দ্বিগুণ বয়সী ক্রিকেটারদের সঙ্গে, বিপক্ষে। শৈশব-কৈশোরেই তাই ভিতটা গড়ে উঠেছিল ওয়াশিংটনের। বড় মঞ্চে সম্ভবত এজন্যই ভয় কিংবা দুর্বলতা কাজ করেনি।
সময়ের পরিক্রমায় টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ বোলার হয়ে ওঠা ওয়াশিংটন সুন্দর কিন্তু এসব জায়গায় খেলেছেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে। রঞ্জি ট্রফিতে তামিলনাড়ুর হয়ে ত্রিপুরার বিপক্ষে করা প্রথম শ্রেণিতে তার একমাত্র শতকটা এসেছিল ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমেই।

ব্রিসবেনে শতক হাঁকাতে না পারায় হতাশ তার বাবা তো রীতিমতো সেদিন সন্ধ্যায় তাকে বলেই বসলেন, “সামনের বার যখন সুযোগ পাবে, তখন কিন্তু সেঞ্চুরি করতে হবে।” যেন কলেজপড়ুয়া ছেলেকে পরীক্ষায় কম মার্ক পাবার পর পরের পরীক্ষায় ভালো করার উপদেশ দিচ্ছেন বাবা।
বাধ্য ছেলের মতো বাবার কথা মেনে নিলেও ওয়াশিংটন সুন্দর জানেন না যে পরের পরীক্ষায় কখন বসতে পারবেন। ইংল্যান্ড সিরিজের দলে আছেন, তবে সুযোগটা যে মিলবে সেটা নিশ্চিত করে বলে দেয়া যাচ্ছে না। তবে ওয়াশিংটন সুন্দর একটা বার্তা তো দিয়ে গেছেন! তিন বছরের বেশি সময় ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট না খেললেও ঐতিহাসিক ব্রিসবেন টেস্টে ঘোষণা করেছেন, টেস্টটা তিনিও খেলতে পারেন।
বাবাও একসময় ক্রিকেট খেলেছেন। তার সে সময়কার মেন্টর পি ডি ওয়াশিংটনের নামানুসারে করেছেন ছেলের নামকরণ। তামিলনাড়ুর রঞ্জি ট্রফি দলে সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলেও মূল দলে জায়গা হয়নি তার। ছেলে ওয়াশিংটন সুন্দর তামিলনাড়ুর হয়ে তো খেলেছেনই, এবার তো টেস্ট খেলে ফেললেন ভারতের হয়েও।

নির্দ্বিধায় বলা যায়, নিজের স্বপ্নকে নিজের ছেলের মাধ্যমে পূর্ণ করেছেন এম. সুন্দর। ব্রিসবেনে ওয়াশিংটন প্রতিটা বল যখন মোকাবেলা করেছেন, প্রতিটা বল যখন ছুঁড়েছেন ব্যাটসম্যানের উদ্দেশ্যে, তখন তার বাবা নিশ্চয়ই নিজেকে কল্পনা করেছেন সেখানে।
ওয়াশিংটন সুন্দর বলা চলে দুর্ঘটনাবশত অভিষিক্ত হয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে। চোটের মিছিল এত দীর্ঘ না হলে নিশ্চিতভাবেই সুযোগ মিলত না। তাই বলে তার এমন পারফরম্যান্সকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলবার কোনো উপায় নেই। কেননা, তার ব্যাটিং সক্ষমতা প্রশংসা করেছিলেন স্বয়ং রাহুল দ্রাবিড়।

ব্রিসবেনে ওয়াশিংটনের দুর্দান্ত ইনিংসের পর এক টুইটার বার্তায় সাবেক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার রাসেল আরনল্ড পাঁঁচ বছর আগের একটা ঘটনা স্মরণ করেন। আরনল্ড তখন ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দিতে বাংলাদেশে। ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ তখন রাহুল দ্রাবিড়। দ্রাবিড় সেই টুর্নামেন্টের সময় আরনল্ডের কাছে ওয়াশিংটনের টেম্পারামেন্টের প্রশংসা করে বলেছিলেন,
“He is the one to watch with the bat.”
রাহুল দ্রাবিড়ের এই সার্টিফিকেট সত্ত্বেও ‘অ্যাক্সিডেন্টাল টেস্ট ক্রিকেটার’ ওয়াশিংটন সুন্দরের এমন পারফরম্যান্সকে ‘অ্যাক্সিডেন্টাল’ বলার সাহস আপনি দেখাতে পারবেন কি?