একবিংশ শতাব্দীতে বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রায় মূখ্য ভূমিকা পালন করছে বিদ্যুৎ এবং বৈদ্যুতিক ডিভাইস। বৈদ্যুতিক ডিভাইস আমাদের জীবনের সাথে এতটাই ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত যে এর প্রয়োজনীয়তা নতুন করে ব্যাখ্যা করাটা ঠিক মানায় না। তবে সূচনালগ্ন থেকে এসব ডিভাইস আমাদের জীবনকে যতটা সহজ, জ্ঞানসমৃদ্ধ আর আনন্দদায়ক করেছে, একইসাথে আমাদের মনে প্রশ্ন তুলেছে এসব ডিভাইস ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে। মানসিক অবসাদ, ঝিমঝিম ভাব, ঘুমের ব্যাঘাত থেকে শুরু করে সময়ের সাথে সাথে ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার, এমনকি ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হবার প্রসঙ্গও আমাদের সামনে এসেছে।
কিন্তু এই বিষয়ের গভীরে যাবার আগে আমরা আংশিকভাবে বোঝার চেষ্টা করবো, বিদ্যুৎ প্রবাহ থেকে আসলে কী ঘটে।
খুব সাধারণভাবে ব্যাখ্যা করলে- বিদ্যুৎ মানেই ইলেক্ট্রনের প্রবাহ। আর ইলেক্ট্রনের প্রবাহ থেকে তৈরি হয় তড়িৎক্ষেত্র এবং চৌম্বকক্ষেত্র, যা শূন্য বা যেকোনো মাধ্যমে আলোর বেগে তরঙ্গরূপে বিকিরিত হয়, যাকে আমরা তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ হিসেবে চিনি। কিন্তু বিকিরণের নাম শুনলেই আমাদের মনে একধরনের শঙ্কা কাজ করে। তবে সাধারণ অর্থে, তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ কেবলই শক্তির স্থানান্তর, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের মতো কোনো ভয়াবহ বিষয় নয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঘরের ইলেকট্রিক হিটার থেকে অবলোহিত রশ্মি বিকিরণ তাপশক্তি রূপে।
তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণকে আমরা এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং কম্পাঙ্ক অনুসারে ভাগ করে থাকি। বিশাল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রেডিও-ওয়েভ থেকে শুরু করে অতিক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যের গামারশ্মি, এমনকি আমাদের দৃশ্যমান আলোক রশ্মিও তড়িৎচৌম্বকীয় বর্ণালীর একটি ক্ষুদ্র অংশ। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের এই যুগে আমরা আদতে বাস করছি তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গের সমুদ্রে। স্মার্টফোন, রাউটার, ল্যাপটপ-কম্পিউটার, টেলিভিশন ইত্যাদি ডিভাইসের ব্যবহার আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নতুন করে বলার কিছু নেই।
আর এসব ডিভাইস তথ্য আদান-প্রদান করে তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গের সাহায্যে। সুতরাং, আমরা চাইলেও এর থেকে খুব সহজেই নিজেদের আড়াল করতে পারব না। কিন্তু প্রায়ই একদল মানুষ এবং বিভিন্ন নিউজ-আর্টিকেল দাবি করে, এসব ডিভাইসের নির্গত বিকিরণের ফলে মানুষের বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা আছে এবং অনেকেই এর সম্মুখীন হয়েছে। সংক্ষেপে যাকে বলা হয় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক হাইপার-সেন্সিটিভিটি বা তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণের প্রতি অতি-সংবেদনশীলতা। কিন্তু আধুনিক ডিভাইস থেকে নির্গত বিকিরণ বা ‘ইলেক্ট্রো-স্মগ’ এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা যৌক্তিক?
তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ মানে যেহেতু শক্তির স্থানান্তর, তাহলে ঠিক কী পরিমাণ শক্তি আমাদের ক্ষতি করতে পারে, সেটিই আমাদের জানা প্রয়োজন। নিত্যব্যবহার্য ডিভাইসগুলো কী ক্ষতি করার মতো শক্তি নির্গমণ করে?
তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে যে শক্তি বিকিরিত হয়, তা নির্ভর করে এর কম্পাঙ্কের উপর। তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, কম্পাঙ্ক তত কম। অর্থাৎ সোজা হিসেবে বিশাল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রেডিও তরঙ্গ যে শক্তি বহন করে, অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যের গামারশ্মি তার থেকে কয়েক হাজার গুণ বেশি শক্তি বহন করে। তড়িৎচৌম্বকীয় বর্ণালীর এক্স-রশ্মি কিংবা গামা রশ্মি এতটাই বেশি শক্তিশালী যে তা পরমাণু থেকে ইলেক্ট্রনকে তার কক্ষপথ থেকে সরিয়ে দিতে পারে কিংবা আণবিক বন্ধন ভেঙে ফেলতে পারে। এদের বলা হয় আয়োনাইজিং বিকিরণ এবং সার্বিক বিবেচনায় এগুলো বেশ ক্ষতিকর।
রেডিওথেরাপিতে এই রশ্মি টিউমার কোষ ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়। এই তরঙ্গ যখন কোষ ধ্বংস করতে পারে, তখন সে বিষয়ে মনে অস্বস্তি জাগাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণই ক্ষতিকর নয়, যেমন আমাদের দৃশ্যমান আলোক রশ্মি ইলেকট্রন সরানোর মত শক্তি রাখে না। এদের বলা হয় নন-আয়োনাইজিং বিকিরণ। শক্তিস্তর বিবেচনায় এর নিচে আছে ইনফ্রারেড বা অবলোহিত, মাইক্রোওয়েভ এবং রেডিও-ওয়েভ।
আমাদের প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী স্মার্টফোন কিংবা ওয়াইফাই রাউটার থেকে শুরু করে রেডিও-টেলিভিশন, সেলুলার নেটওয়ার্ক, ব্রডকাস্টিং ইত্যাদিতে প্রযুক্তিভেদে রেডিও-ওয়েভ এবং মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার হয়ে থাকে। মাইক্রোওয়েভের ক্ষেত্রে ৩০০ মেগাহার্টজ থেকে ৩০০ গিগাহার্টজ কম্পাঙ্কের সীমার মধ্যেই সাধারণত বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। তড়িৎচৌম্বকীয় বর্ণালীর রেখাচিত্রে এটি আপেক্ষিকভাবে নিম্ন কম্পাঙ্ক এবং নিম্ন শক্তির তরঙ্গ। আপেক্ষিকভাবে বলার কারণ, এ তুলনায় দৃশ্যমান আলোকরশ্মি প্রায় ১৪০০ গুন বেশি শক্তি বহন করে। তাই বিষয়টি স্পষ্ট যে, এগুলো থেকে যে শক্তির নির্গমণ ঘটে, তা আমাদের কোষের ক্ষতি করার জন্য অত্যন্ত দুর্বল।
বৈদ্যুতিক ডিভাইস আসার আগে থেকেও আমরা প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ উৎসের সাথে বাস করে আসছি। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি কিংবা ভূপৃষ্ঠের অবলোহিত রশ্মি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। কিন্তু আমাদের ওপর এসব উৎসের কোনো প্রভাব নেই। শিল্প বিপ্লবের পর থেকে প্রযুক্তির বিকাশের দরুন আমরা একে একে প্রচুর ডিভাইস যোগ করেছি এবং প্রতিনিয়ত ডিজিটাল ডিভাইসের তালিকা এবং নির্ভরশীলতা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। তবে কি এত বেশি পরিমাণ ডিভাইসের ভিড়ে দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার থেকে শক্তিশালী হয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে? এর উত্তর দেওয়াটা খুব সহজ হবে না। কিন্তু আমরা একে একে কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করবো।
মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ নিম্ন শক্তিসম্পন্ন হলেও এর একটি বিশেষ ব্যবহার ওভেনে খাবার গরম করায়। তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, বাসার ওয়াইফাই রাউটারটিও কি আপনাকে সেদ্ধ করে ফেলতে পারে? মাইক্রোওয়েভ ওভেনে যে কম্পাঙ্কের তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়, তা ২.৪ গিগাহার্টজের কাছাকাছি। ওয়াইফাই রাউটারেও একই পরিমাণ কম্পাঙ্ক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু পার্থক্যটা তৈরি হয় উভয়ের আউটপুট ক্ষমতায়। ওভেন ডাই-ইলেক্ট্রিক পদ্ধতিতে কাজ করে (খুব সহজভাবে বললে, তড়িৎক্ষেত্রের কম্পনের ফলে পদার্থের অণুসমূহের ঘর্ষণ থেকে তাপ উৎপন্ন হয়)।
কিন্তু একটি ওভেনের এই প্রক্রিয়াতে আউটপুট ক্ষমতা যেখানে প্রায় ৭০০ ওয়াট, সেখানে একটি ওয়াইফাই রাউটারের মাত্র ১০০ মিলিওয়াট। কারণ ওভেনে ওয়েভগাইড, ম্যাগনেট্রন এবং রিফ্লেক্টিভ চেম্বারের মতো যন্ত্র ব্যবহার করা হয় যা এত বেশি শক্তি আউটপুট হিসেবে দেয়। কিন্তু আমাদের ব্যবহার্য অন্যান্য ডিভাইসে এসবের কোনোটাই থাকে না।
আবার শক্তির মাত্রাটা নির্ভর করে দূরত্বের উপরেও। উৎসের এক মিটার দূরত্বে যে শক্তি ঘনত্ব, তা তিন মিটার দূরত্বে নয় গুন বেশি। আর খুব কাছে থেকে আমরা যেসব ডিভাইস ব্যবহার করি, তার মধ্যে প্রথম অবস্থানে আছে মোবাইলফোন। আর এ প্রসঙ্গে আরো যে বিষয়টি উঠে আসে, তার একটি হলো ব্লু লাইট রেডিয়েশনের ফলে থার্মাল ইফেক্ট এবং চোখের ক্ষতির সম্ভাবনা। ডিভাইসের স্ক্রিন থেকে যে আলো নির্গত হয়, তা ব্লু লাইট রেডিয়েশন নামে পরিচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা সাধারণত দিনের বেলায় কেবল নীল আকাশের দিকে তাকালে আলোক রশ্মি আমাদের চোখে যে শক্তি নিয়ে আঘাত করে, তা এলইডি স্ক্রিনের নির্গত ব্লু লাইটের শক্তির পরিমাণ থেকে অনেক বেশি।
তাই চোখের রেটিনাল সেলের ক্ষতি করার কোনো প্রশ্নই আসে না এক্ষেত্রে। অন্যদিকে, থার্মাল ইফেক্ট অর্থাৎ দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে শরীরের তাপমাত্রার বৃদ্ধির প্রভাবটাও অতি সামান্যই। তুলনামূলক হিসেবে যদি আপনি একটানা ২৪১ দিন ডিজিটাল কোনো স্ক্রিনের সামনে বসে থাকেন, তবে তা আপনার শরীরের তাপমাত্রা মাত্র এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি করবে।
কিন্তু এরপরও আরো বেশকিছু সন্দেহ এখনো বিজ্ঞানীদের মনে আছে। চালানো হয়েছে হাজারো গবেষণা। ফলাফল এর পক্ষে যেমন এসেছে, তেমনি বেশ কিছু ফলাফল বিপক্ষেও এসেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ডিভাইসের তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণের ফলে স্বাস্থ্যহানির সরাসরি কোনো প্রমাণ মেলেনি। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষ্যমতে,
মোবাইল ফোন ব্যবহারে স্বাস্থ্যের ওপর এখনো কোনো বিরূপ প্রভাব আমরা লক্ষ্য করিনি।
তবে একইসাথে তারা সতর্কও করেছে এ বিষয়ে, কারণ এখনো বিভিন্ন গবেষণা চালানো হচ্ছে অজানা কিছু বিষয়ের ওপর।
তাহলে কি আপনার চিন্তার কোনো কারণ আছে? এর উত্তর- “না”। তবে আমাদের সামনে যেসব নেতিবাচক ফলাফল উঠে এসেছে, তার ব্যাখ্যা কী?
এক্ষেত্রে প্রথমত, যেসব গবেষণায় ক্যান্সার, ডিএনএ ড্যামেজ বা ব্রেইন টিউমারের মত ভয়াবহ ক্ষতির উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব গবেষণাতে অনেকক্ষেত্রে ভুল তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। আবার অনেকক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগীরা ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত উত্তর দিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন মিডিয়ার মুখরোচক ও ক্লিকবেইট নিউজ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ইঁদুরের তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গের প্রভাবে ক্যান্সার কোষ তৈরির হবার সম্পর্ক আছে। কিন্তু সব ইঁদুর নয়, কেবল পুরুষ ইঁদুর এবং এদের মধ্যে কেবল বাচ্চা ইঁদুরগুলোর এই সমস্যার বাইরে। কিন্তু এর সাথে অবশ্যই মানুষের ব্রেইন ক্যান্সারের সম্পর্ক নেই। কিন্তু কিছু মিডিয়া এই তথ্যকে পুঁজি করে মানুষের উদ্বেগের সৃষ্টি করে।
তৃতীয়ত, এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর ভ্রান্ত ধারণা এবং মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব নোসিবো ইফেক্টকে দায়ী করা যেতে পারে। প্লাসিবো ইফেক্টের ঠিক বিপরীত নোসিবো ইফেক্ট। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কেউ মনের মধ্যে যদি ডিভাইস ব্যবহারের নেতিবাচক ধারণা লালন করতে থাকে, তবে ভবিষ্যতে ঠিক সে সমস্যায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার মাথাব্যথা বা অন্য কোনো সমস্যায় আক্রান্ত অবস্থায় ডিভাইস ব্যবহার করার পর তা ব্যবহার বন্ধ করলে যদি সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি মিলে, তখন ব্যবহারকারী ভেবে বসে- সম্ভবত দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলেই হয়তো সমস্যার আবির্ভাব ঘটেছে।
তবে কি আপনি দিনের পর দিন ল্যাপটপ কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোনের স্ক্রিনে ডুবে থাকবেন স্বাচ্ছন্দ্যে? এর উত্তরও- “না”। আপনার শারীরিক কোনো ক্ষতি না করলেও রাত জেগে এসব স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে ব্লু লাইট সার্কেডিয়ান রিদমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যা থেকে ইনসমনিয়ায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা আছে। একটানা দীর্ঘক্ষণ ডিভাইসের পর্দায় তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের পানি শুকিয়ে যেতে পারে, যার ফলে চোখে জ্বালাপোড়া হতে পারে। এমনকি ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের চিন্তাশক্তির উপরেও প্রভাব ফেলে। গবেষণায় উঠে এসেছে, অতিরিক্ত প্রযুক্তি নির্ভরতা কীভাবে আমাদের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে এবং চিন্তাশক্তির পরিবর্তন করছে।
প্রযুক্তি নিয়ে স্বাস্থ্যহানি ছাড়াও আমাদের মাথা ঘামাবার জন্য পরিবেশ দূষণ, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের মতো আরো অনেক কারণ রয়েছে। আধুনিক এই সমাজে তথ্য আদান-প্রদান ও সংরক্ষণের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই মাধ্যমগুলোকে উপেক্ষা করা আমাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু এর সঠিক এবং পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করাও একইসাথে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।