
বর্তমানের স্মার্টফোনগুলি অত্যধিক জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো এগুলোর জন্য রয়েছে ব্যবহারযোগ্য প্রচুর অ্যাপস। স্মার্টফোনের প্লাটফর্ম অনুযায়ী প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে গেলে দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষণীয়, সঙ্গীত বিষয়ক, খেলাধুলা, দরকারি টুলস, এডিটিং ইত্যাদি বিষয়ক লক্ষাধিক অ্যাপস। এই যে চমকপ্রদ ও কাজের এতো সফটওয়্যার, এগুলোর অধিকাংশই ডাউনলোড করে ফোনে ব্যবহার করা যায় একদম বিনামূল্যে। প্লে স্টোরের প্রায় ৭০ শতাংশ অ্যাপসই যে কেউ বিনামূল্যে তার স্মার্টফোনটিতে ইন্সটল করতে পারেন।

কিন্তু এই ফ্রি অ্যাপসগুলোও ডেভেলপ করে প্রস্তুত করার পেছনে রয়েছে একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারের অক্লান্ত পরিশ্রম। দিনরাত তিনি কাজ করে গিয়েছেন নিজের আকাঙ্ক্ষিত সেই অ্যাপটি প্রস্তুত ও ডিজাইন করে সেটি প্লে স্টোর বা অ্যাপস্টোরে নিয়ে আসতে। তারপর বিভিন্ন বাগ ফিক্স করে নিয়মিত আপডেট দেয়ার কাজটি তো তাকেই করতে হয়। তাহলে এত পরিশ্রম করে একজন ডেভেলপার যে ফ্রি অ্যাপ্লিকেশনটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করছেন সেখান থেকে কি তিনি কিছুই পান না? শুধুই কি নিঃস্বার্থ ভাবে সকলের ব্যবহারের জন্য তিনি সফটওয়্যারটি তৈরি করেছিলেন?

আসল ব্যাপারটি হলো, এই ফ্রি অ্যাপসগুলো থেকেও বিভিন্ন উপায়ে ডেভেলপাররা টাকা আয় করে থাকেন। এমনকি টাকা দিয়ে কিনতে হয় এমন পেইড অ্যাপস থেকে এই বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায় এমন অ্যাপস থেকেই অনেকে বেশি আয় করে থাকেন। আসুন আজকে জানা যাক এই ফ্রি অ্যাপসগুলো থেকে ডেভেলপাররা কিভাবে আয় করে থাকেন!
বিজ্ঞাপন
মোবাইল অ্যাডভার্টাইজিং হলো এখন পর্যন্ত ডেভেলপারদের টাকা আয় করার অন্যতম একটি উপায়। ১০টির মধ্যে ৭টি অ্যাপেই ডেভেলপাররা বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে থাকেন। আর সফটওয়্যারে বিজ্ঞাপন দেখানোর ব্যবস্থা করাটা নিতান্তই সহজসরল একটি উপায়। ডেভেলপারদের শুধু নিজের তৈরি অ্যাপটিতে যেকোনো কমার্শিয়াল বিজ্ঞাপন যুক্ত করে দিতে হয় এবং তা থেকে তারা প্রতিনিয়ত একটি বিশেষ পরিমাণে অর্থ পেতে থাকেন বিভিন্ন অ্যাড নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে।

একটি রিপোর্ট থেকে বলা হয়েছে, শতকরা ৩২.৫% সফটওয়্যার নির্মাতারা অর্থ উপার্জনের প্রধান উৎস হিসেবে ‘ইন-অ্যাপ অ্যাড’ বা মোবাইল বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে থাকেন। বিজ্ঞাপনটি যতবার দেখা হয় ততবার কিছু অর্থ পেয়ে থাকেন তারা। আর বিজ্ঞাপনে দেখানো কোনো অ্যাপ যদি ব্যবহারকারী ইন্সটল করেন তার ফোনটিতে, তাহলে সেখান থেকেও ডেভেলপারটি বিশেষ পরিমাণে অর্থ পান।
বর্তমানে ৪ প্রকারের বিজ্ঞাপন দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে। সেগুলো হলো ইন্টারস্টিসিয়াল অ্যাডস, ব্যানার বা ডিসপ্লে অ্যাড, ইন-অ্যাপ ভিডিও অ্যাড এবং ন্যাটিভ অ্যাড।
ইন্টারস্টিসিয়াল অ্যাড বা কৌশলগত বিজ্ঞাপন হলো এমন ধরনের বিজ্ঞাপন যা কিছু সময় পর পর ব্যবহারকারীর পর্দায় এসে হাজির হয়। এবং তা পুরো পর্দা জুড়ে বিরাজ করে। ব্যবহারকারী সেই বিজ্ঞাপনে দেখানো বিষয়বস্তুতে ক্লিক করে বা বিজ্ঞাপনটির একদম উপরে ক্রস চিহ্নতে ক্লিক করে তা ফোনের স্ক্রিন থেকে দূর করতে পারেন।

এধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন মেসেজিং এবং কন্টেন্ট অ্যাপস যেমন বিভিন্ন গেইমসে। অর্থাৎ দেখা যায় গেইমের একটি বিশেষ লেভেল অতিক্রম করার পর এধরনের ইন্টারস্টিসিয়াল ফুলস্ক্রিন বিজ্ঞাপন হুট করে এসে হাজির হয়।
ডিসপ্লে বা ব্যানার অ্যাড হলো অপেক্ষাকৃত ছোটো আকারে বিজ্ঞাপন যা মূলত দেখা যায় স্ক্রীনের একদম উপরে বা নিচে। আকারে ছোটো হওয়ায় এগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য কম বিরক্তিকর। তাই অ্যাপটির প্রধান কার্যক্রমে ব্যবহারকারীরা সংশ্লিষ্ট থাকতে পারেন কোনোরকমের বাধা ব্যতিরেকেই। তবে এধরনের ব্যানার অ্যাড থেকে অপেক্ষাকৃত কম অর্থ আসে। ইন্টারস্টিসিয়াল অ্যাড বেশ বিরক্তিকর হলেও সেখান থেকে ডেভেলপাররা ব্যানার অ্যাডের তুলনায় অনেক বেশি আয় করে থাকেন।

ইন-অ্যাপ ভিডিও বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে দুই ধরনের প্রক্রিয়া দেখা যায়। প্রথমক্ষেত্রে কিছু ভিডিও বিজ্ঞাপন আপনাআপনি চালু হয়ে যেতে দেখা যায় অ্যাপের মাঝেই। আর দ্বিতীয়ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইন-অ্যাপ রিওয়ার্ড হিসেবে বিভিন্ন ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখার ব্যবস্থা করে দেয়া থাকে। এগুলোকে বলা হয় রিওয়ার্ডেড ভিডিও। অর্থাৎ কোনো অ্যাপ বা গেইমের বিশেষ কোনো সুবিধা যেমন গেম কারেন্সি বা অতিরিক্ত জীবন বা বিভিন্ন আলাদা সুবিধা আনলক করতে হলে ব্যবহারকারীদের সেই ভিডিওগুলো দেখতে হয়। উভয় ব্যবহারকারী এবং সফটওয়্যার ডেভেলপারের জন্য এটি একটি লাভজনক পদ্ধতি। কারণ ভিডিও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যবহারকারী যেমন বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন তেমনি ডেভেলপাররাও সেই বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে অর্থ পেয়ে থাকছেন।
ন্যাটিভ অ্যাড হলো এমন একটি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা যাকে আলাদা করে ডিজাইন করে অ্যাপের অন্যান্য ফাংশনের মধ্যেই যুক্ত করে দেয়া হয়। তাই এটিকে আলাদা কোনো বিজ্ঞাপন হিসেবে মনে হয়না। মূলত এধরনের বিজ্ঞাপনে থাকে স্পন্সরকৃত কন্টেন্ট বা ভিডিও যার মূল লক্ষ্যে থাকে কোনো পন্যের প্রচার। এধরনের বিজ্ঞাপন সবচেয়ে কম বিরক্তিকর এবং ব্যবহারকারী চাইলে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পারেন বা একদমই এড়িয়ে যেতে পারেন।
ইমেইল মার্কেটিং
যদিও এটি বেশ পুরনো একটি পদ্ধতি তবুও বড় বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো এখনো ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে তাদের অ্যাপসগুলো মনেটাইজ করে থাকছে। ব্যবহারকারীদের ইমেইল সংগ্রহ করাও বেশ সহজ এ পদ্ধতিতে। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো আপনার অ্যাপটিতে সাইন আপের সময় ব্যবহারকারীর ইমেইল প্রদান করার ব্যবস্থাটি সংযুক্ত করে দিতে হবে। যাতে আপনি যেকোনো সময় তাদের সাথে কানেক্টেড থাকতে পারেন এবং নিত্যনতুন আপডেট এবং অফার সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের জ্ঞাত করতে পারেন।

সাইন আপ ব্যতিতও অন্য কিছু উপায়ে ব্যবহারকারীদের ইমেইল সংগ্রহ করা যায়। যেমন ফেইসবুক লগইন। অ্যাপটির ভেতরে ফেইসবুক লগইনের ব্যবস্থা করে দেয়া হলে যখন কেউ অ্যাপটি ফেইসবুকের মাধ্যমে রেজিস্টার করে তখন তার ফেইসবুক প্রোফাইলের ইমেইল আইডিটি ডেভেলপাররা পেয়ে যান। আবার বিভিন্ন থার্ড পার্টি টুলসও রয়েছে শুধু ইমেইল সংগ্রহ করার। এসব SDK গুলোর মাত্র কয়েকটি লাইন যেকোনো অ্যাপের কোডে যুক্ত করে দিলেই সেগুলো ইমেইল সংগ্রহ করার কাজে সক্রিয় হয়ে যায়।
ব্যবহারকারীদের ইমেইল সংগ্রহ করা একদিক দিয়ে উপকারী। কারণ যখন কেউ সেই নির্দিষ্ট অ্যাপটি অনেকদিন থেকে ব্যবহার করছেন না তখন ডেভেলপাররা সেই ব্যবহারকারীকে ইমেইল প্রদান করে বিশেষ বিশেষ অফার, প্রমোশন, আপডেট এবং নিত্যনতুন কন্টেন্ট সম্পর্কে জানান দিতে পারেন।
সাবস্ক্রিপশন
অনেক ফ্রি অ্যাপসগুলোতে দেখা যায় সকল কন্টেন্ট বা সুবিধা আনলক করা থাকেনা। শুধু নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে ফ্রি ব্যবহারকারীদের। আবার কিছু অ্যাপসের সকল সুবিধাই ব্যবহারকারীদের প্রদান করা হয়ে থাকে মাত্র কিছু দিনের জন্য। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সেই দিনগুলো যেমন এক সপ্তাহ বা ১৫-৩০ দিনের ট্রায়াল পিরিয়ড পার হলেই ব্যবহারকারীরা আর বিনামূল্যে সেই অ্যাপটির সকল সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন না। এর পর অ্যাপটির সকল সুবিধা আনলক বা উপভোগ করতে ব্যবহারকারীদের মাসিক বা বাৎসরিক একটা অর্থ প্রদান করার মাধ্যমে সাবস্ক্রাইব করতে হয়।

এধরনের সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতি দেখা যায় মূলত বিভিন্ন ক্লাউড সার্ভিস, ভিডিও এবং অডিও স্ট্রিমিং এবং অনলাইন পত্রিকা এবং ম্যাগাজিন বিষয়ক অ্যাপসগুলোয়। যেমন জনপ্রিয় অডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ স্পটিফাই (Spotify) তে একমাস আপনি পরিপূর্ণ সকল সুবিধা পাবেন। কিন্তু একমাস পর আপনাকে সেখানে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থের মাধ্যমে সাবস্ক্রাইব করে সকল সুবিধা ভোগ করতে হবে।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এবং বৃহৎ পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল উভয়েরই প্রায় ১ মিলিয়ন করে অনলাইন সাবস্ক্রাইবারস রয়েছে।
ইন-অ্যাপ পার্চেজ
ইন-অ্যাপ পার্চেজ হলো একটি অ্যাপের মধ্যেই ভার্চুয়াল কোনো কিছু অর্থের মাধ্যমে কেনার ব্যবস্থা। ভার্চুয়াল সেই জিনিসগুলো হতে পারে কোনো বোনাস, প্রিমিয়াম সামগ্রী, গেমের গোল্ড/অর্থ/কারেন্সি, বিভিন্ন থিম/স্কিন/টুলস/ক্যারেক্টারের পোষাক এবং গেমের বিভিন্ন লেভেল আনলক করা ইত্যাদি।

ইন-অ্যাপ পার্চেজ প্রায় সব ধরনের ফ্রি গেইমসগুলোর মধ্যেই দেখা যায়। গেইম ডেভেলপারদের মূল আয়ের উৎসই হলো এই ইন-অ্যাপ পার্চেজ। যেমন জনপ্রিয় গেইম প্লেয়ার আননোনস ব্যাটলগ্রাউন্ড মোবাইল সংক্ষেপে ‘পাবজি মোবাইলে’ আপনি অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে গেম কারেন্সি বা আপনার ক্যারেক্টারের জন্য নিত্য নতুন পোষাক ক্রয় করতে পারবেন যা অন্যদের থেকে আপনাকে আলাদা রূপ প্রদান করবে। আরেকটি জনপ্রিয় গেইম ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানসে আপনি অর্থ ব্যয় করে এটির প্রিমিয়াম কারেন্সি ‘জেমস’ ক্রয় করতে পারবেন। এধরনের অন্যান্য ভার্চুয়াল কারেন্সির আরো নাম হয়ে থাকে। যেমন গোল্ড, কয়েন, ডলার ইত্যাদী।

ইন-অ্যাপ পার্চেজের মাধ্যমে প্রচুর আয় করে থাকেন ডেভেলপাররা। ক্লাশ অফ ক্ল্যানের ডেভেলপার কোম্পানি সুপারসেল দিনে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছিলো শুধু তাদের ভার্চুয়াল কারেন্সি ‘জেমস’ বিক্রি করে। অন্যদিকে বর্তমানে পোকেমন গো ব্যবহারকারীরা দিনে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে থাকে শুধু এই ইন-অ্যাপ পার্চেজ পদ্ধতি ব্যবহার করে।
ফ্রিমিয়াম আপসেল
প্লে স্টোরে গেলে হয়তো খেয়াল করে দেখবেন অনেক সময়েই একই অ্যাপের দুইটি ভার্সন থাকে। একটি ‘লাইট’ বা ‘ট্রায়াল’ অপরটি ‘ফুল’ ভার্সন। ট্রায়াল ভার্সনটিতে সীমিত সুবিধা বা মাঝে মাঝে সকল সুবিধাই দিয়ে দেয়া থাকে একটি নির্দিষ্ট ট্রায়াল পিরিয়ড পর্যন্ত। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা অ্যাপটির কিছু সুবিধা উপভোগ করে থাকেন। এরপর তারা যদি অ্যাপটির সকল সুবিধা আনলক করতে চান বা ট্রায়াল পিরিয়ড পার হয়ে যায় তারা তখন অ্যাপটির ফুল ভার্সন টাকা ব্যয় করে কিনে নিতে পারেন।

ট্রায়াল ভার্সনটি দেয়াই হয় ব্যবহারকারীদের সেই অ্যাপটি এবং তার সুবিধা সম্পর্কে জানান দেয়ার জন্য। সেটি ব্যবহার করে যদি তারা সন্তুষ্ট হন তাহলে তারা অ্যাপটির ফুল ভার্সন কিনে ব্যবহার করা শুরু করেন। এই পদ্ধতি নতুন কোনো অ্যাপের প্রচারণা ও ব্যবহারকারী বৃদ্ধির জন্য বেশ উপকারী। আপনাকে শুধু আপনার অ্যাপের সর্বোচ্চ সুবিধাটুকু সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের অবগত করতে হবে ট্রায়াল ভার্সনটি দিয়ে তারপর তাদের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে ফুল ভার্সনটি কিনতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
সরাসরি পণ্যদ্রব্য বিক্রয়
ফ্রি অ্যাপস হলো ই-কমার্স বিজনেসের অন্যতম মাধ্যম। জনপ্রিয় অ্যাপস বা গেমস কোম্পানি তাদের ব্র্যান্ডেড পণ্যদ্রব্য তৈরি এবং সেগুলো বিক্রি করে থাকে সেই অ্যাপে বিজ্ঞাপন দিয়ে বা ইমেইল মার্কেটিং করে। পণ্যদ্রব্যগুলোর মধ্যে থাকতে পারে বিভিন্ন খেলনা, টি-শার্ট, ব্র্যান্ডেড ফোন কেস ইত্যাদী।

রোভিও হলো এমন একটি সফল কোম্পানি। তারা তাদের জনপ্রিয় অ্যাংরি বার্ডস গেমের মাধ্যমে পরিচিতি লাভের পর প্রতি মাসে এক মিলিয়নেরও বেশি নিজেদের ব্র্যান্ডেড টিশার্ট, ব্যাকপ্যাক এবং স্টিকার বিক্রি করে থাকে। এমনকি প্রতি মাসে তারা এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে থাকে শুধু তাদের অ্যাংরি বার্ডস পুতুলগুলো বিক্রি করেই।
ফিচার ইমেজ সোর্স: crosswalk.com