প্রযুক্তি দুনিয়ায় ‘স্ট্রিমিং যুদ্ধ’ গত কয়েক বছর ধরেই আলোচনার বস্তু। বিজ্ঞাপনবিহীন স্ট্রিমিং সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা যেকোনো ডিভাইসে পছন্দের টিভি শো বা সিরিয়াল দেখতে পারেন। তাই বর্তমানে দর্শকদের কাছে স্ট্রিমিং সেবা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
স্ট্রিমিং সেবায় বর্তমানে সবচেয়ে এগিয়ে আছে নেটফ্লিক্স। ২০১৮ সালে নেটফ্লিক্সের নেট রেভিনিউ ছিল প্রায় ১৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮ সালে তারা নিজেদের কন্টেন্ট বানানোর পেছনে খরচ করে ১২ বিলিয়ন ডলার। এবছর সেটা ১৫ বিলিয়ন ডলারে পৌছাতে পারে।
স্ট্রিমিং সেবার জনপ্রিয়তা কেন্দ্র করে নেটফ্লিক্সের রাজত্বে ভাগ বসাতে চাচ্ছে বড় বড় প্রযোজনা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। তার মধ্যে অন্যতম প্রতিযোগী টেক জায়ান্ট অ্যাপল। গত মার্চে অ্যাপলের সিইও টিম কুক আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন নতুন স্ট্রিমিং সেবার। অ্যাপলের এই সেবার নাম ‘অ্যাপল টিভি প্লাস’। এই স্ট্রিমিং সেবা চালু হবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে।
ইতোমধ্যে স্টিভেন স্পিলবার্গ, জেজে আব্রামস, জেনিফার অ্যানিস্টন, স্টিভ ক্যারেল, রিজ উইদারস্পুন, এম নাইট শিমলানের মতো হলিউডের প্রথম সারির পরিচালক ও অভিনয় শিল্পীরা অ্যাপল টিভি প্লাসের কন্টেন্টে কাজ করার কথা নিশ্চিত করেছেন। কিছু নতুন সিরিজ ও মুভির ট্রেলারও মুক্তি পেয়েছে।
অ্যাপল টিভি প্লাসের সাবস্ক্রিপশন ফি কত হবে তা এতদিন জানা যায়নি। অবশেষে গত ১০ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট কুপার্টিনোর স্টিভ জবস থিয়েটারে টিম কুক সাবস্ক্রিপশন ফি প্রকাশ করেন। অ্যাপল টিভি প্লাসের জন্য ফি দিতে হবে ৫ মার্কিন ডলার, যা নেটফ্লিক্সের সর্বনিম্ন ফি (৯ ডলার) এর-ও প্রায় অর্ধেক।
অস্কারজয়ী অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকদের দিয়ে কন্টেন্ট বানানো এবং তুলনামূলক সস্তায় সেবা দেয়া কি অ্যাপলকে নেটফ্লিক্সের চেয়ে এগিয়ে দেবে? নেটফ্লিক্স কি দীর্ঘদিনের রাজত্ব অ্যাপলের কাছে হারাতে চলছে? তা জানতে হলে আগে দুই স্ট্রিমিং সেবার তুলনা করতে হবে। কারণ, অ্যাপল অনেক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নেটফ্লিক্সের তুলনায় পিছিয়ে আছে।
সাবস্ক্রিপশন ফি ও সেবা নেয়ার মাধ্যম
নেটফ্লিক্সের গ্রাহকরা তিন ধরনের সেবা নিতে পারেন। সর্বনিম্ন ফি ৯ ডলার। এইচডি স্ট্যান্ডার্ড সেবার জন্য খরচ হয় ১৩ ডলার, যেটা সবচেয়ে জনপ্রিয়। আর আল্ট্রা এইচডি ভিডিওর সেবা নিতে চাইলে খরচ করতে হয় ১৬ ডলার।
অন্যদিকে নেটফ্লিক্সের তুলনায় অ্যাপল টিভি প্লাসের ফি অনেক কম। ৪.৯৯ ডলারে এক পরিবারের ছয়জন ব্যক্তি পর্যন্ত অতিরিক্ত ফি ছাড়াই স্ট্রিমিং করতে পারবেন। এছাড়া নতুন আইফোন, ম্যাকবুক, আইপ্যাড এবং অ্যাপল টিভির ক্রেতারা এক বছর অ্যাপল টিভি প্লাস বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন। একশটিরও বেশি দেশে অ্যাপলের এই সেবা পাওয়া যাবে।
অ্যাপলের স্ট্রিমিং সেবা নেয়া যাবে তাদের নিজস্ব স্ট্রিমিং প্লেয়ার অ্যাপল টিভি, ম্যাক ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমযুক্ত ডিভাইসগুলোতে। এছাড়া অন্যান্য কোম্পানির স্মার্ট টিভিগুলোতেও পাওয়া যাবে। তাদের মধ্যে রয়েছে স্যামসাং, এলজি, সনি, ভিজিওর মতো কোম্পানির স্মার্ট টিভি। অর্থাৎ, অ্যাপল টিভি প্লাস শুধুমাত্র তাদের নিজস্ব ডিভাসগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকবে না।
কিন্তু অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের ডেস্কটপ, ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট কম্পিউটারে এই সেবা নেয়া যাবে কি না, ইভেন্টে টিম কুক তা নিয়ে কিছু বলেননি। যদি এই ডিভাইসগুলোতে স্ট্রিমিং সেবা না পাওয়া যায়, তবে অ্যাপল টিভি প্লাস নেটফ্লিক্সের সাথে আদৌ কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে কি না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
অন্যদিকে নেটফ্লিক্সের ক্ষেত্রে যেকোনো ডিভাইসে এর সহজলভ্যতা একে অনেকখানিই এগিয়ে রাখছে। কম্পিউটার ছাড়াও গেমিং কনসোল, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইস এবং স্ট্রিমিং বক্সেও নেটফ্লিক্স ব্যবহার করতে পারেন গ্রাহকেরা।
তাছাড়া নেটফ্লিক্সে বিভিন্ন ডিভাইসে সামঞ্জস্য রেখে সিরিজ বা মুভি দেখতে পারেন দর্শকরা। অর্থাৎ, আপনি কম্পিউটারে কোনো ভিডিও পজ বা থামিয়ে দিয়ে স্মার্ট টেলিভিশনে আপনার একাউন্টে গেলে সেই অবস্থাতেই ভিডিওটি পাবেন। সাবস্ক্রিপশনের ধরন অনুযায়ী সর্বোচ্চ চারটি ডিভাইসে নেটফ্লিক্স উপভোগ করতে পারেন দর্শকরা।
ফিচারের পার্থক্য
দর্শকরা যে ধরনের টিভি শো বার বার দেখেন বা দেখতে পছন্দ করেন, নেটফ্লিক্স অ্যালগরিদমের মাধ্যমে তাদের হোম স্ক্রিনে সবার উপরে সে ধরনের ভিডিও-ই দেখায়। অ্যাপল এধরনের মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করবে কি না, এখনো জানায়নি।
নেটফ্লিক্সে রয়েছে পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থা। টিভি সিরিজ বা মুভির জনরা, পরিচালক বা অভিনয় শিল্পী অনুযায়ী সাজাতে পারেন দর্শকরা। অ্যাপল এই বিষয়ে বিস্তারিত এখনো কিছু প্রকাশ করেনি।
নেটফ্লিক্সে আরেকটি সুবিধা হচ্ছে ভিডিও কোয়ালিটি দর্শকদের বেছে নিতে হয় না। ব্যান্ডউইথ ও হার্ডওয়্যারের সামর্থ্য অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভিডিও কোয়ালিটি বাছাই হয়ে যায়। অ্যাপল তাদের ভিডিও কোয়ালিটি সম্পর্কেও কিছু বলেনি। তবে হলিউডের প্রথম সারির শিল্পীদের নিয়ে গড়া প্ল্যাটফর্মে আল্ট্রা এইচডি কোয়ালিটির ভিডিও না থাকলে সেটা অবাক করার মতোই ব্যাপার হবে।
নেটফ্লিক্সের দর্শকরা নির্দিষ্ট কিছু টিভি সিরিজ ও মুভি ডাউনলোড করে অফলাইনেও দেখতে পারেন। তবে সেটা ৩০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাইব্রেরি থেকে চলে যায়, দর্শক অফলাইনে থাকলেও। অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অ্যাপল টিভি অ্যাপের কন্টেন্টগুলো অনলাইন ও অফলাইন দুই জায়গাতেই থাকবে। ধারণা করা হচ্ছে, অ্যাপল টিভি প্লাসেও একই সুবিধা থাকবে।
কন্টেন্টের পার্থক্য
নেটফ্লিক্সের কন্টেন্টে রয়েছে বৈচিত্র্য। তারা অরিজিনাল বা নিজস্ব কন্টেন্টের পাশাপাশি অন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয় হওয়া সিরিজ, ডকুমেন্টারি বা মুভি লাইসেন্স দিয়ে নিয়ে এসে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে দেখায়। ফলে দর্শকরা একই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে অনেকগুলো অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন।
নেটফ্লিক্সের অরিজিনাল কন্টেন্টের মধ্যে অন্যতম কিছু টিভি সিরিজ হচ্ছে অরেঞ্জ ইজ দ্য নিউ ব্ল্যাক, স্ট্রেঞ্জার থিংস, ডেয়ারডেভিল, হাউজ অব কার্ডস ইত্যাদি। মুভি নির্মাণেও পিছিয়ে নেই তারা। নেটফ্লিক্স অরিজিনাল মুভি ‘রোমা’ এবছর অস্কারে সেরা সিনেমাটোগ্রাফি, সেরা পরিচালক ও সেরা বিদেশি ছবি বিভাগে পুরষ্কার জিতে নেয়। এছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানের ক্লাসিক ব্র্যাকিং বেড, রিক এন্ড মর্টি, ফ্রেন্ডসের মতো সিরিজ তাদের প্ল্যাটফর্মে থাকায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে সাধারণ দর্শকদের কাছে।
অন্যদিকে অ্যাপল টিভি প্লাসে সব কন্টেন্টই অরিজিনাল হবে। অর্থাৎ, তারা অন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে ধার করে এনে কিছু দেখাবে না। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি মাসেই অন্তত একটি নতুন সিরিজ আসার কথা।
ইতোমধ্যে কয়েকটি টিভি সিরিজের ট্রেলার ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম জেনিফার অ্যানিস্টন, স্টিভ ক্যারেল, রিজ উইদারস্পুন অভিনীত ‘দ্য মর্নিং শো’ এবং অ্যাকুয়াম্যান খ্যাত জেসন মমোয়া অভিনীত ডিস্টোপিয়ান থ্রিলার সিরিজ ‘সি’। স্টিভেন স্পিলবার্গ নিয়ে আসছেন আশির দশকে জনপ্রিয় হওয়া অ্যান্থলজি সিরিজ ‘অ্যামেজিং স্টোরিজ’।
এছাড়া অপরাহ উইনফ্রে ও প্রিন্স হ্যারি একসাথে একটি ডকুমেন্টারি সিরিজ নিয়ে আসবেন ২০২০ সালে। স্টার ট্রেক, ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস সিরিজে কাজ করা পরিচালক জেজে আব্রামসও অ্যাপল টিভি প্লাসে কন্টেন্ট নিয়ে আসবেন। তাই বলা যায়, অ্যাপল টিভি প্লাস নেটফ্লিক্সকে টেক্কা দেয়ার জন্যই মাঠে নেমেছে।
স্ট্রিমিং যুদ্ধে কার এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা বেশি?
অ্যাপল টিভি প্লাস শুধু কম সাবস্ক্রিপশন ফি আর অরিজিনাল কন্টেন্ট থাকলেই নেটফ্লিক্সের চেয়ে এগিয়ে যেতে পারবে না। নেটফ্লিক্স এখন দর্শকদের কাছে একটি আইকনে পরিণত হয়েছে। এর বড় একটি কারণ অন্য প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয় সিরিজগুলো তাদের প্ল্যাটফর্মে দেখানো। অ্যাপল টিভি প্লাসে সে সুযোগ থাকবে না। তখন সেগুলো আইটিউনস বা আলাদা স্ট্রিমিং সেবা কিনে দেখতে হবে। তাই দর্শকরা শুধু অ্যাপলের কন্টেন্ট দেখার জন্য তাদের স্ট্রিমিং সেবা নিবেন কি না তা নিয়ে আছে সংশয়।
অন্যদিকে নেটফ্লিক্স তাদের নিজস্ব কন্টেন্ট বানানোতেও যে পিছিয়ে নেই, রোমার অস্কার জেতাই তার প্রমাণ। অস্কার জেতায় হলিউডে তাদের একটি সম্মানজনক অবস্থান তৈরি হয়েছে। তবে অ্যাপলও যে সে অবস্থায় আসতে পারবে না, তা বলা উচিত নয়। অ্যাপল টিভি প্লাসের কৌশল দেখলে বোঝা যায়, তারা কোয়ান্টিটির চেয়ে কোয়ালিটিকে বেশি প্রাধান্য দিতে চাচ্ছে।
অন্যদিকে নেটফ্লিক্সের সংগ্রহ বিশাল হলেও অরিজিনাল কন্টেন্ট বাড়াতে গিয়ে তাদের সাম্প্রতিক কিছু কাজ মানসম্পন্ন হয়নি। তাছাড়া ডিজনি, এইচবিওর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও স্ট্রিমিং সেবায় চলে আসায় তাদের কন্টেন্টগুলো নেটফ্লিক্স থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
নেটফ্লিক্স স্ট্রিমিং জগতে নিজেদের একটা অবস্থান তৈরি করে ফেলেছে। অ্যাপল টিভি প্লাস সেখানে মাত্র প্রবেশ করেছে। তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য থাকবে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা যত বেশি সম্ভব বাড়ানোর। তাই অ্যাপল টিভি প্লাস আসার পর অন্তত প্রথম ১২ মাস নেটফ্লিক্স তাদের রাজত্ব ধরে রাখতে পারবে। এরপর কী হবে তা নির্ভর করবে অ্যাপলের কন্টেন্ট ও সেবা দেয়ার মানের ওপর।
কিন্তু সব হিসাব-নিকাশ বদলে দিতে পারে ওয়াল্ট ডিজনির স্ট্রিমিং সেবা ‘ডিজনি প্লাস’। ১২ নভেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করছে ডিজনি প্লাসও। ডিজনির অধীনে আছে পিক্সার, মারভেল, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরির মতো প্রতিষ্ঠান। স্টার ওয়ার্স ফ্র্যাঞ্চাইজিও ডিজনির অধীনে। স্ট্রিমিং সেবা হুলু আর ইএসপিএন প্লাসও তাদের অধীনে। এসব প্রতিষ্ঠানের অধীনে জনপ্রিয় মুভি ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকার ফলে ডিজনির সংগ্রহ অনেক সমৃদ্ধশালী হবে।
ইতোমধ্যে ডিজনি প্লাসের আসন্ন কন্টেন্টগুলোর নাম প্রকাশিত হয়েছে। এদের মধ্যে আছে স্টার ওয়ার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির টিভি সিরিজ দ্য ম্যান্ডালরিয়ান, মারভেলের হক আই, ওয়ান্ডাভিশন, ফ্যালকন এন্ড উইন্টার সোলজার, লোকিকে নিয়ে ছয় পর্বের মিনি সিরিজ, শি হাল্ক ইত্যাদি। মারভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের মুভিগুলোও ডিজনি প্লাসে থাকবে। এছাড়া ডিজনির ক্লাসিক মুভি আর কার্টুন সিরিজগুলোও থাকবে সেখানে। সম্প্রতি টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফক্সকে কিনে নেয়ায় এক্স ম্যান ফ্র্যাঞ্চাইজিও ডিজনির অধীনে চলে এসেছে।
ডিজনি প্লাসের সাবস্ক্রিপশন ফি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ৭ ডলার, যা নেটফ্লিক্সের চেয়ে কম। তাছাড়া হুলু আর ইসপিএন প্লাসসহ নিলে খরচ পড়বে মাত্র ১৩ ডলার। অ্যাপল টিভি প্লাসের সাথে প্রতিযোগিতা থাকলেও অ্যাপলের ডিভাইসগুলোতেও ডিজনি প্লাস উপভোগ করা যাবে। এছাড়া এন্ড্রয়েড টিভি, এক্সবক্স, পিএস৪ এ-ও থাকছে এই সেবা নেয়ার সুবিধা।
তবে ডিজনি প্লাসের কন্টেন্টগুলো আর রেটেড বা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য হবে না। তাই ডেডপুলের মতো মুভি সেখানে দেখা যাবে না। সেগুলো হয়তো হুলুতে পাওয়া যাবে। কিন্তু হুলুতে প্রাপ্তবয়স্ক দর্শকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী সব কন্টেন্ট না-ও পেতে পারেন।
ডিজনি প্লাস হয়তো পুরোপুরি নেটফ্লিক্সের বিকল্প হতে পারবে না। কিন্তু জনপ্রিয় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি মুভি সিরিজের ভক্তরা সম্ভবত ডিজনি প্লাসের সেবা না নিয়ে থাকতে পারবেন না। এছাড়া এইচবিও ২০২০ সালে তাদের স্ট্রিমিং সেবা নিয়ে আসছে। তাই সামনের দিনগুলোতে স্ট্রিমিং যুদ্ধে প্রতিযোগিতা যে শুধু বাড়বেই তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
শেষ কথা
স্ট্রিমিং যুদ্ধ নিয়ে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে বলছেন এটা দর্শকদের জন্য ভালো। কারণ, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য সবাই নিজেদের সেরা কন্টেন্ট বানানোর চেষ্টা করবে। অন্যদিকে কেউ কেউ মনে করছেন, এতে স্ট্রিমিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সহিষ্ণুতা থাকবে না। পাইরেসি বেড়ে যাবে, ফলে স্ট্রিমিং প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভবিষ্যতে কী হবে তা সময়ই বলে দেবে।