আমাদের বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে দেখুন। কাজের খোঁজে বেশিরভাগ মানুষই পাড়ি জমায় রাজধানী ঢাকা শহরে। কিংবা, তা না পারলেও, মনের কোণে ঠিকই স্বপ্ন পুষে রাখে যে, একদিন তারা ঠিকই ঢাকায় ঘাঁটি গাড়বে। এর কারণ, এই মানুষের ধারণা, ঢাকার বাতাসে বুঝি টাকা ওড়ে, একটু কষ্ট করে সেগুলো ধরতে পারলেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে! তাই গ্রাম তো দূরের কথা, আজকাল জেলা শহর কিংবা বিভাগীয় শহরগুলোতেও বসবাসে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে। “যত কষ্টই হোক, সব সহ্য করবো, তবু ঢাকাতেই থাকবো, ওখানেই কোনো একটা কাজ জুটিয়ে নেব,” এমনটাই মনোভাব তাদের।
কেউ যদি মনে করেন, এমন মানসিকতা কেবল বাংলাদেশের মানুষেরই, খুব বড় ভুল করবেন। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই একই চিত্র। এমনকি অভিন্ন অবস্থার দেখা মিলবে পৃথিবীর আধুনিকতম দেশ যুক্তরাষ্ট্রেও। সেখানেও ভেড়ার পালের মতো সব মানুষ বড় শহরমুখী হচ্ছে। সবারই পছন্দের গন্তব্য নিউ ইয়র্ক বা স্যান ফ্রান্সিসকোর মতো শহরগুলো। অপেক্ষাকৃত ছোট শহরগুলোতে মানুষের, আরও ভালো করে বলতে গেলে দক্ষ ও যোগ্য মানুষের সংখ্যা, দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফলে বেশ বিপাকে পড়েছে ছোট শহরগুলো। বড় শহরগুলোর সাথে তাদের ব্যবধান ক্রমশই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে কালের বিবর্তনে ছোট শহরগুলোর বিলুপ্তি কেউ ঠেকাতে পারবে না।
কিন্তু এমন তো চলতে দেয়া যায় না। কিছু একটা করতেই হবে। সেজন্য নড়েচড়ে বসেছে ছোট শহরগুলো। মোবাইল অপারেটরগুলো যেমন তাদের সিম কেনার জন্য মানুষকে প্রলুব্ধ করতে বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার দেয়, ঠিক একই কায়দায় ছোট শহরগুলোও মানুষকে আকৃষ্ট করতে সাজিয়ে বসেছে লোভনীয় সব সুযোগের পসরা। আপনি যদি সেসব শহরে থাকতে রাজি হন, সেজন্য আপনার কোনো বাড়তি টাকা খরচ হবে না। বরং শহরের প্রশাসনই ভরিয়ে দেবে আপনার পকেট!
চলুন পাঠক, আপনাদেরকে শোনাই যুক্তরাষ্ট্রের এমনই কিছু শহরের গল্প, যেখানে থাকার বিনিময়ে আর্থিক সাহায্য দেয়া হবে আপনাকে!
টুলসা, ওকলাহোমা
ফ্রেন্ডসের ভক্ত যারা, তাদের কাছে এই শহরটির নাম অচেনা হওয়ার কথা নয়। নবম সিজনে আমাদের সকলের প্রিয় চ্যান্ডলার বিংকে নিউ ইয়র্ক থেকে এই টুলসাতেই বদলী করা হয়েছিল। চ্যান্ডলার যদিও এতে খুশি ছিল না, তবু ওই সিজনের নয়টি এপিসোড তাকে টুলসাতেই কাটাতে হয়েছিল। এবং স্বভাবসুলভ সারকাস্টিক ভঙ্গিতে চ্যান্ডলার শহরটিকে ‘ওকলাহোমার প্যারিস’ বলেও আখ্যা দিয়েছিল!
২০০২ সালে ফ্রেন্ডস সিরিজে উঠে আসার পর থেকেই আমূল পরিবর্তন ঘটেছে শহরটির। শিক্ষা, শিল্প-সংস্কৃতি, কর্মসংস্থান, পর্যটন সকল ক্ষেত্রেই উন্নতি করেছে শহরটি। কিন্তু তবু এখনও শহরটির পুরোপুরি উন্নত হয়ে ওঠা হয়নি। আর এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে শহরের প্রশাসন চিহ্নিত করেছে কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্যময় মানুষের অনুপস্থিতিকে। আর তাই তারা কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য সৃষ্টির আশায় ‘টুলসা রিমোট’ নামক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
এই প্রকল্প অনুসারে, বাইরের শহর থেকে কেউ যদি এই শহরে এসে কাজ করতে চায়, বিনিময়ে তাকে ১০,০০০ মার্কিন ডলার ক্যাশ ইনসেন্টিভ দেয়া হবে। তবে শুধু এতেই যদি আপনার মন না ভরে, তবে আছে আরও কিছু সুবিধা। আপনাকে একটি কো-ওয়ার্কিং স্পেসের মেম্বারশিপও দেয়া হবে, যেখানে সাধারণ মানুষের মেম্বারশিপ পেতে অন্তত ১,৮০০ ডলার গুনতে হয়। পাশাপাশি আপনাকে একটি ফুল-ফার্নিশড অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে মাসিক ৩০০ ডলার পর্যন্ত ডিসকাউন্টও দেয়া হবে। শর্ত শুধু একটাই: অন্তত এক বছর আপনাকে থাকতে হবে এই শহরে।
নিউ হ্যাভেন, কানেক্টিকাট
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ শহর। একবার পা রাখলে শহরটির প্রেমে পড়ে যেতে আপনি বাধ্য। এছাড়াও শহরটির আরও বেশ কিছু কারণে খ্যাতি রয়েছে। এই শহরটিকেই বিবেচনা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রথম পরিকল্পিত শহর হিসেবে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, গোটা বিশ্বেরই অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ইয়েল ইউনিভার্সিটিরও অবস্থান এই শহরেই।
কিন্তু এত কিছুর পরও, সাম্প্রতিক সময়ে শহরটির জনসংখ্যা কমেই চলেছে। বয়স হলে অনেক মানুষের চুল পড়ে যেমন মাথায় টাক বেরিয়ে আসতে থাকে, অনেকটা সেরকমই সময়ের সাথে সাথে ফাঁকা হয়ে চলেছে এই শহরটি। এই চরম দুরাবস্থা দূরকল্পে চোখ-ধাঁধানো একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন, নাম ‘দ্য রি-নিউ হ্যাভেন প্রোগ্রাম’। আপনি যদি অন্য কোনো শহর ছেড়ে এই শহরে চলে আসেন কাজের জন্য, তবে তারা আপনাকে ৮০,০০০ ডলার পর্যন্ত ‘ঘুষ’ দেবে!
এই ৮০,০০০ ডলারের মধ্যে রয়েছে নিউ হ্যাভেনে একটি বাড়ি কেনার জন্য ১০,০০০ ডলার সুদহীন লোন। সেই বাড়িতে উন্নত এনার্জি-সেভিং আপগ্রেডের জন্য আরও ৩০,০০০ ডলার লোনও পাবেন আপনি। যদি আপনি একজন শিক্ষার্থী হন, এবং আপনার অতীত একাডেমিক ফল ভালো থাকে, চরিত্রে কোনো কালি না লেগে থাকে, তাহলে একটি ইন-স্টেট কলেজে কোনো টিউশন ফি ছাড়াই পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। যদি অন্তত পাঁচ বছর এই শহরে কাটান, তাহলে বাড়ি কিনতে যে ১০,০০০ ডলার লোন নিয়েছিলেন তার পুরোটাই মাফ করে দেয়া হবে। আর কোনো রকমে যদি ১০ বছর কাটিয়ে দিতে পারেন, তাহলে বাকি ৩০,০০০ ডলার লোনও আপনাকে শোধ করতে হবে না।
বাল্টিমোর, মেরিল্যান্ড
বাল্টিমোর আরও একটি শহর, যেটি নতুন বাসিন্দা আকৃষ্ট করার জন্য ৫,০০০ ডলার মূলা ঝুলিয়ে রেখেছে। ‘বাল্টিমোর স্কিম’ হলো এই অফারটির পোশাকি নাম। যদি আপনি অন্তত পাঁচ বছর এই শহরে থাকতে রাজি থাকেন, তাহলেই আপনাকে মাফযোগ্য এই লোনটি দেয়া হবে, এবং লোনের অর্থ দিয়ে শহরের যেকোনো জায়গায় একটি বাড়ি কিনে নিতে পারবেন আপনি।
আর যারা এরচেয়েও দীর্ঘমেয়াদে এ শহরে থাকতে চান, তাদের জন্য আছে ১০,০০০ ডলার মূল্যমানের ‘ভ্যাকেন্ট টু ভ্যালু বুস্টার’ প্ল্যানও। এই প্ল্যানের মাধ্যমে আপনি যে অর্থ হাতে পাবেন, তা দিয়ে শহরের যেকোনো একটি পূর্ব-ব্যবহৃত প্রপার্টি কিনে নিতে পারবেন, যেটির সংস্কার কাজ প্রয়োজন। এর মাধ্যমে শহরের প্রশাসন এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে। আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে শহরে রাখাও যাবে, আবার শহরের পরিত্যক্ত প্রপার্টির একটা হিল্লেও হবে!
হ্যামিল্টন, ওহিও
এই শহরটির অফারটি আবার একদমই ভিন্ন ধরনের, এবং কেবলমাত্র তাদের জন্যই প্রযোজ্য, যারা সদ্যই গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। আপনি যদি কোনো একটি STEAM বিষয়, অর্থাৎ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, কলা বা গণিত নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে থাকেন, তাহলে ওহিও সরকার আপনাকে আপনার শিক্ষা-ঋণ শোধে সাহায্য করবে। এজন্য কেবল আপনাকে এই শহরে এসে থাকা শুরু করতে হবে।
এই প্রকল্পটির নাম হলো ‘দ্য ট্যালেন্ট অ্যাট্রাকশন প্রোগ্রাম স্কলারশিপ’, যেখানে আগ্রহীদের ৫,০০০ ডলার লোন প্রদান করা হয়। এই লোন প্রতি মাসে ২০০ ডলার করে ২৫টি কিস্তিতে শোধ করা যাবে। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো শহরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করা উচ্চশিক্ষিত এবং প্রাপ্তবয়স্ক অধিবাসীর সংখ্যা বৃধি করা। গত ফেব্রুয়ারিতে এক জরিপে উঠে আসে যে, হ্যামিল্টনের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৫% কলেজে পড়াশোনা করেছে।
হারমোনি, মিনেসোটা
হারমোনি মধ্য-পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রের একদমই ছোট একটি শহর। এখানে মাত্র হাজারখানেক মানুষের বাস। তাই এই শহরের স্লোগান হলো- ‘ভ্রমণের জন্য ভালো একটি জায়গা, কিন্তু থাকার জন্য আরও ভালো’। এবং সেই আপ্তবাক্যকেই সত্য করার জন্য এই শহরের প্রশাসন আগ্রহী নতুন বাসিন্দাদের ১২,০০০ ডলার পর্যন্ত অনুদান দিচ্ছে। তালিকার অন্য শহরগুলোর সাথে এই শহরের প্রধান পার্থক্য হলো, উপর্যুক্ত অনুদান লাভের জন্য কোনো শর্তই পূরণের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ আপনার বয়স কত, পেশা কী, কত টাকা মাসিক আয় করেন, এমনকি কতদিন শহরে থাকতে চান- এসব কোনো বিষয়েই কোনো আরোপিত বিধিনিষেধ নেই!
সমগ্র ভারমন্ট রাজ্য
২০১৮ সালের গোড়ার দিকে গভর্নর ফিল স্কট নতুন বাসিন্দাদের সাহায্যের জন্য নতুন আইন অনুমোদন করেছেন। তাই আপনি যদি ভারমন্টের কনকনে ঠান্ডা সহ্য করার মতো মানসিক দৃঢ়তার অধিকারী হন, এবং ম্যাপল সিরাপ, পনির ও টিনের খাবার খেয়েও দিনের পর দিন বেঁচে থাকতে পারেন, তবে সুযোগটি আপনি নিতেই পারেন। এককালীন ১০,০০০ ডলার দেয়া তো হবেই, পাশাপাশি সব মালপত্র নিয়ে এখানে আসতে যা খরচ আছে, তা-ও স্থানীয় সরকারই বহন করবে। এমনকি একটি কো-ওয়ার্কিং স্পেসের মেম্বারশিপও আপনাকে দেয়া হবে। ২০১৯ সালে একশোজন আগ্রহী ব্যক্তি এই সুযোগটি গ্রহণ করতে পারবেন। এবং এরপর থেকে প্রতিবছর বিশ জনকে এই সুযোগ দেয়া হবে।
এতক্ষণ তো কেবল যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোর ব্যাপারে জানলেন। কিন্তু এমন সুযোগ কি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোই দিচ্ছে? একদমই না! অন্য আরও অনেক দেশের আরও অনেক শহরের প্রশাসনও সেখানকার জনসংখ্যা বৃদ্ধির আশায় একই রকম বিভিন্ন অফার দিচ্ছে। এবার আপনাদের সামনে তুলে ধরব যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অন্যান্য দেশের এমনই কিছু শহরের কথা।
অ্যালবিনেন, সুইজারল্যান্ড
সুইস আল্পসের ছোট্ট একটা গ্রাম এই অ্যালবিনেন, যেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা মাত্র ২৪০ জন। যদিও অনেকেরই এই গ্রামে বাড়ি আছে, এবং মাঝেসাঝে ছুটি কাটাতে তারা গ্রামে এসে কিছুদিন থেকে যায়, স্থানীয় বাসিন্দারা একে একে সবাই গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তাই গ্রাম পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেউ যদি স্বেচ্ছায় এই গ্রামে এসে স্থায়ীভাবে থাকতে চায়, তাহলে তাকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের। প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে ২৬,৬৪৮ ডলার এবং শিশুদের জন্য ১০,৬৫৯ ডলার করে দেয়া হবে।
তবে এজন্য কিছু শর্ত আপনাকে পূরণ করতে হবে। আপনার বয়স অবশ্যই হতে হবে ৪৫ বছর বা তার কম, এবং গ্রামে আপনাকে অন্তত ১০ বছর থাকার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এবং যে বাড়িতে এসে আপনি উঠবেন, সেটি অবশ্যই আপনার প্রাথমিক নিবাস হবে, ছুটি কাটানোর জায়গা নয়। এবং বাড়িটির মূল্য কমপক্ষে ২,১৩,১৮৬ ডলার হওয়া বাঞ্ছনীয়।
ক্যান্ডেলা, পুগলিয়া, ইটালি
ইটালিয়ান ভাষায় পুগলিয়া অর্থ হলো ‘রুটির ঝুড়ি’। আর সেখানকারই একটি ছোট শহর হলো ক্যান্ডেলা। ক্রমাগত জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে এই শহরের। আর তা রোধ করার জন্য শহরের মেয়র নিকোলা গাত্তা ২০১৭ সালে প্রতিশ্রুতি দেন নতুন আগ্রহী বাসিন্দাদের ২,০০০ ইউরো পর্যন্ত দেয়ার। আপনি যদি একা যান, তাহলে আপনাকে ৮০০ ইউরো দেয়া হবে। কিন্তু যদি আপনার সঙ্গীকে সাথে নিয়ে যান, তাহলেই প্রত্যেকে পাবেন ১,২০০ ইউরো করে। আর যদি পুরো পরিবার নিয়ে যান, তাহলে পরিবারের আকারের উপর ভিত্তি করে জনপ্রতি ১,৩০০ থেকে ২,০০০ ইউরো পর্যন্ত পাবেন। এই মুহূর্তে ক্যান্ডেলার জনসংখ্যা ২,৭০০। অথচ ১৯৯০’র দশকেও এই শহর ছিল কম করে হলেও ৮,০০০ মানুষের আবাসস্থল।
সাচকাচুয়ান, কানাডা
হ্যামিল্টনের মতো এই প্রদেশের অনুদানটিও কেবল গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করাদের জন্য। প্রকল্পের নাম ‘গ্র্যাজুয়েশন রিটেনশন প্রোগ্রাম’। অনুদান পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই কোনো একটি সরকার অনুমোদিত পোস্ট-সেকেন্ডারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে গত সাত বছরের মধ্যে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করতে হবে। আপনি যদি এই শর্ত পূরণ করতে পারেন, তাহলে সাত বছর ধরে আপনার ৩,০০০-২০,০০০ ডলার পর্যন্ত কর মওকুফ করা হবে (নির্ভর করছে আপনি কোন এডুকেশনাল প্রোগ্রামের আওতায় আছেন)।
সাসকাটুন হলো এই প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর। এখানকার জনসংখ্যা আড়াই লক্ষের কিছু কম। শহরটির অসংখ্য সেতু, হ্রদ, এবং বিখ্যাত একটি স্নো-বল ফাইটের জন্য সুনাম রয়েছে। ২০১৬ সালে শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্নো-বল ফাইটের রেকর্ড গড়ে। সেই সময়ে শহরের ৭,৬৮১ মানুষ একযোগে রাস্তায় নেমে এসেছিল একে অপরের দিকে তুষার ছুঁড়ে মারার মজার খেলায় অংশ নিতে।
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/