Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

গবেষণার উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায় শরীরে জীবাণু প্রবেশ করাতে রাজি হয়েছেন ১৭ জন ব্যক্তি

  • নেদারল্যান্ডস থেকে ১৭ জন মানুষ টিকা তৈরির উদ্দেশ্যে গবেষকদের সহায়তা করার জন্য স্বেচ্ছায় শরীরে জীবাণু প্রবেশ করাতে রাজি হয়েছেন।
  • সিস্টোসোমিয়াসিস রোগের টিকা তৈরির জন্য তারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এ ব্যাপারে সাহায্য করবেন।
  • সিস্টোসোমিয়াসিস একধরনের জীবাণুঘটিত রোগ, যার ফলে সারা বিশ্বে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ লোক আক্রান্ত হয় এবং হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে।

স্বেচ্ছাসেবক এই দলকে ১২ দিনের জন্য সিস্টোমিয়াসিস রোগের জীবাণু নিজের শরীরে রাখতে হবে। স্নেইল ফিভার নামে পরিচিত এই অসুখ সিস্টোসোমস নামে একধরনের পরজীবীর কারণে হয়ে থাকে। এটি একপ্রকারের কীট। এগুলো মানুষের চামড়ার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে কিডনির সমস্যা, ব্লাডার ক্যানসার ও অনুর্বরতার দেখা দিতে পারে।

Source: Flipboard

এগুলো শারীরিক বৃদ্ধি, শিশুর শেখার ক্ষমতাতেও প্রভাব ফেলে। এই লক্ষণগুলো আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশেই দেখা যায়। একটি টিকা এই রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অনেক কাজে দিতে পারে। কিন্তু যে এলাকাগুলোয় আক্রান্তদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সেখানে একটি গবেষণা পরিচালনা প্রচুর ব্যয়বহুল। এ ধরনের গবেষণার জন্য টাকা সংগ্রহের পূর্বে তাদেরকে কিছু প্রমাণ দেখাতে হয় যে টিকাটি কাজ করছে। এ কাজের জন্য ১৭ জন স্বেচ্ছাসেবক জরুরী।

লেইডেন ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সেন্টার এর  সংক্রামক রোগের চিকিৎসকগণ জানান, যদি ডাক্তাররা দেখাতে পারেন পূর্ণবয়স্ক  সুস্থ মানুষ এই সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম, তাহলে এটি প্রমাণ করা সহজ হবে যে মানুষের মাঝে এই রোগের টিকার পরীক্ষা চালানোর দ্রুত ও স্বল্পব্যয়ী উপায় রয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গবেষকগণ ১৭ জন স্বেচ্ছাসেবকের দেহে ২০টি করে পুরুষ লার্ভা প্রবেশ করায়। এগুলো প্রজননে অক্ষম এবং এই পরীক্ষার শেষে ডাক্তাররা প্রাজিকোয়ান্টাল নামে একটি ঔষধ প্রয়োগ করবেন, যার ফলে জীবাণুগুলো মারা যাবে। তবে জীবাণু ধ্বংসে প্রাজিকোয়ান্টাল পুরোপুরি কার্যকর হবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

এ পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবকদের দেহে হালকা ফুসকুড়ি ও জ্বর ছাড়া খুব প্রকট কোনো অসুস্থতার লক্ষণ দেখা যায়নি। এই গবেষণায় সাহায্য করার জন্য প্রত্যেককে ১,২০০ মার্কিন ডলার প্রদান করা হয়। গবেষণার ফলে কোনো টিকা তৈরি করা সম্ভব হলে এ বিনিয়োগ সফল হবে।

ফিচার ইমেজ: Flipboard

Related Articles