![](https://assets.roar.media/Bangla-News/2018/03/AdobeStock_113512703-750x300.jpg?w=1200)
- জিন-এডিটিং কৌশল ব্যবহার করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হতে পারে বলে ধারণা করছেন পেনিসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
- প্রাকৃতিকভাবেই কিছু মানুষের জিনে একপ্রকারের মিউটেশন ঘটে যা রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড নামক মেদ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। গবেষকরা এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই ইঁদুরের উপর একধরনের গবেষণা চালিয়েছেন।
- তাদের গবেষণাটি সার্কুলেশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
কোনো ব্যক্তির হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। কারও যদি হৃদরোগের সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে তাহলে ডাক্তাররা তাকে ব্যায়াম করার, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের অথবা ধূমপান ছাড়ার উপদেশ দিতে পারেন। কিন্তু ঝুঁকির অন্যান্য কারণগুলো পরিবর্তন করা যায় না, যেমন জিনগত কারণ। তবে এই গবেষণায় দেখা গেছে যে, জিন-এডিটিং এর যুগে এটি সম্ভব হতে পারে।
কিছু মানুষের জিনে প্রাকৃতিকভাবেই একধরনের মিউটেশন হয়। এই জিনটিকে এএনজিপিটিএল৩ বলে। এই মিউটেশন আমাদের ট্রাইগ্লিসারাইড মেদ নিয়ন্ত্রণ করে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই পেনিসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ গবেষণাটি পরিচালিত করেছেন।
![](https://assets.roar.media/Bangla-News/2018/03/AdobeStock_113512703-750x300-680x272.jpg)
Source: Futurism
গবেষণার জন্য তারা বেজ এডিটিং এর কৌশল ব্যবহার করেছেন। তারা প্রথমে ইঁদুরের মাঝে এএনজিপিটিএল৩ জিন পরিবর্তনের জন্য বেজ-এডিটিং ঘটান এবং এর রক্তে মেদের পরিমাণ অন্য স্বাভাবিক ইঁদুরের সাথে তুলনা করেন। এই চিকিৎসা প্রদান করা ইঁদুরের মাঝে মেদের পরিমাণ চিকিৎসা না করা ইঁদুরের চেয়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম দেখা যায়।
হোমোজাইগাস ফ্যামিলিয়াল হাইপারকোলেস্টারোলেমিয়া নামে এক বিরল রোগের ক্ষেত্রে এ চিকিৎসা কাজ করে কিনা তা নিয়ে তারা পরীক্ষা চালান। এজন্য তারা এক ইঁদুরে এই রোগ তৈরি করে দুই সপ্তাহ পরে একই চিকিৎসা প্রদান করেন। এর ফলে স্বাভাবিক ইঁদুরের চেয়ে এই ইঁদুরের রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ ৫৬ শতাংশ কম দেখা যায়।
আপাতত শুধুমাত্র ইঁদুরের উপর পরীক্ষিত হলেও এই গবেষণা সফল হলে যেসব হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ট্রাইগ্লিসারাইড জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কমছে না তদের তাদের ক্ষেত্রে এটি কাজে লাগতে পারে। গবেষকের দলটি পরবর্তীতে মানুষের উপর পরীক্ষা চালানোর জন্য ইঁদুরের মাঝে মানুষের যকৃতের কোষ প্রবেশ করাবেন। মানুষের মাঝে এই চিকিৎসার কার্যকারিতা ও এএনজিপিটিএল৩ নিরাপত্তার জন্যই এ পরীক্ষা চালানো হবে। সবকিছু ঠিকমতো সম্পন্ন হলে পরবর্তীতে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালানো হবে।
গবেষণাটির প্রধান রচয়িতা কিরান মুসুনুরু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, হোমোজাইগাস ফ্যামিলিয়াল হাইপারকোলেস্টারোলেমিয়াতে আক্রান্ত রোগীরা হয়তো একটি টিকা থেকে শুধুমাত্র পাঁচ বছর দূরত্বে রয়েছে।
ফিচার ইমেজ: Futurism