- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে সাত উইকেটের জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
- ৩-২ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ড।
- মাত্র ৫৮ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক হাঁকান জনি বেয়ারস্টো। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের হয়ে তৃতীয় দ্রুততম শতক এটি।
- গত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জয়ের নায়ক রস টেইলর ইনজুরির কারণে আজ খেলতে পারেননি।
- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়ে টানা ছয়টি সিরিজ জিতলো ইংল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। টি-টুয়েন্টিতে বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান কলিন মুনরো টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শূন্য রানে ফিরে গেলেন। ক্রিস ওকস তার উইকেট শিকার করেন। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। দলীয় ২৬ রানের মাথায় ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
গত ম্যাচে রস টেইলরের সাথে জুটি বেঁধে জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া টম লাথাম ১০ রান করে রশিদের বলে এবং টেইলরের বদলি হিসাবে খেলতে নামা চ্যাপম্যান শূন্য রানে মঈন আলীর শিকারে পরিণত হলে মাত্র ৬১ রানে চার উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
উইকেটের একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আসাযাওয়া দেখা মার্টিন গাপটিলও ৪৭ রান করে রশিদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন।
ইংলিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ৯৩ রানে ছয় উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান হেনরি নিকোলস এবং মিচেল স্যান্টনার। ৭ম উইকেট জুটিতে এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৮৪ রান যোগ করেন।
নিকোলসের ৫৫ রান এবং স্যান্টনারের ৬৭ রানের উপর ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ২২৩ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড।
নিজেদের পরিচিত মাঠে এই রান জয়ের জন্য যে যথেষ্ট না, সেটা ঠিকই জানতো নিউজিল্যান্ড। কিন্তু কোনোরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া এতো সহজে ম্যাচ হাতছাড়া হবে যে তা হয়তো ভাবতে পারেনি স্বাগতিকরা।
গত ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা জনি বেয়ারস্টো শুরু থেকেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। মাত্র ৫৮ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক হাঁকান তিনি। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের হয়ে এটি তৃতীয় দ্রুততম শতক। এর আগে জস বাটলার ৪৬ বলে এবং মঈন আলী ৫৩ বলে শতক হাঁকিয়েছিলেন।
জনি বেয়ারস্টো এবং অ্যালেক্স হেইলস উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে ১২২ বলে ১৫৫ রান যোগ করেন। বেয়ারস্টো ৬০ বলে নয়টি চার এবং ছয়টি ছয়ের সাহায্যে ১০৪ রান করে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোল্টের বলে হিট উইকেট হন।
বেয়ারস্টো ফেরার পর অ্যালেক্স হেইলস ৬১ রান করে এবং ২০০তম ওয়ানডে খেলতে নামা ওয়েন মরগান আট রান করে ফিরে যান। এরপর আর কোনো উইকেটের পতনের ঘটতে দেননি জো রুট এবং বেন স্টোকস।
সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেতে ১০৪ বল এবং সাত উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রান করার পর বল হাতে ১০ ওভারে মাত্র ৪৪ রানে এক উইকেট শিকার করেন।
জনি বেয়ারস্টো ১০৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন। এবং সিরিজে ১০ উইকেট শিকার করে ক্রিস ওকস সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন।
এই সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়ে ওয়ানডেতে টানা ছয়টি সিরিজ জিতলো ইংল্যান্ড।
ফিচার ইমেজ: Getty Images